ব্রাহ্ম পর্ব
মধ্য পর্ব
প্রতিসর্গ পর্ব
1 of 3

চতুর্থী কল্প বর্ণন

।। চতুৰ্থী কল্প-বৰ্ণনম্।।

চতুর্থাং তু সদা রাজন্নিরাহারব্রতান্বিতঃ। দত্ত্বা তিলান্নং বিপ্রস্য স্বয়ং ভুক্তে তিলৌদনম্।।১।। বর্যদ্বয়ে সমাপ্তির্হি ব্রতস্য তু সদা ভবেৎ। বিনায়কস্তস্য তুষ্টো দদাতি ফলমীহিতম্।।২।। যাতি ভাগ্যনিবাসং হি ক্ৰীড়তে বিভবৈঃ সহ। ইহ চাগত্য পুণ্যাংতে দিব্যো দিব্যবপুৰ্যশঃ।।৩।। মতিমান্ধু তিমাম্বাগ্নী ভাগ্যবান্ কামকারবান্। অসাধ্যান্যপি সাহে ক্ষনদেব মহাত্যপি।।৪।। হস্ত্যশ্বরথসমপন্নঃ পত্নীপুত্রসহায়বান্। রাজা ভবতি দীর্ঘায়ুঃ সপ্তজন্মান্যসৌ নৃপ এতদ্দদাতি সন্তুষ্টো বিঘ্নহন্তা বিনায়কঃ।।৫।।

।। চতুৰ্থীকল্প বর্ণন।।

হে রাজন, চতুর্থী তিথিতে দিন সবসময় যে উপবাস করে ব্রত পালন করে সে ব্রাহ্মণকে তিলান্ন দান করে নিজেও তিলান্ন ভক্ষণ করতে পারে।।১।।

এই ব্রতের সমাপ্তি হয় দুই বৎসরে। যখন ব্রত পূর্ণ হয় তখন ভগবান বিনায়ক তার উপর সন্তুষ্ট হয় এবং যা অভীষ্ট ফল তাই দান করে।।২।।

ব্রতকারী সৌভাগ্যবান্ হয় এবং বৈভবের সঙ্গে আনন্দক্রীড়া করে। এই সংসারে জন্মগ্রহণ করে এই মহাপুণ্যের সমাপ্তি হলে সে দিব্যশরীরযুক্ত এবং দিব্যযশযুক্ত হয়।।৩।।

সে বুদ্ধিমান্, ধৃতিমান্, বাগ্মী, ভাগ্যশালী, কামকারযুক্ত হয় তথা যা কিছু অসাধ্য এবং মহান কার্য আছে সেগুলি ক্ষণমাত্র সময়ে সম্পন্ন করতে সমৰ্থ।।৪।।

সে হাতি, ঘোড়া এবং রথ প্রভৃতি লাভ করে আর পত্নী এবং পুত্রের সহায়তা লাভ করে। সে রাজা হয়। সে সাত জন্মপর্যন্ত দীর্ঘায়ু লাভ করে। সকল বিঘ্নহননকারী ভগবান বিনায়ক পরম সন্তুষ্ট হয়ে এই সবকিছু তাকে দান করে।।৫।।

বিঘ্নঃ কস্য কৃতস্তেন যেন বিঘ্নবিনায়কঃ। এতদ্বদস্ব বিঘ্নেশবিঘ্নকারণমদ্য মে।।৬।। কৌমারে লক্ষণে পুংসা স্ত্রীণাং চ সুকৃতে কৃতে। বিঘ্নং চকার বিঘ্নেশো গাংগেয়স্য বিনায়কঃ।।৭।। তং তু বিঘ্নং বিদিত্বাসৌ কার্তিকেয়ো রুমান্বিতঃ। উৎকৃষ্য দত্তং তস্যাস্যাৰ্দ্ধন্তং তং চ সমুদ্যতঃ।।৮।। নিবার্যাপৃচ্ছদ্দেবেশো রোষঃ কার্যঃ কৃতত্ত্বয়া। তং চাচাখৌ স পিত্ৰে বৈ কৃতং পুরুমলক্ষণম্। তত্র বিঘ্নকৃতে মহ্যং যোষিতা ন চ লক্ষণম্।।৯।। অথোবাচ মহাদেবঃ প্রহসনত্ত্বসুতং কিল। মমকিং লক্ষনং পুত্র পশ্যসে ত্বং বদস্ব মে।।১০।।

কার বিঘ্ন ঘটানোর কারণে সে বিঘ্নের বিনায়ক হয়েছে। বিঘ্নস্বামীর বিঘ্নের এই কারণটি আপনি দয়া করে আমাকে বলুন। ৬।

পুরুষের কৌমার লক্ষণে এবং স্ত্রীদের সুকৃত করণে বিনায়ক বিঘ্নেশ গাঙ্গেয়-এর বিঘ্ন করেছিলেন।।৭।।

প্রভু কার্তিকেয় ওই বিঘ্ন জেনে ক্রোধযুক্ত হয়ে তার একটি দাঁত উপড়ে ফেলে এবং তাকে মারার জন্য উদ্যত হয়। ৮।

এই সময় দেবেশ কার্তিকেয়কে নিবারিত করেন এবং তাকে জিজ্ঞাসা করে যে সে কেন ক্রোধ প্রকাশ করছে। তখন কার্তিকেয় নিজের পিতাকে বলেন যে ইনি পুরুষের লক্ষণের বিকৃতি করেছেন। ঐ বিঘ্ন করার পর সে স্ত্রী হয়ে গেছে আর পুরুষ লক্ষণ নেই।।৯।।

এরপর মহাদেব হেসে নিজের পুত্রকে বলেন– ওহে পুত্র! তুমি আমাকে বল যে আমার কি লক্ষণ দেখছ?।।১০।।

স চোবাচ করে তুভ্যং কপালং দ্বিজলক্ষিতম্। অবিচারেণ সংস্থাপ্যং কপালী তেন চোচ্যসে। স তল্লক্ষনমাদায় সমুদ্রে প্রাক্ষিপদ্রমা।।১১।। অথ দেবসমাজে বৈ প্রবৃত্তে ব্রহ্মারুদ্রয়োঃ। অহং জ্যায়াণহং জ্যায়াম্বিবাহভূত্বয়োদ্বয়োঃ তব সংভূত্যভিজ্ঞোহস্তি মাং তু বেদ ন কশ্চন।।১২। এবং শিবেহতি ব্রবতি ব্রহ্মণঃ পঞ্চমং শিরঃ। মুক্তাট্টহাসং প্রোবাচ ত্বামহং বেদিতা ভব।।১৩।। এবং ব্রবতু রুদ্রেণ ব্রহ্মং হয়শিরো মহৎ। নখাগ্রেণ নিকৃতং চ তস্যৈব চ করে স্থিতম্।।১৪।। করস্থেনৈব তেনাসাবাগচ্ছদ্যত্র বৈ হরিঃ। তপস্তেপে তদা মেরৌ তত্রাসৌ ভগবানবযী।। ১৫।। কৃতে হয় শিরে তসিমণ স্থানাত্তস্মাৎ তু ব্রহ্মণঃ। রোষাদ্বিণিঃ সুতত্ত্বণ্যঃ পুরুষঃ শ্বেতকুন্ডলী।।১৬।।

তখন কার্তিকেয় বললেন আপনার হাতে ব্রাহ্মণের লক্ষিত কপাল আছে যা অবিচার থেকে সংস্থাপিত। তাই আপনি ‘কপালী’ নামে পরিচিত। ওরা এই লক্ষণ নিয়ে ক্রোধে সমুদ্রে ছুঁড়ে ফেলে দেয়।।১১।।

এরপর দেবতাদের সমাজে প্রবৃত্ত হয়ে ব্রহ্মা এবং রুদ্রের মধ্যে বড় বিবাদ হয়েছিল। দুজনে নিজেকে বড় বলতে থাকে, তোমার উৎপত্তির অভিজ্ঞ কেউ আছে, আমার কিন্তু তা নেই।।১২।।

শিবের এই কথা বলার পর ব্রহ্মার পঞ্চম মস্তকটি খুব অট্টহাস্য করে বলে–হে ভব! তোমাকে আমি জানি।।১৩।।

এইভাবে বললে পরে ব্রহ্মার মহান অশ্বশিরটি রুদ্র নিজ নখের অগ্রভাগ দিয়ে নিকৃত করে এবং তা তাঁর হাতে স্থিত হয়।। ১৪।।

ঐ কাটা মস্তককে হাতে নিয়ে তিনি হরির কাছে যান। ঐ সময় মেরু পৰ্ব্বতে ভগবান্ বিষ্ণু তপস্যা করছিলেন।।১৫।।

ঐ হয় মস্তক কাটার পর ব্রহ্মার ঐ স্থান থেকে রোষের কারণে শ্বেত কুন্ডলযুক্ত এক অন্য পুরুষ বের হয়।।১৬।।

কবচী সশিরস্কশ্চ সশরঃ সশরাসনঃ। অনির্দেশ্যবপুঃ স্ৰগ্বো কিং করোমি স চাব্রবীৎ।।১৭। অথোবাচ রূষা ব্রহ্ম হন্যতাং স সুমতিঃ। স তু মার্গেন রুদ্রস্য আগচ্ছদোযতো দ্রুতম্।।১৮।। রুদ্রোপি বিষ্ণুতেজোভিঃ প্রবিষ্টঃ সত্বধিষ্ঠিতঃ। স প্রবিশ্য তদাপশ্যত্তপন্তং চোত্তমং তপঃ। হরো নারায়ণং দেবং বৈকুণ্ঠমপরাজিতম্।।১৯।। হরং দৃষ্টাথ সংপ্রাপ্তং কার্যং চাস্য বিচিন্ত্য চ। উবাচ শূলিনং দেবো ভিন্ধি শূলেণ মে ভূজম্।।২০।। স বিভেদ মহাতেজা ভূজং শূলেন তং হরঃ।।২১।। শূলভেদাদসূচোধ্বং জগামাবৃত্য রোদসী। বিনিবৃত্ত্য ততঃ পশ্চাৎ কপালে নিপপাত হ।।২২। অসৃক্কপালে পতিতং প্রদেশিণ্যা ব্যবৰ্দ্ধয়ৎ। যদা হি বিনিবৃতিঃ স্যাদ্দেবস্য রুধিরং প্রতি।।২৩।।

সেই পুরুষ কবচধারী, শিরযুক্ত, শরযুক্ত, অনির্দেশ্য শরীরময় এবং মালাধারণকারী ছিল এবং সে বলল –কি করবো?।।১৭।।

তখন ব্ৰহ্মা ক্রোধান্বিত হয়ে বলেন–ঐ দুষ্টবুদ্ধিযুক্ত ব্যক্তিকে হত্যা করো সে রোষাবেশে রুদ্রের পথে শীঘ্র ছুটে যায়।।১৮।।

রুদ্রও বিষ্ণুর তেজে প্রবেশ করে। সে থেমে যায়। তখন তিনি প্রবেশ করে ওঁর উত্তম তপস্যা দেখেন। হর নারায়ণ দেব এবং অপরাজিত বৈকুণ্ঠ দেখেন।।১৯।

সমাগত হরকে দেখে এবং এর কার্যের বিচার করে দেব শূলীকে বলেন যে–‘আমার হাত শূলের দ্বারা কেটে দাও’।। ২০।।

সেই মহান তেজস্বী হর ওই হাত শূল দিয়ে ভিন্ন করে দেন।।২১।। শূল দ্বারা ভেদ করার জন্য ওর রক্ত এই রোদসীকে আবৃত করে উপরে চলে যায় এবং আবার সেখান থেকে ফিরে কপালে পড়ে।।২২।।

কপালে পতিত রক্ত প্রদেশিনী দিয়ে বিবর্ধিত করা হয়। যখন দেবতাদের রক্তের প্রতি বিনিবৃত্তি হয় তখন বারুণী শরীর দিয়ে জল ছোঁড়ে। কপালে জল তদা তু ব্যসৃজতোয়ং কৃত্বা বারুণীং তনুম্। তোয়ে প্রবৃত্তেহগ ভূতে কপালে যত্র তচ্ছিরঃ।।২৪।। কপালে তু প্রদেশিণ্যা রুদ্রোহসৌ রুধিরেহ সৃজৎ। আমুক্তকবচং রক্তং রক্তকুন্ডলিণং নরম্।।২৫।। অথোবাচ ভবং দেবং কিং করোমীতি মানদ।–অসাবপি সসজর্থি শ্বেতকুন্ডলিণং নরম্।।২৬।। তাবুভৌ সমযুধ্যেতাং ধনুযপ্রবরধারিণৌ। যথা রাজঘলীয়াংসৌ কুজকেতু যুগাত্যয়ে।।২৭।। তয়োস্তু যুধ্যতোরেবং সংবর্তশ্চাধিকোগতঃ। ন চাদৃশ্যত বিজয় একস্যাপিতদা তয়োঃ।।২৮।। অথান্তরিক্ষে তৌ দৃষ্টাব বাগুবাচাশরীরিসী। অবতারোহথ ভবিতা যুবয়োর্দি ময়া সহ।।২৯।। ভারাপনোদঃ কর্তব্যঃ পৃথিব্যর্থে সুরঃ সহ। তদাশ্চর্যো হি ভবিতা দেবকার্যাৰ্থ সিদ্ধয়ে।।৩০।।

প্রবৃত্ত হওয়ার পর যেখানে ওই মস্তক ছিল, প্রদেশিনী দিয়ে রুদ্র রক্তের থেকে সৃষ্টি করেন আমুক্ত কবচ এবং রক্ত কুন্ডল যুক্ত রক্তবর্ণের এক মানুষকে।।২৩-২৫।।

এরপর তিনি ভবদেবকে বলেন–হে মানদ! আমি কি করবো? এরপর ইনিও এক শ্বেতকুন্ডলী নরের সৃষ্টি করেন।।২৬।।

এই দু’জন মহাধনুর্ধারী, যুগাত্যয়ে বলবান্ কুজকেতুর ন্যায় যুদ্ধ করতে লাগে।।২৭।।

এই প্রকারে ঐ দুজনের যুদ্ধ করতে এক বর্ষেরও বেশী সময় চলে যায়। ঐ সময় দুজন যুদ্ধকারীর একজনেরও বিজয় দেখা যায় না।।২৮।।

এরপর অন্তরীক্ষে যুদ্ধকারী ঐ দুজনকে দেখে শরীরহীন বাণী উদ্ধত হয়–তোমরা দুজন আমার সাথে অবতার হবে।।২৯।।

পৃথিবীর জন্য দেবতাদের দ্বারা পৃথিবীর ভার অপনোদন করা উচিত। সেই সময় দেবগণের কার্যসিদ্ধির জন্য বড়ই একটি আশ্চর্য বিষয় হবে।।৩০।।

ভূলোক ভাবং নিধয় ভূয়ো গতাং সুরালয়ম্। এবমুক্তা তু বৈকুণ্ঠো দদাবেকং রবেস্তদা।।৩১।। শ্বেতকুন্ডলিণং দৃপ্তং তং জগ্রাহ রবিমুদা। ইন্দ্ৰস্যাপি ততঃ পশ্চাদ্ৰক্ত কুন্ডলিণং দদৌ।।৩২।। জগ্রাহ চ মুদা যুক্ত ইন্দ্ৰ স্বং চ পুরং যযৌ। গতৌ রবীন্দ্রৌ প্রগৃহ্য পুরুষৌ ক্রোধ সম্ভবৌ।।৩৩।। অথোবাচ তদা রুদ্রং দেবঃ কমলসংস্থিতঃ। গচ্ছ ত্বমসি কাপালে কাপাল ব্ৰত চৰ্যয়া। অবতারো ব্রতস্যাস্য মর্ত্যলোকে ভবিষ্যতি।।৩৪।। সে চ ব্ৰতং ত্বদীয়ং বৈ ধারয়িষ্যক্তি মানবাঃ। ন তেষাং দুলর্ভং কিঞ্চিন্তু বিতেহ পরত্র চ।।৩৫।। এবং সংলপ্য বহুশঃ সুমুখং প্রতিনন্দ্য চ। আহুয় চ সমুদ্রং স প্রত্যুবাচাবিচারয়ন্।।৩৬।।

ভূলোকের ভারকে নির্ধত করে আবার সুরালয়ে চলে যাবে, এইভাবে বলে বৈকুণ্ঠ ঐ সময় শ্বেতকুণ্ডলী মানুষটিকে রবির জন্য দিয়েছিলেন।।৩১।। রবি খুব প্রসন্নতার সঙ্গে এই শ্বেত কুন্ডলধারীকে গ্রহণ করে নেয়। এর পিছনে যে রক্ত কুন্ডলী ছিল সেটি ইন্দ্রকে দিয়ে দেন।।৩২।।

ইন্দ্র খুব খুশিতে ওকে গ্রহণ করে নিজের পুরে প্রস্থান করে। ইন্দ্র এবং রবি দুজন এই ক্রোধ থেকে উৎপন্ন পুরুষদ্বয়কে গ্রহণ করে চলে যায়।।৩৩।। এরপর পদ্মেস্থিত দেব ব্রহ্মা রুদ্রকে বলেন — তুমিও কপাল যাও এবং কপাল ব্রতের চর্যায় ওখানে স্থিত থাকো। মনুষ্যলোকে এই ব্রতের অবতার হবে।।৩৪।।

যে মানুষ তোমার এই ব্রত ধারণ করবে তার এই লোক এবং পরলোকে কোন কিছু দুর্লভ হব না। ৩৫।।

এই প্রকারে অনেক বার সংলাপ করে এবং অভিনন্দন করে সে সমুদ্রকে ডেকে কিছুই বিচার না করার কথা বলেছে।।৩৬।।

কুরুম্বাভরণং স্ত্রীণাং লক্ষণং যদ্বিলক্ষণম্। কার্তিকেয়েন যৎপ্রোক্তং তদ্বদস্বাবিচারয়ন্।।৩৭।।

স চাহ মম নান্মেদং ভবেৎ পুরুষ লক্ষণম্। দেবেন তৎপ্রতিজ্ঞাতমেতদ্ ভবিষ্যতি।।৩৮।। কার্তিকেয়ন যৎপ্রোক্তং তদ্বদস্বাবিচারয়।।৩৯।। প্রযচ্ছাস্য বিষানং বৈ নিষ্কৃষ্টং যত্ত্বয়াহধুনা। অবশ্যমেব তদভূতং ভবিতব্যং তু কস্যচিৎ।।৪।। ঋতে বিনায়কং তদ্বৈ দৈবযোগান্ন কামতঃ। গৃহাণ এতৎ সামুদ্রং যত্ত্বয়া পরিকীতিতম্।।৪১।। স্ত্রীপুং সোলক্ষণং শ্রেষ্ঠং সামুদ্রমিতি বিশ্রুতম্। ইমং চ সবিষাণং বৈ কুরু দেববিনায়কম্।।৪২।। অথোবাচ চ দেবেশং বাহুলেয়ঃ সমৎসরম্। বিষাণং দত্মি চাস্যাহং তব বাক্যান্ন সংশয়ঃ।।৪৩।।

স্ত্রীদের যা লক্ষণ আভরণ আছে তাই করো। যা কার্তিকেয় বলেছিলেন তা বিচার না করেই বল।।৩৭।।

তিনি বলেছিলেন–আমার নামে পুরুষ লক্ষণ হবে, দেবতা এই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। দেবতার প্রতিজ্ঞাত বিষয়টি তাই হবে।।৩৮।।

কার্তিকেয় যা বলেছিলেন সেটি বিচার না করে বলতে হবে।।৩৯।। তুমি এখন যার বিষাণ বের করে নিয়েছ ওকে এটি দিয়ে দাও অবশ্যই তাই হয়েছে যা কারোর ভবিতব্য হবে।।৪০ ।

বিনায়ক ছাড়া ওকে দেবযোগ থেকে, ইচ্ছা থেকে নয়, গ্রহণ কর ওই সামুদ্র যা তোমার দ্বারা কীর্তিত হয়েছে।।৪১।

স্ত্রী এবং পুরুষের শ্রেষ্ঠ লক্ষণ সামুদ্র নামে প্রসিদ্ধ। এই দেব বিনায়ককে বিষাণ দ্বারা যুক্ত করে দাও।।৪২।।

এরপর বাহুলেয় মাৎসর্যের সঙ্গে দেবেশকে বলেন আমি এঁকে এই বিষাণটি দিয়ে দিচ্ছি কেননা আপনার কথা আমি তা পালন করবো এতে কোন সংশয় নেই।।৪৩।।

যদা ত্বয়ং বিষাণং চ মুক্ত্বা তু বিচরিষ্যতি। তদা বিযাণ মুক্তঃ সভস্ম এতং করিষ্যতি।।৪৪।। এবমস্তিতি ত্বং চোক্ত্বা বিষাণং তৎকরে দদৌ। বিনায়কস্য দেবেশঃ কার্তিকেয়মতে স্থিতঃ।।৪৫।। স বিষাণ করোদ্যাপি দৃশ্যতে প্ৰতিমা নৃপ। ভীম সুনোমহাবাহোবিঘ্নং কতুং মহাত্মনঃ।।৪৬।। এতদ্ৰহস্যং দেবানাং ময়া তে সমুদাহৃতম্। যত্র দেবোন বৈ বেদ দেবানং ভুবি দুর্লভম্।।৪৭।। ময়া প্রসন্নেন তব গৃহ্যমেতদুদাহাতম্। কথিতং তিথিসংযোগে বিনায়ককথামৃতম্।।৪৮।। য ইন্দ্ৰং শ্রাবয়েদ্বিদ্বান ব্রাহ্মণান বেদপারগান। ক্ষত্রিয়াংশ্চ স্ববৃত্তিস্থাম্বিট শুদ্রাংশ্চ গুণান্বিতাম্।।৪৯।।

যে সময়ই উনি এই বিষাণ ত্যাগ করে বিচরণ করবেন তখনই বিষাণ মুক্ত অবস্থায় এঁকে উনি ভষ্ম করে দেবেন।।৪৪।।

এই প্রকার হোক— এই কথা বলে ওনার হাতে কার্তিকেয় বিষাণ দিয়ে দিয়েছিলেন, যে বিনায়ক দেবেশ কার্তিকেয় মতে স্থিত।।৪৫।।

হে রাজন! আজও ভীমের মহাবাহু পুত্রের বিঘ্ন উৎপাজনের জন্য বিষাণ সমেত বিনায়কের প্রতিমা দেখা যায়।।৪৬।।

দেবতাদের যে রহস্য আছে যা আমি তোমাকে বলে দিয়েছি, যে রহস্য দেবতাদেরও জ্ঞাত নয় এবং এই ভূমন্ডলে তো এটি দুর্লভ।।৪৭।।

আমি তোমার প্রতি পরম প্রসন্ন হয়ে এই গুহ্য বিষয় প্রকাশ করেছি এবং তিথির সংযোগে বিনায়কের কথারূপী অমৃত শুনিয়েছি।।৪৮।।

যে এই কথা বিদ্বান, বেদপরগামী, ব্রাহ্মণদের শুনিয়েছেন তথা নিজের বৃত্তিতে স্থিত ক্ষত্রিয় এবং গুণযুক্ত বৈশ্য এবং শূদ্রকে শুনিয়েছেন সেই মহামনীষীকে এই ভূমন্ডলে এবং পরলোকে কোন বস্তু দুর্লভ থাকবে না।

পঞ্চমী কল্পে নাগপঞ্চমী ব্ৰত বৰ্ণন। ন তস্য দুলর্ভং কিঞ্চিদিহ চা মুত্ৰ বিদ্যতে। ন চ দুর্গতিমাপ্নোতি ন চ যাতি পরাভবম্।।৫০।। নিবিঘ্নং সর্বকার্যানি সাধয়েন্নাত্র সংশয়ঃ। ঋদ্ধিং বৃদ্ধিং শ্রিয়ং চাপি বিন্দেত ভরতোত্তম।।৫১।।

সেই পুরুষ কখনও কোন প্রকারের দুর্গতি এবং পরাভব প্রাপ্ত হবে না।। ৪৯- ৫০।।

ঐ পুরুষ সকল কার্য নির্বিঘ্নে সাধন করতে পারবে। এই বিষয়ে কোন সংশয় নেই। হে ভরতোত্তম! ঐ পুরুষ ঋষি, বৃদ্ধি এবং শ্রীকেও প্রাপ্ত হয়।।৫১।।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *