ডাক্তারের সাহস – প্রবোধকুমার সান্যাল

ডাক্তারের সাহস – প্রবোধকুমার সান্যাল

বরাহনগর জায়গাটার নাম সকলেই জানে৷ কলকাতার উত্তরে মাইল দুয়েক গেলেই বরাহনগর৷ আজকাল শ্যামবাজার থেকে মোটর-বাসে যাওয়া যায়—আগে যেতে হোত হেঁটে কিংবা ‘শেয়ারের’ গাড়িতে৷ শেয়ারের গাড়ি ছাড়ত কোম্পানির বাগানের মোড় থেকে, এক-একজনের চার আনা ভাড়া৷ কলকাতায় যাতায়াত করতে গেলে এ ছাড়া আর উপায় ছিল না৷

বরাহনগরের বড় রাস্তার দু’ধারে তখন কল-কারখানা, মুটে-মজুর, দোকান-বাজার, পাট আর ভূষিমালের আড়ৎ—এইসবের ভীড় ছিল বেশি৷ এদের ধারে ধারে শ্রমিকদের বস্তিগুলো দেখা যেত৷ দিনের বেলায় পথে সোরগোল, হই-চই, গরুরগাড়ির দল, জন-মজুরের হল্লা, মালগাড়ির আমদানি-রপ্তানি, এমন কি মারামারি পর্যন্ত লেগে থাকত৷ কিন্তু সন্ধে হলেই তাদের আর চিহ্ন পর্যন্ত নেই, পথ হয়ে যেত নির্জন মরুভূমি, রাতের বেলা সে পথে হেঁটে যাওয়াও নিরাপদ ছিল না মাঝে মাঝে এক-আধটা কুকুর কেবল ডাকতে ডাকতে চলে যেত৷ অনেক অসতর্ক পথিক নাকি অনেকদিন রাতে এই পথে গুণ্ডাদের দ্বারা লাঞ্ছিত হয়েছে৷

ভদ্রলোক কয়েকজন যে পাড়ায় থাকতেন, সে পাড়াটা গঙ্গার কাছাকাছি৷ তাঁরা স্টিমারে কলকাতায় আনাগোনা করতেন৷ সকালের দিকে বেরোতেন, আবার ফিরে আসতেন দিনের আলো থাকতে৷ তার একটা কারণ ছিল৷ যে পথটা দিয়ে তাঁরা পাড়ার ভিতরে ঢুকতেন, সেই পথের দক্ষিণ দিকে একটা প্রকাণ্ড পুরানো বাড়ি অনেকদিন থেকে পড়ে ছিল, এবং সেই বাড়ির ধার দিয়ে সন্ধ্যার পর হেঁটে যাওয়া তাঁরা উচিত মনে করতেন না৷ বাড়িটা এখানকার পূর্বকালের জমিদার-বংশের৷ এখন সে জমিদারও নেই, তাদের আগেকার ঐশ্বর্যও নেই—কেউ মরে গেছে, কেউ গেছে ছেড়ে৷ কিন্তু এই অট্টালিকা এখনো তার ভগ্ন দেহ নিয়ে অতীতকালের স্থবির প্রহরীর মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে৷ বাড়িটা জনহীন, নানা আগাছায় পরিপূর্ণ বাদুড় আর চামচিকের বাসা, শেয়াল আর সাপের অবাধ লীলাভূমি৷ শুধু তাই নয়৷ লোকের বিশ্বাস এ বাড়িতে নাকি কোনো কোনো গভীর রাত্রে মানুষের কান্না শোনা যায়৷ আগেকার সেই জমিদারের দুইটি মেয়ে নাকি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল৷ অর্থাৎ এ বাড়ির অন্দর-মহলে ভূত আছে৷

ভূতের কথা শুনলে আর রক্ষা নেই৷ ভগবানের চেয়ে ভূতকে ও-পাড়ার লোক বেশি মানে আর ভয় করে৷ সুতরাং অন্ধকার হলে ও-পথ দিয়ে আর কেউ হাঁটে না৷

কিন্তু চাটুয্যেদের জামাই এ-সব আজগুবি কথা হেসেই উড়িয়ে দিলেন৷ তিনি নতুন ডাক্তারি পাশ করেছেন৷ কুস্তী-করা দেহ, বিশাল তাঁর বুকের ছাতি, শিলং পাহাড় থেকে সেদিন একটা প্রকাণ্ড বাঘ শিকার করে এনেছেন৷ তাঁর ভয়ানক সাহস৷ ভূতটুত তিনি গ্রাহ্য করেন না৷

বড়দিন উপলক্ষে তিনি শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসেছেন৷ এ-পাড়ার সকলের সঙ্গেই তাঁর পরিচয় হয়েছে, সবাই তাঁকে ডাক্তার বলে ডাকে৷

ছেলে-ছোকরাদের দলে তাঁর নাম-ডাক খুব৷ একদিন ভূতের বাড়ির আলোচনায় তিনি উৎসাহভরে বললেন—যদি একটা রাত আমি ও-বাড়িতে কাটিয়ে আসতে পারি, তাহলে তোমরা আমাকে কি খাওয়াবে?

ছেলেরা অবাক হয়ে বললে,—একটা রাত? আপনি বলেন কি ডাক্তারবাবু? দু’ঘণ্টার বেশি যদি আপনি থাকতে পারেন, তবে কি বলেছি!

ডাক্তার প্রথমটা হেসেই অস্থির৷ তারপর বললেন—কত বাজি ধরবে বলো৷

ছেলেরা বললে—বাজি? আপনি যা চাইবেন ফিরে এলে পাবেন৷

—আচ্ছা সেই ভালো৷

কথাটা ছড়িয়ে পড়তে দেরী হল না৷ পাড়ার বিজ্ঞ লোকেরা এসে বাধা দিয়ে বললেন—অল্প বয়সে আমরাও জল চিবিয়ে খেয়েছি কিন্তু ভূতকে মেনেছি চিরকাল৷ তুমি ও-বাড়িতে যেয়ো না, বাবা৷ একটা ভালোমন্দ ঘটলে তখন—

ডাক্তার হেসে বললেন—আমাদের জাতের অবনতির একটা কারণ, আমাদের ভূতের ভয়৷

—আমাদের কথা তবে শুনবে না?

—আজ্ঞে না৷

শ্বশুরবাড়ির সকলে কান্নাকাটি করে অস্থির৷ এমন সর্বনেশে ডাকাত-জামাই তাদের না হোলেই ভালো ছিল৷ ডাক্তার বললেন—আমাকে যদি আপনারা বাধা দেন, তাহলে ভবিষ্যতে আপনাদের সঙ্গে আমার আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না৷

শাশুড়ি বললেন—বাঁচলে তো সম্পর্ক! সম্পর্ক যাক বাবা, তুমি প্রাণে বেঁচে থাকো৷

ডাক্তার কোনো কথা শুনলেন না৷ তাঁর বন্দুক আছে, কুকুর আছে, দেহে অপরিসীম শক্তি আছে—তাঁর ভয় কি? সকলের বাধা-নিষেধ অগ্রাহ্য করে তিনি প্রস্তুত হতে লাগলেন৷

সে-দিন ছিল অমাবস্যা৷ ডাক্তার কোটপ্যান্ট পরে বন্দুক হাতে নিয়ে টর্চটা পরীক্ষা করে হেসে বললেন—রেডি!

রাত তখন দশটা বাজে৷ পাড়ার ছেলেরা দল বেঁধে লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে সোরগোল করে একবার সেই প্রকাণ্ড বাড়িটার ভিতরে তন্ন তন্ন করে দেখে এল৷ শীতের দিন, সুতরাং বিছানা এবং আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রও দিয়ে আসা হল৷ বড় একটা ঘড়ি রইল টেবিলের ওপর একটা জলের কুঁজো আর কাচের গেলাস, একটা লাঠি৷ এবং বলা বাহুল্য, কারবাইডের একটা উজ্জ্বল আলো৷ টমী—চিরবিশ্বস্ত টমী ছিল সঙ্গে সঙ্গে৷ কুকুরটা প্রকাণ্ড, বাঘ শিকার করতে সাহায্য করে৷

দশটার পরে একসঙ্গে সবাই বিদায় নিলে৷ তারা তখন এই বাড়ির ভয়ানক অন্ধকার গহ্বর থেকে পালাতে পারলে বাঁচে৷ কেউ আর কোনো দিকে তাকাতে সাহস করলে না—পাছে কিছু বিভীষিকা তাদের চোখে পড়ে যায়৷ ডাক্তার যে একা এই জনহীন অন্ধকার প্রাসাদের মধ্যে নির্বাসিত হয়ে রইলেন, এবং তাঁর ভাগ্যে যে কিছু একটা ঘটবেই, এই কথা ভাবতে ভাবতে সবাই যে যার বাড়িতে গিয়ে পৌঁছল৷

ঘরের দরজা-জানালা ডাক্তার একে একে সব বন্ধ করে দিলেন৷ কোথাও আর এতটুকু ফাঁক নেই, বাইরে বাতাস জোরে বইলেও আর কোথাও শব্দ হবে না৷ চারদিক নিঃশব্দ, নিস্তব্ধ৷ এই বিশাল অট্টালিকার বাইরে যে রাস্তা-ঘাট আছে, লোকালয় ও মানুষ আছে, কর্ম-কোলাহলময় জগৎ আছে তা কিছুই বোঝবার উপায় নেই৷ এখানে শত শত মানুষের মৃত্যু ঘটলে কেউ কোনোদিন জানতেও পারবে না৷ অমাবস্যার অন্ধকার যেন এই প্রেতপুরীকে উদরসাৎ করেছে৷

ঘড়িটায় টিক টিক শব্দ হচ্ছে৷ এগারোটা বাজল৷ নিজের নিঃশ্বাসটা যে ইতিমধ্যে কখন ভারী হয়ে উঠেছে ডাক্তার বুঝতে পারেননি৷ পাঁচজনে আগে থাকতে ভয় দেখিয়ে দিয়েছে, তাই এই দুর্বলতা৷ মনে হল, ঘড়িটায় যেন আরো একটু আস্তে শব্দ হোলে ভালো হয়৷ ওটা ভয়ানক জীবন্ত, অবাধ্য৷ বিছানার ওপর বসে ডাক্তার একবার এদিক-ওদিক তাকালেন৷ দেওয়ালগুলো জীর্ণ, তার গায়ে নানারকম আঁজিবুঁজি কাটা—অনেকটা যেন মানুষের কঙ্কালের মতো৷

খুট খুট—

ডাক্তার চমকে ফিরে তাকালেন৷ না, কেউ নয়,—বাতাসের শব্দ৷ না, বাতাসের নয়—বোধহয় কোনো পোকামাকড়ের আওয়াজ৷ কিন্তু কোন দিকে? জানালায় না দরজায়?

খট খট—

কে ধাক্কা দিল দরজায়? টমী মুখ তুলে তাকালে৷ একবার সে একটু গোঁ গোঁ করে উঠল, সে যেন বাঘের সন্ধান পেয়েছে৷ না, কেউ নয়—বাতাস৷ পুরানো দরজা, বাতাসে একটু নড়ে বৈকি৷ টমী তার প্রভুর কোলের কাছে আবার মুখ নীচু করে পড়ে রইল৷ ডাক্তার হাত বুলিয়ে দেখলেন, তাঁর বন্দুকটা ঠিক আছে কিনা৷ নিজের হাতটা যেন সহজে আর নড়তে চাইছে না৷ কেমন যেন মনে হতে লাগল, নিজের ওপর কর্তৃত্ব তিনি হারিয়ে ফেলছেন৷ তবু অনেক চেষ্টায় তিনি গায়ে ঢাকা দিয়ে শুয়ে পড়লেন৷

চোখ বন্ধ করবার চেষ্টা করলেও কিন্তু পলক পড়ছে না, চোখের তারা যেন স্থির হয়ে গেছে, পাথরের মতো প্রাণহীন৷ ঘড়িটা টিক টিক করছে৷ ওটা যেন জীবন্ত মানুষের মাথা, যেন ওর চোখ কান নাক আছে, ডাক্তারের দিকে চেয়ে হাসছে৷ প্রেতের মতো হাসি৷ হঠাৎ তাঁর দৃষ্টি পড়ল দেওয়ালের গায়ে৷ ও কি? দেওয়ালের সেই আঁজিবুঁজি, সেই মানুষের কঙ্কালটা নড়ছে কেন? ডাক্তারের বুকের ভিতরকার রক্ত জমাট বেঁধে এল৷ কঙ্কালের গায়ে মাংস লাগছে একটু একটু করে৷ হাত, পা, বুক, মাথা, মুখ৷ উজ্জ্বল আলোয় সেই কঙ্কাল বিরাট দানবের চেহারা নিয়ে দেওয়ালে উঠে দাঁড়াল৷ এবার হাত বাড়িয়ে তাঁর দিকে এগিয়ে আসছে৷

হাত বাড়িয়ে ডাক্তার বন্দুকটা ধরবার চেষ্টা করলেন কিন্তু হাত উঠল না৷ কই, বন্দুকটা তো তাঁর কাছে নেই? কে নিলে? ডাক্তারের গলাটা কে টিপে ধরেছে! স্বর নেই, চিৎকার নেই, নিঃশ্বাস নেই৷ তিনি নড়বার চেষ্টা করলেন কিন্তু সম্ভব হল না, খাটের সঙ্গে তাঁকে বেঁধে দিয়েছে৷

ডাক্তার জ্ঞান হারাননি, খুব সাহসী লোক তিনি৷ চেয়ে দেখলেন, আশ্চর্য, জলের কুঁজোটা ঘরের মেঝের ওপর পায়চারি করে বেড়াচ্ছে, কাচের গেলাসটা দুটো ডানা মেলে প্রজাপতির মতো উড়ছে৷ হ্যাঁ, এইবার ডাক্তার একটু ভয় পেয়েছেন৷ ভয়ে তাঁর রোমকূপগুলো আর্তনাদ করে উঠল৷

খট খট খট—

কিসের শব্দ? কই টমী তো আর গোঁ গোঁ করে উঠল না? ডাক্তার প্রাণপণে টমীর গায়ে একটা চিমটি কাটলেন এত জোরে যে, টমীর গায়ের মাংস খানিকটা তাঁর আঙুলে ছিঁড়ে উঠে এল৷ কিন্তু কই, টমী তো জাগলো না? তবে? তবে? বেঁচে আছে তো? টমী বেঁচে নেই, তার নিঃশ্বাস পড়ছে না, তার সর্বশরীরে একবিন্দু প্রাণ নেই—মরে সে কাঠের মতো পড়ে রয়েছে৷ এ-পাশে বন্দুক নেই, ও-পাশে টমী নেই৷

ঘড়িটায় আর টিক টিক শব্দ হচ্ছে না, সেটা থেমে গেছে৷ কে দিলে থামিয়ে? টেবিলটা এইবার নড়ে উঠল, পায়া চারটে ছড়িয়ে নাচতে লাগল৷ টমী, টমী? টমী বেঁচে নেই—বাঁ-হাতের কাছে তার মৃতদেহ অসাড়, অচেতন৷ জলের কুঁজোটা ঘুরছে, কাচের গেলাসটা উড়ছে, টেবিলটা নাচছে৷ আর—আর সেই দানবটা হাসছে তাঁর দিকে চেয়ে৷

হঠাৎ সশব্দে দরজা-জানালাগুলো খুলে গেল৷ ডাক্তার শিউরে উঠলেন৷ কারা ঢুকছে ঘরে? বড় বড় মাথা, ঝাঁকড়া ঝাঁকড়া চুল—পুঞ্জ পুঞ্জ অন্ধকারের মতো৷ মানুষ নয়, দানব নয়—এরা যেন আরো বিচিত্র৷ গভীর রাত্রির অন্ধকারে এরা এসেছে কঙ্কালটার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করতে৷

আলো কই, আলো? কারবাইডের আলোটা যেন পাগলের মতো ঘরের চারদিকে ছুটছে৷ কে তাঁকে তাড়া করেছে, কিন্তু পালাতে পারছেন না, যন্ত্রণায় ছটফট করছেন৷ যারা ঘরে ঢুকেছে তারা নিঃশ্বাস ফেলছে, দ্রুত নিঃশ্বাস, ঝড়ের মতো তার শব্দ৷

ডাক্তারের সর্বাঙ্গ হিম হয়ে এল৷ তিনি কেঁদে ওঠবার চেষ্টা করলেও পারলেন না৷ গলা তাঁর বন্ধ, হাত-পা বন্দী, চোখ দুটো অচেতন৷ দেখতে দেখতে সেই দানবের হাতখানা তাঁর মাথার দিকে এগিয়ে এল৷ আস্তে আস্তে মাথাটা ছুঁয়ে সুড়সুড়ি দিতে লাগল, মাথার সব চুলগুলো দাঁড়িয়ে উঠেছে৷

আঃ আঃ—খাটখানা কে নাড়ছে! ডাক্তার আবার চিৎকার করবার চেষ্টা করলেন, কিন্তু সেই হিংস্র প্রেতের দল তাঁর বুকের ওপর চেপে বসেছে—তাঁকে নিয়ে শূন্যে উঠতে লাগল৷ ডাক্তারের মাথাটা ঘুরছে৷ টমী, টমী? টমী মরে গেছে কিন্তু হঠাৎ দেখা গেল, টমীর মুখটাও দানবের মতো বদলে গেছে, টমী নখর বিস্তার করে তাঁর দিকে মুখব্যাদান করে এগিয়ে আসছে৷

বিশ্বাসঘাতক! তোমার এই কাজ?

টমী-দানব হেসে উঠল৷ ধারালো দাঁত দিয়ে ডাক্তারের পাঁজর কামড়ে ধরল৷

খাটখানা শূন্যে উঠছে৷ মহাশূন্যের ঘন অন্ধকার দেশে৷ আরো—আরো উঁচুতে দানবের দেশে তাঁকে নিয়ে যাবে, ভূত-প্রেতের রহস্যরাজ্যে ঊর্ধ্বদেশে খাটখানা উড়ে যাচ্ছে, দূরে,—ওই যা, তাদের হাত থেকে খাট খসে গেল! ডাক্তার বেগে নীচের দিকে পড়ে যাচ্ছেন, হয়তো কোনো মহাসমুদ্রের জলে তিনি আছাড় খেয়ে পড়ে তলিয়ে যাবেন৷ গেল, গেল,—

ডাক্তারবাবু, ও ডাক্তারবাবু?

দরজায় ধাক্কা পড়তেই ডাক্তারের ঘুম ভাঙল৷ বুকটা ধড়ফড় করছে৷ চোখ চেয়ে দেখলেন, সকালের আলো জানালা-দরজার ফাঁক দিয়ে ঘরের ভিতরে এসে পড়েছে! সর্বশরীর তাঁর তখনো কাঁপছে৷ ডাক্তার চেয়ে দেখলেন, সব ঠিক আছে৷ সেই আলো, ঘড়ি, টেবিল, কুঁজো ও গেলাস, তাঁর বন্দুক আর টমী৷ গলার আওয়াজ দিয়ে তিনি বললেন— যাই হে, দাঁড়াও!

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *