ঝরে যাওয়া সময়ের গল্প
“আমাদের বহরমপুর প্রতিনিধির কাছ থেকে জানা গিয়েছে যে, বহরমপুর ও এর আশেপাশের জেলাগুলোতে গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকজনের লাশ পাওয়া গিয়েছে। মৃতদের প্রত্যেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলে জানা যায়। এ নিয়ে শহরে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন ইউনুস আলী।”
ফোনের রিংটোন বেজে উঠল। আশফাক চৌধুরী ফোন দিচ্ছেন। মেজর জেনারেল ফিরোজ টিভি মিউট করে দিয়ে ফোন ধরলেন, “হ্যাঁ, বলেন।”
“কাল আমার মিটিং আছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। যেভাবেই হোক আমাকে কাল মিটিং-এ পৌঁছাতে হবে।”
“শুনলাম। আপনি কাল বলেছিলেন।”
“আমার যদি কিছু হয়, আপনার কিন্তু খবর খারাপ হয়ে যাবে ফিরোজ। আপনি চিন্তাও করতে পারবেন না যে আমি আপনার কি করতে পারি। কাল আমার কিছু হলে প্রধানমন্ত্রীকে সব কথা বলে দিতে বাধ্য হব। ভেবে নেব এই সমস্যাটা আর আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই। প্রধানমন্ত্রীই একমাত্র আমাদেরকে সাহায্য করতে পারবেন।
“যে রাজনৈতিক নেতারা মরছেন তারা কোন না কোনভাবে এই অপরাধীদেরকে ব্যবহার করেছেন। আপনি এত ভয় পাচ্ছেন কেন? আপনি তো এদেরকে কখনও ব্যবহার করেননি, নাকি? তাছাড়া আপনি আমাকে একথাগুলো কেন বলছেন? আপনার কি ধারণা আমি এই অপরাধীদেরকে দিয়ে ক্রাইমগুলো করাচ্ছি? আমি নিজেও এদেরকে খুঁজছি।”
“আমি সব জানি। এই কুকুরগুলোকে লেলিয়ে দিয়ে আপনি ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এই কুকুরগুলো আপনার পোষা। আমি জানি না মনে করেছেন? এইটা আপনার আর বশিরের চাল। আমি প্রধানমন্ত্রী মহোদয়কে কালই জানাব এই ষড়যন্ত্রের কথা। দুদিনের মধ্যে, বুঝলেন তো? দু দিনের মধ্যে কুকুর তিনটেকে ধরে ফেলবে। উনার ক্ষমতা সম্পর্কে আপনার কোন ধারণা আছে? নেই। স্পেশাল ফোর্স নামলে আপনারও চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করে দেবে। কাল যেন আমি নিরাপদে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছাতে পারি সেই ব্যবস্থা করবেন। আর মনে রাখবেন, হাতে আর মাত্র দুইদিন আছে আপনার। জেনারেল দেশের বাইরে আছেন। উনি ফিরে আসলেই আমরা আমাদের কাজটা করতে বাধ্য হব।”
লাইনটা কেটে গেল। ফিরোজের খুব রাগ হওয়া উচিৎ ছিল। রাগ হল না। সত্যিকার নেতাদের রাগ আর ঘৃণা থাকতে হয় না। তিনি স্বাভাবিকভাবেই টিভি আনমিউট করলেন। নাসরিনের কল আসল। নাসরিনের কান্নামাখা গলা শুনতে পেলেন ফিরোজ। নাসরিন বলল, “স্যার, টিকটিকি পেয়ে গিয়েছি। ও আবিরকে খুন করেছে স্যার। বিশ্বাসঘাতকটা আবিরকে খুন করেছে স্যার।”
নাসরিন সেই লোকটার নাম বলতেই ফিরোজের চোয়াল শক্ত হয়ে গেল।
“স্যার, ম্যামকে আনব?” মেজর রঞ্জন বললেন।
ফিরোজ হক টিভির স্ক্রিন থেকে চোখ না সরিয়েই বললেন, “আনো।” তার চোখে মুখে ঘনীভূত দুশ্চিন্তা। কোঁচকানো ভ্রু জোড়ায় বিন্দু বিন্দু ঘাম। ফিরোজের এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না।
আশফাক চৌধুরীর কথা মনে পড়ল আবার। আশফাক চৌধুরী ভুল কিছু বলেননি। এই লাশগুলো নিয়ে খুব তাড়াতাড়িই তদন্ত হবে। আর তদন্তে বেরিয়ে আসবে তিনজন অপরাধীর নাম। এদেরকে খুঁজে বের করতে স্পেশাল ফোর্স নামাবে। তার থেকেও বড় কথা আশফাক চৌধুরী আর জেনারেল সব ফাঁস করে দেবেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে যদি তিনি আর তিনদিনের ভেতরে বশিরকে খুঁজে দিতে ব্যর্থ হন। বশিরকে তিনি বহু বছর ধরে চেনেন। কিন্তু আজ ডঃ বশির জামানকে খুব বেশি অচেনা মনে হচ্ছে। এই লোকটা তার সাথে বেঈমানী করবে এটা তিনি বিশ্বাস করেন না। আবার বশিরের এই অযাচিত অন্তর্ধানের দ্বিতীয় কারণও তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না। মনের ভেতরে বিষবৃক্ষের মত বড় হচ্ছে একটাই প্রশ্ন। কি এমন হয়েছিল তাকিয়া মহলে? যার জন্য পুরো প্রজেক্টটাই একটা অভিশাপে পরিণত হল।
মেরিলিনা নিঃশব্দে এসে দাঁড়ালো। তার গায়ে একটা গাঢ় সবুজ রঙের লেডিস ফতুয়া আর পরনে পায়জামা। ফিরোজ টিভির ভলিউম কমিয়ে দিয়ে বললেন, “বসো।”
“আমার দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলতেই ভালো লাগছে। আগে আমি আপনার পরিচয় জানতে চাই” মেরিলিনা বলল, “তারও আগে বলেন আমাকে এইভাবে তুলে আনার মানে কি? এটা আপনাদের দেশের সভ্যতা?”
মেজর জেনারেল ফ্লাস্ক থেকে কফি ঢালতে ঢালতে বললেন, “বসে কথা বল?”
“আপনার সাহস তো কম না! আমাকে তুমি তুমি করছেন?!” মেরিলিনার কণ্ঠে তীব্র ক্রোধ। ফিরোজ কফির মগটা মেরিলিনার দিকে বাড়িয়ে দিতে দিতে বললেন, “বসো, সব বলছি। তুমি বয়সে ছোট। বয়সে ছোটদেরকে আমি কখনও আপনি বলি না।
মেরিলিনা ফিরোজের দিকে তাকিয়ে বলল, “আপনাকে কোথাও দেখেছি আমি নিশ্চিত। কোথায় দেখেছি বলেন তো।”
“আমাকে তুমি দেখনি। তুমি তাকেই দেখেছ যাকে আমি দেখিয়েছি।”
“ফাজলামি করছেন?”
“হা হা হা। আমি একজন সামান্য সামরিক কর্মকর্তা। প্রথমেই তোমাকে এইভাবে তুলে আনার জন্য আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তোমার ভালোর জন্যই এভাবে আনা হয়েছে। তোমার বাবার সাথে পরিচয় অনেক দিনের। তার সাথে আমি বহু বছর ধরে কাজ করেছি। তাকে শুধু তুমি না, আমিও খুঁজছি। তোমাকে একটা খুশির খবর দেই, যতদূর আমি জানি, তোমার বাবা বেঁচে আছেন।”
“আমি জানি আমার বাবা বেঁচে আছেন।”
“কীভাবে জানো?”
“জানি। আপনি আমার বাবাকে কীভাবে চেনেন?”
“তোমার বাবা যখন জাপানে একটা রিসার্চের কাজ করতে গিয়ে ঝামেলায় পড়লেন, তখন আমি সেখানে ট্রেনিং-এ ছিলাম। ট্রেনিং-এর সুবাদে জেলখানার কয়েদীদের সাথে কথা বলার সুযোগ হয় আমার। সেখান থেকেই তোমার বাবার সাথে আমার পরিচয়। তোমার বাবা ছিলেন সবার থেকে আলাদা। তার ভেতরে জ্ঞান আহরণের একটা প্রবল ইচ্ছা ছিল। তার অপরাধটাও শুনেছি। ঠিক কি কারনে তিনি পিস্তলের মুখে দুইজন মানুষকে ওইরকম একটা কাজ করতে বাধ্য করেছিলেন জানি না। কিন্তু মনে মনে ঠিক করেছিলাম, ভদ্রলোককে আমি সাহায্য করব। করে ছিলামও। ব্যক্তিগত সুপারিশে তাকে প্রথমে ফ্রান্স তারপর ইতালি পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেই। সেখানকার পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা স্কলারশিপের ব্যবস্থাও করিয়ে দেই।”
“আপনি! মানে, আপনিই সেই লোক যে বাবাকে জাপান থেকে ইতালি আসতে সাহায্য করেছিলেন?”
“হ্যাঁ।”
“আমি বাবার ডায়েরিতে আপনার কথা পড়েছিলাম। কিন্তু আপনার নাম জানতাম না। বাবা কোথাও উল্লেখ করেননি। আমার এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না যে আপনিই সেই লোক।”
ফিরোজ নিজের জন্য কফি ঢাললেন। কফির কাপে চুমুক দিয়ে টিভি স্ক্রিনের দিকে তাকালেন। একটা সস্তা গায়ে মাখা সাবানের বিজ্ঞাপন হচ্ছে। তিনি সেই বিজ্ঞাপন দেখতে দেখতে বললেন, “তোমার বাবা অনেক অনেক মেধাবী একজন মানুষ ছিলেন। নিজের দেশের প্রতি তার সব সময়ই একটা অনীহা ছিল। আমি সব সময়ই চাইতাম, আমার দেশের জন্য কিছু একটা করতে। তার দেশ আর আমার দেশ তো একই। তাই ভাবলাম তাকে নিয়েই কিছু একটা করা যাক।”
মেরিলিনা নীরব স্রোতা হয়ে কফির মগে চুমুক দিল। ফিরোজ বলতে লাগলেন, “একটা প্রকল্পের ব্যাপারে তাকে দেশে আসার জন্য অনুরোধ করি। তিনি সেই অনুরোধ ফিরিয়ে দেন। আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলেন। আমি কিছুই মনে করিনি। একা থাকতে পছন্দ করতেন। তাই বেশ কয়েকবছর বিরক্ত করিনি। তারপর হঠাৎ তিনি নিজেই আমাকে একদিন ফোন দিয়ে জানান, সে প্রকল্পটার ব্যাপারে রাজি আছে। তার এই আগ্রহে আমি যথেষ্ট খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু বাধ্য হয়ে তাকে একটা শর্ত দিতে হয়েছিল। তিনি যে দেশে ফিরবেন, সেটা তিনি কাউকে জানাতে পারবেন না। কারণ প্রকল্পটা খুব গোপন ছিল বুঝতেই পারছ। তাই তিনি কাউকে না জানিয়ে দেশে চলে আসেন।”
“আপনিই বাবাকে দেশে ফিরে আসতে বলেছেন!”
“হ্যাঁ। প্রথমে তো উনি রাজি হননি কিন্তু পরে কী কারণে রাজি হয়েছিলেন তাও জানি না।”
“আপনার হয়ত ধারণা নেই আপনি কত বড় একটা অপরাধ করেছেন। আপনি…….আপনি একটা মেয়ের কাছ থেকে তার বাবা আর একজন স্ত্রীর কাছ থেকে তার স্বামীকে কেড়ে নিয়েছেন।”
মেরিলিনার কণ্ঠে ক্রোধ আর চাপা কান্না। একটু আগে যে কৃতজ্ঞতা ছিল সেটা উধাও হয়ে গিয়েছে। মেজর জেনারেল ফিরোজ স্বাভাবিক গলায় বললেন, “বশির জামান অবিবাহিত ছিলেন। আমি যতদুর জানি তার দেশেও কোন আত্মীয়স্বজন নেই। কাজেই তিনি দেশে ফিরে আসলে পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয় বাদে আর অন্য কারও তো তাকে হারানোর কথা না।”
“আমার বাবা বিবাহিত। অবশ্যই বিবাহিত। এবং আমি তার মেয়ে। আপনি কী বলতে চাচ্ছেন আপনি জানেন? আর আমার বাবা ওখানকার একটা মানসিক হাসপাতালেও চাকরি করত।”
রীতিমত চিৎকার করে কথাগুলো বলল মেরিলিনা। ফিরোজ একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেললেন। গলা খাঁকারি দিয়ে গলাটা পরিস্কার করে নিলেন। তারপর বললেন, “কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে মেরিলিনা। হতে পারে তিনি বিবাহিত, হতে পারে তিনি স্থানীয় মানসিক হাসপাতালে চাকরিও করতেন। এবং এগুলোর কিছুই আমি জানতাম না। জানলে অবশ্যই অন্য কোন ব্যবস্থা নিতাম। আমার অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।”
মেরিলিনা মাথা নিচু করে থাকল। এই অচেনা লোকটার সামনে কেঁদে ফেলার কোন মানে হয় না। এই লোকটা তার বাবাকে তার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে। সে ইচ্ছাকৃতভাবেই হোক আর অনিচ্ছাকৃতভাবেই হোক। কেড়ে নিয়েছে তো।
“আমি তোমাকে তোমার বাবাকে খুঁজে পেতে সাহায্য করব। যদি তোমাকে তোমার বাবার কাছ থেকে আলাদা করাটা পাপ হয়ে থাকে, তাহলে এটাকে প্রায়শ্চিত্ত ভেবে নিতে পার।”
মেরিলিনা প্রত্যুত্তরে কিছুই বলল না। কফির মগটা টেবিলে নামিয়ে রাখল। ফিরোজ আবার বললেন, “এর পরে যা কিছুই হোক না কেন, তোমাকে আমার ওপরে বিশ্বাস রাখতে হবে। আমি কথা দিচ্ছি। তোমার বাবাকে আমি খুঁজে বের করব। শুধু তোমাকে একটু সাহায্য করতে হবে।”
মেরিলিনা খুব আস্তে করে মাথা নাড়ল।
ফিরোজ রঞ্জনকে ডাকলেন। মেজর রঞ্জন এসে সোফার পেছনে দাঁড়ালেন। মেরিলিনা একটা ঘৃণামিশ্রিত দৃষ্টিতে তাকালো রঞ্জনের দিকে। রঞ্জন সেই দৃষ্টি অগ্রাহ্য করে ফিরোজের দিকে তাকালেন। রঞ্জনের বাম হাতে লাগানো ব্যান্ডেজটার দিকে তাকালো মেরিলিনা। তার নখের আঁচড়ে বেশ অনেকখানি মাংস উঠে গিয়েছে রঞ্জনের। হয়ত রক্তও বেরিয়েছে। মেরিলিনা মনে মনে খুশি হল।
ফিরোজ তাকে ইশারায় বসতে বললেন। রঞ্জন একটা চেয়ার টেনে নিয়ে বসলেন। সামনে এগিয়ে এসে বসলেন মেজর জেনারেল ফিরোজ। বললেন, “এখন আমি যা যা বলব মন দিয়ে শুনতে হবে তোমাদের দুজনকে। কাল প্রধানমন্ত্রীর মিটিং ডেকেছেন। আশফাক চৌধুরী যাবেন। জানি না আশফাক চৌধুরী ওই তিনজনের টার্গেট কিনা, আর টার্গেট হলেও ওদেরকে অনুসরণ করলেও যে বশির জামানকে পাওয়া যাবে সেটাও নিশ্চিত না। কিন্তু এটা ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় নেই। মেরিলিনা ড্রাইভ করতে পারো?”
মেরিলিনা হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ল।
“তাহলে প্ল্যান শোনো। মেরিলিনা আশফাক চৌধুরীর গাড়ি নিয়ে বের হবে। আর একটা পুরনো করোলা গাড়িতে করে মেজর রঞ্জন আর আশফাক চৌধুরী রওনা হবেন বাড়ি থেকে দশ মিটার দূরে একটা ল্যাম্পপোস্টের কাছ থেকে। পুরনো করোলাটা আমার বাড়ির গ্যারেজে আছে, রঞ্জন কাল গিয়ে আশফাক চৌধুরীর গাড়িটা নিয়ে আসবে। অপেক্ষা করবে ল্যাম্পোস্টের কাছে। ঘুনাক্ষরেও কেউ যেন বুঝতে না পারে যে করোলাটার সাথে আশফাক চৌধুরীর কোন সম্পর্ক আছে।
মেরিলিনাকে আমাদের MRAU এর সবথেকে দক্ষ এজেন্টের তিনটা দল অনুসরণ করবে। প্রথম দলে থাকবে চারজন। ওরা একটা সাদা মারুতিতে থাকবে। দ্বিতীয় দলে থাকবে ছয়জন।
থাকবে ছয়জন। ওরা কয়েকটা মোটরসাইকেলে ভাগ হয়ে থাকবে। আর তৃতীয় দলটা দুটা ড্রোনের মাধ্যমে ওপর থেকে আশফাক চৌধুরীর গাড়িটার ওপরে মানে মেরিলিনার ওপরে সার্বক্ষনিক নজর রাখবে। তাছাড়া সরকারি বাহিনীর পাহারা তো থাকবেই। কিন্তু তাদেরকে এর ভেতরে জড়াবো না আমরা।
যদি আশফাক চৌধুরী টার্গেট হয়, তাহলে মেরিলিনার গাড়িটা ওরা থামাবে। চলন্ত গাড়িতে কিছু করতে পারবে না ওরা। আর তখনই আমাদের এজেন্টের টিম ওদেরকে ঘিরে ফেলবে। অন্তত একজনকে ধরতে পারলেই বাকিদেরকেও আমরা ধরতে পারব। মেরিলিনাকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। কারণ তাকে আমরা টোপ হিসাবে ব্যবহার করছি। অন্যদিকে মেজর রঞ্জন আশফাক চৌধুরীকে নিরাপদে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌছে দিবে। আর যদি আশফাক চৌধুরী টার্গেট না হয়ে থাকে তাহলে আমরা এই একই অপারেশন অন্য রাজনীতিবিদের মাধ্যমে চালাবো। কারও কোন প্রশ্ন আছে?”
মেজর রঞ্জন বলল, “নো স্যার।”
মেরিলিনা হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ল, বলল, “আপনি কোন দলটার সাথে থাকবেন?”
“আমি তোমার গাড়ির ডিকির ভেতরে থাকব” ফিরোজ বললেন।