চিলেকোঠার সেপাই – ৫০
ওসমানের সঙ্গে আনোয়ারও সারাদিন বন্দী। তবে এভাবে থাকার কয়েকটি সুবিধাও সে আজ আবিষ্কার করলো। তাদের বাড়ির মতো সবসময় লোকজনের আসা যাওয়া নাই। তবে লোক দ্যাখার ইচ্ছা হলে ছাদে রেলিং ধরে দাঁড়ালেই হলো। বাসে, স্কুটারে, রিকশা, গাড়িতে এবং নিজনিজ পদযুগলে চলমান মানুষের বিরতিহীন প্রবাহ। সবই দ্যাখা যাচ্ছে, কিন্তু আনোয়ার আছে নিরাপদ দূরত্বে। তার ইচ্ছা না হলে কেউ তার দিকে ফিরেও তাকবে না। আবার ঘরের মধ্যেও একা হয়ে রয়েছে, ওসমান তাকে চিনতে পাচ্ছে না বলে আনোয়ার পরিণত হয়েছে ১জন যে কোনো মানুষে। ওসমানও কি একা থাকার স্বস্তি উপভোগ করে?– মনে হয় না। সে তো সবসময় কারো না কারো সঙ্গে কথা বলেই চলেছে। তার পছন্দমতো লোক সে বেছে নেয়, কিংবা তার কপালগুণে পছন্দসই লোকজন তার চোখের সামনে আসে এবং তাদের সঙ্গে কথা বলে জটিল মাথা আরো জটিল করে তোলে। তার কথাবার্তা বেশির ভাগই অস্পষ্ট। উচ্চারণের ভঙ্গি থেকে মনে হয় আজ বোধহয় খুব কবিতা আবৃত্তি করছে, কবিতার কোনো শব্দই বোঝা যায় না, তবে এটুকু ধরা যায় যে তার বেশির ভাগ শব্দই ২ সিলেবলের। মাথার জটিলতা ঝেড়ে ফেলার জন্যে কি ওসমান এই পথ ধরলো? একজন পাগলের পক্ষে কি শব্দ সাজানো সম্ভব?-এই নিয়ে আনোয়ার বেশ সমস্যায় পড়ে, কাল ওসমানকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে কথাটা তুলতে হবে।
বিকালবেলা আলতাফ ঘরে ঢোকে, তার মাথায় অন্য সমস্যা। কি দোস্ত? এখানে ঢোকাটাই তো মুশকিল। দরজার সামনেও রিকশার লাইন।
‘চুকতে তো তবু পারলে। বেরুনো প্রায় অসম্ভব। সকালে শুনলাম নতুন লাইসেন্স নেওয়ার জন্য রিকশার কিউ নাকি গ্যাণ্ডারিয়া পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।
সকালে ছিলো গ্যাণ্ডারিয়া পর্যন্ত? এতোক্ষণ তাহলে নারায়ণগঞ্জ। আলতাফ ঠাট্টা করে, কিন্তু ঢাকায় রিকশা বৃদ্ধির সরকারী পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে তার হাসি মুছে যায়, এসব আসলে শয়তানি বড়ো শহরে কখনো রিকশা থাকে? সিটিতে থাকবে অটোমোবাইলস পাঞ্জাবির ঢাকাকে কিছুঁতেই সিটি ডিক্লেয়ার করবে না, বুঝলে? সিটি ঘোষণা করলেই এখনে চাকরিরত যাবতীয় লোককে সিটি এ্যাঁলাউন্স দিতে হবে। শালদের বুক টাটায়। ওদিকে বাঙলার কৃষকের রক্তে গড়ে তোলে করাচি। করাচি কমপ্লিট হলো তো ইসলামাবাদ!
ঢাকাকে সিটি বানালে বাঙলার কৃষকের লাভ কি?
তোমার তো লাভ হয়। তুমি সিটির অধিবাসী হতে পারো। তোমাদের কলেজের গভর্নিং বডিকে প্ৰেশার দিয়ে বাড়িভাড়া বাড়িয়ে নিতে পারো। এক্সট্রা পাওনটা না হয় তোমাদের বিপ্লবের জন্যে চাঁদা দিলে। কথাটা বলতে পেরে আলতাফ খুশি হয় এবং একটু চা খেতে চায়।
দাঁড়াও, আমি নিয়ে আসছি। আমার ভাতও খেতে হবে। দুপুরে কিছু খাইনি।
রেস্টুরেন্টে খেয়ে এবং ওসমানের জন্যে প্লেটে খাবার ও সবার জন্যে কেতলিতে চা এনে আনোয়ার দ্যাখে যে ওসমান দাঁড়িয়ে রয়েছে ছাদে, পাশে জুম্মন।
আলতাফকে একটু বিচলিত মনে হচ্ছে, একটু আগে এই ছোকরা এসেছে। ওসমান তো চিনতেই পাচ্ছিলো না। অথচ দাখো এই ছোকরা এসে কি ইশারা করলো আর সঙ্গে সঙ্গে চলে গেলো ছাদে। ওসমানের কথাবার্তা শুনে আমার কিন্তু ভয় করছে।
ওসমানের দাঁড়িয়ে থাকার মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ফুটে উঠছে। আজ সারাদিন তো ভালোই কাটলো। বিড়বিড় করে নানান লোকের সঙ্গে কথা বলা ও ২ সিলেবলের অস্পষ্ট ছড়া আবৃত্তির মধ্যেই তার তৎপরতা সীমাবদ্ধ ছিলো। কিন্তু এখন জুম্মনের পাশে তার দাঁড়াবার ভঙ্গিতে বিপদের সংকেত সেকেন্ডে সেকেন্ডে স্পষ্ট হচ্ছে।-খিজির, আমি রেডি। জুম্মনও এসে পড়েছে। তুমি তোমার জিনিসপত্র নাও। অদৃশ্য খিজিরকে ওসমান তার জিনিসপত্র দেওয়ার প্রস্তাব করতেই জুম্মন নিজের হাফ প্যান্টের পকেট থেকে স্কু-ড্রাইভার ও প্লায়ার বার করে ওপরদিকে তুলে ধরে। ওসমান ধমক দেয়, আরে ওখানে ধরিস কেন? এদিকে।
কিন্তু জুম্মন ওদিকে গেলেও খিজির সেসব স্পর্শ করে না। ওসমান বলে, আরে ও তো অনেক ওপরে, তুই ছুঁতে পারবি না। আমাকে দে। জুম্মন বিনা দ্বিধায় যন্ত্রগুলো ওসমানের হাতে সমর্পণ করে। অদৃশ্য ও ঝুলন্ত খিজিরের হাতে ওগুলো অর্পণ করার উদ্দেশ্যে ওসমান ওপরদিকে লাফ দিলো। খিজির নিশ্চয়ই আরো ওপরে আছে কিংবা এও হতে পারে যে দুষ্টুমি করে ওসমানের ছোঁয়ার বাইরে থাকার জন্য বারবার স্প্রিঙের মতো ওপরে উঠে যাচ্ছে।
আরে খিজির কি শুরু করলে? তোমার স্কু-ড্রাইভার, তোমার প্লাস না প্লায়ার কি বলে, –এই নাও। একি? কিন্তু খিজির তার আয়ত্তের বাইরেই থেকে যায়, ওসমানের লাফ দেওয়ার গতি ও তীব্রতা ক্রমে বাড়ে। হাইজাম্পে ওর অসাধারণ দক্ষতা দেখে আনোয়ার ও আলতাফ মুগ্ধ। তবে এই দক্ষতা আরেকটু বাড়লেই ছাদের রেলিংটপকে ওসমান নির্থাৎ নিচে পড়ে যাব। ওকে ধরার জন্য তাই ২ জনেই দৌড়াতে শুরু করে। কিন্তু ওসমান প্রতি পলকে জায়গা বদলাচ্ছে। তাছাড়া আরো মুশকিল আছে। পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহের অনুকরণে নিজের শরীরকে অক্ষ হিসাবে ব্যবহার করে ওসমান ঘোরে আহ্নিক গতিতে এবং এভাবে ঘুরতে ঘুরতে, বরং বলা যায় ঘুরপাক খেতে খেতে চক্রাকারে আবর্তিত হয় ছাদের অনেকটা জায়গা জুড়ে। এই শেষ তৎপরতাটিকে পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহের বার্ষিক গতির সঙ্গে তুলনা করা যায়। তবে পৃথিবী ও অন্যন্য গ্রহ ওসমানের মতো ওপরদিকে লাফায় কি-না তা আনোয়ার বা আলতাফের জানা নাই। এরা ২ জনেই তার পিছে ঘুরছে, তার ২টো উপগ্রহের মতো তার মাধ্যাকর্ষণ এলাকার মধ্যেই থাকছে, কিন্তু তাকে স্পর্শ করতে পাচ্ছে না। খিজিরের প্রতি মিনতি জানাতে ওসমান কিসব বলছে, তার কথা মাঝে মাঝে ছন্দোবদ্ধ। তবে এর বেশির ভাগ উচ্চারণ ২ সিলেবলের, এগুলো আদৌ কোনো শব্দ কি-না বোঝা যায় না।
ওসমানের দিকে ছুটছিলো জুম্মনও। আলতাফ হঠাৎ করে তার ঘাড়ে হাত দিয়ে তাকে থামায়, নিজেও থেমে হাঁপায়, তোকে আসতে বললো কে?
তোর ঐসব ইয়ে, মানে খিজিরের ঐ প্লায়ার আর স্ক্রু-ড্রাইভার দেখেই ওসমানের মাথায় রক্ত চড়ে গেলো। তুই চলে যা না। আনোয়ারও অভিযুক্ত করলো জুম্মনকেই, কিন্তু সে দৌড়ানো থামায়নি।
আলতাফ ফের নতুন উদ্যমে দৌড়াতে শুরু করে, ঐ অবস্থাতেই সে জুম্মনকে নির্দেশ দেয়, ‘তুই যা না বাবা!
মগর আমার পেলাস? আমার ইসকু ডেরাইভার? জুম্মনের এই দাবীর জবাব দেয় আনোয়ার, তুই তো দিয়েই দিলি খিজিরকে দেওয়ার জন্য ওসমানকে দিলি না?
কৈ, ঐ সাবে তো খিজিরের নাগাল পাইতাছে না। ওসমান এইবার অনেক ওপরে লাফ দিয়ে শূন্যের দিকে ছুড়ে দেয় ক্ষু-ড্রাইভার ও প্লায়ার, নাও, খিজির। ধরো! তোমার জিনিস ধরে ফেলো’
জু-ড্রাইভার পড়ে যায় ছাদের এক কোণে। কিন্তু প্লায়ারটা ছাদের রেলিং ডিঙিয়ে পড়লো নিচে। অবশ্য খিজির মাঝপথে ওটা ধরে ফেলে তো আলাদা কথা। ভু-ড্রাইভারটা চট করে কুড়িয়ে নিয়ে চিলেকোঠার ভেতর দিয়ে গিয়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে গেলো জুম্মন। রেলিঙে ভর দিয়ে ঝুঁকে আলতাফ দেখলো রাস্তার ধারে ড্রেনে হাত ঢুকিয়ে জুম্মন প্লায়ারটি খুঁজছে। আলতাফ আরো কিছুক্ষণ দেখতো, কিন্তু ওসমান ধপাস করে বসে পড়েছে ছাদে, আনোয়ার তার কাধে হাত দিতে সুবোধ বালকের মতো সে উঠে দাঁড়ায়, চলেন। কোথায় যেতে হবে চলেন।
বিছানায় বসে ওসমান একটু হাঁপাতে হাপাতে বিড়বিড় করে তার দুই-সিলেবল-প্রধান শব্দের পদ্য আবৃত্তি করে চললো। তার চোখ নিচের দিকে, মনে হয় সে যেন নামাজে বসে সুরা পড়ছে। আলতাফ আস্তে আস্তে আনোয়ারকে সাবধান করে দেয়, ‘আনোয়ার, এর কভিশন কিন্তু খুব খারাপ। হাসপাতালে দিয়ে দাও। একটা এ্যাঁকসিডেন্ট হলে—।
দূর! আজ সারাদিন তো ভালো ছিলো। এ্যাঁসোলিউটলি নর্মাল। জুম্মনকে দেখে এই কাণ্ডটা করলো। সীজন চেঞ্জ হলে ইমপ্রভ করবে।’ আনোয়ার বললো বটে, কিন্তু মনে হয়, পাবনাতেই যদি শেষ পর্যও পাঠাতে হয়। রোগীর সঙ্গে ওরা কি কাউকে থাকতে দেয়? না, তা দেবে কেন? তখন? আনোয়ার তখন কি করবে? এই যে এতোদিন পর কলেজ খুললো, মার্শাল ল হবার পরদিনই খুললো, এখন থেকেই আবার বন্ধের পায়তারা চলছে। আবার শোনা যাচ্ছে কলেজ নাকি উঠে যাবে, কলেজের ফান্ড খুব খারাপ। তা উঠলেই কি আর থাকলেই কি, ঐ কলেজে সপ্তাহে ৬টা ক্লাস করা কি কোনো কাজ হলো? ওসমান হাসপাতালে গেলে আনোয়ার ঢাকা থাকবে আর কি করতে করমালিকে কথা দেওয়া হয়েছে, গ্রামে যেতে হবে। আত্মীয়স্বজনের পুরুষানুক্রমিক শয়তানির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা, তাদের কাছে অবাঞ্ছিত ব্যক্তিতে পরিণত হওয়া, আবার যাদের সঙ্গে কাজ করবে তাদের নিরঙ্কুশ আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়েও অব্যাহত রাখা;-এসব ভাবলেই অবসাদে গা এলিয়ে পড়ে। এই অবসাদ কাটাবার জন্যে ঝাঁঝালো মেজাজে আলতাফকে জিগ্যেস করে, তোমার খবর কি? পলিটিক্যাল এ্যাকটিভিটিস?
ভালো। খুব ভালো রেসপন্স পাওয়া যাচ্ছে।
তা তো পাবেই। আনোয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বীকার করে, মাঠ তো তৈরি করা হয়েছে। এই মাঠকে তোমরা পকেটে পোরার ব্যবস্থা করছে। মুভমেন্টের সময় যেসব লোক পিপলের টার্গেট ছিলো এখন তোমাদের ডানার নিচে এসে গ্রামকে তছনছ করে বেড়াচ্ছে।
ডানা থাকলেই ডানার নিচে মানুষ আসে আনোয়ার। ন্যাশনালিজমের ডাকে নানা ধরনের লোক তো আসবেই। আমাদের নেতা এখন সকলের নেতা। সবাই তাকিয়ে আছে বত্রিশ নম্বরের বাড়িটার দিকে।
কোন কাগজে পড়লাম, বত্রিশ নম্বর নাকি মার্শাল ল-র খবর পেয়ে বাক্স পেটরা সাজিয়ে ঘরের বারান্দায় বসে ছিলেন। আমি এলেই ওদের গাড়িতে উঠে পড়বেন।
ভয়ডর জিনিসটা তার একটু কম। জীবনের অনেকগুলো বছর যার জেলে কাটলো তার আবার ভয় কিসের?
ভয়টা তো জেলের বাইরেই বেশি। বাইরের ঝড়-ঝাপ্টা তার গায়ে লাগে না। মাঝে মাঝে বাইরে এসে ঝড়ে-পড়া আম কুড়াবেন।
ঝড়-ঝাপটা কি সব সময় ভালো? ঢাল নাই তলোয়ার নাই নিধিরাম সর্দার হয়ে লাভ কি?
ঢাল তলোয়ার ছাড়াই যা হলো তাতেই নেতা বেরিয়ে আসতে পারলেন। এখন তার কাজ হলো নিধিরামদের হাতে ঢাল তলোয়ার যাতে উঠতে না পারে সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। এই এ্যাঁসাইনমেন্ট তাকে দিলো কে?
র্যাকে মুক্ত করে আনার জন্যে মানুষ বুলেটের সামনে এগিয়ে যায় তাকে কেউ কোনো এ্যাঁসাইনমেন্ট দিয়ে মাঠে নামাতে পারে না, বুঝলে? আলতাফের গলা বেশ চড়ে গেছে, তোমাদের বাড়াবাড়ির জন্য মাশার্ল ল হলো। কয়েকটা দিন দ্যাথো, আমাদের নেতা-।
ওসমানের বিড়বিড় আবৃত্তি হঠাৎ বিকট উচ্চকণ্ঠ হয়ে উঠলো, এবার তার ধ্বনিসমূহ শব্দ বলে চেনা যায়, মার্শাল ল, ইয়েস মার্শাল ল, লিটল লিটল ক খ গ বারবার বললে এর অস্ত্যমিল স্পষ্ট হয়।
সারাদিন এই কথাগুলো আনোয়ার বুঝতে পারেনি, এখন সবগুলো ধ্বনি শব্দ হয়ে ওঠার পর সে ক্লান্ত বোধ করে, আঃ ওসমান, থামো।
ওসমান ধরণা দেয় আলতাফের কাছে, আপনি একটু বলেন না। আপনারা আমাকে রিলিজ করে দিন। আমার কাজ আছে।
ওসমান, আমাকে চিনতে পাচ্ছে না? ওসমানের মাথায় তার নিজের পরিচয় একেবারে ঢুকিয়ে দেওয়ার জন্যে আলতাফ হন্যে হয়ে ওঠে, আমি আলতাফ মনে নেই? তোমার বন্ধু আলতাফ
ওসমান বিনীত ভঙ্গিতে মাথা নিচু করে, কি যে বলেন। আপনাকে চিনবো না কেন? আপনারা দুজনে তো একই র্যাঙ্কের অফিসার, না? কর্নেল? না ব্রিগেডিয়ার? না মেজর?
আনোয়ার বলে, ‘নাও আলতাফ, আর্মিতে এতো বড়ো দুজন বাঙালি অফিসার পেলে। এখন তোমরা খুশি তো?
আপনারা দরজাটা খুলে দিন না! ওসমান এই অনুরোধ করে ফের বিড়বিড় করে আবৃত্তি করে, আগডুম বাগডুম ইন খোলা মাঠ, বন্ধ কপাট ইয়েস বন্ধ কপাট।
‘আঃ! থামো না ওসমান। আনোয়ারের নির্দেশ ওসমান মানে না, সে আবৃত্তি করেই চলে, দুইজন কর্নেল একখানা খাট, বন্ধ কপাট ইয়েস বন্ধ কপাট।