3 of 8

চিকিৎসা

চিকিৎসা

সেই ভদ্রমহিলার কথা মনে আছে?

যিনি তাঁর অসুস্থ পোষা কুকুরের জন্যে ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন ডাক্তারের দোকানে। কম্পাউন্ডার ভদ্রলোেক সব শুনে এক বোতল ওষুধ দিলেন মহিলাকে।

ওষুধের বোতলটি হাতে নিয়ে অনেক নেড়ে-চেড়ে গায়ের লেবেলের বিবরণী আদ্যোপান্ত খুঁটিয়ে পড়ার পর ভদ্রমহিলা কম্পাউন্ডারবাবুকে বললেন, ‘কই এর মধ্যে এই লেবেলের গায়ে তো লেখা নেই যে এটা কুকুরের জন্য অথবা পশুর জন্য।’

এ কথা শুনে কম্পাউন্ডারবাবু জবাব দিলেন, সত্যিমিথ্যা যাই হোক এ রকম জবাব ওঁরা দিয়ে থাকেন, তিনি বললেন, ‘আসলে এই ওষুধটা হল জন্তু আর মানুষ দুইয়েরই জন্যে, উভয়েরই কাজে লাগে।’

কম্পাউন্ডারবাবুর কথায় উল্লসিত হয়ে ভদ্রমহিলা বললেন, ‘জন্তু আর মানুষ দুইয়েরই ওষুধ। তা হলে আরেক বোতল দিন। আমার স্বামীর জন্যেও একটা নিয়ে যাই।

এ হল স্বামীর চিকিৎসার গল্প।

এবার তা হলে স্ত্রীর চিকিৎসার গল্পও বলতে হয়।

এ গল্পটা একটু নিষ্ঠুর।

এক ভদ্রলোক এক ডাক্তারের খুবই প্রশংসা করছিলেন। সবাই প্রশ্ন করল, ‘ব্যাপারটা কী?’

ভদ্রলোক বললেন, ‘ডাক্তারবাবু আমার স্ত্রীর সব অসুখ একদিনে সারিয়ে দিয়েছেন। আমার স্ত্রী রাতদিন ঘ্যানঘ্যান করতেন মাথাব্যথা, কোমর ঝিঁ ঝিঁ করছে, চোঁয়া ঢেকুর উঠছে। ডাক্তারবাবুর এক কথায় সব সেরে গেল।’

সবাই অবাক। সর্বরোগহর এমন কী কথা বললেন ডাক্তারবাবু?

তখন ভদ্রলোক জানালেন, ‘ডাক্তারবাবু আমার স্ত্রীকে বলেছেন এগুলো সব বয়েস বাড়ার লক্ষণ। কোন মহিলা আর নিজের বয়েস বাড়ার কথা মানতে চান। আমার স্ত্রী এরপর থেকে একদম চুপ করে আছেন।’

এর কাছাকাছি আর একটি গল্প আছে অন্য মহিলাকে নিয়ে যিনি ডাক্তারবাবুর কাছে স্বামীর জন্যে ওষুধ আনতে গিয়েছেন। বৃদ্ধ স্বামী, তরুণী ভার্যা। অন্যান্য ওষুধপত্রের পর কয়েকটা স্লিপিং পিল দিলেন।

মহিলা প্রশ্ন করলেন, এই পিলটা ওঁকে কখন দেব। ডাক্তারবাবু বললেন, ওঁকে দেবেন না। আপনি সন্ধ্যাবেলা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়বেন। তা হলেই উনি তাড়াতাড়ি ভাল হয়ে যাবেন, সুস্থ হয়ে উঠবেন।

অসুখের এই গল্পে ডাক্তারবাবু একটু এগিয়ে আছেন, বৃদ্ধ রোগীর তরুণী ভার্যার ক্ষেত্রে এ রকম নির্দেশ সম্ভব।

এবার এক নাবালকের উপাখ্যানে যাই যেখানে ডাক্তারবাবু পিছিয়ে আছেন।

ডাক্তারবাবুর চেম্বারে একটি ছোট শিশুকে নিয়ে আসা হয়েছে। তার বয়েস হবে বছর চারেক। তার পিঠে একটা বড় ফোঁড়া উঠেছে।

সেই ফোঁড়াটা কাটতে হবে। ডাক্তারখানার কম্পাউন্ডারবাবু আর শিশুটির মা তাকে জোর করে চেপে ধরে রাখল উপুড় অবস্থায়, ডাক্তারবাবু ফোঁড়াটা কাটতে লাগলেন। আর শিশুটি ‘মরে গেলাম রে’ ‘মরে গেলাম রে’ বলে পরিত্রাহি চেঁচাতে লাগল।

অবশেষে ফোঁড়া কাটা সমাপ্ত হল। এখনও শিশুটি কাদছে আর রাগে গজরাচ্ছে।

ডাক্তারবাবু শিশুটিকে সান্ত্বনা দেওয়ার ছলে নানারকম বাবা-বাছা করতে লাগলেন, অবশেষে সেই পুরনো প্রশ্নটি করলেন, ‘বাবা তুমি বড় হয়ে কী হবে?’

অশ্রু ও রোষকষায়িত লোচনে শিশুটি বলল, ‘বড় হয়ে গুণ্ডা হব। তোকে পেটাব।’

এবার সরাসরি অন্যরকম অসুখের আলোচনায় যাওয়ার সময় হয়েছে।

জীবনবিমা করার সময় সকলকেই একটা ফর্ম পূরণ করতে হয়। সাধারণত বিমার এজেন্ট বা দালাল মহোদয়েরা বিমাকারকের সঙ্গে বসে এইসব ফর্ম পূরণ করেন।

বলা বাহুল্য যে কোনও সরকারি আধা-সরকারি ফর্মের মতো এই ফর্মের কলমগুলো ভরানো সহজ কর্ম নয়। এজেন্টসাহেবের সাহায্য না নিয়ে এসব ফর্ম পূরণ করা প্রায় অসম্ভব।

এই ফর্মে বাবা-মা ইত্যাদি নিকটজনের আয়, অসুখ ইত্যাদির বিবরণ দিতে হয়। এজেন্টসাহেব একেকটা প্রশ্ন করে তথ্য জেনে নিচ্ছিলেন বিমাকারীর কাছ থেকে আর সেই সঙ্গে ফর্ম ভরে যাচ্ছেন এইরকম একটা ঘটনার আমি একবার সাক্ষী ছিলাম।

ঘটনাটি কৌতুকপ্রদ, কারণ বিমাকারী যে সরল উত্তরগুলি দিচ্ছিলেন সেগুলি লেখা কঠিন, যথা: —

প্রশ্ন: আপনার মা বেঁচে আছেন না মরে গেছেন?

উত্তর: মরে গেছেন।

প্রশ্ন: কীভাবে মারা গেছেন?

উত্তর: অসুখে।

প্রশ্ন: কী অসুখে?

উত্তর: এই মারাত্মক কিছু নয়, সাধারণ অসুখে।

আবার প্রশ্ন: আপনার বাবা বেঁচে আছেন?

উত্তর: না, তিনিও মারা গেছেন।

প্রশ্ন: কীভাবে মারা গেলেন?

উত্তর: অসুখে।

আবার প্রশ্ন: কী অসুখে?

উত্তর: এই মারাত্মক কিছু নয়, সাধারণ অসুখে।

এ রকম সরল প্রকৃতির লোক অবশ্য সচরাচর দুর্লভ যিনি যে অসুখে লোক মারা যায় সেই অসুখকেও সাধারণ অসুখ ভাবেন, ভাবেন যে সেটা মারাত্মক কিছু নয়।

অন্য ধরনের একটা সত্যিকার মারাত্মক ঘটনার কথা এই মুহুর্তে মনে পড়ছে। আমার এক ডাক্তার বন্ধু আমাকে এই গল্পটা বলেছিলেন। আমার কেমন যেন সন্দেহ হয়। গল্পটা মোটেই সত্যি নয়, বানানো।

গল্পটা এমনিতে খুব সরল এবং সরাসরি। একদিন এক সকালে এক ভদ্রমহিলা আমার সেই ডাক্তার বন্ধুকে ফোন করেছেন, ‘ডাক্তাবাবু কী সাংঘাতিক কথা আমার ছেলে এইমাত্র দুধ খেতে খেতে আস্ত একটা চামচে গিলে ফেলেছে।’

ডাক্তার বন্ধুটি এ কথা শুনে চিন্তিত হয়ে বললেন, ‘আমি কিছুক্ষণের মধ্যেই আসছি। আধ-ঘণ্টাখানেক লাগবে। আমি এসে দেখছি। কিন্তু তার আগে এই সময়টুকু আপনি কী করবেন?

টেলিফোনের অপর প্রান্ত থেকে নির্বিকার ভদ্রমহিলা জবাব দিলেন, ‘কোনও অসুবিধে হবে না। আমার আর একটা চামচে আছে। তা ছাড়া আমাদের সকালবেলার চা খাওয়া তো হয়েই গেছে। বিকেলের আগে আর চামচের দরকার পড়বে না।’

পেট থেকে চামচে বার করা কঠিন কাজ, হয়তো অপারেশনও করতে হবে কিন্তু আমাদের অনেকেরই এমন সব যৎসামান্য অসুখ আছে যা কিছুতেই সারে না।

যার সর্দি বা কাশির ধাত আছে, যার মাথাধরার ব্যামো আছে সেই ভুক্তভোগী জানে এর থেকে কোনও মুক্তি নেই। কতরকম চিকিৎসা, কতরকম পরীক্ষা, কত এলিক্সির ভিটামিন আর কম্পাউন্ড গলাধঃকরণ করার পরে যে তিমিরে সেই তিমিরে।

সেই যে বিলিতি একটা কথা আছে না তুমি যদি সর্দির চিকিৎসা করো তবে এক সপ্তাহে সারবে আর যদি কোনও চিকিৎসা না করে তা হলে সাতদিন লাগবে সারতে।

আমার একটা চোখের অসুখ আছে। বাইরের খোলা হাওয়ায় চোখ দিয়ে জল পড়ে।

আমাদের বাড়ির কাছেই ময়দান। আমি স্বাস্থ্যের খাতিরে সেখানে প্রতিদিন সকালে হাঁটতে যাই। কিন্তু যখন বর্ষাকাল কিংবা বিশেষ করে শীতকাল, যখন পূবালি কিংবা উত্তুরে হাওয়া হু হু করে বয় আমার চোখ দিয়ে দরদর করে জল পড়ে, চোখের জলে বুক ভেসে যায়। দখিনা হাওয়াতে এতটা হয়তো হয় না কিন্তু জল পড়ে।

সে যাই হোক অশ্রু সম্বরণ করার জন্যে এক বিখ্যাত চক্ষু চিকিৎসকের কাছে গেলাম, তিনি খুব যত্ন করে আমাকে দেখলেন, ওষুধ দিলেন চোখে দেওয়ার জন্যে।

কিন্তু কিছুতেই চোখের জল পড়া বন্ধ হল না। আবার তাঁর কাছে গেলাম। আবার তিনি খুঁটিয়ে দেখলেন, এবার তিনি ওষুধ দিলেন, এবার আর চোখে দেওয়ার জন্যে নয়, খাওয়ার ওষুধ দিলেন।

এরপরেও কিছু হল না। আবার ময়দানে যাই আবার হাওয়া লেগে চোখ দিয়ে অঝোর ধারায় জল পড়ে। আবার ডাক্তারসাহেবের শরণাপন্ন হলাম। আবার তিনি ওষুধ দিলেন তবে এবার আর চোখে দেওয়ার বা খাওয়ার জন্যে নয়, এবার সরাসরি ইঞ্জেকশন।

এতেও কিন্তু কোনও লাভ হল না। ময়দান ভ্রমণের সময় চোখ দিয়ে যথারীতি জল পড়তে লাগল।

ডাক্তারসাহেব, কিন্তু এখনও হাল ছেড়ে দেননি বা হতাশ হননি। এবার তিনি আমার পরীক্ষা শুরু করলেন। রক্ত মূত্র সমেত আপাদমস্তক, এক্স-রে থেকে স্ক্যানিং এই শহরে যা কিছু করা সম্ভব সব আমার ওপরে করলেন। বেশ কয়েক হাজার টাকা গচ্চা গেল আমার।

অবশেষে একদিন ডাক্তারসাহেব আমাকে বললেন, ‘আপনার রোগটা কিছুতেই ধরা গেল না।’

আমি বললাম, ‘তা হলে এত কিছুর পরেও আমার চোখ দিয়ে জল পড়ে যাবে?’

ডাক্তারবাবু বললেন, ‘না তা কেন? আপনি আর সকালবেলায় খোলামাঠে হাঁটতে যাবেন না, তা হলেই আপনার চোখ দিয়ে জল পড়বে না।’

আমি অবশ্য ডাক্তারবাবুর উপদেশ মান্য করিনি, এখনও হাঁটতে যাই। এখনও হাওয়া লাগলে চোখ দিয়ে জল পড়ে আর ভাবি বৃথা অর্থ নষ্ট হল, বৃথা পরিশ্রম গেল এতসব ডাক্তারি পরীক্ষায়।

আমার এই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার একটি বিলিতি জোকবুক সংস্করণ আছে, সেটি অবশ্য খুবই সংক্ষিপ্ত।

এক রোগী তাঁর ডাক্তারবাবুকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘স্যার, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে ঘণ্টাখানেক বড় মাথা ঘোরায়। মাথা ঝিমঝিম করে।’

ডাক্তারবাবু জানতে চাইলেন, ‘তারপর?’

রোগী বললেন, ‘তারপর মোটামুটি ঠিক হয়ে যায়। ঘন্টাখানেক পরে মাথাটা আর ঘোরে না।’

ডাক্তারবাবু অনেকক্ষণ চিন্তা করে তারপর পরামর্শ দিলেন ‘আপনি এখন থেকে ঘণ্টাখানেক পরে ঘুম থেকে উঠবেন।’

এ তবু মন্দের ভাল। বিলিতে গল্পের এই ভদ্রলোকের টাকা-পয়সা কিছু খরচ হয়নি, আমার মতো নানা জায়গায় দৌড়তে হয়নি, নানারকম পরীক্ষার জন্যে।

এতগুলি ভয়াবহ আখ্যানের পরে এতক্ষণে দুয়েকটা আজগুবি গল্পের সময় হয়েছে। আজগুবি গল্পের বিশেষ সুবিধে এই যে গল্পটা কোনও কারণে বিশ্বাসযোগ্য অথবা গ্রহণযোগ্য না হলেও গল্পের মজাটা উপভোগ করা যায়।

প্রথম গল্পটা এক ডাক্তারবাবুর রোগীদের ফল খাওয়ানোর বাতিক নিয়ে। তিনি সব রোগীকেই বলতেন, ‘ফল খান, আরও ফল খান। ফলের কোনও কিছু ফেলবেন না, খোসাসুদ্ধ খাবেন। যার যে ফল পছন্দ সেই ফল খাবেন, যতটা পারবেন খাবেন।’

একদিন এক রোগী এসে ডাক্তারবাবুকে জানাল, ‘ডাক্তারবাবু আপনার কথামতো খুব চেষ্টা করছি ফল খাওয়ার কিন্তু খেতে তো পারছি না।’

ডাক্তারবাবু অবাক হয়ে বললেন, ‘কেন?’

রোগী বললেন, ‘আপনি তো নিজের পছন্দসই ফল খেতে বলেছেন খোসাসুদ্ধ, তা আমার প্রিয় ফল হল নারকেল। দৈনিক সকালে উঠেই একটা নারকেল খোসাসুদ্ধ চিবোতে চেষ্টা করি কিন্তু কিছুতেই পেরে উঠছি না।

এই বলে রোগী বেচারি ডাক্তারবাবুকে জিব বার করে দেখালেন, ‘এই দেখুন ডাক্তারবাবু, নারকেলের ছোবড়ায় আমার জিব কেমন ছড়ে গিয়েছে। নারকেল কেন আমি এখন আর কিছুই খেতে পারছি না।’

এর পরের এবং এই রম্য নিবন্ধের শেষ আজগুবি আখ্যানটি হয়তো কারও কারও পুরনো বা চেনা মনে হতে পারে কিন্তু এই রচনায় মাননীয় ডাক্তারবাবুদের হৃদয়ে আঘাতকারী দুয়েকটি উপাখ্যান আছে বলেই তাঁদের হৃদয়ে আনন্দকারী এই গল্পটি স্মরণ করছি। এই গল্পে রোগীর উচিত শিক্ষা হয়েছে।

এক গোলমেলে রোগী ডাক্তারবাবুর চেম্বারে গিয়েছেন! ডাক্তারবাবু তাঁকে জিজ্ঞাসা করছেন, ‘আপনার কী হয়েছে? আপনার কী কষ্ট? কী অসুবিধে?’

কিন্তু রোগী আগাগোড়া চুপ করে থাকেন, ডাক্তারবাবু যত প্রশ্ন করেন তত চুপ করে থাকেন।

তবে তিনি যে বোবা নন সেটা বোঝা গেল, যখন তিনি ডাক্তারকে বললেন ‘আমি বলব কেন আমার কী অসুখ, আমার কী কষ্ট, আপনি ডাক্তার, আপনাকে আমি ভিজিট দিচ্ছি আপনিই বলুন আমার কী হয়েছে, কেন হয়েছে?’

ডাক্তারবাবু খুব চটে গেলেন এ কথা শুনে। তারপর ভুরু কুঁচকিয়ে রোগীকে বললেন, ‘আপনি ভুল জায়গায় এসেছেন। আপনার যাওয়া উচিত হবে কোনও পশুচিকিৎসকের কাছে। শুধু তাঁরাই পারেন রোগীকে কোনও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা না করে চিকিৎসা করতে।

পুনশ্চঃ

কথাটা আগেও বলেছি, এবারও বলি।

যে কোনও ডাক্তারবাবুর কাছে চিকিৎসার জন্যে যান দেখবেন অনিবার্যভাবে তিনি আপনাকে জিজ্ঞাসা করবেন,

‘সকালে কী খান?…

দুপুরে কী খান?…

বিকেলে কিছু খান কিনা?

রাতে কী খান? মাছ, মাংস না নিরামিষ?’

আপনি হয়তো ভাবেন আপনি কী খাওয়া-দাওয়া করেন সেইসব জেনে নিয়ে ডাক্তারবাবু আপনার চিকিৎসা করবেন।

তা কিন্তু মোটেই নয়।

আপনি কী খান বা না খান সেটা ডাক্তারবাবু জানতে চান আপনার আর্থিক অবস্থা নির্ণয় করার জন্যে। কারণ তার ওপরই ভিত্তি করে তিনি আপনার চিকিৎসা করবেন। আপনার যত টাকা ব্যয় করার ক্ষমতা আছে সেই মানের চিকিৎসা হবে আপনার।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *