স্নানার্থীরা সবাই মাপে জল–
কেউ ঝুঁকে, কেউ গভীরতর কষ্টে, আরো নিচ।
প্রতিবিম্ব নিজেকে দ্যাখে স্বচ্ছ, অবিকল।
সারাটা দিন মিথ্যে ঘুরি পিছে।
অসম্ভবের পাষ্পে ভ’রে আচম্বিতে
দু’চোখ যদি স্রোতের টানে বিলম্বিত তাকায়–
পুরনো জল উপচে পড়ে কলসটিতে।
অমল যাদু কলসটিকে উপুড় ক’রে রাখায়!
না হ’লে ওই মৃত্তিকার প্রান্ত ছুঁয়ে
ঢেউ-ভাঙা স্রোত তবুও কেন ভাসায় না কূল!
জোয়ার কারো উজান, কারো হৃদয় ধুয়ে
মাল্য হ’তে হঠাৎ খসে দু’একটি ফুল।
স্বপ্ন শুধু স্বয়ংবৃত; বিবিধ ক্ষণ
যত্নে-আকা সিঁথির মতো একাকী রয়।
চিবুক ছুঁয়ে, তথাপি সে নিষিদ্ধ জন–
পেঁচিয়ে ওঠে সত্তা জুড়ে বিষাক্ত ভয়।
দিব্যেন্দু পালিতের কবিতাগুলো এখানে আপডেড করা হবে।