পুরু বংশীয় রাজা। ওঁর দুই ভার্যা লক্ষণা ও শকুন্তলা। দুষ্মন্তের দুই পুত্র ছিল – লক্ষণার গর্ভে জনমেজয় ও শকুন্তলার গর্ভে ভরত। দুষ্মন্তের পরে ভরত সিংহাসনে বসেন। রাজা দুষ্মন্ত মৃগয়াতে এসে কন্বমুনির আশ্রমে কণ্ব মুনির পালিতা কন্যা শকুন্তলার দেখা পান ও তাঁর রূপে মুগ্ধ হয়ে বিবাহ করতে চান। শকুন্তলা বিবাহ করতে রাজি হন এই সর্তে যে,তাঁর গর্ভজাত পুত্র দুষ্মন্তের অবর্তমানে সিংহাসনে বসবেন। দুäমন্ত তাতে স্বীকৃত হয়ে ওঁকে নির্জনে গান্ধর্ব মতে বিবাহ করেন। তারপর ওঁকে নিয়ে যাবার জন্য পরে চতুরঙ্গিনী সেনা পাঠাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজের প্রাসাদে ফিরে যান। যথাসময়ে শকুন্তলার সর্বদমন নামে একটি পুত্র হয়, কিন্তু শকুন্তলাকে নিয়ে যেতে রাজপুরী থেকে কেউই এলো না। পুত্র একটু বড় হলে কণ্ব মুনির নির্দেশে শকুন্তলা সপুত্র দুষ্মন্তের কাছে যান। দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে না চেনার ভান করে অপমানজনক নানান কথা বললেন। শকুন্তলা সেই সব শুনে যখন রাগ করে চলে যাচ্ছেন, তখন অন্তরীক্ষ থেকে দৈববানী হল যে,শকুন্তলা যা বলছেন তা সত্যি, দুষ্মন্তই এই পুত্রের পিতা এবং এর নাম হবে ভরত। এটা শোনা মাত্র দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে গ্রহণ করলেন।