ধনুকের তূণ

ধনুকের তূণ 

স্বদেশ কুঞ্জ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। গণসংযোগ কক্ষের বাইরে একটা চেয়ারে বসে আছেন মেজর জেনারেল মহিউদ্দীন হক ফিরোজ। প্রধানমন্ত্রী তাকে ডেকে পাঠিয়েছেন। গণসংযোগ কক্ষে তফিসুল বারী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষন দিচ্ছে। ভাষন দেওয়া শেষ হলেই তার সাথে বসবেন। 

গণসংযোগ কক্ষের বাইরে বেশ ভিড়। কয়েকজন সাংবাদিক আছেন তার মধ্যে। মন মেজাজ ভালো নেই ফিরোজের। তারপরেও হাসি মুখে তাদের সাথে কুশল বিনিময় করতে হচ্ছে। খেলার প্রথম চালে বশির তাকে হারিয়েছে। তার পরিকল্পনা ভুল প্রমাণ করে দিয়ে আশফাক চৌধুরীকে, রঞ্জনকে আর এক অচেনা লোককে অপহরণ করেছে। তৃতীয় লোকটি কে সেটা ড্রোনের ক্যামেরায় বোঝা যায়নি। ফিরোজ প্রথমে ধারণা করেছিলেন, এই লোকটিই কোনভাবে এই ব্যর্থতার জন্য দায়ী। কিন্তু পরে অবশ্য সেটা আর যুক্তিতে খাটেনি। সব কিছু তো পরিকল্পনা মাফিকই হচ্ছিলো। ঐ লোকটার কোন দোষ নেই। কিন্তু এইভাবে হিসাব নিকাশে ভুল হয়ে যাবে, মেজর ফিরোজ এখনও মানতে পারছেন না। প্রধানমন্ত্রীর অবশ্য জানার কথা না যে তার ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনাটা হয়েছে। তারপরেও ফিরোজ মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই এসেছেন। যদি সেরকম কিছু তফিসুল বারী বলেনই, তাহলে তিনি আশফাক চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেবেন। তা সে যেভাবেই হোক। যদিও কোন রাজনীতিককে ফিরে পাওয়ার আশা করা এই মুহূর্তে বোকামী। কিন্তু এভাবে রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট লোকদের খুন করার অর্থ কি? প্রধানমন্ত্রীকে একা করে ফেলা? একজন সাংবাদিক তরুণীকে এগিয়ে আসতে দেখে ফিরোজের ভাবনায় ছেদ পড়ল। উঠে গেলেন তিনি। এই মুহূর্তে ‘সংবাদ পণ্য’ হওয়ার ইচ্ছা নেই তার। 

ফিরোজ ভিড় এড়াতে হলওয়ে পেরিয়ে বাইরের বারান্দায় এসে দাঁড়ালেন। জায়গাটা খোলামেলা। সামনে সাজানো বাগান। বাগান পেরিয়ে নবনিহিল নদী। হিমেল বাতাস ফিরোজের খোলা মুখমন্ডলে কামড় বসালো। শীতল বাতাসে ফিরোজের ভেতরের ব্যর্থতার শীতলতা যেন আরও বেড়ে গেল। বশিরের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি এখনও। কোনভাবে তাকে জানানো যায়নি যে তার মেয়ে ফিরোজের কাছে আছে। 

পেছন থেকে মৃদু কাশির শব্দ শুনে পেছনে তাকালেন ফিরোজ। সুজন উদ্দিন দাঁড়িয়ে আছেন। ভদ্রলোককে ফিরোজ চেনেন। রাজধানীর চেম্বার অফ কমার্সের প্রেসিডেন্ট। অমায়িক ভদ্রলোক। এবং দুর্দান্ত ব্যবসায়ী। মিষ্টি হাসি হেসে বললেন, “কেমন আছেন মেজর জেনারেল? এইখানে একা একা দাঁড়িয়ে যে?” 

ফিরোজ কাষ্ঠ হাসি হেসে বললেন, “ভালোই আছি। আপনার কি খবর? এইখানে হঠাৎ?” 

“এইতো আছি। চলে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সাথে কিছু দরকারী কথা ছিল। তাই আসা” সুজন উদ্দিন হাসি মুখে উত্তর দিলেন। এগিয়ে এসে দাঁড়ালেন ফিরোজের পাশে। বললেন, “দেশে কি হচ্ছে শুনেছেন তো মেজর জেনারেল।” 

“হ্যাঁ।” 

“আজ দুপুরেই শুনলাম আশফাক সাহেব কিডন্যাপড হয়েছেন। ওদিকে ব্যবসায়ী সমিতি থেকে অভিযোগ আসছে দোকানপাট ভাঙচুরের। আমার ছোট শ্যালকের গাড়িটা কাল ভেঙে দিয়েছে শ্রমিক সংগঠনের কয়েকজন সদস্য। খেটে খাওয়া মানুষগুলো যে এতটা হিংস্র হয়ে যেতে পারে ভাবিনি। সব মিলিয়ে দেশ একটা দুঃস্বপ্নের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে মেজর জেনারেল। সামনে কি হবে জানি না।” 

“খেটে খাওয়া মানুষ হিংস্র হয়ে যাচ্ছে কথাটা মানতে পারলাম না। হিংস তারাই হচ্ছে যারা শর্টকাট খুঁজছে। যারা কম পরিশ্রমে ওপরে উঠতে চাচ্ছে তারাই ঝাপিয়ে পড়ছে। তাদের কাছে বিশৃংখলা একটা সুযোগ। এটা শুধু এই প্রায়শ্চিত্তের ঝামেলা থেকে শুরু হয়নি সুজন সাহেব। প্রতিনয়ত যারা ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি করছে, তারা সবাই পেছন দরজা দিয়ে সুদিন দেখতে চায়। আপনারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না? পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন?” 

“আমাদের সম্মানটা অনেক দামি মেজর জেনারেল। আমরা ওদের মত লোকসমক্ষে কারও ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারি না। ইচ্ছা করলেই বস্তিগুলোতে আগুন লাগিয়ে দিয়ে আসতে পারি। ইচ্ছে করলেই দুই তিনজনকে ধরে কুকুরের মত পিটিয়ে মেরে ফেলতে পারি। কিন্তু এখনকার ঘটে যাওয়া ঘটনার ফলাফল কালকে কি হতে পারে সেইটা ভেবে আমরা হাতে ময়লা মাখি না। আমরা ওদেরকে দিয়েই ওদেরকে নিয়ন্ত্রণ করি। করতে হয়। আমরা বাধ্য হই করতে। আমরা যদি বন্দুক হই তাহলে ওরা বুলেট। ওদের বুলেট দিয়েই ওদের লাশ ফেলতে হয়।” 

শেষের কথাগুলোতে কিছুটা চাপা ঘৃণা ছিল। ফিরোজ বুঝেও না বোঝার ভান করলেন। আজকের এই অরাজকতার জন্য উনিই দায়ী- এটা আরেকবার মনে পড়ে গেল ফিরোজের। 

গণসংযোগ কক্ষের দরজা খুলে গেল। তফিসুল বারী আর তার দেহরক্ষী বেরিয়ে আসলেন। পেছনে সাংবাদিকদের ভিড় তাকে অনুসরণ করল। ফিরোজ হাত ঘড়ি দেখলেন। সন্ধ্যা সাতটা আটচল্লিশ। আর বারো মিনিট পরেই প্রধানমন্ত্রীর সাথে বসতে হবে। তিনি হলওয়ে ধরে বারীর ব্যক্তিগত স্টাডির দিকে রওনা হলেন। 

***

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিস রুমটাতে ফিরোজকে অতিরিক্ত পনেরো মিনিট বসে থাকতে হল। আটটা পনেরোতে তফিসুল বারী হন্তদন্ত হয়ে ঢুকলেন। তাকে অনুসরণ করলেন তার ব্যক্তিগত সহকারী। স্টাডিতে ঢুকেই টেবিলে বসতে বসতে বললেন, “মেজর জেনারেল, বশির জামান ফোন দিয়েছে।” 

ফিরোজ লাফিয়ে উঠলেন। প্রধানমন্ত্রীর টেবিলের ওপরে ঝুঁকে পড়লেন প্রায়। তফিসুল বারী ফিরোজকে চুপ থাকার ইশারা করে ল্যান্ডলাইনটা লাউডস্পিকারে দিলেন। 

“শুনতে পাচ্ছেন?” বশির জামানের সেই খ্যাসখ্যাসে চিরচেনা গলা।

বারী বললেন, “হ্যাঁ বশির জামান বলেন। আমি আপনাকে শুনতে পাচ্ছি।” 

“আজ থেকে দশ বছর আগের পার্টির নির্বাচনের কথা মনে আছে আপনার?” 

“কেন কি হয়েছে?” 

“মনে করেন। মনে না পড়লে আমি সাহায্য করছি।” 

“মনে আছে। কিন্তু নির্দিষ্টভাবে আপনি কি মনে করতে বলছেন বুঝতে পারছি না।” 

“আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি। আজ থেকে দশ বছর আগের পার্টির নির্বাচনে তেরোজন লোক খুন হয়। পার্টির জ্যৈষ্ঠ নেতা প্রণয়সিংহ রহস্যজনকভাবে মারা যান। কর্মকার সেই খুনের কারণ আজও জানা যায়নি। তেরোজনের সব থেকে বড় পরিচয় ছিল যে তারা আপনার বিরোধিতা করেছিল। আর পার্টির পরবর্তী প্রধান হিসাবে প্রণয় কর্মকারই এগিয়ে ছিলেন। তাছাড়া তেরোজনের ভেতরে পাঁচ জন আগেই আপনার পার্টি থেকে বের হয়ে গিয়েছিল। সেই পাঁচ জনের প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ এলাকায় নিজ নিজ রাজ্যে ছিল জননন্দিত। এই পাঁচ জনের একটাই কারণ ছিল। তারা আপনার অনেক বড় একটা অপকর্ম জেনে গিয়েছিল। অপকর্মটা কী আমি বলব?” 

“কী বলতে চাইছেন আপনি!” 

“আচ্ছা। বললাম না। তো এই পাঁচজন সরে যাওয়ার ফলে যেই পাঁচটা সিট আপনার নিশ্চিত জয় ছিল সেই পাঁচটা সিট আপনি হারান। কিন্তু আপনি নিজে না জিতলে আর কাউকে জিততে দেবেন না, তাই পার্টির প্রধান হয়ে আপনি সব থেকে ভয়ঙ্কর তেরোজন অপরাধীকে বন্দী করেন। তাদের জন্য গোপন জেলখানা বানান। এবং তাদেরকে দিয়ে এই তেরোটা খুন করান। খুনের আগে প্রত্যেকেই গুম হয়। এবং পরে তাদের লাশ পাওয়া যায়। আরও শুনতে চান? শুনতে চান প্রণয় কর্মকারকে কিভাবে খুন করিয়েছিলেন?” 

“আপনি জানেন আপনি কী নিয়ে কথা বলছেন বশির জামান? আমি কে আপনি ভুলে গিয়েছেন?” 

“আপনার চেয়ারটাতে যেই বসে তাকেই কেন জানি সবাই ঈশ্বর ভাবতে শুরু করে। একজনের টাকা চুরি করলে সেটার সাজা হয়, কিন্তু চেয়ারে বসে এক লক্ষ লোকের টাকা চুরি করলে সেই পাপের সাজা হয় না। ছোট পাপের প্রায়শ্চিত্ত হয় অনেক বড়, আর বড় পাপের প্রায়শ্চিত্ত হয় অনেক ছোট ছোট। আসলে দোষটা চেয়ারের। যেমন ঈশ্বরকে সবাই ভয় মিশ্রিত শ্রদ্ধা করে, ঠিক সেভাবেই আপনার ঐ চেয়ারটাকেও সবাই ভয় মিশ্রিত শ্রদ্ধা করে। আমি করি না। আমি কোন মানুষকে ভয় পাই না। এটা আমার একটা ব্যর্থতা বলতে পারেন। আমি আপনাকেও ভয় পাই না। এই অপরাধীগুলোর জন্য পরোক্ষভাবে আপনিই দায়ী। এদেরকে সুস্থ একটা জীবন দান করার বদলে আপনি এদেরকে নোংরাভাবে ব্যবহার করেছেন।” 

“আপনি মূল কথায় আসতে পারেন বশির জামান।” 

“আপনার ভাষণ শুনলাম একটু আগে। আপনি এবং আপনার এলিট ফোর্স যদি এতটুকু আমাকে স্পর্শ করার চেষ্টা করে, আমি আপনার পাপগুলো আন্তর্জাতিক মহলে ফাঁস করে দেব। সোজা কথায়, আপনার সেই জেল পালানো আসামীদের তিনজন সাক্ষী আছে। তারা আপনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে। দেশের মানুষ জানবে আপনি আসলে কি। এটাই আপনার সাথে আমার প্রথম এবং শেষ কথা। এরপরে আপনার সাথে আমার আর কথা হবে না। ইনফ্যাক্ট, আপনার সাথে আর কারোরই কথা হবে না। আপনি কি এইটাই চান? নাকি স্বেচ্ছায় আপনার অতীতের করা পাপগুলো নিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যেতে চান?” 

“বশির জামান, আমি আপনাকে একটা কথা বলি। এই মুহূর্তে আপনার উচিত আমার কাছে এবং দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া। আপনি আমাকে শর্ত দেওয়ার মত ভুল করবেন না। যা করা হয়েছে দেশের প্রতিটা মানুষের ভালোর জন্য করা হয়েছে। যেসব মানুষকে সরিয়ে ফেলতে ওই কয়েদীদেরকে ব্যবহার করা হয়েছিল তারা কেউই দেশের ভালো চাইত না। তারা দল থেকে বের হয়ে যায়নি, তাদেরকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। সেইসব মানুষদেরকে বিচারের মাধ্যমে কিছুই করা সম্ভব হত না। আপনি পুরোটা না জেনে কথা বলছেন। 

যাই হোক, আমি পরশুর ভেতরে আপনাকে আমার পায়ের কাছে এনে ফেলব। আপনি আমাকে চেনেন না বশির জামান। এই চেয়ারে বসার যোগ্যতা আমার আছে। আর আমি সেটা প্রমাণ করব। আত্মসমর্পণ করেন, শাস্তি কমে যাবে। আর আমাকে একটা প্রশ্নের উত্তর দেন তো বশির জামান, এই তেরোজনের ভেতরে তিনজনকে আপনি জীবিত কিভাবে পেলেন? আপনিও কি ওই শংকরের সাথে জড়িত ছিলেন নাকি? আর বাকি দশজনের কি হয়েছে? 

ফিরোজ দেখলেন, আস্তে আস্তে প্রায়শ্চিত্ত প্রকল্পের কথা উঠে আসছে। বশির একটা ভুল করে ফেলেছেন। এখনি থামানো না গেলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। বেয়াদবি হবে জেনেও ফিরোজ উত্তেজিত হয়ে বলে ফেললেন, “বশির জামান, আমি ফিরোজ। আপনি ভদ্রভাবে কথা বলেন। এইসব কি বলছেন আপনি? অভদ্রভাবে কথা বলতে হয় আমার সাথে বলেন। উনার সাথে না।” ওপাশে নীরবতা। ফিরোজ মনে প্রাণে চাইলেন বশির যেন বুঝতে পারে ফিরোজ কি বলতে চাইছেন। 

বশির জামান বললেন, “প্রধানমন্ত্রী মহোদয়, আপনাকে তিনদিন সময় দিলাম। আপনি দেশ ছেড়ে চলে যাবেন। যে তিনজন বেঁচে আছে তাদের পাপের কারণ কিন্তু আপনি। আর পাপের কারণ বিনাশ করাই একমাত্র প্রায়শ্চিত্ত। আমার পর্যন্ত পৌঁছাতে হলে আপনাকে লাশের ওপর দিয়ে হেঁটে আসতে হবে। আর ফিরোজ, একটা মানুষ যা বলে তা তাকে সংজ্ঞায়িত করে না, সে যা লুকায় তাই তাকে সংজ্ঞায়িত করে।” লাইনটা কেটে গেল। 

পুরো স্টাডি জুড়ে একটা নীরবতা নেমে এলো। প্রধানমন্ত্রীই প্রথম নীরবতা ভাঙলেন। বললেন, “ফিরোজ, আমি চাই দুইদিনের ভেতরে এই জানোয়ারটাকে এনে তুমি আমার পায়ের কাছে ফেল। আর আশফাক চৌধুরীকে জীবিত উদ্ধার করার ব্যবস্থা কর। যেভাবেই হোক। আজ রাতেই এলিট ফোর্সের চীফ কমান্ডার তীলক বড়ুয়ার সাথে বস। আমি বড়ুয়াকে বলছি। ও তোমার বাসায় যাবে আজকে। জানোয়ারটাকে ট্র্যাক কর। দুইদিন। ঠিক আছে?।” 

ফিরোজ মাথা নাড়লেন। লক্ষ্য করলেন, তফিসুল বারী জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছেন। লোকটার জন্য ফিরোজের খুব মায়া হল। লোকটা ফিরোজকে বিশ্বাস করে এত বড় একটা জন্তু শিকার করতে বলছেন যেই জন্তুকে ফিরোজই আয়োজন করে দেশে এনেছিলেন। 

ফিরোজ বললেন, “সময় নষ্ট করতে চাচ্ছি না। আমি তাহলে আসি?” 

বারী মাথা নেড়ে সম্মতি জানালেন। তারপর বললেন, “এই কাজটা করতে পারলে তোমার এজেন্সীর দায়ভার পুরোপুরি সরকার নিয়ে নেবে ফিরোজ। এটা তোমার জন্য অনেক বড় সুযোগ। আশা করি এইটা তুমি হাত ছাড়া করবে না। আর হ্যাঁ, আমি আর তুমি ছাড়া এই ঘটনাটা যেন আর কেউ না জানে। আমি চাই না এটা মিডিয়ায় ফ্ল্যাশ হোক। যে জিনিস দিয়ে দুই তিনটা ভোট পাওয়া যাবে না, সেটা মিডিয়ায় প্রকাশ করার দরকার নেই।” ফিরোজ মাথা নেড়ে বেরিয়ে গেলেন। 

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *