জেব্রা ক্রসিং-এ

এই চাঁদ খসে পড়ল জেরা
ক্রসিং-এ। তাঁর শরীরে আলোর
যে বন্যা; কে যেন মাড়িয়ে
গেল নিমিশে। জ্যোৎস্নার ব্লাউজ ব্রা
রক্তে ভেজা। ছুরির তীক্ষ্মতা যেন মোর
বুকের উপর তখনো দাঁড়িয়ে।

কোন্‌ ঈশ্বর এই জ্যোৎস্নময়ী
চাঁদের স্তনে আঘাত করেছিল? — জানিনা!
তবু মনে হলো বেশ্যার অপরাধ
কতটুকু? ঈশ্বরতো সবারই জয়ী।
মুদ্রার কাছে শুধু বেশ্য পরাজিতা বৈশ্যাকে ঘরে রাখতে পারিনা
বলেই ঘর থেকে বের কোরে দেয়া–কি স্বাদ
আমি তো বুঝিনা। সেই চাঁদের কলঙ্ক আমি জানি। যেমন সবাই বেশ্যার
কলঙ্ক জেনেও তাঁর কাছে বারবার
যাওয়া আসা; দু’পায়ের গোপন ফাঁদের নিবিড়ে ধরা দেয়া। কি আশার
কথা তুমি শোনাবে এখানে?—জানা আছে আমার!

পড়ে থাকা চাঁদের রাউজ ব্রা
সব কুড়িয়ে যখন ঘরে ফিরছি; দেখি
ভীষণ রক্তে ভিজে গেছে জেব্রা
ক্রসিং। মনে মনে বলি, “তাহলে ঈশ্বরই মেকী!”

২৮/৫/৭৩

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *