দক্ষিণবাড়ির মাঠ

দক্ষিণবাড়ির মাঠ

হাওড়া শহরের ঐতিহ্য মার্টিন কোম্পানির ছোট্ট রেলগাড়িটি আগে তেলকল ঘাট থেকে ছাড়ত। তেলকল ঘাট থেকে ছেড়ে হাওড়া ময়দান, কদমতলা হয়ে বালিটিকুরি ইত্যাদির ওপর দিয়ে আমতা শিয়াখালা চাঁপাডাঙায় চলে যেত। তারপর তেলকল ঘাট ও হাওড়া ময়দান বন্ধ হয়ে গেলে ট্রেন ছাড়ত কদমতলা থেকে। পরে অর্থাৎ সেই বোমা পড়ার বছর, মানে এই গল্প লেখার চল্লিশ-বিয়াল্লিশ বছর আগে কদমতলা থেকেও স্টেশন উঠে গিয়ে হাওড়া স্টেশনের কাছাকাছি বাঙালবাবুর ব্রিজের তলা থেকে ছাড়ত। তা যাক, মার্টিন রেলের ইতিহাস এটা নয়। মানে সেই চল্লিশ-বিয়াল্লিশ বছর আগের সালটা ঠিক মনে নেই, তবে সেটা বোমা পড়ার বছর। শহরের লোক সাইরেনের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে এবং বোমা পড়ার ভয়ে যখন শহর ছেড়ে পালাচ্ছে তখনকার গল্প। এখন যেমন মফস্বলের বাসগুলোর অবস্থা, তখন ঠিক সেইরকম ছিল মার্টিন রেলের অবস্থা। এমনিতেই এই ট্রেনের ছাদে চেপে যেতে লোকে ভালবাসত, তার ওপর তখন যুদ্ধের বছর। প্রাণের ভয়ে মানুষ পালাচ্ছে। কাজেই ওপর-নীচে গাদাগাদি করে লোক চলেছে দেশের দিকে।

তখন মাঘ মাস। প্রচণ্ড শীত। ভবনাথবাবুও সপরিবারে চলেছেন গ্রামের দিকে। কোথায় যাবেন, কী করবেন কিছু ঠিক নেই। শুধু সবাই পালাচ্ছে তাই তিনিও পালাচ্ছেন। স্ত্রী এবং দুটি ছেলেমেয়েকে নিয়ে তাঁর ছোট্ট সংসার। খুবই গরিব লোক। টিকিটও কাটতে পারেননি। যাই হোক, ট্রেন তো তার আপন গতিতে ছাগলের মতো মুখ নেড়ে নেড়ে চলেছে। তিনিও কোনওরকমে এককোণে ছেলেমেয়ে বউ নিয়ে জড়সড় হয়ে বসে চলেছেন। ছেলেমেয়ে দুটি নিতান্তই ছোট্ট। ট্রেনের দুলুনিতে এবং রাতের আধিক্যে ঘুমিয়ে পড়েছে। বেশ কিছুদূর যাওয়ার পর ট্রেনের ভিড় একটু একটু করে কমতে লাগল।

ডোমজুড় ছাড়ার পর একজন চেকার উঠলেন ট্রেনে। ভবনাথবাবু নিজেও তখন বসে বসে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।

চেকার তাঁকে ঠেলা দিয়ে বললেন, “আপনি এখনও নীচে বসে আছেন কেন? উঠুন। ওপরের সিট তো খালি হয়েছে। ছেলেমেয়েগুলোকে শুইয়ে দিন।”

ভবনাথবাবু ঝেড়েমেড়ে উঠে দাঁড়ালেন। তারপর ছেলেমেয়ে দুটোকে সিটে শুইয়ে দিয়ে বউকে সিটে বসিয়ে নিজেও বসলেন। গাড়ি একদম ফাঁকা। এই ছোট্ট কামরাটিতে তাঁরা ছাড়া আর জনা চারেক লোক রয়েছে।

বললেন, “আপনাদের টিকিটগুলো দেখান। যাবেন কোথায়?”

চেকার ভবনাথবাবু বললেন, “আমি গরিব মানুষ বাবু। একটা দোকানে বিড়ি বাঁধার কাজ করি। টিকিট কাটবার পয়সা আমার নেই।”

“বেশ, তা না হয় বুঝলুম। অনেকেই টিকিট কাটতে পারেননি। কিন্তু আপনি যাবেন কোথায়?”

“কোথায় যাব তাও জানি না। ভগবান যেখানে নিয়ে যাবেন সেখানেই যাব।” “তার মানে?”

“এই ট্রেন যেখানে গিয়ে একেবারে থেমে যাবে, আমরা সেখানেই নেমে যাব।”

“এই ট্রেন তো চাঁপাডাঙা যাবে। আপনিও সেখানে যাবেন? দেশ কোথায় আপনার ?” “আমার দেশ ঘর নেই। ওখানে গিয়ে যার হোক আশ্রয়ে উঠব। আমার এই বাচ্চা দুটির মুখ চেয়ে কেউ না কেউ আশ্রয় দেবে নিশ্চয়ই।”

চেকারবাবু আর কোনও কথা না বলে অন্য যাত্রীদের টিকিট চেক করে দরজার হাতল টেনে পাশের কামরায় চলে গেলেন।

ডোমজুড় ছেড়ে দক্ষিণবাড়ির মাঠের ওপর দিয়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলী বাতাসে উড়িয়ে ট্রেন ছুটছে। এমন সময় হল কি, কলার খোসায় পা হড়কে মানুষ যেরকম উলটে যায় ঠিক সেইভাবে উলটে পড়ল ট্রেনটা। কী যে হল তা কে জানে? এক-একটা বগি দেশলাইয়ের খোলের মতো এক-একদিকে ছিটকে পড়ল। এর পর ভবনাথবাবুর আর কিছু মনে নেই।

ভবনাথবাবুর যখন জ্ঞান ফিরল তখন তিনি হাওড়া জেনারেল হাসপাতালের বিছানায় শয্যাশায়ী আছেন। ইতিমধ্যে তিন-তিনটে দিন কোথা দিয়ে কেটে গেছে। হাসপাতালে আহতদের কত লোক তো দেখতে আসছে। কিন্তু তাঁকে কেউ দেখতে এল না। ডাক্তার নার্স আয়া সকলকেই জিজ্ঞেস করেন তিনি, তাঁর খোঁজে কেউ এসেছিল কিনা বা তাঁর স্ত্রী পুত্রদের খোঁজখবর কেউ দিতে পারে কিনা, কিন্তু কেউ কিছুই বলতে পারল না তাঁকে। মনের দুঃখে এবং গভীর চিন্তায় ভবনাথবাবু দিশাহারা হয়ে পড়লেন। আরও দু-চারদিন থাকার পর ছুটি হল তাঁর।

ছুটির পর প্রথমেই ফিরে এলেন তিনি নিজের বাড়িতে। যদি তাঁর বউ ছেলেমেয়ে দুটিকে নিয়ে আবার সেখানে ফিরে এসে থাকে, সেই আশায়। কিন্তু না। সেখানেও কেউ নেই। ছোট্ট ঘরটিতে আগের মতোই তালা দেওয়া। গভীর আশঙ্কায় বুক কেঁপে উঠল তাঁর। হাতে একটিও পয়সা নেই। পেটে প্রচণ্ড খিদে। চেনাজানা প্রতিবেশীরা সকলেই প্রায় স্থানত্যাগ করেছে। এখন একমাত্র ভিক্ষে করা ছাড়া কোনও উপায়ই নেই। যাই হোক, তবু ওরই মধ্যে এক পরিচিত লোকের সঙ্গে দেখা হতে নিজের বিপদের কথা বলে গোটা দুই টাকা ধার নিলেন। তারপর সামান্য কিছু জলযোগ সেরে হেঁটে হেঁটে কদমতলায় এসে ট্রেন ধরলেন। আমতার গাড়ি। সেই গাড়িতে করে তিনি ডোমজুড়ে এসে নামলেন। এর পর লাইন ধরে শুরু হল হাঁটা। কেননা এইখানেই দক্ষিণবাড়ির মাঠের কাছে ট্রেনটা উলটে গিয়েছিল। ওদের খোঁজখবর হয়তো ওইখানেই পাওয়া যেতে পারে।

ভবনাথবাবু লাইন ধরে হাঁটতে হাঁটতে যখন দক্ষিণবাড়ির মাঠে এসে পড়লেন তখন সন্ধে হয়ে এসেছে। এখনকার মানুষ তখনকার সেই দক্ষিণবাড়ির মাঠের রূপ কল্পনাও করতে পারবে না। এক গভীর জঙ্গলময় প্রান্তরে কিছু ধানজমি নিয়ে দক্ষিণবাড়ির মাঠ। সেখানে গিয়ে তিনি ঘটনাস্থল আবিষ্কার করে ফেললেন। দেখলেন দু-তিনটি বগি তখনও সেখানে উলটে পড়ে আছে। ভবনাথবাবুর দু’চোখে জল এল। কিন্তু এই মাঠের মাঝখানে কোথায় যাবেন তিনি, কাকেই বা কী জিজ্ঞেস করবেন?

এমন সময় হঠাৎ দেখতে পেলেন বেশ জোরালো টর্চের আলো ফেলে তাঁর সামনের সরু লাইন ধরে স্লিপারের ওপর দিয়ে কে যেন আসছে।

ভবনাথবাবু আশার আলো দেখে সেদিকে তাকিয়ে রইলেন।

টর্চের আলো এবার তাঁর মুখের ওপর পড়ল। কাজেই লোকটিকে দেখতে পেলেন না তিনি।

লোকটি কঠিন গলায় বললেন, “কে আপনি! এখানে কী করছেন?”

ভবনাথবাবু ভয়ে ভয়ে বললেন, “আজ্ঞে, কিছু করিনি।”

“কিছু করেননি তো দাঁড়িয়ে আছেন কেন? এই ভর সন্ধেবেলা লাইনের ওপর আত্মহত্যা করতে এসেছেন? না ফিস ফ্লেট খুলছেন?”

“আজ্ঞে না না। ওসব কিছুই করিনি আমি।”

“তবে কি এই মাঘ মাসের শীতে এখানে এসেছেন হাওয়া খেতে? জানেন না মাত্র ক’দিন আগে এখানে একটা মারাত্মক ট্রেন দুর্ঘটনা হয়ে গেছে?”

ভবনাথবাবু বললেন, “জানি। সেই ট্রেনে আমিও ছিলাম।” “আপনিও ছিলেন? সে কী! আপনি মারা যাননি?”

“মারা গেলে তো আপদ চুকেই যেত মশাই। কিন্তু আমার বউ আর দুটি বাচ্চা ছেলেমেয়েও সঙ্গে ছিল। তাদের কোনও খোঁজখবর না পেয়ে বড়ই চিন্তিত আছি। তাই আমি এখানে এসেছিলাম যদি কেউ তাদের কোনও একটা খোঁজখবর আমাকে দিতে পারে সেই আশায়।”

“অ। আপনি তা হলে সেই লোক।”

‘কেন? আপনি আমায় চেনেন? আপনি কি তাদের খবর জানেন? বলুন না তারা কোথায়? তারা বেঁচে আছে তো?”

এ-কথার কোনও উত্তর পাওয়া গেল না। শুধু টর্চের আলোটা নিভে গেল। প্রথম কিছুক্ষণ চারদিকে অন্ধকার দেখলেন ভবনাথবাবু। তারপর আলো-আঁধারের ধাঁধা কাটলে চোখের সামনে যাকে দেখতে পেলেন তাকে দেখেই চিনতে পারলেন। ইনি তো

সেই চেকারবাবু। যিনি বিনা টিকিটের যাত্রী জেনেও কিছু বলেননি তাঁকে।

ভবনাথবাবু হাউহাউ করে কেঁদে উঠলেন, “বলুন, আমাকে দয়া করে বলুন তারা বেঁচে আছে কিনা?”

চেকারবাবু ভবনাথবাবুকে বললেন, “আপনি আসুন আমার সঙ্গে।” “কোথায়?”

“আপনার বউ আর ছেলেমেয়ের কাছে। তবে একটু তাড়াতাড়ি পা চালাবেন কিন্তু। আপনাকে পৌঁছে দিয়েই আমাকে ফিরতে হবে। আজও আমার নাইট ডিউটি কিনা।”

ভবনাথবাবু সেই অন্ধকারে রেলের স্লিপারে পা দিয়ে চেকারবাবুর পিছু পিছু এগিয়ে চললেন। বেশ কিছুটা যাওয়ার পর মাঠে নামলেন দু’জনে। মাঠে নেমেও খানিক গিয়ে এক জায়গায় থমকে দাঁড়ালেন চেকারবাবু। তারপর দূরের একটা কলাবনের দিকে টর্চের আলো ফেলে বললেন, “ওই যে দেখছেন কলাবাগান, ওইখানেই আমার বাড়ি। আমি আর বাড়ি পর্যন্ত যাব না। আমার দেরি হয়ে যাবে। আপনার বউ এবং ছেলেমেয়ে ওইখানেই আমার মায়ের কাছে নিরাপদ আশ্রয়ে আছে। যান, চলে যান।”

ভবনাথবাবু সেই অন্ধকারে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলেন কিছুক্ষণ। তাঁর মনে কেমন যেন সন্দেহ হল। কেননা তাঁকে বাড়ি দেখিয়ে দেওয়ার পর চেকারবাবুর আর কোনও অস্তিত্বও দেখতে পেলেন না তিনি। তবে কি তিনি ভূতের পাল্লায় পড়লেন? তাঁর সারা গায়ে কাঁটা

দিয়ে উঠল। এ কোথায় এলেন তিনি? জনপ্রাণীর চিহ্ন নেই এখানে।

যাই হোক, তবু তিনি সাহসে ভর করে এক-পা এক-পা করে এগিয়ে সেই কলাবাগানের কাছে এসে একটি মাটির ঘরে আলোর রেখা দেখতে পেলেন। আশপাশে আরও দু-একটি মাটির ঘরও রয়েছে। একটি ঘরের ভেতর থেকে এক মহিলার বিনিয়ে বিনিয়ে কান্নার শব্দ তিনি শুনতে পেলেন। ভবনাথবাবু থমকে দাঁড়ালেন সেখানে। তারপর আস্তে করে বললেন, “বাড়িতে কে আছেন?”

বলার সঙ্গে সঙ্গে কান্না থেমে গেল।

অমনই শুনতে পেলেন তাঁর ছেলেমেয়ে দুটির গলা, “ওমা! বাবা এসেছে। মাগো—।” ভবনাথবাবুর বউ ছেলেমেয়ে নিয়ে তাড়াতাড়ি লণ্ঠন হাতে বেরিয়ে এসে ভবনাথবাবুকে দেখেই আনন্দে হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন, “তুমি বেঁচে আছ? আমি তো স্বপ্নেও ভাবিনি আবার তোমাকে ফিরে পাব বলে।”

ভবনাথবাবু ছেলেমেয়ে দুটিকে বুকে নিয়ে ঘরে ঢুকলেন।

এক বৃদ্ধা ঘরের ভেতরে মাদুর পাতা বিছানায় শুয়ে বিনিয়ে বিনিয়ে কাঁদছিল। বলল, “কে গো বউমা? তোমার উনি কি ফিরে এলেন?” “হ্যাঁ মা।”

বৃদ্ধা এবার চিৎকার করে কেঁদে উঠে বলল, “সবার সবাই তো ফিরে এল মা, আমার খোকা কবে ফিরে আসবে? খোকাই যে আমার সব। সে ছাড়া আমি কী করে বাঁচব গো?”

ভবনাথবাবুর স্ত্রী আঁচলের খুঁট দিয়ে বৃদ্ধার চোখের জল মুছিয়ে দিলেন।

বৃদ্ধা বলল, “দাও, ছেলেকে খেতে দাও মা। গরিবের ঘরে যা আছে, দুটি দাও।”

ভবনাথবাবুর স্ত্রী ভবনাথবাবুকে হাত মুখ ধোওয়ার জল দিয়ে একটি বাটিভর্তি মুড়ি কলা দুধ গুড় ধরে দিলেন।

ভবনাথবাবু তৃপ্তির সঙ্গে সবকিছু খেয়ে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। ছেলেমেয়ে দুটিও বাবাকে পেয়ে আনন্দে ছুটোছুটি করতে লাগল।

এর পর ভবনাথবাবুর স্ত্রী উনুনে আঁচ ধরিয়ে আবার রাতের খাওয়ার তোড়জোড় করতে লাগলেন। এইভাবে আপনজনকে ফিরে পেয়ে তাঁর আনন্দের আর অবধি নেই। ভবনাথবাবুর মন ভরে উঠল গভীর প্রশান্তিতে।

খাওয়াদাওয়ার পর রাত্রিবেলায় শুয়ে শুয়ে সে-রাতের মর্মান্তিক ঘটনার ব্যাপার নিয়ে আলোচনা হতে লাগল। ভবনাথবাবুর স্ত্রী বললেন, ট্রেন দুর্ঘটনার রাতের কথা তাঁরও কিছু মনে নেই। যখন সকাল হল তখন দেখলেন বহু লোক উদ্ধারকার্যে নেমেছে। ছেলেমেয়ে দুটি তাঁর বুকের ওপর হুমড়ি খেয়ে কাঁদছে। আহত লোকদের লরি করে হাসপাতালে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে এবং নিহতদের দাহ করার ব্যবস্থা হচ্ছে। সেখানে তোমার খবর কেউই দিতে পারল না। কিছু লোক আমাদের নিয়ে এসে এই বাড়িতে তুলল। কেননা এই বুড়ির একমাত্র ছেলে রেলের চেকার। এবং দুর্ঘটনায় সেও মারা গেছে। বুড়িকে অবশ্য বলা হয়নি সে-কথা। আমরাও নিরাশ্রয়। তাই বুড়ির দেখাশোনার জন্য এখানে এসে উঠেছি। বুড়িকে অবশ্য বলা হয়েছে ওঁর ছেলের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে মৃত্যুসংবাদটা এখনও দেওয়া হয়নি। কিন্তু তবুও মায়ের প্রাণ তো! হয়তো সবই বুঝতে পারে।

ভবনাথবাবু আর কোনও কথা বললেন না। কীভাবে এখানে এসেছেন সে-কথাটা একেবারে চেপে গেলেন। শুধু চারদিকে খোঁজখবর নিতে নিতে যে এখানে এসে পড়েছেন সেই কথাটাই শুনিয়ে দিলেন। এবং এও শুনিয়ে দিলেন যে, কাল সকালেই তিনি সবাইকে নিয়ে আবার হাওড়ার বাড়িতে ফিরে যাবেন। বুড়ির দেখাশোনা এখানকার প্রতিবেশীরাই করুক। তিনি থাকছেন না। তবে মনে মনে বুড়ির ছেলের প্রতি কৃতজ্ঞতায় তাঁর অন্তর পরিপূর্ণ হয়ে উঠল। কেননা তাঁর ধারণা ছিল ভূতেরা শুধু ভয়ই দেখায়। কিন্তু সুযোগ পেলে মানুষের উপকারও যে তারা করে, বুড়ির মৃত সন্তানের প্রেতাত্মাই তা দেখিয়ে দিল।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *