জীবনের সাথে আমাদের রূঢ় পরিচয় হয়েছিল
হয়তো বা হয়েছিল মূঢ় পরিচয়
অনুরাধা—শতভিষা নক্ষত্রের রূপ হয়তো বা পঞ্জিকায় দেখে গেছি।
নগরীর নোনাধরা দেয়ালের দ্রাঘিমার পার দিয়ে
লম্বপট আকাশের দিকে চোখ ফেরাতেই
গৃহিনীর অম্লব্যারামের বিম্বে
ছয়টি শিশুর শুশুকের মতো আপ্লুত আকীর্ণ ক্ষোভে আবার এসেছি ফিরে
মারী—ভিষকের মতো বসে আছে গৃহ যেন মড়কের ইঁদুরের ভিড়ে।
এক আধ মুহূর্ত শুধু—
তারপর ইঁদুরের জয় পেল—জয়—তবু মোর মেরুদণ্ড, মনন, আধার
‘ধাড়ি ইঁদুরের মতো মনে হয় কেউ নাই আর’
বলিল গৃহিনী স্ফুরে তাহার মুমূর্ষু চোখে নিখিল জড়ায়ে
মানুষের চামড়াও এই সদ্য—অমৃতার গায়ে
নেই
তার আর আমাদের যাত্রা তবে পঞ্জিকার নক্ষত্রপথেই।