তদন্ত
চা খাব না নিয়ে যা।
কেন খাবেন না দাদাবাবু, সকালের চা।
খাব না না, খাবো না, এর বেশি কৈফয়ত আমি দিতে পারব না।
শরীল খাপাত?
কথা না বাড়িয়ে আমার সামনে থেকে সরে যা মানদা।
কাপটা রাখি যাই।
কাপ আর তুই দুটোই বেরিয়ে যা, রাইট নাও।
বাপ রে, আগ হইছে।
খবর পৌঁছে গেল মাসিমার কাছে। বড়মামা সকালের প্রথম চা প্রত্যাখান করেছেন।
গুম মেরে বসে আছেন জানালার দিকে মুখ করে। আকাশের দিকে তাকিয়ে।
মাসিমা রাঁধতে ভালোবাসেন। কালই নিবারণদাকে দিয়ে ভোরে কলার মোচা আনিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার। নিরামিষ ডে। নিজে হাতে বেশ তরিবাদি করে মোচা কাটছিলেন।
চা খাবেন না কেন?
জানি না দিদি। মনি হয় আগ রয়েছে।
এই তো সকাল হল, এর মধ্যে রাগের কারণ!
বড়মামার ঘরে ঢুকে মাসিমা জিগ্যেস করলেন,—চা খাবে না কেন?
বড়মামা জানলার দিকে থেকে মুখ না ফিরিয়ে বললেন—শুধু চা কেন? এ বাড়িতে আমি আর কিছুই খাব না।
এ বাড়ির অপরাধ?
আমাকে অপমান করা হয়েছে।
মানে? এই তো সবে ঘুম থেকে উঠলে! এর মধ্যে কে অপমান করলে? কার এত সাহস!
প্রকারান্তের অপমান।
সে আবার কী? সাতসকালে এত ঘোরপ্যাঁচ ভালো লাগে না। সোজা বাংলায় বলো।
সোজা বাংলা হল, আমার কোনও জিনিসকে বাথরুমের মেঝেতে ফেলে পদদলিত করা।
কী জিনিস?
আমার টুথব্রাশ।
কে দলিত করেছে?
সবাই। শুধু দলন নয়, ফুটবলের মতো পদাঘাত।
তুমি দেখেছ?
না, আমার অনুমান। আমি বাথরুমে ঢুকে দেখলুম, জিনিসটা নর্দমা থেকে মাত্র দু’ইঞ্চি দূরে ট্যারা হয়ে পড়ে আছে মুখ থুবড়ে। দেখলেই বোঝা যায়, আমার যা মনে হল, নির্যাতিত, নিপীড়িত নিষ্পিষ্ট।
উরে বাপরে, বাপরে বাপ। রেখেছিলে কোথায়?
ব্লক আয়নার ভেতরে, যেখানে রোজ রাখি। আশে পাশে আরও কয়েকটা থাকে।
তুমি রাখতে গিয়ে নিজেই ফেলেছ। তোমার যা স্বভাব, নিজে অপকর্ম করে বাড়ি মাথায়!
আমার ব্যাপারে নাক গলানোর তো প্রয়োজন নেই। আমি আমার মতো আছি, তোমরা তোমাদের মতো থাকো। সুখে থাকো, আনন্দে থাকো, হই হই করে থাকো।
মাসিমা বললেন—বেশ, সে আমরা সুখে থাকি, কি দুঃখে থাকি, চুপ করে থাকি কি হই হই করি আমাদের ব্যাপার। তবে জেনে রাখো, আমাদের ব্যাপারে নাক গলালে তোমার ব্যাপারেও আমরা নাক গলাতে বাধ্য হব।
তোমাদের কোনও ব্যাপারে তো আমি লাস্ট সেভন ডেজ নাক গলাইনি। মনে তো পড়ছে না।
নিশ্চয় গলিয়েছ। ওই খাড়া নাকটার পুরোটাই গলিয়েছ। শুধু ডগাটা নয়।
কি রকম, কি রকম? অবাক লাগছে! ফলস অ্যালিগেশন। ইলেকশানে দাঁড়ালে এমন শোনা যায়।
সকালে তোমাকে চা খাওয়ান আমাদের কাজ, সেই কাজে তুমি বাধা সৃষ্টি করেছ। কর্তব্য চলাচলের পথে রাজনৈতিক কায়দায় অবরোধ।
আমি তোমাদের নির্দেশ মানছি না, মানব না। আমার বাবা আমাকে বলে গেছেন, আত্মসম্মান, আত্মমর্যাদা আগে, সেলফ রেসপেকট।
আমার মা বলে গেছেন, কর্তব্য, সেবা আগে। প্রয়োজন হলে তোমাকে চিত করে ফেলে ঝিনুক বাটি করে চা খাওয়াব কোঁৎ কোঁৎ। এটা তোমার মামার বাড়ি নয়, বাপের বাড়ি। আমার নাম কুসি।
বড়মামা যথেষ্ট ঘাবড়ে গেলেন। বেশ ভালোই জানেন, মাসিমা বড়মামা, মেজোমামার ছোট বোন হলেও দুই মামাকে বেশ দাপটে বাগে রেখেছেন। আমার দুটি মামাই অসম্ভব খেয়ালি। এক বগগা। রাত আড়াইটের সময় ইচ্ছা হল আইসক্রিম খাব, তো খাবই। তখন দুজনে কী ভাব! যেন হরিহর আত্মা। আবার কোনওদিন সকালে উঠে মনে হল, আজ বনভোজন। এইবার নাও, কোথায় বন, কোথায় ভোজন। মেজোমামার আবার সব উদ্ভট পরামর্শ, বন তো পশ্চিমবঙ্গে একটাই, সুন্দরবন। বড়মামা অমনি লাফিয়ে উঠলেন, রাইট, রাইট। আশেপাশে রয়াল বেঙ্গল ঘুরবে, আমরা খিঁচুড়ি, পাঁপর ভাজা আর আমড়ার চাটনি খাবো। ফ্যান্টাস্টিক। মাসিমা বললেন, বনভোজন না বাঘের ভোজন। দুটি নধর কান্তি। সপরিবারে চলবে অনেকদিন। যে যার উঠে কাজে যাও। বড়দা চেম্বারে, মেজদা কলেজে। এক ঘণ্টার মধ্যে গৃহত্যাগ।
এই রকম আরও অনেক সাংঘাতিক শাসন ও সিদ্ধান্তের ঘটনা বড়মামার স্মৃতি থেকে মুছে যাওয়ার কথা নয়।
বড়মামা তবু যতটা সম্ভব দৃপ্ত গলায় বললেন—আমি বিচার চাই, জাস্টিস।
কার বিচার? কে কী অপরাধ করেছে যে আদালত বসাতে হবে?
কারো টুথব্রাশ বাথরুমের মেঝেতে দূর করে ফেলে দেওয়াটা অপরাধ নয়? হাইজিনিক স্ট্যান্ডপয়েন্ট থেকে? হ্যাঁ, কি না?
মাসিমা শান্ত গলায় বললেন—হ্যাঁ।
সকালে আমাকে ব্রাশ ছাড়া আঙুল দিয়ে দাঁত মাজতে হয়েছে। আই হ্যাভ বিন ফোর্সড টু…
নো ইংলিশ প্লিজ, এখানে আমরা সবাই পান্তাভাত খাওয়া বাঙালি। তোমার কাকে সন্দেহ হয়? কে একাজ করতে পারে?
বড়মামা বিদ্রুপের হাসি হেসে বললেন—একজনই তো আছে এ বাড়িতে আমার চিরশত্রু, তোমরা সবাই জানো। আমার বড় আদরের মেজো ভাই, দর্শনের অধ্যাপক। বেশির ভাগ সময়েই গগন বিহারী। কদাচিৎ নীচে নামেন আমার ওপর নির্মম অত্যাচার করার জন্যে।
তুমি দেখেছ?
না আমি শুনেছি।
কর্ণ দূষণ? কেউ এসে বলেছে?
না, নিজের কানে শুনেছি।
অর্থাৎ?
আমি বারান্দার রেলিং-এ কনুইয়ের ভর দিয়ে ভোরের প্রকৃতি দেখছিলুম। এই যাব আর কি! তিনি মত্ত মাতঙ্গের মতো আমার পেছন দিয়ে বারান্দা কাঁপিয়ে বাথরুমে প্রবেশ করলেন। কিছুক্ষণ পরেই শুনলুম, ধ্যাত ত্যারিকা, ঠকাস।
ঠকাস মানে?
মানে মেঝেতে কিছু একটা ছিটকে গেল।
তারপর?
তিনি গলায় কালোয়াতি ভাঁজতে ভাঁজতে আমার পেছন দিয়ে ফিরে যেতে যেতে ফক্কড় ছোকড়ার মতো বললেন—হাই।
অধঃপতন।
সে তোমরা বোঝো, আমার দিক থেকে নো কমেন্ট।
তারপর?
তারপর বাথরুমে আমার প্রবেশ ও দর্শন। টুথব্রাশ চিতপাত।
তারপর?
তারপর আবার কি! প্রস্থান।
টুথব্রাশ?
ওইখানেই লাশ পড়ে আছে। উদ্ধার, আততায়ীর অনুসন্ধান, সাজা এসব পুলিশের কাজ, আদালতের কাজ। আচ্ছা, আমি চলি, চেম্বারে আজ অনেক পেশেন্ট। ফোন করেছিল।
বড়মামা খুব স্টাইলে উঠে দাঁড়াবার চেষ্টা করছিলেন, মাসিমার হুঙ্কার, চলি মানে? ব্রেকফাস্ট আর চা না খেয়ে বাড়ির বাইরে পা দেওয়া যাবে না।
বড়মামার মুখচ্ছবি অতি করুণ, যাবে না?
মাসিমা ততোধিক কঠিন, না যাবে না।
ঠিক এই সময় মেজোমামার ফুরফুরে বাহারি মেজাজে প্রবেশ। গুন গুন রাগচর্চা, ‘তোম না না, নানা নানা, তোম তোম।’ বারান্দা ধরে পাল তোলা নৌকো যেন ভেসে আসছে। বড়মামার ঘরের সামনে এসে আমাদের দিকে তাকিয়ে উড়ু উড়ু গলায় বললেন—কী ব্যাপার! কিসের রিসার্চ হচ্ছে, ভোজনের?
মেজোমামার মুড আজ খুব ভালো। তুম নানা এখনো চলছে।
মাসিমা লাফিয়ে উঠলেন—এই যে এসে গেছো! এদিকে এসো।
মেজোমামা এই বলতে বলতে ঢুকলেন—মেনুটা তোমরাই ঠিক করো না। কোথায় হচ্ছে?
মাসিমা বললেন—তোমার মাথায় হচ্ছে। তুমি বড়দার টুথব্রাশ ধ্যাততেরিকা করে বাথরুমের নর্দমার কাছে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে কেন? হোয়াই! জবাব চাই, জবাব দাও।
মেজোমামা হে হে করে হাসতে হাসতে বললেন—কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও।
মাসিমা বকুনির গলায় বললেন—কেন ফেলেছ? বড়দা অভিমানে সকালের চা বর্জন করেছে।
তবে তো বড়ই গৌরব অর্জন করেছে!
একটু পরেই গৃহত্যাগ করবে।
মরবে। চেম্বারে শ খানেক। একজনকে আবার কুকুরে কামড়েছে। আজকাল রুগিরা বেধড়ক ডাক্তার পেটাচ্ছে। ও যেখানে যাবে পেছন পেছন শ খানেক রুগি তাড়া করবে। যাবে কোথায়?
কথা না ঘুরিয়ে আসল কথায় এসো, কেন বড়দার টুথব্রাশ ফেলে দিয়েছে?
ব্যায়াম। আমি ছুঁড়ে কাঁধের আর হাতের রিস্টের ব্যায়াম করেছি, এইবার উনি নিচু হয়ে তুলে কোমরের ব্যায়াম করবেন। এই বয়েসে মানুষের কোমর আর কাঁধ আক্রান্ত হয়। জিগ্যেস করে দেখো! সামনেই তো বসে আছেন বিপুল, বিরাট ডাক্তার!
বিপুল, বিরাট বললে কেন?
যে তাকাবে সেই বলবে।
বড়মামার উত্তেজিত প্রতিবাদ, দেখলি কুসি, দেখলি, আজ মঙ্গলবার, চেহারা তুলে কথা বলছে। মা নেই, তুই তো আছিস।
মাসিমা মেজোমামাকে বললেন—টুথব্রাশ ফেললে কেন?
মেজোমামা আশ্চর্য হবার ভান করে বললেন—কার টুথব্রাশ?
মাসিমা বললেন—জান না কার?
যদ্দুর জানি ওটা আমার।
মানে?
বড়মামা উত্তেজিত হয়ে কিছু বলতে যাচ্ছিলেন, মাসিমা বললেন—দাঁড়াও, কেস আমার হাতে।
মেজোমামাকে বললেন—বড়দার ব্রাশ কোথায়?
যথাস্থানে।
মাসিমা বড়মামাকে বললেন—কি গো, কি বলছে?
মিথ্যে কথা।
মেজোমামা চ্যালেঞ্জের গলায় বললেন—গিয়ে দেখলেই হয়। হাতে পাঁজি মঙ্গলবার না করে।
মাসিমা থানার বড়বাবুর মতো আদেশ দিলেন, চলো ঘটনাস্থলে চলো।
সবাই মার্চ করে ঘটনাস্থলে। আমাদের সবচেয়ে প্রিয় মানুষ হরিদা এতক্ষণ বাজারে ছিলেন। এসে গেছেন। এইবার মজা জমবে। আমাদের সব্বাইকে একসঙ্গে বাথরুমে গুলতানি করতে দেখে বললেন, সর্বনাশ! একসঙ্গে সকলের পেয়ে গেছে! তা আরও তো বাথরুম আছে!
মাসিমা হরিদার গলা পেয়ে বললেন—এদিকে এসো তো, তদন্ত হচ্ছে।
সে কি, লাশ পড়েছে না কি?
লাশও বলতে পারো, ব্রাশও বলতে পারো, টুথব্রাশ।
আচ্ছা! তার মানে দন্ত আছে, দন্তধাবনের যন্ত্রের তদন্ত! কমোডে ঢুকে গেছে!
হরিদা রহস্যময় চরিত্র। কবে সব ছেড়ে দিয়ে এই বাড়িতে এসেছিলেন। সেই থেকে এখানে আছেন। পিতার মতো, বন্ধুর মতো, শিক্ষকের মতো, পূজারির মতো, ম্যানেজারের মতো। খুব ভোরে শিবমন্দিরে তাঁর ঘণ্টা নাড়ার শব্দে আমার ঘুম ভাঙে। তারপর শুনি উদাত্ত কণ্ঠস্বরে, সুরে শিবমহিম্নঃ স্তোত্রপাঠ। মহিম্নঃ পারং তো পরবিদুষো…।
মেঝে থেকে টুথব্রাশটা তুলে ওসি, মাসিমাকে বললেন—তুলিছি।
বেসিনে শুইয়ে রেখে ওপরের মিরার ব্লকটা খোলো।
খুলিচি।
দেখো তো, ওখানে টুথব্রাশ আছে?
আছে! একটা, খাড়া দাঁড়িয়ে আছে, এক পায়ে।
মাসিমার অনেক বিচার। স্নান হয়ে গেছে পুজোয় বসবেন, বাথরুমে ঢুকবেন না।
বাইরে আলোতে এনে বারান্দায় এই টেবিলে শুইয়ে ডাক্তারকে ডাকো।
বড়মামা এগিয়ে এলেন।
মাসিমা গম্ভীর গলায় জিগ্যেস করলেন—এটা কার?
বড়মামা ভয়ের চোটে বলে ফেললেন—আজ্ঞে, মনে হচ্ছে এটা আমার।
তবে? তবে একজন নিরীহ, নিরপরাধী মানুষকে যা-তা বলছিলে কেন?
আমার চোখে চশমা ছিল না যে!
কেন ছিল না?
মুখ ধোওয়ার সময়ে চোখে চশমা থাকলে মুখ ধোয়া যায়?
তাও তো বটে।
মেজোমামা পাঞ্জাবির পকেট থেকে একটা টুথব্রাশ বের করে সকলকে দেখিয়ে ছেলেমানুষের মতো নাচতে নাচতে বলতে লাগলেন, এটা কার, এটা কার? এটা আমার। হাতলটার বহুত কায়দা। ঝকঝকে চকোলেট রঙ।
বড়মামাও তো আর এক বালক। মেজোমামার টুথব্রাশের বাহার দেখে খুব লোভ হয়েছে। মুখটা কেমন হয়ে গেছে। মেজোমামা নাচ থামিয়ে গানের সুরে বলতে লাগলেন, ‘আমাকে মিথ্যেবাদী না বললে—আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করলে আর একজনেরও এই রকম একটা হত। কেয়া বাত!’
বড়মামা হঠাৎ ধড়মড় করে বলে উঠলেন—তুই আমাকে মাছ ছাড়তে বারণ করলি কেন?
আমরা সবাই অবাক। মাসিমা বড় বড় চোখে আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন—কেস অন্যদিকে ঘুরছে।
মেজোমামা বড়মামার কাছে সরে গিয়ে পকেট থেকে আর একটা টুথব্রাশ, হালকা হলুদ রঙের বের করে, শিশুকে যে ভাবে বলে সেই ভাবে বলতে লাগলেন—এটা কার? এটা কার?
বড়মামা থাবা মেরে ব্রাশটা খপাত করে নিয়ে নিলেন।
মেজোমামা বললেন—জানো বড়দা! আমি কখনো নিজেকে একজন ভাবি না, সব সময় দুজন। দুজন বললেও নিজেকে ছোট করা হয়। আমি একটা স্যান্ডউইচ। ওপরে তুমি নীচে আমি, মাঝখানে এই সব বিট, গাজর, শশা, আনাজপাতি।
মাসিমা বললেন—থাক, গলায় গলায়, কতক্ষণ থাকে সেই হল কথা! তবে, মাছের ব্যাপারটা কী!
মেজোমামা বললেন—সেটা আমাদের আর একটা মান-অভিমানের ব্যাপার, তার মধ্যে একটা পুকুর আছে।
হরিদা বললেন—জানি, জানি, পুকুরের সেই মাছ ছাড়ার ব্যাপারটা!
বড়মামা বললেন—থাক, থাক, ওসব এখন থাক।
মেজোমামা বললেন—সে আর একদিন। সে আর একদিন।
মেজোমামা ডায়ালগ বলতে বলতে খুব স্টাইলে চলে যাচ্ছিলেন, মাসিমা বললেন—শোনো! ব্রাশটা পড়ে গেল তো পড়েই রইল, তুললে না কেন? কেন শুনি!
মেজোমামা মুচকি হেসে বললেন—ওইটাই আমার দুষ্টুমি!
গান গাইতে গাইতে চলে যাচ্ছেন মেজোমামা, আই অ্যাম এ নটি বয়, আই অ্যাম এ নটি বয়।
পুবের রোদ বারান্দার জাফরির নক্সা ফেলেছে মেঝেতে। মেজোমামা যেন এক্কা দোক্কা খেলতে খেলতে নিজের ঘরের দিকে এগোচ্ছেন।