উৎসর্গ
গত বৎসরকার বসন্তের ফুল লইয়া এ বৎসরকার বসন্তে মালা গাঁথিলাম । যাঁহার নয়ন-কিরণে প্রতিদিন প্রভাতে এই ফুলগুলি একটি একটি করিয়া ফুটিয়া উঠিত , তাঁহারি চরণে ইহাদিগকে উৎসর্গ করিলাম ।
সূচনা
ছবি ও গান নিয়ে আমার বলবার কথাটা বলে নিই । এটা বয়ঃসন্ধিকালের লেখা , শৈশব যৌবন যখন সবে মিলেছে । ভাষায় আছে ছেলেমানুষি , ভাবে এসেছে কৈশোর । তার পূর্বেকার অবস্থায় একটা বেদনা ছিল অনুদ্দিষ্ট , সে যেন প্রলাপ বকে আপনাকে শান্ত করতে চেয়েছে । এখন সেই বয়স যখন কামনা কেবল সুর খুঁজছে না , রূপ খুঁজতে বেরিয়েছে । কিন্তু আলো-আঁধারে রূপের আভাস পায় , স্পষ্ট করে কিছু পায় না । ছবি এঁকে তখন প্রত্যক্ষতার স্বাদ পাবার ইচ্ছা জেগেছে মনে কিন্তু ছবি আঁকবার হাত তৈরি হয় নি তো ।
কবি সংসারের ভিতরে তখনও প্রবেশ করে নি , তখনও সে বাতায়নবাসী । দূর থেকে যার আভাস দেখে তার সঙ্গে নিজের মনের নেশা মিলিয়ে দেয় । এর কোনো-কোনোটা চোখে দেখা একটুকরো ছবি পেনসিলে আঁকা , রবারে ঘষে দেওয়া , আর কোনো-কোনোটা সম্পূর্ণ বানানো । মোটের উপরে অক্ষম ভাষার ব্যাকুলতায় সবগুলিতেই বানানো ভাব প্রকাশ পেয়েছে , সহজ হয় নি । কিন্তু সহজ হবার একটা চেষ্টা দেখা যায় । সেইজন্যে চলতি ভাষা আপন এলোমেলো পদক্ষেপে এর যেখানে-সেখানে প্রবেশ করেছে । আমার ভাষায় ও ছন্দে এই একটা মেলামেশা আরম্ভ হল । ছবি ও গান কড়ি ও কোমলের ভূমিকা করে দিলে ।
Leave a Reply