ঊনপঞ্চাশ
টান টান উত্তেজনা পেন্টাগনের সিচুয়েশন রুমে। আক্ষরিক অর্থেই পিনপতন নীরবতা বিরাজ করছে ওখানে। হঠাৎ সেই নীরবতা ভেঙে কথা বলে উঠল একজন স্টাফ, কানে হেডফোন পরে আছে সে।
‘কোয়াডাঙ্গল সাইট থেকে এনার্জি ডিসচার্জের খবর পাচ্ছি আমরা,’ জানাল সে। কন্টিনিউয়াস ডিসচার্জ… অন্তত ষাট সেকেণ্ডের জন্যে।’
কেউ প্রতিক্রিয়া দেখাল না, কেউ কথা বলল না, অপলকে সবাই তাকিয়ে আছে স্ক্রিনের দিকে। অপেক্ষা করছে অমোঘ পরিণতির জন্যে। ব্যালাস্টিক মিসাইলের ক্ষেত্রে সতেরো মিনিট সময় পাওয়া যায়, কিন্তু পার্টিকেল বিম আঘাত করবে চোখের পলকে।
দশ সেকেণ্ড কাটল, কিছুই ঘটল না। সব বাতি জ্বলছে, কম্পিউটারগুলোও চলছে স্বাভাবিকভাবে। বিস্মিত ভঙ্গিতে মুখ চাওয়াচাওয়ি করল সবাই।
‘কী হলো?’ অধৈর্য গলায় জানতে চাইলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট।
কম্পিউটার টার্মিনালে বসে থাকা এক স্টাফ জানাল, ‘আমাদের নেটওয়ার্কগুলো এখনও লাইভ ব্রডকাস্ট করে চলেছে, স্যর। কোনও ধরনের ইম্প্যাক্ট বা ড্যামেজের লক্ষণ নেই।’
‘তা কী করে সম্ভব?’
‘সম্ভব,’ মুখ খুললেন অ্যাডমিরাল হ্যামিলটন। ‘কারণ নর্দার্ন স্টারে মাসুদ রানা আছে। ও নিশ্চয়ই কিছু একটা করেছে।’
‘সেক্ষেত্রে পুরো আমেরিকার তরফ থেকে একটা ধন্যবাদ পাওনা হয়েছে তার,’ বললেন ওয়েস্টলেক। যেন ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়েছে ভদ্রলোকের। ‘আমিও ক্ষমা চাইছি তার কথায় এর আগে গুরুত্ব দিইনি বলে।’
‘এসব নাহয় সামনাসামনিই বলবেন ওকে, বললেন অ্যাডমিরাল। ‘এখনও বিপদ কাটেনি। ট্যাঙ্কারটার একটা পার্মানেন্ট ব্যবস্থা করা দরকার। রানাকেও উদ্ধার করে আনতে হবে ওখান থেকে।’
‘আমি দেখছি ব্যাপারটা,’ বললেন নেভি চিফ। ব্যস্ত হয়ে পড়লেন টেলিফোন নিয়ে।
স্ক্রিনের দিকে চোখ ফেরালেন অ্যাডমিরাল হ্যামিলটন। লড়াই এখনও শেষ হয়নি, বরং শুরু।
.
সাগরের গভীর থেকে উঠে এসেছে আমেরিকান সাবমেরিন ইউএসএস মেম্ফিস, কন্টিনেন্টাল শেলফের ধারে পজিশন নিয়েছে, তারপর বো-তে বসানো সোনারের সাহায্যে ক্রমাগত ট্রান্সমিট করছে পিং সিগনাল। আণ্ডারওয়াটার কন্ট্যাক্ট ডিটেক্ট করবার জন্যে ব্যবহার করা হয় এই সিগনাল, যদিও পারতপক্ষে সেটা কোনও সাবমেরিন ব্যবহার করতে চায় না, কারণ পিঙের উৎস সন্ধান করে সাবমেরিনের লোকেশন বের করা যায়। এ-দফা ইচ্ছে করেই সেটা করছে মেম্ফিস, আসলে টোপ ফেলছে শত্রুপক্ষের সাবমেরিনগুলোর সামনে, টেনে নিয়ে আসতে চাইছে নিজের দিকে, যাতে ওগুলোর পেছনে নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে আসিফ আর তানিয়া।
সাবমেরিনের কন্ট্রোল রুমে বসে সিগনাল মনিটর করছে সোনার অপারেটর। রিপোর্ট দিল, ‘পাঁচটা টার্গেট ছুটে আসছে আমাদের দিকে। ডেজিগনেশন… ব্রাভো ওয়ান টু ফাইভ।’
‘ফায়ারিং সলিউশন পাওয়া গেছে?’ জানতে চাইলেন মেম্ফিসের ক্যাপ্টেন।
দ্বিধান্বিত ভঙ্গিতে মাথা নাড়ল ফায়ার কন্ট্রোল অফিসার। তার কম্পিউটারে জ্বলছে-নিভছে সবুজ আর লাল আলো। বলল, ‘সাবমেরিনগুলো খুব ছোট, বার বার দিক বদলাচ্ছে। তাই ফায়ারিং সলিউশন দিতে পারছে না কম্পিউটার।’
‘তা হলে অ্যাকুস্টিক মোডে ফায়ার করব,’ বললেন ক্যাপ্টেন। ‘রেডি?’
‘রেডি, স্যর।’
‘ফায়ার ফ্রম অল টিউবস্।’
পরের পাঁচ সেকেণ্ডে সাবমেরিনের ছ’টা টিউব থেকে একে একে লঞ্চ হলো ছ’টা মার্ক-ফরটি এইট টর্পেডো।
নতুন কয়েকটা আওয়াজ পাওয়া গেল খানিক পর। সোনার অপারেটর জানাল, ‘আমাদের দিকেও টর্পেডো আসছে! অন্তত চারটা। ডান-বাম দু’পাশ থেকেই!’
‘স্টারবোর্ডে ঘোরো!’ চেঁচিয়ে নির্দেশ দিলেন ক্যাপ্টেন। ‘ফুল পাওয়ার… বো-প্লেন ফুল আপ! কাউন্টারমেযার ছাড়ো!’
বাঁক নিয়ে তীরবেগে সারফেসের দিকে ছুটল মেম্ফিস। পেছনে ফেলা হলো কাউন্টারমেযার, আগুয়ান টর্পেডো- গুলোকে বিভ্রান্ত করার জন্যে।
ধীর গতিতে কাটছে সময়। পানির তলার লড়াই আর ওপরের লড়াইয়ের মধ্যে পার্থক্যটা গতিতে। মনে হতে পারে, স্লো-মোশনে ঘটছে সব।
দশ সেকেণ্ড কাটল… এরপর বিশ।
‘কাম অন্!’ আপনমনে বললেন ক্যাপ্টেন। ‘জলদি!’
আরেকটু ওপরে উঠল মেম্ফিস।
‘একটা মিস করেছে,’ জানাল সোনার অপারেটর। কয়েক সেকেণ্ড অপেক্ষা করে দিল ফাইনাল রিপোর্ট। ‘অল ক্লিয়ার, সবগুলোই চলে গেছে আমাদের নিচ দিয়ে।’
স্বস্তি পেলেন না ক্যাপ্টেন। আকারের কারণে শত্রুদের সাবমেরিনগুলোর চেয়ে অনেক শ্লথ মেম্ফিস। যেন বিশালকায় ভালুক তাঁরা, লড়ছেন এক পাল নেকড়ের সঙ্গে। আর তাঁর আশঙ্কাকে সত্য প্রমাণের জন্যেই বুঝি কয়েক মুহূর্ত পর আবার চেঁচিয়ে উঠল সোনার অপারেটর।
‘নতুন টার্গেট, ক্যাপ্টেন! বেয়ারিং যিরো-নাইন-যিরো!’
‘ফুল ডাউন অ্যাঙ্গেল!’ নির্দেশ দিলেন ক্যাপ্টেন।
দূর থেকে এক জোড়া বিস্ফোরণের আওয়াজ ভেসে এল, মেম্ফিসের দুটো টর্পেডো তাদের লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে। কিন্তু এ-নিয়ে উল্লসিত হবার সুযোগ পাওয়া গেল না ঘাড়ের ওপর চেপে বসা বিপদের কারণে।
‘সাগরের তলা উঠে আসছে, ক্যাপ্টেন, জানাল হেলম্যান। ‘লেভেলে এসো, বললেন ক্যাপ্টেন। ‘আরও কাউন্টারমেযার ছাড়ো।’
একটু পরেই একটা টর্পেডো আঘাত হানল মেম্ফিসে। প্রচণ্ড ঝাঁকিতে মেঝের ওপর ছিটকে পড়ল সবাই। বাতি নিভে গেল, তারস্বরে বাজতে শুরু করল অ্যালার্ম।
হাঁচড়েপাঁচড়ে উঠে দাঁড়ালেন ক্যাপ্টেন। ড্যামেজবোর্ড চেক করলেন, তারপর হুকুম দিলেন, ‘ইমার্জেন্সি সারফেস!’
সবগুলো ট্যাঙ্ক খালি করে ফেলা হলো। বাতাসভরা বেলুনের মত সারফেসের দিকে ছুটল সাবমেরিন।
.
রণক্ষেত্র থেকে কয়েক মাইল দূরে আছে আসিফ ও তানিয়া। পানির ভেতর দিয়ে অনেকদূর যেতে পারে শব্দতরঙ্গ, তাই চোখে কিছু না দেখলেও শুনতে পাচ্ছে একের পর এক বিস্ফোরণের আওয়াজ। মনে হচ্ছে যেন বজ্রপাত হচ্ছে দূরে।
চুপ করে আছে দু’জনে, প্রয়োজন ছাড়া কথা বলছে না। হেলিকপ্টার থেকে ওদেরকে ড্রপ করার পরপরই ঢুকে পড়েছে ক্যানিয়নে, এগিয়ে চলেছে সন্তর্পণে।
অবশেষে গতি কমাল আসিফ। বলল, ‘দু’শো ফুটে আছি আমরা, হোল্ডিং। ইনার্শিয়াল সিস্টেম যদি ঠিক থাকে, এখান থেকে প্ল্যাটফর্মগুলো এক মাইলেরও কম দূরে।’
জলকন্যাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল তানিয়া। যত দ্রুত সম্ভব কাজটা শেষ করতে চায়। ‘আমবিলিকাল কর্ড ডিটাচ করছি,’ বলল ও।
ঠাণ্ডার ভেতরেও ঘামছে বেচারি। কাঁধে আসিফের স্পর্শ পেল, ওকে আশ্বস্ত করতে চাইছে সে।
আবারও শোনা গেল বজ্রপাতের মত আওয়াজ। এবার আগের চেয়ে অনেক বেশি কাছে। আরও জোরালো শোনাল শব্দটা।
‘যুদ্ধ ভালমতই বেধেছে মনে হচ্ছে,’ মন্তব্য করল তানিয়া।
ওসব নিয়ে ভেবো না,’ বলল আসিফ। ‘তোমার কাজ সারো।’
চোখের ওপর ভাইজর টেনে দিল তানিয়া। অপারেট করছে জলকন্যাকে। কন্ট্রোল প্যানেলে নজর রাখছে আসিফ। ঘুরছে ঘড়ির কাঁটা।
‘আর কতদূর?’ একটু পর জিজ্ঞেস করল তানিয়া।
‘এতক্ষণে তো পৌঁছে যাবার কথা,’ ভুরু কুঁচকে বলল আসিফ।
কিছু একটা গড়বড় হয়েছে, বুঝল তানিয়া। বলল, ‘ও নড়ছে না।’
‘কী!’
জলকন্যার ডেটা ফিড চেক করল তানিয়া। ‘ওর মোটর ঠিকমতই কাজ করছে, কিন্তু এগোতে পারছে না। আটকে গেছে।’
‘সেটা কীভাবে সম্ভব?’
ডান হাতে একটা অদৃশ্য বোতাম স্পর্শ করল তানিয়া। জ্বলে উঠল জলকন্যার এক্সটেরিয়র লাইট। রহস্যটা পরিষ্কার হয়ে গেল সঙ্গে সঙ্গে।
‘একটা নেটে আটকা পড়েছে ও।’
জলকন্যাকে রিভার্সে নিয়ে গেল তানিয়া। ক্যামেরায় ফুটে উঠল নেটটা। বেশ বড়, প্রশস্ত। নেমে এসেছে পানির ওপর থেকে।
‘অ্যান্টি-টর্পেডো নেট,’ বলল আসিফ। ‘আমরা নিশ্চয়ই প্ল্যাটফর্মটার একেবারে পাশে চলে এসেছি।’
সুইচ টিপে জলকন্যার কাটিং টুল বের করল তানিয়া। ‘জালটা তা হলে কেটে ফেলি, কী বলো?’
.
উথাল-পাতাল পানির মাঝে ভুস করে ভেসে উঠল মেম্ফিস। একপাশে বিশাল এক গর্ত, সেখান দিয়ে তুমুল বেগে খোলের ভেতর ঢুকছে পানি। জাহাজত্যাগের হুকুম জারি হলো। কয়েক মিনিটের ভেতরেই সবগুলো হ্যাচ খুলে পিলপিল করে বেরিয়ে এল ক্রুরা। সাগরে ইনফ্লেটেবল বোট ভাসিয়ে উঠে পড়ল তাতে।
সবার শেষে বোটে চড়লেন ক্যাপ্টেন। তাঁর কপালে চিন্তার রেখা। মেম্ফিসকে হারিয়েছেন বলে নয়। ঘাড় ফিরিয়ে তাকালেন পেছনে। এনার্জি ওয়েপনের রেঞ্জের ভেতরে ভেসে উঠেছেন তাঁরা, দিগন্তের এপারে। এখন চাইলেই চোখের পলকে তাঁদেরকে পুড়িয়ে ছাই করে দিতে পারবে উন্মাদ আকুম্বা।
.
একে একে জ্বলে উঠছে নর্দার্ন স্টারের সবক’টা বাতি, লক্ষ করল রানা। আশার কথা এ-ই যে, বো-থ্রাস্টার এখনও চালু হয়নি। তারমানে হাই-ভোল্টেজ লাইন কাজ করছে না, ফালক্রামও পাচ্ছে না প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ।
লামিয়ার পাশে ফিরে এল ও। বলল, ‘আরেকবার দৌড়াতে হবে আমাদেরকে। এখানে বসে থাকলে ধরা পড়ে যাব।’
‘পারব বলে মনে হচ্ছে না,’ দুর্বল গলায় বলল মেয়েটা।
হাঁটু গেড়ে ওর হাতটা পরীক্ষা করল রানা। অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভাল—রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করেছে।
‘কী যে বলো না!’ মুখে হাসি ফোটাল রানা। ‘তুমি হলে অলিম্পিয়ান অ্যাথলিট, এত অল্পতে হাল ছাড়লে চলে? ওঠো, ওঠো। আমি সাহায্য করছি তোমাকে।’
আপত্তি করল না লামিয়া, তাড়াটা বুঝতে পারছে ও-ও। রানার গায়ে ভর দিয়ে কষ্টেসৃষ্টে উঠে দাঁড়াল। তারপর হাঁটতে শুরু করল খোঁড়াতে খোঁড়াতে।
‘পাওয়ার লাইন তো মনে হচ্ছে কেটে দিয়েছ,’ বলল লামিয়া। ‘কুল্যান্ট রুমে কি যাবার দরকার আছে আর?’
‘আছে,’ রানা বলল। ‘যা করেছি, সেটা টেম্পোরারি। খুব শীঘ্রি লাইনটা মেরামত করে ফেলবে ওরা। তার আগেই অ্যারেটা পার্মানেন্টলি অচল করে দেয়া দরকার।’
ঠোঁট কামড়ে একটু চিন্তা করল লামিয়া। বলল, ‘আরেকটা পথ আছে ওখানে যাবার। কেউ আশা করবে না ও-পথ আমরা ব্যবহার করব।’
‘তা হলে অপেক্ষা কীসের? চলো, চলো!’
দুটো প্যাসেজ পেরিয়ে নতুন একটা হ্যাচের সামনে রানাকে নিয়ে গেল লামিয়া। নিচু হয়ে ওটার হুইল ঘোরাল রানা, খুলে ফেলল হ্যাচটা। ওপাশে একটা মই দেখা গেল—ডেক ফুটো করে একটা শাফট নিচে নেমে গেছে। লালচে আভা রাঙিয়ে রেখেছে শাফটটাকে, বেরিয়ে আসছে হিমশীতল বাতাস।
‘নিচে কী?’ জানতে চাইল ও।
‘অ্যাকসেলারেটরের টানেল,’ বলল লামিয়া।
জায়গাটা নিরাপদ বলে মনে হলো না রানার কাছে, কিন্তু মাথার ওপরের ডেকে বুটের আওয়াজ শুনে মত পাল্টাতে বাধ্য হলো। মই বেয়ে নিচে নেমে গেল ও। ওকে অনুসরণ করল লামিয়া।
সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দেখল রানা, একটা টানেলের ভেতর এসে পৌঁছেছে: দেখতে অনেকটা সাবওয়ের টানেলের মত, তবে আকারে অনেক সংকীর্ণ। দেয়াল বেয়ে চলে গেছে হাই- ভোল্টেজ লাইন আর তরল নাইট্রোজেনের কণ্ডুইট। এ ছাড়া আছে চকচকে, ধূসর রঙের সারি সারি সুপারকণ্ডাক্টিং ম্যাগনেট।
শ্বাস ফেলল রানা, নাকমুখ দিয়ে বেরিয়ে এল তুষারের কণা। হাড্ডিমজ্জা ঠাণ্ডা হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। ফালক্রাম কম্পার্টমেন্টের কথা মনে পড়ল, তবে এ-জায়গাটা তার চেয়েও অনেক ঠাণ্ডা।
‘এ-পথে গেলে আমরা রিয়ার অ্যাকসেস হ্যাচ দিয়ে বেরুতে পারব,’ জানাল লামিয়া। ‘কুল্যান্ট রুমের এক লেভেল নিচে।’
মাথা ঝাঁকাল রানা। হাঁটতে শুরু করল দু’জনে, ওর গায়ে ভর দিয়ে এগোচ্ছে লামিয়া। প্ল্যানটা মন্দ নয়, এখানে ওদেরকে কেউ খুঁজে পাবে না।
‘অ্যাকসেলারেটরটা হঠাৎ অন করে দিলে কী ঘটবে?’ জিজ্ঞেস করল ও।
‘কিচ্ছু টের পাব না। তার আগেই…’ কথাটা আর শেষ করল না লামিয়া।
‘সর্বনাশ! তাড়াতাড়ি পা চালাও!’