দ্য গল

দ্য গল

০১.

একপাল কাকের মধ্যিখানে ডাণ্ডা ছুঁড়ে মারলে যা হয়, কয়েকদিন পূর্বে ইউরোপোমেরিকায় তাই হয়ে গেল। বারোয়ারি বাজার, বারোর হাট, যুক্তহট্ট– যা খুশি বলুন– তারই দিকে তাগ করে জেনারেল শার্ল দ্য গল্ ইংরেজকে জল-চল করার বিরুদ্ধে যে ডাণ্ডাখানি হালে ছুড়লেন, তারই ফলে ইউরোপোমেরিকায় তো কা-কা রব উঠেছেই, এদেশেও কা-কা রব ছাড়িয়ে উঠছে স্বস্তির প্রশ্বাস। এ অধম অর্থনীতির খবর রাখে যতখানি নিতান্ত না রাখলেই নয়, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে একথাও সবিনয়ে বলব, যত দিন যাচ্ছে ততই অর্থবিদ পানডিট-দের প্রতি ভক্তি আমার কমছে।(১) মূল বক্তব্য থেকে সরে যাচ্ছি, তবু এই সুবাদে নিবেদন, এদেশের কর্তারা যে ভয়ে আঁতকে উঠেছিলেন, ব্রিট বারোর বাজারে ঢুকে পড়লে ভারতীয় মাল অনায়াসে ব্রিটেনে ঢুকতে পারবে না, আমার হৃদয় সে ভয়ে কম্পিত নয়। বস্তুত আমি কাফেরের মতো বলব, এই বিলিতি তথাকথিত সুখ-সুবিধেই আমাদের সর্বনাশ করছে। দুনিয়ার সর্বত্র আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিজের মাল চালাবার চেষ্টা করছিনে। আমাদের লক্ষ্মীছাড়া ক্যাপিটালিস্টরা ইংরেজের হাতে সর্বস্ব সঁপে দিয়ে লক্ষ্মীলাভ করছেন। কিন্তু ওঁদেরই-বা দোষ দিই কেন? স্বামীজির জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বার বার এ নির্জন প্রান্তরে আমি চিন্তা করছিলুম, তার সবকিছুই তো অল্পস্বল্প বুঝি, তাঁর রাজযোগ আমার নিত্যপথপ্রদর্শক, কিন্তু তাঁর সবচেয়ে বড় কথা, বড় কাজ কী ছিল? যে সিদ্ধান্তে পৌঁছলুম সেটি জড়ত্বনাশ। চিন্তায়, অনুভূতিতে এবং কর্মে আমরা জড় হয়ে গিয়েছি। বিশেষ করে কর্মে। গীতায় আছে, কর্মেই আমাদের অধিকার, ফলে নেই। আমরা গীতার ওপর আরেক কাঠি সরেস হয়ে গেলুম। বললুম, কর্মেও আমাদের অধিকার নেই।

এতকাল উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে নানা জাতের বুলবুলি এসে বেবাক ধান খেয়ে গেল, কারও হুস(২) ছিল না। জগতে যারা হুশিয়ার(৩) এরা তাদের কাছে ঘেঁষতে চায় না, পাছে প্রায়শ্চিত্ত করতে হয়। কিন্তু তারা অকস্মাৎ এদের অত্যন্ত কাছে ঘেঁষে, এবং প্রায়শ্চিত্তও করে না। শিরোমণি-চূড়ামণির দল পুঁথি খুলে বলেন, বেহুশ যারা তারাই পবিত্র, হুঁশিয়ার যারা তারাই অশুচি, হুশিয়ারদের প্রতি উদাসীন থেকো, প্রবুদ্ধমিব সুপ্তঃ।

সুপ্তি তবু ভালো। তার থেকে জাগৃতি আছে। কিন্তু জড়ত্বের কোনও ম্যাদ নেই।

এই জড়ত্বেরই অন্য শব্দ ক্লৈব্য।

 গীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলছেন, ক্লৈব্যং মাস্ম গমঃ।

পণ্ডিতজিও তাই উদ্বিগ্ন হয়ে বার বার বলছেন– আমরা যেন কমপ্লেসেসের স্রোতে গা ঢেলে না দিই– ক্ষণতরে চীন এদেশ ছেড়ে চলে গিয়েছে বলে। কমপ্লেস জড়ত্বেরই ভদ্র নাম।

আমাদের ছাত্রেরা গাইডবুক মুখস্থ করে পাস করে, আমরা–অধ্যাপকেরা ত্রিশ বছর পূর্বে কলেজে যা শিখেছিলুম তাই পড়িয়ে কর্তব্য সমাধান করি, আমাদের ধার্মিকজন কোনও এক গুরুতে আত্মসমর্পণ করে ধর্মজীবন পালন হল বলে আশ্বস্ত হন, যে-বই লিখে আমাদের সাহিত্যিক বিখ্যাত হন তিনি বার বার সেইটেরই পুনরাবৃত্তি করেন, আমাদের ফিল্ম-পরিচালকেরা একই প্লট সাতান্নবার দেখান, এবং যে ব্যবসায়ীদের কথা নিয়ে এ অনুচ্ছেদ আরম্ভ করেছিলুম– একই বাজারে বছরের পর বছর মাল পাঠিয়ে পরমানন্দে শয্যায় গা এলিয়ে দেন। নব নব সঙ্কটের অভিযানে পদক্ষেপ করার জন্য যে বিধিদত্ত প্রাণশক্তি আমাদের রয়েছে সেটা জড়ত্বের বলীকে আচ্ছাদিত।

আমাদের জীর্ণ আবেশ সুকঠোর ঘাতে কাটাবার জন্য স্বামীজি এনেছিলেন জড়ত্বনাশা মৃত্যুঞ্জয় আশা।  আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, স্বামীজির উদ্দাম অফুরন্ত স্বতশ্চল প্রাণশক্তি দেখে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা ভয় পেয়ে বললেন, এ আমি কী গড়লুম! তাই সে ভুল শোধরাবার জন্য তাকে তাড়াতাড়ি নিজের কাছে টেনে নিলেন। শঙ্করাচার্যকে যে-রকম টেনে নিয়েছিলেন, চৈতন্যকে যে-রকম।

***

আশা করি কেউ ভাববেন না দ্য গলকে আমি চৈতন্য-স্বামীজির পর্যায়ে তুলছি : কিংবা আমি দ্য গলে মালা পরাবার জন্য উল্কণ্ঠিত হয়ে উঠেছি। স্বল্পবিস্তর নিবেদন করি।

ইংরেজের যে-রকম রাজকীয় সেন্ডহার্স্ট সামরিক বিদ্যালয়, ফরাসির তেমনি স্যাঁ সির। দ্য গল সেখানে শিক্ষালাভ করেন। ছাব্বিশ বছর বয়সে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তিনি জর্মনদের কাছে বন্দি হন। এই সময় বন্দি অবস্থায় তিনি জর্মন ভাষা শিখে নেন। হালে তিনি জর্মনগণ কর্তৃক নিমন্ত্রিত হয়ে ওই দেশ ভ্রমণের সময় একাধিক শহরে জর্মন ভাষায় বক্তৃতা দেন। ইতিপূর্বে ফ্রান্সের কোনও রাষ্ট্রপতি জৰ্মনিতে যাননি– নেপোলিয়নের কথা বাদ দিন, তিনি গিয়েছিলেন বিজেতারূপে তার ওপর ইনি বলেছেন তাদেরই মাতৃভাষা, জর্মনরাতর। তাদের হর্ষধ্বনি বেতারে শুনেছি।

কিন্তু পুরনো কথায় ফিরে যাই।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অবসানে তিন ফরাসি বীর দেশের সম্মান পেতেন। ফক, জফর এবং পেতা। প্রথম দুজন মারা যাবার পর পেতাই ফ্রান্সের রক্ষণ বিভাগে সর্বদায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার বিশ্বাস ছিল, উত্তম অস্ত্রশস্ত্র সুসজ্জিত প্রকার নির্মাণই ফ্রান্স সংরক্ষণের জন্য প্রশস্ততম– ফলে কোটি টাকা খরচা করে তৈরি হল মাজিনো লাইন–বহুশত বছর পূর্বে চীনারা যে রকম দেওয়াল গড়েছিল।

দ্য গল ছিলেন পেতাঁর সহকর্মী। কিন্তু পদে পদে তিনি পেতাঁর সঙ্গে দ্বিমত। তিনি বার বার বলেছেন, এ রকম পাঁচিল তুলে জড়ভরতের মতো পিছনে বসে থাকলে আত্মরক্ষা হয় না। পেত তাঁর কথায় কান দেননি।

তার পর যখন ১৯৪০-এ ফ্রান্স নির্মমভাবে পরাজিত হল তখন সবাই বুঝল প্রাচীন যুগের দেওয়াল বাঁধার জড়ত্ব সত্য সংরক্ষণ নয়।

এইখানেই দ্য গলের মাহাত্ম্য!

.

০২.

ফরাসি বিদ্রোহ শেষ হলে পর এক ফরাসি নাগরিক জনৈক নামজাদা জঁদরেলকে শুধায়, মসিয়ো ল্য জেনারেল, এই যুগান্তকারী বিদ্রোহে আপনার কত্ৰিবিউসিয়ে– অবদান–কী ছিল? মসিয়ো ল্য জেনারেল গোঁফ মোচড়াতে মোচড়াতে সপ্রতিভ মৃদু হাস্য হেসে বলেছিলেন, পৈতৃক প্রাণটি বাঁচাতে সক্ষম হয়েছি।

বাস্তবিকই তখন ঘড়ি ঘড়ি কর্ণধার বদল, এবং এক এক কর্ণধার প্রাক্তন অন্য কর্ণধারের কর্ণকর্তন করেই সন্তুষ্ট নন, কানের সঙ্গে মাথাও চান।(৫) হালে ইরাকে যা।

১৯১৮ এবং ১৯৪০-এর মাঝখানের সময়টাতে একই ধুন্ধুমার। তবে মাথা কাটাকাটি আর হত না। শুধু মন্ত্রিসভার পতন নিয়েই উভয় পক্ষ সন্তষ্ট হতেন। এবং এসব পতন সর্বক্ষণ লেগে থাকত বলে ১৯৩৮-এ এক ফরাসি কাফেতে চুকুশ চুকুশ করতে করতে বলেছিল, এই প্যারিসেই অন্তত হাজারখানেক প্রাক্তন মন্ত্রী আছেন। একটু কান পাতলেই শুনতে পাবে, পাশের টেবিলে কেউ বলেছে, কৎ জেতে ল্য মিনিন্ত্র –আমি যখন মন্ত্রী ছিলুম ইত্যাদি। তার পর সেই ফরাসি আমাকে সাবধান করে দেয়, আমি যেন বেশিদিন ফ্রান্সে না থাকি; বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ হয়তো একদিন ক্যাক করে পাকড়ে নিয়ে মন্ত্রী বানিয়ে দেবে। তার উপদেশ আমি পুরোপুরি নিইনি। তবে কাফেতে বসে প্রায়ই অজানা জনকে বলতুম, কৎ জেতে ল্য মিনিত্ত্ব– আমি যখন মন্ত্রী ছিলুম ইত্যাদি। আশ্চর্য! কারও চোখে অবিশ্বাসের আমেজ দেখিনি। ফরাসি কলোনি আলজেরিয়া থেকে কালা আদমি ভি মসিয়য়া ল্য মিনিসত্র হতে আপত্তি কী?

তা সে কথা থাক।

আসল কথা হচ্ছে, দুই বিশ্বযুদ্ধের মাঝখানে ইংরেজি, ফরাসি, জর্মন, ইতালিয়ানে বিস্তর বই বেরোয়, ইয়োরোপের ভবিষ্যৎ কী তাই নিয়ে। এতদিন পর আমার আর ঠিক মনে নেই, তবে বোধহয় মাদাম তাবুই লিখিত একখানা বই বাজারে বেশ নাম কেনে।

ইংরেজি অনুবাদে তার নাম ছিল, পেরফিডিয়াস আলবিয়েন অর আঁতাকর্দিয়াল? বিশ্বাসঘাতক ইংরেজ কিংবা তার সঙ্গে দোস্তি?

বৈঠে মেরেছি সমস্ত রাত; ভোরবেলা দেখি, বাড়ির ঘাটেই নৌকা বাঁধা। ব্যাপার কী? যে-দড়িতে নৌকা বাঁধা ছিল সেটা খুলিনি।

এ-ও তাই। দ্য গল আবার ফিরে এসেছেন যেখানে মাদাম তাবুই আপন সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। এই লক্ষ্মীছাড়া ইংরেজকে বিশ্বাস করে তার সঙ্গে পাকাপাকি কোনও দোস্তি করা যায় কি না? পূর্বেই বলেছি, দুই যুদ্ধের মাঝখানে ফ্রান্সে এতই ঘন ঘন মন্ত্রিসভার পরিবর্তন হত যে, ভেবেচিন্তে ইংরেজের সঙ্গে কোনও একটা চুক্তি– আঁতাত করা, কিংবা আরও মনস্থির করে না-করা, কোনওটাই করা যেত না। মাদাম তাবুইয়ের বিশ্লেষণ– যতদূর মনে পড়ছে- একটু অন্য ধরনের ছিল। তিনি বলেছিলেন, উভয় দেশেরই দুর্ভাগ্য যে, আমরা কোনও পাকাপাকি সমঝওতায় আসতে পারছি না। তার কারণ, আমাদের এখানে যখন গরমপন্থীরা (কনজারভেটিভ) মন্ত্রিসভা গড়ছেন, তখন বিলেতে নরমপন্থীরা (লিবারেল অথবা লেবার), এবং আমরা যখন নরম তখন ওরা গরম।

তা সে যে-কোনও কারণেই হোক, দুই যুদ্ধের মাঝখানে কোথায় না ফরাসি-ইংরেজ একজোট হয়ে বিশ্বশান্তির জন্য লিগ অব নেশনস হোক কিংবা অন্যত্রই হোক, পাকা বুনিয়াদ গড়ে তুলবে, না আরম্ভ হল দু-জনাতে খ্যাচা-খেউ। এর উদাহরণ তো মাদাম তাবুই প্রচুর দিয়েছেন। তাঁর বই বেরোনোর পরের শেষ উদাহরণ আমরা দিই। হের হিটলার যখন সগর্বে সদম্ভে রাইনল্যান্ডকে সমরসজ্জায় সাজাতে আরম্ভ করলেন তখন ফ্রান্স আর্তকণ্ঠে সেদিকে ইংরেজের দৃষ্টি আকর্ষণ করল। ভের্সাইয়ের চুক্তি অনুযায়ী কথা ছিল, জর্মন এ কর্মটি করতে পারবে না, এবং সে চুক্তির বরাত ফরাসি-ইংরেজ দু জনের ওপর ছিল। ইংরেজ সে আৰ্তরব শুনে সাড়া তো দিলই না, উল্টো দেখা গেল, সে গোপনে গোপনে হিটলারের সঙ্গে একটা নৌচুক্তি করে বসে আছে। ইংরেজের দৃষ্টিভঙ্গি এস্থলে বোঝা কঠিন নয়– তা আপনারা সেটাকে বিশ্বাসঘাতকতা পারফিডি বলুন আর না-ই বলুন। তার শক্তি জলে। হিটলার যদি তাকে কথা দেয়, সে সেখানে লড়ালড়ি করবে না, তবে চুলোয় যাক রাইনল্যান্ডের সমরসজ্জা।

তার পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এল। ফ্রান্স গেল। ব্রিটেন যায়-যায়। প্রথমবারের মতো এবারও মুশকিল-আসান মার্কিন সবাইকে বাঁচাল।

কোথায় না এখন এ-দুজাত শিখবে একজোটে কাজ করতে, যাতে করে ফের না। একটা লড়াই লাগে, উল্টো দ্য গল্ লেগে গেলেন ইংরেজকে বাদ দিয়ে ইয়োররাপের ওপর সর্দারি করতে!

দ্য গলের বিশ্বাস, ইংরেজ তার সর্বস্ব বেচে দিয়েছে মার্কিনের কাছে। তাই মার্কিন ইংরেজের কাঁধে ভর করে ইয়োরোপে নেবে সেখানে সর্দারি করতে চায়। পক্ষান্তরে ফ্রান্স, লা ফ্রাস, তুজুর লা ফ্ৰাস। বাঙলা কথায়, সভ্যতা-ঐতিহ্য-বৈদগ্ধ্যের মক্কামদিনা ট্রুস। ইয়োরোপ তথা তাবৎ দুনিয়ার কেউ যদি সর্দারি করার হক্ক ধরে তবে সে ফ্রস।

তাই তিনি করতে চাইলেন জর্মনির সঙ্গে দোস্তি। তা তিনি করুন। খুব ভালো কথা। দোস্তি ভালো জিনিস।

তার পর তিনি হাত বাড়ালেন খুফের দিকে। সে-ও ভালো কথা। আমরা অন্তত আমি– রাশার শত্রু নই।

ইংরেজ চাইল, চতুর্দিকে এতসব দেদার দোস্তি হচ্ছে, সেই-বা বাদ যায় কেন? বারোয়ারি বাজারে সেই-বা ঢুকবে না কেন?

দ্য গল মারলেন ইংরেজের গালে চড়।

এখন কী হবে?

আমি শুধু এইটুকু বলতে পারি, ফ্রান্স যে সর্দারি করতে চাইছে তার মতো কোমরে জোর তার নেই। জর্মনির সঙ্গে তার দোস্তিও বেশিদিন টিকবে না। কারণ জর্মনি চায়, পূর্ব-পশ্চিম জর্মনির সম্মিলন। রাশা তার প্রতিবন্ধক। দ্য গলকে একদিন তার বোঝাপড়া করতে হবে। তখন হয় জর্মনি না হয় রাশাকে হারাতে হবে! তখন কোথায় রইল ইয়োরোপের ওপর সর্দারি?

———–

১. হিটলার এঁদের নিয়ে বড় মস্করা করতেন। তিনি বলেছেন, আমি যখন দেশের ভার কাঁধে নিয়ে বেকার-সমস্যা সমাধান করার জন্য কাজ আরম্ভ করলুম তখন দাড়িওলা অর্থবিদ অধ্যাপকরা ভল্যুম ভলমফ কেতাব লিখে সপ্রমাণ করলেন, দেশের সর্বনাশ হবে। যখন সমাধান করে ফেললুম, তখন ফের ভল্যুম ভল্যুম কেতাব বেরোলো যাদের মূল বক্তব্য, বলেছিলুম, তখনই বলেছিলুম, এই সমস্যার এই সমাধানই বটে। কেইনস, শাখট, শুমপেটার কজন?

 ২. ৩. ৪. বিশ্বভারতী কর্তৃক প্রকাশিত রবীন্দ্র-রচনাবলি ষড়বিংশ খঞ্জে ১৩১ পৃ. থেকে আমি উদ্ধৃত করছি। কেউ বলতে পারেন রবীন্দ্রনাথ স, সঙ্গে সঙ্গে হুশিয়ার এবং বেহুশ লিখলেন কেন? খনে স খনে শ? স্পষ্টত একই মূল থেকে তিনটি শব্দ তো এসেছে।

৫. ম্যাট্রিকের বাঙলা পরীক্ষায় একটি ছেলে লিখেছেন,

নৃপতি বিম্বিসার
নমিয়া বুদ্ধে মাগিয়া লইলা
পদ নাক কান তার

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *