দ্য ক্যাচার ইন দ্য রাই – ২৬

অধ্যায় ছাব্বিশ

আমি এটুকু বলেই আমার গল্প শেষ করবো। আমি হয়তো আপনাদেরকে বলতে পারি বাসায় যাওয়ার পর আমি কী করেছিলাম, আমি কীভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম, এখান থেকে বের হওয়ার পর আমি কোন স্কুলে ভর্তি হতে যাচ্ছি, তবে আমার এসব ইচ্ছা করছে না। সত্যিই করছে না। ওইসব বিষয়ে আমার আর এখন এতোটা আগ্রহ জাগে না।

অনেক মানুষই, বিশেষ করে এখানে থাকা সাইকোঅ্যানালিস্ট লোকটা আমাকে একটা প্রশ্নই করেছে যে পরের সেপ্টেম্বর থেকে স্কুলে ফিরে যাওয়ার পর এবার আমি চেষ্টা করবো কি না। আমার মতে এটা খুবই স্টুপিড একটা প্রশ্ন। মানে কিছু একটা না করা পর্যন্ত কেউ কীভাবে সেটা করবে কি না তা নিয়ে বলতে পারবে? কেউই বলতে পারবে না। আমার মনে হয়, আমি পারবো, কিন্তু আমি এটা কীভাবে জানলাম? সত্যি বলছি এটা একটা স্টুপিড প্ৰশ্ন।

ডি.বি. অবশ্য অন্যদের মতো অতটা খারাপ না, তবে সেও আমাকে অনেক প্রশ্নই করে। গত শনিবার এক ইংরেজ সুন্দরীকে সাথে নিয়ে আমাকে দেখতে এসেছিল। মেয়েটা ডি.বি.র লেখা নতুন মুভিতে রয়েছে। মেয়েটার মধ্যে কৃত্রিমতা একটু বেশি, তবে দেখতে খুবই সুন্দর। যাই হোক, মেয়েটা যখন লেডিস রুমে গিয়েছিল তখন ডি.বি. আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল মাত্রই সবাইকে বলা গল্পটা নিয়ে আমার ধারণা কী। আমি আসলে তখন জানতাম না যে তাকে কী উত্তর দেবো। সত্যি বলতে এটা নিয়ে আমার আসলে ধারণা কী তা আমি নিজেও জানি না। আমি দুঃখিত আমি অনেক মানুষকেই এই কথাগুলো বলেছি। আর এই ব্যাপারে এটুকু জানি যে আমি প্রায় সবাইকেই কোনো না কোনো ভাবে মিস করি। এমনকি স্ট্র্যাডলেটা, অ্যাকলির মতো মানুষদেরও। এমনকি ঐ হারামজাদা মরিসকেও। এটা আসলে অদ্ভুত। কখনো কাউকে কিছু বলবেন না। যদি বলে থাকেন, তাহলে আপনি সবাইকেই মিস করতে শুরু করবেন।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *