ঠান্ডা গোস্ত
ঈশর সিংকে হোটেলের ঘরে ঢুকতে দেখে কুলবন্ত কৌর খাট থেকে উঠল। তীক্ষ্ন চোখে ঈশরকে দেখতে দেখতে সে এগিয়ে গিয়ে দরজার ছিটকিনি আটকে দিল। তারপর ফিরে আবার খাটে উঠে বাবু হয়ে বসল।
তখন মাঝরাত। বারোটা বেজে গেছে। চারদিক সুনসান। শহরের উপর যেন কেউ নিস্তব্ধতার চাদর বিছিয়ে দিয়েছে।
ঈশর সিং ঘরের এক কোণায় গিয়ে চুপ করে দাঁড়াল। হাতে কৃপাণ। দেখে মনে হচ্ছিল যেন কোনো অদৃশ্য চিন্তার গাঁট খুলছে!
বেশ কিছুক্ষণ এভাবেই কেটে গেল। কুলবন্ত কৌর উসখুস করতে করতে পা দুটো সামনে ছড়িয়ে তারপর খাট থেকে নীচে ঝুলিয়ে নাচাতে শুরু করল।
ঈশর সিং তাও কিছু বলল না।
কুলবন্ত কৌরের ভরা শরীর। কোমর থেকে ঊরু পর্যন্ত অংশ থলথল করছে। ভারী বুক, তীক্ষ্ন চোখ, ঠোঁটের উপর হালকা ধূসর গোঁফের রেখা। দৃঢ় থুতনি দেখে বোঝা যায় যে সে কোনো যে-সে বংশের মেয়ে নয়!
ঈশর সিং চুপচাপ মাথা নীচু করে ঘরের কোণায় দাঁড়িয়ে। মাথার পাগড়ি ঢিলে হয়ে গেছে। কৃপাণ ধরা হাত অল্প অল্প কাঁপছে। কিন্তু তার দৈর্ঘ্য-প্রস্থ আর চেহারার দৃঢ়তা দেখে সন্দেহ থাকে না যে কুলবন্ত কৌরের জন্য সে আদর্শ পুরুষ।
আরো কিছুটা সময় নিস্তব্ধতায় কেটে গেল। শেষে কুলবন্ত কৌর অধৈর্য হয়ে বলে উঠল, ‘ঈশর সিয়াঁ…’।
ঈশর সিং মাথা তুলে দেখল। কুলবন্তের তীব্র দৃষ্টি সহ্য করতে না পেরে তাকিয়েই সঙ্গে সঙ্গে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নিল।
কুলবন্ত এবার আরেকটু জোরে ডাকল, ‘ঈশর সিয়াঁ…!’ ডেকেই সঙ্গে সঙ্গে আবার গলা নামিয়ে তার কাছে গিয়ে জিগ্যেস করল, ‘এতদিন কোথায় ছিলে?’
ঈশর সিং শুকনো মুখে বলল, ‘জানি না।’
কুলবন্ত বিরক্ত হল, ‘এটা একটা কথা হল! জানো না মানে?’
ঈশর সিং কৃপাণ একদিকে ছুঁড়ে ফেলে খাটের উপর গিয়ে শুয়ে পড়ল। যেন বহুদিন ধরে অসুস্থ! কুলবন্ত খাটের দিকে তাকাল। ঈশ্বর সিংকে ওরকম পড়ে থাকতে দেখে তার মায়া হল। সে কাছে এসে তার মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে নরম গলায় প্রশ্ন করল, ‘জানী, কী হয়েছে?’
ঈশরের চোখ ছাদের দিকে। কুলবন্তের দিকে ধীরে ধীরে দৃষ্টি ফিরিয়ে সে কুলবন্তের মুখে আঙ্গুল বোলাতে শুরু করল। তার গলায় কী যেন একটা কষ্ট, ‘কুলবন্ত!’
‘বলো, জানী…’, বলে কুলবন্ত নিজের ঠোঁট কামড়াতে লাগল।
ঈশর সিং পাগড়ি খুলে ফেলল। কুলবন্ত কৌরের দিকে অসহায়ভাবে তাকিয়ে তার মাংসল পিছনে চটাস করে মারল। তারপর মাথা ঝাঁকিয়ে স্বগতোক্তির মতো বলল, ‘এই শালা মাথাটাই গেছে আমার!’
ঝাঁকানোর চোটে তার চুল খুলে গেছিল। কুলবন্ত তার মধ্যে আঙুল চালাতে লাগল। আদর করে আবার জিগ্যেস করল, ‘ঈশর সিয়াঁ, তুমি কোথায় ছিলে এতদিন?’
‘জাহান্নমে’, বলে ঈশর সিং কুলবন্তের দিকে ফিরে দু’হাতে তার স্তন দুটো পিষতে লাগল, ‘ওয়াহেগুরুর দিব্যি, তোমার মতো এমন শক্ত মেয়ে দেখিনি!’
কুলবন্ত কৌর তার হাত এক ঝটকায় সরিয়ে দিয়ে বলল, ‘আমার দিব্যি, সত্যি করে বলো, কোথায় ছিলে? শহরে গেছিলে, না?…’
ঈশর সিং চুল বাঁধতে বাঁধতে উত্তর দিল, ‘না।’
কুলবন্ত রেগে গেল, ‘মিথ্যে কথা বোলো না। আমি ঠিক জানি তুমি শহরে গেছিলে। অনেক টাকাপয়সা লুট করে এনেছ নিশ্চয়ই, কিন্তু আমায় বলছ না।’
‘তোমাকে যে মিথ্যে বলবে সে আপন বাপের ব্যাটাই নয়!’
একটুখানি চুপ করে থেকে কুলবন্ত আবার রাগী স্বরে বলে উঠল, ‘কিন্তু সেদিন রাতে তোমার কী হয়েছিল!?…দিব্যি তো আমার সঙ্গে শুয়ে আমায় সেই লুটে আনা গয়নাগাঁটি পরাচ্ছিলে, আদর করছিলে। হঠাৎ এমন কী হল যে উঠে বেরিয়ে চলে গেলে?!…’
ঈশর সিংয়ের মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল। সেটা দেখে কুলবন্ত বলল, ‘দেখলে কেমন মুখের রং পাল্টে গেল!! ঈশর সিয়াঁ, ওয়াহেগুরুর দিব্যি করে বলো কোথায় ছিলে! নিশ্চয়ই উল্টোপাল্টা কিছু করে এসেছ!’
‘তোমার দিব্যি কুলবন্ত, কিছুই করিনি।’
ঈশর সিংয়ের গলা নিস্পৃহ, প্রাণহীন। কুলবন্তের সন্দেহ আরো দৃঢ় হল। ঠোঁট দাঁতে চেপে সে চিবিয়ে চিবিয়ে জিগ্যেস করল, ‘ঈশর, সত্যি কথা বলো। কিছু একটা তো হয়েছেই। আটদিন আগের তোমার আর আজকের তোমার মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক!’
ঈশর সিং আহত বাঘের মতো উঠে বসল। কুলবন্তকে বলিষ্ঠ বাহু দিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে তাকে দলাইমলাই করতে শুরু করল, ‘জানী, আমি সে-ই…এই যে জাপটে ধরে তোমার শরীরের গরম বের করে দেয়…আমি সে-ই…’
কুলবন্ত বাধা দিল না। কিন্তু বলাও থামাল না।
‘সেদিন রাতে তোমার কী হয়েছিল?’
‘কিছু না।’
‘বলবে না?’
‘বলার মতো কিছু থাকলে তো!’
‘সত্যি বল, নইলে আমার মাথা খাও…।’
ঈশর সিং দু’হাত দিয়ে কুলবন্তের গলা জড়িয়ে ধরে তার ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরল। তার গোঁফ নাকে লাগতেই কুলবন্ত জোর হেঁচে উঠল, ‘হ্যাঁ… চ্চো!’
দুজনেই হেসে ফেলল।
ঈশর সিং গায়ের কোট খুলে ফেলে কুলবন্তের সারা শরীর চোখ দিয়ে চাখতে চাখতে বলল, ‘একদান তাস হয়ে যাক?’
কুলবন্ত কৌরের ঠোঁটের উপর বিন্দু বিন্দু ঘাম। চোখ ঘুরিয়ে সে উত্তর দিল, ‘যাও দূর হও…’।
ঈশর তার পিছনে জোরে চিমটি কাটল। কাতরে উঠে সে চেঁচিয়ে উঠল, ‘ঈশর সিয়াঁ, ছাড়ো না! ব্যথা লাগে তো!…’
ঈশর আবার তাকে জড়িয়ে তার ঠোঁট দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরল। কুলবন্ত গলে গেল। ঈশর নিজের কুর্তা খুলে ছুঁড়ে ফেলল, ‘তাহলে? তুরুপের তাসটা হোক, নাকি?’
কুলবন্ত কৌরের ঠোঁট থরথর করে কাঁপতে লাগল।
ঈশর সিং তার কামিজ টেনে নামিয়ে দিল। তার নগ্ন শরীরের দিকে দেখতে দেখতে হাতে আবার চিমটি কেটে বলল, ‘কুলবন্ত…ওয়াহে গুরুর দিব্যি, তোর ঝাঁঝই আলাদা…’
কুলবন্ত নিজের হাতের উপর সদ্য ফুটে ওঠা লাল দাগটার দিকে তাকাল, ‘ঈশর সিয়াঁ, তুই বড় অসভ্য…!’
ঈশর সিং ঘন কালো গোঁফের ফাঁকে হাসল, ‘আজ না-হয় অসভ্যতাই হোক!’
সে বস্তুত তাই শুরু করল। কুলবন্তের ঠোঁট চেপে ধরল, কানের লতিতে কামড় দিল, বুক দুই হাতে পিষতে থাকল, পিছনে জোরে জোরে চড় মারতে লাগল, মুখ চুমোয় চুমোয় ভরিয়ে দিল, সারা শরীরে জিভ বুলিয়ে, চুষে তাকে পাগল করে দিল।…কুলবন্তের শরীর যেন আগুনের আঁচে কাঁপতে লাগল।…
এত করেও তবু ঈশরের শরীর কিছুতেই উত্তপ্ত হল না। হেরে যাওয়া পালোয়ানের মতো সে যা মারপ্যাঁচ জানত সব দিয়ে চেষ্টা করল। তবু কিছুতেই নিজেকে জাগাতে পারল না। ওদিকে কুলবন্তের শরীরের তাপ বাড়ছে! তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের প্রতিটা তার যেন অপেক্ষায় টানটান হয়ে আছে! অকারণ খুনসুটিতে বিরক্ত হয়ে শেষে সে বলে উঠল, ‘ঈশর সিয়াঁ, আর কত তাস ভাঁজবি?…এবার দান দে…!’
এটা শুনেই ঈশরের সমস্ত তাস যেন হুড়মুড়িয়ে নীচে পড়ে গেল। হাঁপাতে হাঁপাতে সে কুলবন্তের পাশে শুয়ে পড়ল। কপালে ঘামের আস্তরণ। অনেক চেষ্টা করেও কুলবন্ত কৌর তার শরীরটাকে আর জাগাতে পারল না। এতক্ষণ সে বিশেষ কথা বলেনি। কিন্তু যখন তার শরীর শত ডাকেও সাড়া পেল না, তখন সে ধৈর্য হারাল। খাট থেকে নেমে নীচে পড়ে থাকা চাদর গায়ে জড়িয়ে রাগে মুখ ফুলিয়ে বলল, ‘ঈশর সিয়াঁ, কোন হারামজাদীর কাছে ছিলি এতদিন? কোন ছেনালের কাছে ছিলি? কে তোকে এরকম নিংড়ে নিয়েছে?’
ঈশর সিং বিছানায় শুয়ে হাঁপাচ্ছিল। সে কোনো উত্তর দিল না।
কুলবন্ত কৌর ফেটে পড়ল, ‘উত্তর দে আমায়। কে সেই হারামজাদী? কে? কোন মাগীর কাছে ছিলি?’
ঈশর সিং শ্রান্ত গলায় বলল, ‘কেউ না কুলবন্ত! কেউ না!’
কুলবন্ত কোমরে হাত রেখে শক্ত হয়ে দাঁড়াল, ‘আজ আমি সত্যি-মিথ্যে জেনে ছাড়ব। ওয়াহেগুরুর দিব্যি করে বল। বল কী ব্যাপার? এসবের পেছনে একটা কোনো মেয়েছেলে আছে, না?’
ঈশর সিং কিছু বলার আগেই কুলবন্ত আবার বলে উঠল, ‘কিছু বলার আগে শুধু মনে রাখিস, আমি সর্দার নিহাল সিংয়ের মেয়ে। একটাও মিথ্যে কথা বললে তোকে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলব।…এবার বল…ওয়াহেগুরুর দিব্যি কর…এর পিছনে কোনো মাগীর হাত আছে কি নেই?’
ঈশর সিং আস্তে আস্তে সম্মতিসূচক মাথা নাড়ল।
কুলবন্ত কৌরের মাথায় রক্ত উঠে গেল। সে ঘরের কোণা থেকে কৃপাণটা তুলে নিয়ে কলার খোসার মতো তার খাপটাকে খুলে ছুঁড়ে ফেলে বিদ্যুৎগতিতে ঈশর সিংয়ের গলায় এক কোপ বসাল।
ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরোতে লাগল। ক্রোধোন্মত্ত কুলবন্ত তাতেও শান্ত না হয়ে ঈশরের চুল খিমচাতে শুরু করল। মুখে সতীনের উদ্দেশ্যে বাছা বাছা গালি। ঈশর দুর্বল স্বরে বলল, ‘ছেড়ে দে কুলবন্ত, ছেড়ে দে…।’ তার গলায় দুরূহ বেদনা। কুলবন্ত কৌর থেমে গেল।
রক্ত তখন গড়িয়ে গড়িয়ে ঈশর সিংয়ের গোঁফ অবধি পৌঁছে গেছে। কুলবন্তের দিকে অনুযোগ আর কৃতজ্ঞতা মেশানো চোখে তাকিয়ে কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে সে বলল, ‘জানী, একটু তাড়াহুড়ো করে ফেললি…তাও…ঠিক আছে…যা করেছিস ভালোই করেছিস…।’
কুলবন্ত কৌর রাগত স্বরে আবার জিগ্যেস করল, ‘মাগীটা কে? বল বলছি…।’
ঠোঁটের কাছে জমতে থাকা রক্ত থুক করে ফেলে দিয়ে ঈশর সিং বলল, ‘আমি…আমি…ছ’জন লোককে মেরেছিলাম…এই কৃপাণটা দিয়ে…’
‘যেটা জিগ্যেস করছি বল। কে সেই হারামজাদী?’
ঈশর সিংয়ের চোখের সামনে ধীরে ধীরে অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে। এক মুহূর্তের জন্য যেন তার চোখ জ্বলে উঠল। সে বলল, ‘গালি দিস না ওকে…’
‘জিগ্যেস করছি, কে সে?’
ঈশর সিংয়ের গলা দমে গেল, ‘বলছি’। নিজের গলায় হাত দিয়ে একটু হেসে সে আবার শুরু করল, ‘মেয়েছেলের জাতও আজব!’
‘কাজের কথা বল, ঈশর…।’
‘গলায় কোপ দিয়েছিস, জানী! কাজের কথা বলতেও সময় তো লাগবেই…।’
সে বলতে শুরু করল। তার কপাল ঘামে ঠান্ডা।
‘কুলবন্ত, জানী আমার! তোকে কী বলব কী হয়েছিল!…এই শালা মেয়েছেলেও আজব জাত।…শহরে লুটপাট শুরু হতেই আমিও সবার মতো সেখানে ছুটেছিলাম।…গয়নাগাঁটি-টাকাপয়সা যা লুটেছিলাম, সব তোকে দিয়ে দিয়েছিলাম।…কিন্তু আরেকটা কী পেয়েছিলাম, সেটা তোকে বলতে পারিনি।…’ বলতে বলতে সে হঠাৎ ব্যথায় কাতরে উঠল।
নির্দয়ভাবে কুলবন্ত প্রশ্ন করল, ‘কী পেয়েছিলি?’
একটু থেমে ব্যথায় গোঙাতে গোঙাতে সে বলে চলল, ‘য বাড়িতে চড়াও হয়েছিলাম, তাতে সাত…সাতজন লোক ছিল…ছ’টাকে আমি…আমি মেরে ফেললাম…তুই যেটা দিয়ে আমায় মেরেছিস সেটা দিয়েই…ছাড়…শোন…আরেকটা…আরেকটা মেয়ে ছিল…খুব সুন্দর…অপূর্ব দেখতে…তাকে তুলে নিজের সঙ্গে নিয়ে গেলাম…’
কুলবন্ত কৌর নিঃশব্দে শুনতে লাগল।
গোঁফের মধ্যে জমে থাকা রক্ত ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে ঈশর সিং আবার বলতে লাগল, ‘জানী! তোকে কী বলব মেয়েটা কী সুন্দর!…ওকেও মেরে দিতাম…হঠাৎ মনে হল, না ঈশর সিয়াঁ, কুলবন্ত কৌরকে তো রোজই ঘাঁটিস, একবার না-হয় স্বাদ বদলে দেখ…’
কুলবন্ত অস্ফুটে শুধু বলল, ‘হুঁ…’
‘…ওকে কাঁধে নিয়ে বেরিয়ে গেলাম…রাস্তায়…রাস্তায়…কী বলছিলাম আমি!?…ও আচ্ছা, রাস্তায় বেরোলাম…হ্যাঁ…নদীর ধারে ঝোপের মধ্যে ওকে শুইয়ে…ভাবলাম…ভাবলাম তাস ভাঁজি…কিন্তু…’, ঈশর সিংয়ের গলা শুকিয়ে গেল।
কুলবন্ত ঢোঁক গিলল, ‘তারপর?’
‘কিন্তু…তারপর ভাবলাম…ভাবলাম ভেঁজে কী হবে…সোজা দান দিই… তারপর…তারপর…’, ঈশর সিংয়ের গলার স্বর নিভে এল।
‘কী হল তারপর?’
ঈশর সিং তার বুজে আসা চোখ দুটো খুলে কুলবন্ত কৌরের দিকে কোনওরকমে তাকাল, ‘মেয়েটা…মেয়েটা…মরে গেছিল…লাশ…একদম ঠান্ডা… ঠান্ডা গোস্তের মতো…’
কুলবন্ত কৌর ঈশর সিংয়ের কপালে হাত রাখল।
তার শরীর তখন বরফের চেয়েও ঠান্ডা…।