দ্রুপদ ভীষ্ম দ্রোণকে কুরু-পাণ্ডবদের অস্ত্রশিক্ষার আচার্য নিয়োগ করেন। অস্ত্র-শিক্ষা শেষ হলে গুরু-দক্ষিণা হিসেবে দ্রোণ শিষ্যদের বলেন দ্রুপদকে বন্দি করে আনতে। অর্জুন সহ অন্য শিষ্যরা গিয়ে দ্রুপদকে পরাজিত করে ধরে নিয়ে এলেন। যে দ্রুপদ একদিন দ্রোণকে বন্ধু বলে চিনতে পারেন নি, সেই দ্রুপদকেই বন্ধু সম্বোধন করে অনুগ্রহপূর্বক তাঁর অর্ধেক রাজত্ব ফিরিয়ে দিয়ে দ্রোণ পূর্ব-অপমানের প্রতিশোধ নিলেন। দ্রোণকে পরাজিত করার জন্য দ্রুপদ এর পর যজ্ঞ করে যজ্ঞাগ্নি থেকে এক বলশালী পুত্র ও যজ্ঞবেদী থেকে অতীব সুদর্শনা এক কন্যা লাভ করেন। পুত্রের নাম দেন ধৃষ্টদ্যুম্ন, আর কন্যার নাম দেন কৃষ্ণা (অপর নাম দ্রৌপদী – যিনি পরে পঞ্চপাণ্ডবের ভার্যা হন)। ধৃষ্টদ্যুম্ন কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে দ্রোণের শিরশ্ছেদ করেন, যদিও তার পূর্বেই যোগবলে দ্রোণের প্রয়াণ হয়েছিল। দ্রুপদের জ্যেষ্ঠ পুত্র, শিখণ্ডী (ইনি পূর্বজন্মে কাশীরাজ কন্যা অম্বা ছিলেন) স্ত্রীরূপে জন্ম নিয়ে পরে পুরুষত্ব পান। এই শিখণ্ডীকে সামনে রেখেই অর্জুন ভীষ্মকে শরশয্যায় শায়িত করতে পেরেছিলেন। দ্রুপদ পাণ্ডবদের পক্ষ নিয়ে যুদ্ধ করেন। যোদ্ধা হিসেবে দ্রুপদের সুনাম ছিল। ভীষ্ম ওঁকে মহারথ বলে জ্ঞান করতেন। যুদ্ধের পঞ্চদশ দিবসে দ্রোণের ভল্লের আঘাতে ওঁর মৃত্যু হয়।