“তোমারই’ কথাটাকে সাধুভাষার ছন্দেও আমরা “তোমারি’ বলে গণ্য করি। এমন একদিন ছিল যখন করা হত না। আমিই প্রথমে এটা চালাই। “একটি’ শব্দকে সাধুভাষায় তিনমাত্রার মর্যাদা যদি দেও তবে ওর হসন্ত হরণ করে অত্যাচারের দ্বারা সেটা সম্ভব হয়। যদি হসন্ত রাখ তবে দ্বৈমাত্রিক বলে ওকে ধরতেই হবে। যদি মাছের উপর কবিতা লেখার প্রয়োজন হয় তবে “কাৎলা’ মাছকে কা-ত-লা উচ্চারণের জোরে সাধুত্বে উত্তীর্ণ করা আর্যসমাজি শুদ্ধিতেও বাধবে। তুমি কি লিখতে চাও —
পাতলা করিয়া কাটো কাতলা মাছেরে,
উৎসুক নাতনী যে চাহিয়া আছে রে।
আর, আমি যদি লিখি —
পাৎলা করি কাটো প্রিয়ে কাৎলা মাছটিরে,
টাট্কা করি দাও ঢেলে সর্ষে আর জিরে,
ভেট্কি যদি জোটে তাহে মাখো লঙ্কাবাঁটা,
যত্ন করে বেছে ফেলো টুক্রো যত কাঁটা।
আপত্তি করবে কি। “উষ্ট্র’ যদি দুইমাত্রায় পদক্ষেপ করতে পারে তবে “একটি’ কী দোষ করেছে।
“জনগণমন-অধিনায়ক’ সংস্কৃত ছন্দে বাংলায় আমদানি।
৭ ভাদ্র, ১৩৩৮