দোটানা

ফেরার সময় ওরা ঘিরে ধরে। ছসাতজন। প্রত্যেকেরই
রয়েছে কিছি-নাকিছু হাতে। আসার সময় জানতুম আজ
গোলমাল হবে তাই তৈরি হয়েই এসেছি। তবু প্রথমেই
নিজের তরফ থেকে হাত ওঠাবো না সেটা ঠিক করা আছে।
জামার কলার ধরে একজন খিস্তি করে, “পেরেম করতে এয়েচো
এপাড়ায় ! কেন ? নিজের বাড়িতে মাগ নেই নাকি”।

দাঁতে দাঁত দিয়ে মাথা ঠাণ্ডা রাখি। তখনই চোয়ালে ঘুষি
রক্ত টেনে বের করে সেটা হাত দিয়ে টের পাই।
এক ঝটকায় ছাড়িয়েই বসে পড়ি। মোজার ভেতর থেকে
চকিতে বেরিয়ে আসে নতুন প্রজন্মের ক্ষিপ্র চিৎপুরি–
হ্যালোজেন-মাখা অন্ধকারে ঝলসে ওঠে স্টেনলেস চাকু
ফলায় ছিদাম লেখা একপিঠে মাকালী ওপিঠে।
জটলা ছিৎরে যায়। চাকু-দেবতার নামে কত গুণ আছে
সকলে জানে না।মানব কেন অমন কুচুটে?
প্রেমিকের জন্যে কোনো ভালোবাসা নেই ? এই যে ছসাতজন
মনের স্বামীত্ব হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে বলে ঘিরে ধরেছিল
কেমন গুটিয়ে গেল চাউনির একটি ঝলকে !

২৯ আষাঢ় ১৩৯২

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *