ব্রাহ্ম পর্ব
মধ্য পর্ব
প্রতিসর্গ পর্ব
1 of 3

ধাতুগত বিষ লক্ষণ সমূহ

।। ধাতু গতবিষলক্ষণানি।।

সবিষা দংষ্টয়োমধ্যে যমদূতী তু বৈ ভবেৎ। ন চিকিসা বুধৈঃ কার্যাতং গতায়ুং বিনির্দিশেৎ।।১।। প্রহরাধং দিবারাত্রবেকৈকং ভুজ্ঞতে বহিঃ। একস্য চ সমানং চ দ্বিতীয়ং ষোড়শং তথা।।২।। নাগোদয়ো সমুদ্দিশ্য হতো বিদ্ধো বিদারিতঃ। কালদষ্টং বিজানীয়াৎকস্যপস্য বচো যথা।।৩।। যন্মাত্রং পত্ততে বিদুবালাগ্রং সলিলোদধৃতম্। তন্মাত্রং সবতে দ্রংষ্টা বিযং সর্পস্য দারুণম্।।৪।। নাড়ীশতে তু সম্পূর্ণে দেহে সংক্ৰমতে বিযম। সাবৎসংক্রাময়েদ্বাহুং কুঞ্চিতং বা প্রসারয়েৎ।।৫।।

।। ধাতুগত বিষলক্ষণ।।

দশনের মধ্যে সবিষ অর্থাৎ বিষযুক্ত যে দশন তা যমদূতী হয়। তার চিকিৎসা জ্ঞানী জনের কখনও করা উচিত নয়। ঐ দাঁত দিয়ে যাকে কেটেছে তার আয়ুসমাপ্ত হয়ে যাবে তা নির্দিষ্ট করা উচিত।।১।।

দিন রাতে অর্ধেক প্রহর পর্যন্ত এক এক’কে বাহির ভোগ করতে হয়। সেই ভাবে একের সমান দ্বিতীয় এবং য়োড়শ হয়।।২।।

নাগাদি যাকে উদ্দেশ্য করে কামড়ায় সে হতবিদ্ধ এবং বিদারিত হয়। এই পুরুষকে তো কাল দ্বারা দষ্ট বুঝতে হবে। কাশ্যপের এই কথা সত্য।।৩।।

জল দ্বারা উদ্ধৃত চুলের অগ্রভাগ থেকে যতটা জলবিন্দু পড়ে সাপের দাঁত ততটাই দারুন বিষ স্রবণ করে।।৪।।

বাহু সংক্রমণ বা আকুঞ্চল-প্রসারণের অল্প সময়েই শত নাড়ীযুক্ত সম্পূর্ণ শরীরে ঐ বিষ সংক্রামিত হয়ঃ ৫।।

অনেন ক্ষনমাত্রেণ বিযং গচ্ছতি মস্তকে। বেপতে বিযবেগে তু শতশোহ্য সহস্রশঃ।।৬।। বর্ধতে রক্তমাসাদ্য ততো বা তৈঃ শখী যথা। তৈলবিন্দুজলং প্রাপ্য যথা বেগেন বৰ্ধতে।।৭।। শিখন্ডী আশ্রয়ং প্রাপ্য যথা মারুতেন সমীরিতঃ। ততঃ স্থানশতং প্রাপ্য ত্বচাস্থানঃ বিচেষ্টিতম্।।৮।। ত্বচাসু দ্বিগুণং বিদ্যাচ্ছোনিতে চতু গুণম্। পিত্তে তু ত্রিগুণং যাতি শ্লেষ্মে বৈ যোড়শং ভবেৎ।।৯। বায়ো ত্রিংশদূগুণং চৈব মজ্জাষষ্টিগুণং তথা। প্রাণো চৈকাণবীভূতে সর্বগাত্রানিসন্ধয়েৎ।।১০।। শ্রোত্রে নিরুদ্ধমানে চ যাতি দষ্টসাধ্যতাম। ততোহসৌ ম্রিয়তে জন্তুনিঃশ্বাসোচ্ছবাসবজিতঃ।।১১

এর থেকে এক মুহূর্তে বিষ মস্তকে চলে যায়। বিষের বেগে মানুষ শত- সহস্রবার কম্পিত হয়।।৬।।

বায়ুর দ্বারা এক ময়ুরের সমান ঐ বিষ রক্ত পেয়ে বেড়ে যায় যেমন ভাবে তৈলবিন্দু জলে পড়ে জলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।।৭।।

বায়ুতাড়িত শিখন্ডী আশ্রয়প্রাপ্ত হয়ে যেমন শতস্থানের প্রাপ্তি করে তেমনই বিষ ত্বকে প্রভাব বিস্তার করে।।৮।।

চামড়ায় দ্বিগুণ জানতে হবে এবং রক্তে চতুর্গুণ হয়ে যায়। পিত্তে তিনগুণ হয় এবং কফে ষোড়শগুণ হয়।।৯।।

বায়ুতে যখন বিষ পৌঁছে যায় তখন তা ত্রিশগুণ এবং মজ্জাতে ষাট গুণ হয়ে যায়। একার্ণবীভূত প্রাণে পৌঁছানোর পর সমস্ত গাত্রকেপীড়িত করতে লাগে।।১০।।

কর্ণ নিরুধ্যমান হয়ে গেলে দষ্ট পুরুষ সাধ্যায়ত্ত দশায় পৌঁছে যায়। এরপর ঐ জীব প্রশ্বাস ও নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গিয়ে মারা যায়।।১১।।

নিষ্ক্রান্তে তু ততো জীবো ভূতে পঞ্চত্ব মাগতে। তানি ভূতানি গচ্ছন্তি যস্যযস্য যথাতথম।।১২।। পৃথিব্যাপস্তথা তেজো বায়ুরাকাশমেব চ। ইত্যেযামের সংখাতঃ শরীর মভিধীয়তে।।১৩।। পৃথিবী পৃথিবীং যাতি তোয়ং তোয়েষু লীয়তে। তেজো গচ্ছতি চাদিত্যং মারুতো মারুতং ব্রজেৎ।।১৪ আকাশং চৈব মাকাশে সজ তেনৈব গচ্ছতি। স্বস্থানং তে প্রপদ্যন্তে পরস্পরনিয়োজিতাঃ।।১৫।। ন জীবেদাগতঃ কশ্চিদিহ জন্মনি সুব্রত। বিযাতং ন উপেক্ষেত ত্বরিতং তু চিকিৎসয়েৎ।।১৬।। একমস্তি বিযং লোকে দ্বিতীয়ং চোপপদ্যতে। যথা নানাবিধং চৈব স্থাবরং তু তথৈব চ।।১৭।।

জীবাত্মা বেরিয়ে যাবার পর এবং ভূতের পঞ্চত্ব প্রাপ্তির পর এই পাঁচ ভূত যার যার স্থানে বিলীন হয়।।১২।।

পৃথিবী, জল, তেজ, বায়ু এবং আকাশ —এই পাঁচটির যে একত্র সংঘাত হয় তাই শরীর নামে অভিহিত হয়।।১৩।।

পৃথিবী পৃথিবীতে যায়, জল জলে মিশে যায়, তেজ সূর্যে চলে যায়, বায়ু বায়ুতে মিলে যায় এবং আকাশ মহাকাশে মিশে যায়। জীবাত্মার সাথেই পরস্পরের জন্য নিয়োজিত ভূতবৃন্দ নিজ নিজ স্থানে গিয়ে বিলীন হয়।।১৪-১৫।।

হে সুব্রত! এ জন্মে কেউই এসে ইহসংসারে সর্বদা জীবিত থাকতে পারে না। ইহা বুঝে বিষ দ্বারা আক্রান্ত মানবের কখনও উপেক্ষা করা উচিত নয় এবং শীঘ্রই তার চিকিৎসা অবশ্য করতে হবে।।১৬।।

এই বিষ একজনের হয় এবং অপরেরও তা প্রাপ্তি হয়। এই প্রকারে এই বিষ স্থাবর এবং নানা প্রকারের হয়।।১৭।।

প্রথমে বিযবেগে তু রোমহষোহ ভিজায়তে। দ্বিতীয়ে বিষবেগে তু স্বেদোগাত্রেষু জায়তে।।১৮।। তৃতীয়ে বিযবেগে তু কম্পো গাত্রে জায়তে। চতুর্থে বিষবেগে তু শ্রোত্রান্তরনিরোধকৃৎ।। ১৯।। পঞ্চমে বিযবেগে তু হিক্কা গাত্রেষু জায়তে। ষষ্ঠে চ বিষবেগে তু প্রাণোভ্যোঽপি প্রমুচ্যতে।।২০।। বচঃ স্থানে বিষে প্রাপ্তে তস্য রূপানি মে শৃণু। অংগানি তিমিরায়ন্তে তপন্তে চ মুহুর্মুহঃ।।২১।। এতানি সস্য চিহ্নানি তস্য ত্বচি গতং বিযম্। তস্যাগদং প্রবক্ষামি যেন সম্পদ্যতে সুখম্।।২২।। অর্কমূলমপার্মাগ প্রিয়ংগুং তগরং তথা। এতদালোড়া দাতব্যং ততঃ সংপদ্যতে সুখম্।।২৩।।

প্রথম বিষের বেগে রোমহর্ষ হয়, দ্বিতীয় বিষের বেগে শরীরে ঘাম হয়, তৃতীয় বিষের বেগে হয় শরীরের কম্পন, চতুর্থ বিষের বেগে শ্রোত্রান্তরের নিরোধ হয়ে যায়।।১৮-১৯।।

পঞ্চম বিষের বেগ হলে শরীরে হিক্কা শুরু হয়। ষষ্ঠ বিষের বেগে মানুষ নিজের প্রাণ থেকেও বিমুক্ত হয়ে যায়। এই বিষ সাত ধাতুতে পৌঁছে যায় এমনভাবে যেমন বৈনতেয় বলেছিলেন।।২০।।

বাণীস্থানে বিষ প্রাপ্ত হবার পর তার রূপ আমার থেকে শোনো। ওই সময় সমস্ত অঙ্গ তিমিরময় হয়ে যায় এবং বারবার তপ্ত হয়।।২১।।

যার এইসব চিহ্ন (লক্ষণ) হয় তার ত্বক বিষযুক্ত। তার ঔষধ সম্পর্কে বলবো যার দ্বারা সুখ সম্পন্ন হয়।।২২।

অর্কমূল, অপামার্গ, প্রিয়ংগু এবং তগর এই সবগুলি আলোড়িত করে দষ্টকে দিতে হবে। এতে সুখ উৎপন্ন হবে।।২৩।।

ততস্তস্মিনকৃতে বিপ্র নিবতেণ চেদ্বিংমম্। ত্বচঃ স্থাণং ততো ভিত্তা রক্তস্থাণং প্রধাবতি।।২৪।। বিযে চ রক্তং সম্প্রাপ্তে তস্য রূপানি মে শৃণু। দহ্যতে মুহ্যতে চৈব শীতলং বহু মন্যতে।।২৫।। এতানি যস্য রূপানি তস্য রক্তগতং বিযম্। তত্রাগদং প্রবক্ষানি যেন সম্পদ্যতে সুখম্।।২৬।। উশীরং চন্দনং কুষ্টমুৎপলং তগরং তথা। মহাকালস্য মূলানি সিন্দুবাহন গস্য চ। হিংগুলং মরিচং চৈব পূর্ববেগে তু দাপয়েৎ।।২৭।। বৃহতী বৃশ্চিকা কালী ইন্দ্রবারুণি মূলকম্। সপ্তগন্ধঘৃতং চৈব দ্বিতীয়ে পরিকীর্তিতম্।।২৮।। সিন্দুবারং তথা হিংগু তৃতীয়ে কারয়েদবুধঃ। তস্য প্ৰাণং চ কুবীত অঞ্জনং লেপনং তথা।।২৯।।

হে বিপ্র! এই প্রকারে করার পর বিষ নিবৃত্ত গেলেও তবে আবার ত্বক ভেদ করে রক্তে তা পৌঁছাতে পারে।।২৪।।

যখন বিষ রক্তে পৌঁছে যায় তখন তার যে রূপ হয় সেইরূপ এখন তুমি আমার থেকে শ্রবণ করো। সে দাহযুক্ত এবং মোহাচ্ছন্ন হয়ে যায় এবং শীতলতা কামনা করে।।২৫।।

এই যার রূপ তার বিষ রক্তগত হয়ে যায়। সেই সময়ের ঔষধ বলছি যার দ্বারা সুখ সম্পাদিত হয়।।২৬।।

উশীর, চন্দন, কুষ্ঠ, উৎপল, তগর, মহাকালের মূল এবং সিন্ধুবার নগের মূল, হিংগুল, মরিচ এই সব দিতে হবে কিন্তু পূর্ববেগে দেওয়া উচিত।।২৭।। দ্বিতীয় বেগে বৃহতী, বৃশ্চিকা, কালী, ইন্দ্র-বারুণীর মূল এবং সপ্তগন্ধ ঘৃত এই দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।।২৮।।

তৃতীয় বেগেজ্ঞানী পুরুষদের সিন্ধুবার এবং হিঙ্গু করাতে হবে। তা পান করতে হবে এবং অঞ্জন লেপন করতে হবে।।২৯।।

এতেনৈবোপচারেণ ততঃ সম্পদ্যতে সুখম্। রক্তস্থানং ততো গত্বা পিত্তস্থানং প্রধাবতি।।৩০।। পিত্তস্থানগতে বিপ্র বিমরূপানি মে শৃণু। উত্তিষ্ঠতে নিপততেদহ্যতে মুহ্যুতে তথা।।৩১।। গত্ৰাতঃ পীতকঃ স্যাদ্বৈ দিশঃ পশ্যতি বিজানতে। বিষক্রিয়াং তস্য কুৰ্যাদ্যয়া সম্পদ্যতে সুখম্।।৩২।। পিত্তস্থানমতিক্রয্য শ্লেষ্মস্থানং চ গচ্ছতি।।৩৩। পিপপল্যো মধুকং চৈব মধুখন্ডং ঘৃতং তথা। মধুসারমলাবূং চ জাতিং শংকর বালুকাম্।।৩৪।। ইন্দ্র বারু নিকামূলং গবাং মূত্রেণ পেষয়েৎ। নস্যং তস্য প্রযুজ্ঞীত পানমালেপনাজ্ঞণম। এতেনৈবোপচারেন ততঃ সম্পাদ্যতে সুখম্।।৩৫।।

এই উপাচারেই আবার সুখ উৎপন্ন হব। এরপর রক্তে পৌঁছে আবার ঐ বিষ পিত্তস্থানে ধাবন করে।।৩০।।

হে বিপ্ৰ! যখন বিষ পিত্তস্থানে পৌঁছায় তখন বিষের যে রূপ হয় তা আমার কাছ থেকে শোনো। দষ্ট ব্যক্তি কখনও উঠে দাঁড়ায়, কখনও নিচে পড়ে যায়। তার সমস্ত শরীর দাহ এবং মোহপ্রাপ্ত হয়ে যায় অর্থাৎ অচৈতন্য হয়ে যায়।।৩১।।

সে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সমস্ত দর্শনীয় বস্তুকে হলুদ দেখে। তার বড় রকম মোহগ্রস্ততা হয় যার ফলে স্বয়ং নিজেকে জানতে পারেনা। ঐ সময় তার বিষের দমনের কাজ করতে হবে যাতে সুখ উৎপন্ন হয়।।৩২।।

পিত্তস্থান অতিক্রম করে আবার ঐ বিষ কফস্থানে চলে যায়।।৩৩।।

পীপল, মধুক, মধুসার, ঘৃত, মধুসার, অলাবু, জাতিশঙ্কর, বালুকা এবং ইন্দ্রবারুণীর মূল–এই সব গরুর প্রস্রাব দিয়ে পেষণ করাতে হবে।।৩৪।।

ওর নস্য-এর প্রয়োগ করতে হবে এবং পান, আলেপন ও অঞ্জনও করতে হবে। এই সব থেকে সুখ উৎপন্ন হব।।৩৫।।

শ্লেযমস্থানং ততঃ প্রাপ্তে তস্য রূপানি মে শূনু। গাত্রানি তস্য রুধ্যন্তে নিঃশ্বাসশ্চ ন জায়তে। লালা চ সবতে তস্য কন্টো ঘুরু ঘুরায়তে।।৩৬। এতান্ যস্য রূপানি তস্য শ্লেযমগতং বিষম্। তস্যাগদং প্রবক্ষামি যেন সম্পদ্যতে সুখম্।।৩৭।। ত্রিকটুকী শ্লেষ্মাতকো লোঘ্রংচ মধুসারকম্। এতানি সমভাগানি গবাং মূত্রেণ প্রেষয়েৎ।।৩৮।। তস্য প্রাণং চ কুবীত অঞ্জনং লেপণং তথা। এতেনৈবোপচারেন ততঃ সম্পদ্যতে সুখম্।।৩৯।। শ্লেষ্ম স্থানমতিক্রম্য বায়ুস্থানং চ গচ্ছতি। তত্র রূপানি বক্ষামি বায়ুস্থানগতে বিষে।।৪০ । আত্মায়তে চ জঠরং বান্ধবাংশ্চ ন পশ্যতি। ইদৃশং কুরুতে রূপং দৃষ্টিভংগশ্চ জায়তে।।৪১।।

বিষ যখন শ্লেষাস্থানে পৌঁছাবে তখন বিষের প্রভাবে যে রূপ হবে তা আমি এখন বলছি, তুমি শ্রবণ করো। ওই সময় দষ্ট ব্যক্তির গাত্র রুদ্ধ হয়ে যাবে এবং নিঃশ্বাস নিতে পারবে না। তার মুখ থেকে লালা পড়বে এবং কণ্ঠ থেকে ঘরঘর শব্দ হবে।।৩৬।।

এই প্রকার রূপ যার হয় তার শ্লেষ্মা বিষপ্রাপ্ত হয়েছে। তার ঔষধ এখন আমি বলবো যা করলে সুখ উৎপন্ন হবে।।৩৭।।

শ্লেষ্মাতক, ত্রিকুটী, লোধ, মধুমারক এই সব বস্তুর সমভাগ নিয়ে গরুর মূত্রের সাথে পেষণ করতে হবে। এটি পান করতে হবে এবং এর অঞ্জন লেপনও করতে হবে। এসব করলে সুখ উৎপন্ন হব।।৩৮-৩৯।।

শ্লেষ্মাস্থান অতিক্রম করে আবার বিষ বায়ুস্থানে পৌঁছায়। বায়ুস্থানে বিষ পৌঁছানোর পর তার রূপ কেমন হবে তা আমি এখন বলবো।।৪।।

ঐ অবস্থায় পেট আধ্যায়মান হয়ে যায় এবং ঐ ব্যক্তি নিজ বন্ধনকেও দেখতে পায় না। এই প্রকার রূপ ঐ বিষ করে দেয় এবং তার দৃষ্টি ভঙ্গও হয়ে যায়।।৪১।।

এতানি যস্য রূপানি তস্য বায়ুগতং বিষম। তস্যাগতং প্রবক্ষামি যেন সম্পাদ্যতে সুখম্।।৪২।। শোণামূলং প্রিয়ালং চ রক্তং চ গজপিপ্পলূম্। ভাঙ্গী বচাং পিপ্পলীং চ দেবদারুং মধুকরম্।।৪৩।।

মধুকসারং সহসিন্দুবারং হিংগুং চ পিষ্টাগুটিকাং চ কুর্যাৎ। দদ্যাচ্চ তস্যাজনলেপনাদি এ যোহগদঃ সর্পবিযানি হন্যাৎ।।৪৪।। অঞ্জনং চৈব নস্যং চ ক্ষিপ্ৰং দদ্যাদ্বিযান্বিতে। বায়ুস্থানং ততোমুক্তা মজ্জাস্থানং প্রধাবতি।।।৪৫।। বিযে মজ্জাগতে বিপ্র তস্য রূপানি মে শুনু। দৃষ্টিশ্চ হীয়তে তস্য ভূশমংগানি মুঞ্চতি।।৪৬।। এতানি যস্য রূপানি তস্য মজ্জাগতং বিযম। তস্যাগদং প্রবক্ষামি যেন সম্পাদ্যতে সুখম্।।৪৭।।

এই লক্ষণ যার প্রকাশ পায় তার বুঝে নেওয়া উচিত যে বিষ বায়ুস্থানে পৌঁছে গেছে। এখন তার ঔষধও বলে দেব যার দ্বারা সুখ উৎপন্ন হবে।।৪২।।

শোনামূল, প্রিয়াল, রক্ত, গজ, পিপ্পলী, ভারঙ্গী, বচ, পীপল, দেবদারু, মধূকক, মধুকসার, সহসিন্ধু, শর এবং হিং এই সবগুলি পেষণ করে গুচিকা . তৈরী করতে হবে এবং থেকে হবে এবং এর কাজল লেপনও করতে হবে। এটি এমনই ঔষধ যে সবরকম বিষ হনন করতে পারে।।৪৩-৪৪।।

এর অঞ্জন এবং নস্য বিষান্বিতকে খুব তাড়াতাড়ি দেওয়া উচিত। ঐ বিষ না হলে বায়ু স্থান ছেড়ে মজ্জায় প্রবেশ করবে।।৪৫।।

হে বিপ্ৰ! বিষ মজ্জাগত হলে যে রূপ প্রকট হয় তা আমার থেকে শোনো। তার দৃষ্টি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায় এবং অনেক অঙ্গ বিকশ হতে থাকে।।৪৬।।

এই প্রকার লক্ষণ যার দেখা যায় তার বিষ মজ্জাগত হয়েছে বুঝতে হবে। এখন ঐ অবস্থার যে ঔষধ আছে তার বর্ণনা করছি। যা করলে সুখ

ঘৃতমধুশর্করান্বিত মুশীরং চন্দনং তথা। এতাদালোড়া দাতব্যং পানং নস্যং চ সুব্রত।।৪৮।। ততঃ প্রণশ্যতে দঃখং ততঃ সম্পাদ্যতে সুখম্। অথ তস্তিণকৃতে যোগে বিযং তস্য নিবতর্তে।।৪৯। মজ্জাস্থানং ততো গত্বা মর্মস্থানং প্রধাবতি। বিযে তু মম সম্প্রাপ্তে শৃণু রূপং যথা ভবেৎ।।৫০।। নিশ্চেষ্টঃ পততে ভূমৌ কর্ণাভ্যাং বধিরো ভবেৎ। বারিণা সিচ্চ মাণস্য রোমহযো ন জায়তে।।৫১।। দন্ডেন হন্য মানস্য দন্ডরাজী ন জায়েত। শস্ত্রেণচ্ছিমাণস্য রুবিরং ন প্রবতর্তে।।৫২।। যস্য কর্ণো চ পাশ্চে চ হস্তপাদং চ সন্ধয়ঃ। শিথিলানি ভবন্তীহ স গতাসুরিতি শ্রুতিঃ।।৫৩।।

ঘৃত, মধু, শর্করা দিয়ে যুক্ত উশীর এবং চন্দন মেশাতে হবে। হে সুব্রত! তা পান এবং নস্য রূপেও নিতে হবে।।৪৮।।

এগুলি করলে দুঃখ দূর হয়ে যাবে এবং আবার স্বাস্থ্যসুখ উৎপন্ন হবে। এই প্রকারে এই যোগ করলে পীড়িতের বিষ দূর হয়ে যাবে।।৪৯।।

মজ্জা স্থান থেকে গিয়ে আবার ঐ বিষ মর্মস্থানর দিকে ধাবিত হয়। যখন ঐ মর্মস্থানে পৌঁছায় তখন তার যে দশা হয় তা শ্রবণ করো।।৫০।।

সেই ব্যক্তি চেষ্টাহীন হয়ে ভূমিতে পড়ে যায় এবং কর্ণ বধির হয় যায়। ওই অবস্থায় তার উপর জলের ছিটে দিলেও তার রোমাঞ্চ হয় না।। ৫১।।

যদি তাকে দন্ড দিয়ে আঘাত করা হয় তবে তার শরীরে দন্ডের দাগ পড়ে না, যদি কোন অস্ত্র দিয়ে আঘাত হয় তব তার শরীর থেকে রক্তও পড়ে না।।৫২।।

যদি তার কেশও মুষ্টি করে ধরা হয় তাহলেও তার কোনও অনুভব হবে না। যার কান, পার্শ্বদেশ, হাত, পা এবং সমস্ত সন্ধি শিথিল হয়ে যায় এবং এখানে তাকে মৃত বলে মনে করা হয়।। ৫৩।।

এতানি যস্য রূপানি বিপরীতানি গৌতম। মৃতং তু ন বিজানীয়াৎ কশ্যপস্য বচোযৰ্থা।।৫৪।। বৈদ্যাস্তস্য ন পশ্যন্তি যে ভবন্তি কুশিক্ষিতাঃ। বিচক্ষণাস্তু পশ্যন্তি মন্ত্রৌ সাধকমন্বিতাঃ।।৫৫।। তস্য গদং প্রবক্ষামি স্বয়ং রুদ্রেণ ভাষিতম্। ময়ূরপিতং মার্জারপিতং গন্ধনাড়ীমূলমেব চ।।৫৬।। কুক্কুমং তগরং কুষ্ঠং কাসমদত্বচং তথা। উপলস্য চ কিংজলকং পদ্মস্য কুমুদস্য চ।।৫৭।। এতানি সমভাগানি গোমূত্ৰেন তু পেষয়েৎ। এমোহগদো যস্য হস্তে দষ্টো ন ম্রিয়তে স বৈ। কালাহিনাপি দষ্টেন ক্ষিপ্রং ভবতি নির্বিযঃ।।৫৮।। ক্ষিপ্রমেব প্রদাতব্যং মৃতসজ্ঞবনৌষধম। অঞ্জনং চৈব নস্যং চ ক্ষিপ্ৰং দদ্যাদ্বিচক্ষণঃ।।৫৯।।

হে গৌতম! যার এর পুরোপুরি বিপরীত রূপ হয় তাকে মৃত নয় এরূপ বুঝে নিতে হবে কেননা কশ্যপ মুণি এরকমই বলেছেন।।৫৪।।

যে বৈদ্য এই কথা বুঝতে পারে না, সে কুশিক্ষিত, যে বিচক্ষণ বৈদ্য হয় এবং মন্ত্র ও ঔষধ জানে সে এই অবস্থাকে ভালভাবে দেখেন।।৫৫।।

এখন আমি এই দশায় (অবস্থায়) যে ঔষধ আছে তা বলছি। যা কিনা স্বয়ং ভগবান রুদ্র বলেছিলেন।।৫৬।।

ময়ূরের পিত্ত, বেড়ালের পিত্ত, গন্ধনাড়ীর মূল, কুমকুম, তগর, কুষ্ঠ, কাসমর্দের ছাল, পদ্মের এবং কুমুদের কিঞ্জল্ক এই সমস্ত বস্তু সমান ভাগে নিয়ে গোমূত্রের সাথ সবগুলি পেষণ করতে হবে। এই ঔষধ যার হাতে থাকবে সে দষ্ট ব্যক্তিও মারা যাবে না। সে শীঘ্রই বিষহীন হয়ে যাবে।।৫৭-৫৮।।

যে মৃতসঞ্জীবনী ঔষধ আছে তাকে শীঘ্র দিত হবে। এর অঞ্জন এবং নস্যও বিচক্ষণ বৈদ্য তাকে শীঘ্র তাকে দেবেন।।৫৯।।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *