দু’আ তো করেছিলাম
দু’আ মুমিনের হাতিয়ার। মারাত্মক হাতিয়ার। পারমাণবিক বোমার চেয়েও শক্তিশালী। দু’আর শক্তিতেই ইন শা আল্লাহ্ আপনি পরাজিত করতে পারবেন পর্নহস্তমৈথুন নামের হাইড্রা দানবকে।
“আর তোমাদের রব বলেছেন, “আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের দু’আ কবুল করবে। “
{সূরা আল-মুমিন; ৪০:৬০)
“আল্লাহ লাজুক দয়াবান। যখন কোনো মানুষ তাঁর দিকে দুখানা হাত ওঠায় (দু’আ করতে), তাহলে তিনি তা ব্যর্থ ও শূন্যভাবে ফিরিয়ে দিতে লজ্জা পান।”
(তিরমিযী : ৩৫৫৬)
একটা লেকচার শুনেছিলাম বক্তা বলছিলেন, “যদি আপনি কোনো পাপ কাজ থেকে দূরে সরে থাকার চেষ্টা করছেন বা রাসূলের কোনো সুন্নাহ নিজের জীবনে নিয়ে আসতে চাচ্ছেন, কিন্তু বিভিন্ন কারণে তাতে সফল হচ্ছেন না, তাহলে আপনি আল্লাহ্ কাছে সাহায্য চীন। রাতের গভীরে আপনার পাপের জন্য অনুতপ্ত হোন। রাসূলুল্লাহর প্রতি দরুদ পড়ে আল্লাহ কাছে খালিস অন্তরে দু’আ করুন, ইয়া আল্লাহ! আমি ওই কাজটী থেকে বেঁচে থাকতে থাকতে চাই কিন্তু আমার নফসের কারণে, শয়তানের ধোঁকার কারণে আমি সেই পাপ থেকে দূরে থাকতে পারছি না। আমার চারপাশের পরিবেশও বিরূপ। আপনি সবকিছুর ওপরেই পূর্ণ ক্ষমতাবান, কাজেই আমাকে সেই কাজ থেকে দূরে সরে থাকার তাওফিক দান করুন। এ দু’আ করতে কি খুব বেশি কষ্ট হবে? তেমন কোনো সময় খরচ হবে?
কিন্তু সামান্য কষ্ট করে, সামান্য সময় ব্যয় করে আপনার করা এ দু’আ হাশরের ময়দানে আপনার কাছে অমূল্য ধন মনে হবে। ভাই, আল্লাহর কাছে সাহায্য চান।
তাহলে, হাশরের ময়দানে অন্তত আল্লাহকে এটা বলতে পারবেন, “ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম, আপনার কাছে দুআ করেছিলাম, আপনি এখন আমাকে মাফ করে দিন।” আল্লাহ্ কাছে দু’আ করুন এভাবে, যেন আপনি আল্লাহ্ সঙ্গে কথা বলছেন, “ইয়া আল্লাহ! আমি সম্পূর্ণভাবে আপনার কাছে আত্মসমর্পণ করলাম, আপনার ওপরই ভরসা করলাম। আপনি আমাকে ওই পাপ থেকে বাঁচান আর না হলে আমাকে হাশরের ময়দানে ওই পাপের কারণে পাকড়াও করবেন না।” সুবহান আল্লাহ্! এভাবে দু’আ করলে আপনার শুধু লাভ আর লাভ। আল্লাহ হয় ওই পাপ থেকে আপনাকে বাঁচাবেন, আর না হলে তাঁর শাস্তি থেকে বাঁচাবেন। দুদিক থেকেই আপনার লাভ। সহিহ হাদীসে এসেছে, বান্দা যখন আল্লাহ্র (3) কাছে দু’আ করে এবং ফলাফলের জন্য ব্যস্ত হয়ে যায়, বলতে থাকে কখন আল্লাহ্ আমার দু’অর উত্তর দেবেন, কখন আমি আমার কাঙ্ক্ষিত বিষয়টা পাব, তখন তার দু’আর জবাব দেয়া হয় না।
(বুখারি : ৫৯৮১; মুসলিম : ৭১)
কাজেই আল্লাহ্ ওপর থেকে আশা না হারিয়ে দু’আ করতে থাকুন। আপনার দু’আ ব্যর্থ হবে না ইন শা আল্লাহ্।