কাল সারারাত বৃষ্টি হয়েছিল
মেঘের প্রবল খেলার ভঙ্গিতে আমি এক নিবিড় শুয়েছিলাম
কোমল শয্যার শরীরে
আমার চৌদিকে বৃষ্টির নিপুণ করতালি
ডাকছিল আমাকে।
“আয় আয় ভিজে উঠি গুরুজনের দারুণ চোখ ফাঁকি দিয়ে”—
যেন পেয়ে গেছে বালকবেলার সাথী!
কাল সারারাত একা একা বৃষ্টি হয়েছিল
টিনের ছাদে খেলছিল তুমুল
যৌবনের ব্যস্ত প্রেমিকের মতো ছুটেছিল পার্কে বাগানে—
নদী কি এখনো বসে আছে ভীষণ উৎকন্ঠায় ?
আমিতো মেঘের অনুচর বিষে নীল গোলাপ
শহরময় হেঁটে গেলে ঘেমে যায় ক্ষয়িত পাথর
আমিতো জোৎস্নার শত্রু, ঘন কুয়াশা বক্ষের বন্ধু!
আমার খেলার ভঙ্গিতে বর্ষাতি চাপিয়ে গায় ছুটে যায় মহাজন
রাজাধিরাজ
ব্যাকুল চেয়ে থাকে সম্রাজ্ঞীর করুণ হৃদয় কিশোরীর বুক
আমিতো খেলছি এই মধ্যরাতে ; টিনের ছাদে খেলছি একা একা
সখী নেই
আমিতো এক্ষুণি চলে যাবো বিষন্ন মেঘের ইশারায় –
হয়তো বা
সেই মেঘ ভেবেছিল বহুবার?
আমি একা শুয়ে আছি; নিবিড় শুয়ে আছি
কোমল শয্যার শরীরে
সেই বৃষ্টি এখনো কি সখীবিনা ঘরে বেড়ায় আকাশের একলা পথে
আমি যেমন শুয়ে আছি এই বিজন ঘরে?
১২/৭/৭২