নগদ কথা
দুন্দুভি তোর বাজল অনেক অনেক শঙ্খ ঘন্টা কাঁসর, মুখস্থ তোর মন্ত্ররোলে মুখর আজি পূজার আসর, − কুম্ভকর্ণ দেবতা ঠাকুর জাগবে কখন সেই ভরসায় যুদ্ধভূমি ত্যাগ করে সব ধন্না দিলি দেব-দরজায়। দেবতা-ঠাকুর স্বর্গবাসী নাক ডাকিয়া ঘুমান সুখে, সুখের মালিক শোনে কি – কে কাঁদছে নীচে গভীর দুখে। হত্যা দিয়ে রইলি পড়ে শত্রু-হাতে হত্যা-ভয়ে, করবি কী তুই ঠুঁটো ঠাকুর জগন্নাথের আশিস লয়ে। দোহাই তোদের! রেহাই দে ভাই উঁচুর ঠাকুর দেবতাদেরে, শিব চেয়েছিস – শিব দিয়েছেন তোদের ঘরে ষণ্ড ছেড়ে। শিবের জটার গঙ্গাদেবী বয়ে বেড়ান ওদের তরি, ব্রহ্মা তোদের রম্ভা দিলেন ওদের দিয়ে সোনার জরি! পূজার থালা বয়ে বয়ে যে-হাত তোদের হল ঠুঁটো, সে-হাত এবার নিচু করে টান না পায়ের শিকল দুটো! ফুটো তোর ওই ঢক্কা-নিনাদ পলিটিক্সের বারোয়ারিতে – দোহাই থামা! পারিস যদি পড় নেমে ওই লাল-নদীতে। শ্রীপাদপদ্ম লাভ করিতে গয়া সবাই পেলি ক্রমে, একটু দূরেই যমের দুয়ার সেথাই গিয়ে দেখ না ভ্রমে!