জ্যোতির্বাষ্প

হে বন্ধু, সবার চেয়ে চিনি তোমাকেই
          এ কথায় পূর্ণ সত্য নেই।
চিনি আমি সংসারের শত-সহস্রেরে
             কাজের বা অকাজের ঘেরে
নির্দিষ্ট সীমায় যারা স্পষ্ট হয়ে জাগে,
     প্রত্যহের ব্যবহারে লাগে,
          প্রাপ্য যাহা হাতে দেয় তাই,
               দান যাহা তাহা নাহি পাই।
অনন্তের সমুদ্রমন্থনে
     গভীর রহস্য হতে তুমি এলে আমার জীবনে।
          উঠিয়াছ অতলের অস্পষ্টতাখানি
               আপনার চারি দিকে টানি।
নীহারিকা রহে যথা কেন্দ্রে তার নক্ষত্রেরে ঘেরি,
জ্যোতির্ময় বাষ্প-মাঝে দূরবিন্দু তারাটিরে হেরি।
তোমা-মাঝে শিল্পী তার রেখে গেছে তর্জনীর মানা,
                   সব নহে জানা।
সৌন্দর্যের যে-পাহারা জাগিয়া রয়েছে অন্তঃপুরে
          সে আমারে নিত্য রাখে দূরে।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *