চতুর্থ খণ্ড (স্নেহের দীপঙ্কর আচার্য এবং সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়)
পঞ্চম খণ্ড (বন্ধুবর স্নেহপ্রতিম শ্রী নিতীশ রায় ও বউদিকে)
4 of 6

জিতল কে?

জিতল কে?

নির্বাচন এসে গেলে আমার ভীষণ মজা লাগে। এই আলু, পটল, ঢ্যাঁড়স, কুমড়োর জীবনে বেশ বড় রকমের একটা উত্তেজনা। যেন টেস্ট ক্রিকেট অথবা ওয়ান ডে ম্যাচ! যেন ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের লড়াই। পশ্চিমবাংলায় এখন যা হচ্ছে তা হল রাজীব-জ্যোতির শিল্ড ফাইনাল।

হাটে হাঁড়ি ভাঙার মতো, এ ওর ঘরের খবর, ও এর ঘরের খবর মার্কেটে ফাঁস করে দিচ্ছে। সেইটাই তো মজা। আমরা আদার ব্যাপারি, আমাদের জাহাজের খবরে কী দরকার? আমরা ঘরের খবর জানতে চাই। আমরা চাই কোঁদল। অল্পস্বল্প মারদাঙ্গা হলেও ক্ষতি নেই। যে পুজোর যা নৈবেদ্য। নারকোলের বদলে ভোট পুজোয় নারকুলে বোম পড়লে ষেড়োশোপচার সিদ্ধ হল। ভোট দিয়ে কোনওদিন মানুষের বরাত ফেরেনি, ফিরতে পারে না। ভোট দিলে ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স বাড়ে না। বেকারের চাকরি হয় না, রেশনে বাসমতী চাল আসে না, স্টপেজে দাঁড়ানো মাত্রই আধখালি বাস আসে না, মাইনে বাড়ে না, বিনাপণে মেয়ে পার করা যায় না। ভোট একটা শুদ্ধ, সাত্বিক, জীবন ছাড়া ব্যাপার। দিতে হয়। দাতার মতো দিতে হয়। দিতে-দিতে নাঙ্গা বাবা হয়ে যেতে হয়। প্রত্যাশা কোরো না, প্রত্যাশা একটা নীচতা। উদার মন নিয়ে ফুটো বাক্সে পয়সা ফেলার মতো ব্যালট পেপারটি ভাঁজ করে ফেলে দাও।

কেউ যদি এম এল এ হয়, কি মন্ত্রী হয় হোক না। হয়ে বেশ একটু ইয়েটিয়ে করে নিক না। দিন তো চিরকাল কারুর সমান যায় না। জীবন তো আজ আছে কাল নেই। আর গদি, সে তো আরও ক্ষণস্থায়ী। ভোটের ব্যাপারে চাই পরমপুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি। নীর আর ক্ষীরের মিশ্রণ থেকে ক্ষীরটুকু হাঁসের মতো শুষে নিতে হবে। সাধারণ মানুষের কাছে ভোটের ক্ষীর হল বহু রকমের মজা। প্রথম হল কথার লড়াই। কার কথার কত ধার! ওদিক থেকে রাজীববাবু ছাড়ছেন, এদিক থেকে জ্যোতিবাবু। উনি বলছেন তিনশো কোটি টাকা গেল কোথায়! এদিক থেকে উত্তর, টাকা দিয়েছেন না কি! ওদিক থেকে প্রশ্ন, কেন্দ্রের কাজে কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে? পশ্চিমবাংলার উন্নতি কি চান না! এদিক থেকে উত্তর, লায়ার। ওদিক থেকে প্রতিশ্রুতি, জিতে গদিতে বসলেই দশ লক্ষ বেকারের চাকরি। এদিক থেকে ফুৎকার, চাকরি কি ছেলের হাতের মোয়া, না গাছের ফল! নাড়া দিলেই পাকা আমলকির মতো ঝরে পড়বে! ওদিকের প্রতিশ্রুতি, গদিতে বসলেই দু-টাকা কিলো যোজনগন্ধা চাল। এদিকের কুঁক কুঁক হাসি, সে চাল কোন খেতে ফলে মাইরি! এই যে উতোর চাপান, এ যেন রবিশঙ্করের সেতার আর জাকির হোসেনের তবলার সওয়াল-জবাব।

যাক, একটা উপকার হচ্ছে, দাঁত বের করা দেওয়াল, যার গায়ে সারা বছর জলবিয়োগ হত, সেই দেওয়ালে এক পোঁচড়া করে হোয়াইটওয়াশ পড়েছে, তার ওপর জমে উঠেছে কবির লড়াই। দেওয়ালের লিখন আমাদের কপালের লিখনকে খণ্ডাতে পারবে না। কপালে যা লেখা আছে তা ফলবেই। সকালে শয্যা ত্যাগ, সারাদিন হা অন্ন হা অন্ন। মধ্যরাতে ধুপুস। ঘণ্টাসাতেক নাসিকা গর্জন। প্রাতে সংবাদপত্র। সেখানে নিরন্তর গবেষণা, অমুক জেলার তমুকচন্দ্র বলছেন, এম এল এ মশাই একবারই এসেছিলেন পাঁচ বছর আগে, তারপর আর তিনি এলাকা মাড়াবার অবসর পাননি। কল আছে জল নেই। টিউবওয়েল আছে হাতল নেই। গর্ত আছে রাস্তা নেই। ছাত্র আছে স্কুল নেই। কথা আছে কাজ নেই। অমুক এলাকায় দু-দলের প্রার্থীই জোরদার। ধনাদা আর নোনাদা। লড়াই খুব জমবে। তমুক এলাকায় ভোট ভাঙাভাঙি হয়ে আশাতীত ফল হওয়ার সম্ভাবনা।

ব্যস্ত সাংবাদিকরা পাগলের মতো এলাকায়-এলাকায় টহল মারছেন। ইলেকসান ফোরকাস্ট। পরে মেলানো হবে। মিলিয়ে নম্বর দেওয়া হবে। তখন আর এক মজা, কোন কাগজ বেশি মেলাতে পেরেছে, কোন কাগজ পারেনি। রাজীব একাদশ ভার্সাস জ্যোতি একাদশ। রাজীব হলেন বিলিতি কোচ, সেন্টার ফরোয়ার্ড প্রিয়দাস। সাঁ-সাঁ করে বলে নিয়ে ঢুকছেন, একই ড্রিবল করছেন, বিশেষ থ্রু-পাশ দিচ্ছেন না। এ টিমের দুর্ধর্ষ ব্যাক জ্যোতিবাবু একাই ডিফেন্ড করছেন।

এবারের খেলাটা আর ফুটবল নেই, হয়ে গেছে ব্যাডমিন্টন। চাপসা-চাপসি। রাজীববাবু ও কোর্ট থেকে হাঁকড়াচ্ছেন, এ কোর্ট থেকে ফেরাচ্ছেন জ্যোতিবাবু। জ্যোতিবাবু মারছেন এপাশ থেকে প্লেস করছেন ওপাশে। কে এখন চ্যাম্পিয়ান হবেন দেখা যাক। দু’হাতেই ভালো মার রয়েছে।

আজকাল আর নির্বাচনী সভা তেমন জমে না। মানুষ বক্তৃতা শুনে শুনে ক্লান্ত। সাংবাদিকরা বলছেন, আমরা ভোটাররা নাকি বেশ বুদ্ধিমান হয়ে উঠেছি, অনেকটা সে-যুগের অত্যাচারিতা কুলবধূর মতো। যাদের বুক ফাটত, কিন্তু মুখ ফুটত না! মনের কথা মনেই ধরা আছে, আমরা মুখে কিছু বলছি না। বলব ফুটো বাক্সে নিভৃতে ফেলা একটি ব্যালটে। তবে যে পুজোর যা মন্ত্র। পথসভা করতেই হয়। ওদিকে পাতাল রেলের ঘ্যাজোরম্যাজোর। বিশাল-বিশাল বকরাক্ষসের মতো চিরুণদাঁতী যন্ত্র মাটি কোদলাচ্ছে এদিকে পাশের সুঁড়ি গলিতে আধো অন্ধকারে একটি মাইক নিয়ে গলি-সভা করছেন ক্যান্ডিডেট। সামনে এক ডজন মাত্র শ্রোতা। তা হোক, থেকে থেকে বন্ধুগণের সম্বোধন দিয়ে, নরম গরম সে কি আস্ফালন। প্রতিবারই নির্বাচনের প্রাক্কালে বিপ্লবীদের শ্রীমুখ থেকে কত কী ঝরে পড়ে। শুনলে, পুলক, হর্ষ, স্বেদ, কম্প শাস্ত্রোক্ত সমস্ত লক্ষণই শরীরে ফুটে ওঠে। দিন আগত ওই। ২৩-এর পর ২৪-এর রাতটা পার হয় কি, হয় না, দেশটা এদের হাতে একেবারে অন্য চেহারা নেবে। পাখি সব করে রব, রাতি পোহাইল, কাননে কুসুমকলি সকলই ফুটিল। আধো অন্ধকারে বক্তা অদৃশ্য শত্রুর দিকে থেকে থেকে ঘুসি ছুড়ছেন আর ঘিসিংঘিসিং করছেন। যাক তবু এই সময় আমরা ভোটাররা মাসখানেকের জন্য অন্তত এদলের-ওদলের বন্ধু হয়ে ওঠার সৌভাগ্য লাভ করি। তারপর চুকে বুকে গেলে কে কার বন্ধু? আবার পাঁচ বছরের জন্যে আমরা যে যার সব মায়ের ভোগে চলে যাব।

‘ও দাদা, তুমি যে তখন অত সব বললে, হ্যান করেঙ্গা ত্যান করেঙ্গা, তা কী হল ভাই? আমরা ফি দিলুম, তোমরা তো এক পুরিয়াও মেডিসিন ছাড়লে না।’ দাদা বললে, ‘দূর মুখ্যু, ভোটের পর বোতলের জল আর ফ্যাঁস করে না কি!’ সে গল্পটা কি গুরু! তাহলে শোনো। আদর করে ভোটার ধরে আনা হয়েছে। প্রার্থীর ক্যাম্পে বসিয়ে তাকে লেমোনেড সেবা করানো হচ্ছে। ছিপি খুলতেই জল ফোঁস করে উঠল। তিনি ভোট দিয়ে বেরোনোর পর আর এক বোতল জল চাইলেন। এবার প্লেন সাদা জল। নে ব্যাটা খা। ভোটার বললে, এ কি ফোঁস করল না যে! সঙ্গে-সঙ্গে প্রার্থীর চেলারা বললে, ভোটের পর জল আর ফোঁস করে না। যা ব্যাটা বাড়ি যা।

এই নির্বাচনের সময়, ভোটাররা দুটি প্রাচীন গান স্মরণে রাখতে পারেন। একটি গান রামকুমারবাবুর গলায় প্রায়ই শোনা যায়—বিপদ যখন ঘনিয়ে আসে ধরো মুখে মা, মা বুলি গলার কাঁটা সরে গেলে মাকে সবাই যে ভুলি। এখানে মা হলেন ভোটার। ভোট দাও, কলাপোড়া খাও। আর একটা গান ভোটের সময় ভোটারদের সবসময় গুনগুন করা উচিত—’তুমি কে, কে তোমার’ বলে জীব বের করে ‘আকিঞ্চন’ কে তোমার ভাই! বন্ধুগণ বলে বটে, তবে সত্যিই কি কেউ কারুর বন্ধু? নির্বাচনের পর কোনও নেতা বা মন্ত্রীর কাছে যাও না, তখন দেখতেই পাবে কেমন বন্ধু। একটা জিনিস আমাদের বোঝা উচিত, নেতা বা মন্ত্রী বা এম, এল, এ কজনকে সন্তুষ্ট করতে পারেন। সবাই তো হাঁ করে আছে, খাবি খাচ্ছে। আগে নিজের লোক, চামচাদের খাইয়ে তারপর তো অন্য সকলে। তারপর নিজের কথাও ভাবতে হবে? এ তো আর ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো নয়। সোনার হরিণ ধরতে ছোটো। উদভ্রান্তের মতো গলাবাজি, প্রাণভয়, মারদাঙ্গা, এর কোনও প্রতিদান থাকবে না! এমন হতে পারে! দেশ সেবার জন্যে অকারণে কেউ হাঁকোরপাকোর করে! এমনিই তো দেশে চাকরি-বাকরির এই অবস্থা। বিরাট-বিরাট বিশাল-বিশাল শিক্ষিত ব্যক্তি গালে হাত দিয়ে বসে আছেন। দাড়ি কামাবার ব্লেড কেনারও পয়সা নেই। সংসার পাতার রেস্তো নেই বলে প্রেম বেড়ে যাচ্ছে। মশা আর প্রেম দুটোই বাড়ছে। কোনও স্প্রে দিয়েই বাগে আনা যাচ্ছে না। এইরকম একটা পরিস্থিতিতে দেশসেবার মতো জীবিকা আছে। প্রথম দিকে একটু হাঁটাহাঁটি, চিৎকার চেঁচামেচি করতে হবে; তারপর তো সোজা পথ। বক্তৃতার একটা পেটেন্ট আছে। সেইটা আয়ত্ত করা খুব একটা কঠিন কিছু নয়। যাত্রার যেমন হাসি রাজনীতির তেমনি বক্তৃতা। অনর্গল বলে যেতে হবে শব্দ আর শব্দ। মানেটানে নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না। গলা এই তোলো এই নামাও। ধমকে-ধমকে, গমকে-গমকে, বলে যাও। শুধু হোঁচট খেও না। হোসপাইপে জল দেওয়ার মতো মুখের পাইপে শব্দ নিয়ে যাও। মানুষকে বক্তৃতা ছাড়া আমার কী-ই বা দেওয়ার আছে। এর বাইরে কিছু দিতে গেলেই নিজেদের ভাগে টান পড়ে যাবে। বক্তৃতা ছাড়া আর কিছু দিতে হলে মেটিরিয়াল কিছু না দেওয়াই ভালো। রাখতে পারবে না, যত্ন নেই, নষ্ট করে ফেলবে। অ্যাবস্ট্রাক্ট দাও। যেমন মতবাদ, যেমন ত্যাগের আদর্শ। পরনের কাপড়টা পর্যন্ত খুলে দাও বন্ধুগণ। একটাকা রোজগার হলে আশি পয়সা ট্যাকস দাও। দেশের জন্যে সেবকদের হাতে দিতে শেখো। বেদান্তের দেশ, ধর্মের দেশ। শোনেননি, ভোগ একপ্রকার রোগ বিশেষ। তোমাদের হাতে একটা পার্ক দেওয়া মানে, গেঁজেল আর সমাজবিরোধীদের আড্ডা হওয়া। রাস্তা দেওয়া মানেই এ ও সে এসে গর্ত খুঁড়বে। হাসপাতাল দেওয়া মানে বাড়ির লোকের দায়িত্ব কমিয়ে দেওয়া, পারিবারিক বন্ধন শিথিল হতে দেওয়া। আপনজন অসুস্থ হলেই, দাও তাকে হাসপাতালে, বেশ মজা! হাসপাতালের পরিবেশ আমরা ইচ্ছে করে এমন করে দিচ্ছি যাতে যাওয়ার নাম করলেই ভয়ে আতঙ্কে রোগ ভালো হয়ে যায় বা যে শুধু ভোগাবে, ভোগাতে-ভোগাতে গেরস্থকে সর্বস্বান্ত করে সেই মায়ের ভোগেই যাবে, হাসপাতাল যেন সেই যাওয়াটাকেই একটু কুইক করে দেয়। আধুনিক ভাষায় একে বলে রিভার্স প্ল্যানিং । যাঁরা গাড়ি চালান তাঁরা জানেন ব্যাক গিয়ারে গাড়ি চালানো কত শক্ত! সেই শক্ত কাজটাই এখন করা হচ্ছে। ভোটারদের কাছে একটিই নিবেদন, চাইবেন কেন, চেয়ে নিজেকে ছোট করবেন কেন! জীবন যে রকম পেয়েছেন মৃত্যুও সেইরকম না চাইতেই পাবেন। জীবনের এই তো সবচেয়ে বড় দুটো পাওনা। এর মাঝে ছুটকো-ছাটকা ছ্যাঁচড়া ব্যাপার নিয়ে মাথা ঘামানো!

এবারের নির্বাচনের গোটাকতক ইস্যু চোখে পড়ছে। রাজ্যের হাতে আরও ক্ষমতা, আমার হাতে নয়। রাজ্যের হাতে আরও টাকা, আমার হাতে নয়। জাতীয় সংহতি ও ঐক্য। দলীয় সংহতি বা ঐক্য নয়। দল কাঁচের গেলাসের মতো টুকরো হয়ে যাক। এবারে তো একই কেন্দ্রে একই দলের একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। অবশ্য এ ব্যাপারেও শাস্ত্রসম্মত। সেই আমরা শুনে আসছি না! নৈকষ্য-কুলীন আর ভঙ্গ-কুলীন। দল, ভঙ্গদল, ভঙ্গ-ভঙ্গ দল। হোমিওপ্যাথির ডাইলিউশান। যত ডাইলিউট হচ্ছে তত সেবা করার পোটেনসি বা রস বাড়ছে।

সে যাই হোক, ওইটাই ভালো লাগে, বুদ্ধ, শ্রীচৈতন্য বা তীর্থঙ্কর যেন মাধুকরীতে বেরিয়েছেন। ধুতি-পাঞ্জাবি পরা বৃষকাষ্ঠের মতো প্রার্থী এসে দাঁড়িয়েছেন গৃহস্থের শ্যাওলাধরা অঙ্গণে। আশেপাশে সুস্মিত সংকীর্তনের দোয়ারকির দল। প্রার্থী মধুর হেসে মাথাটি নত করলেন, ‘আশীর্বাদ করুন বা’ মাথা তুললেন। করুণ মুখচ্ছবি। সন্তান যেন সন্ন্যাস নিয়ে বিদায় নিতে এসেছেন। এরই মাঝে একজন ভেটারেন প্রার্থী আছেন, তিনি কখনও হারেন, কখনও জেতেন, তাঁর টেকনিক হল, মা বলেই ফেউ ফেউ করে কেঁদে ফেলা।

তারপর! অন্য দৃশ্য। বিজয়ী প্রার্থী মিছিল করে লরির মাথায় চেপে চলেছেন। ঘাড় উচু। গলায় মালার পরে মালা, মাথায় আবীর। চেলাদের চেহারা নিমেষে চামুণ্ডায় রূপান্তরিত। বিশাল চিৎকার। বিপুল পটকা-বিস্ফোরণ। জিতল কে? আবার কে? আনতমস্তক সেই প্রার্থীর তাকাবার ধরনটাই তখন আলাদা। উদ্ধত সুদূর। তিনি তখন আর সাধারণের নয়, দলের। পার্টির একজন। সাধারণের তিনি কেউ নন। সংখ্যা গরিষ্ঠ শাসক দলের একটি সংখ্যা মাত্র।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *