তারকাসুরের তিন পুত্র – তারকাক্ষ, কমলাক্ষ ও বিদ্যুন্মালী – এক সঙ্গে ত্রিপুরাসুর বলে পরিচিত। এঁরা ময়-দানব নির্মিত তিনটি বিমান-নগরীতে বাস করতেন, যাদের একটি স্বর্ণের, একটি রৌপ্যের ও একটি কৃষ্ণলৌহের। প্রথমটি থাকতো স্বর্গে, দ্বিতীয়টি অন্তরীক্ষে আর তৃতীয়টি পৃথিবীতে। তিন নগরীতে সমস্ত প্রকারের অভিষ্ট বস্তু ছিল। ব্রহ্মার বরে দেব দানব যক্ষ রাক্ষস কেউই এঁদের বিনষ্ট করতে পারতেন না। অস্ত্রশস্ত্র বা ব্রহ্মশাপেও এই পুরীগুলির কোনও ক্ষতি করা যেত না। শুধু সহস্র বছর বিচরণ করার পর এই তিনপুর যখন এক হয়ে যাবে তখন যে দেবশ্রেষ্ঠ এক বাণে এই ত্রিপুর ভেদ করতে পারবেন, তিনিই ত্রিপাসুরদের বধ করবেন – এই ছিল ব্রহ্মার বর। এই বর পাবার পর দেবগণ কর্তৃক বিতাড়িত কোটি কোটি দৈত্য তিন পুরীতে আশ্রয় নিতে শুরু করল। আর এই তিন অসুর ইচ্ছানুসারে বিচরণ করে সকলকে উৎপীড়ন করতে লাগলো। তখন ব্রহ্মার উপদেশে তিন পুর একত্র হবার আগে দেবতারা মহাদেবকে তাঁদের অর্ধ তেজ দিলেন। সেই তেজে মহাদেব আরও বলিয়ান হলেন। তারপর সেই তিন পুর একত্র হতেই, মহাদেব পাশুপত অস্ত্র নিক্ষেপ করে ত্রিপুর ধবংস করলেন।