ঘোড়েপর হাওদা – প্রতুলচন্দ্র গুপ্ত
কাশীতে দশাশ্বমেধ ঘাট সবার জানা৷ গঙ্গার দিকে মুখ করে দাঁড়ালে ডান দিকে বাঙালিটোলার সরু গলি৷ গলির মুখ থেকে অল্প হাঁটলেই চৈত সিংহের প্রাসাদ৷ বাড়ির পিছন দিক থেকেও আসা যায়৷ তখন নৌকা ভরসা৷ ইংরেজ সৈন্যরা আক্রমণ করলে রাজা চৈত সিং নৌকা করে পালিয়েছিলেন৷ কী করে তাঁর এরকম বিপদ হল সেই কথা বলছি৷
চৈত সিংয়ের ঠাকুরদার নাম ছিল মনসারাম৷ ইনি অনেক টাকা জমিয়েছিলেন ও জমি-জমাও করেছিলেন৷ তিনি ছিলেন জমিদার, তাঁর ছেলে বলবন্ত সিংহকে সবাই রাজা বলত৷ তাঁর জমিদারি তাঁর বাবার চেয়ে অনেক বড়ো ছিল৷ তিনি অযোধ্যা নবাবের অধীন ছিলেন৷ ১৭৭৫ সালে প্রভু বদল হল৷ সন্ধির ফলে চৈত সিংয়ের জমিদারি ইংরেজদের অধীনে চলে এল৷ ঠিক হল চৈত সিং এখন থেকে কর জমা দেবেন পাটনায় ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির খাজাঞ্চিখানায়৷ করের পরিমাণ ২২,৫০,০০০ টাকার কাছাকাছি৷ ঠিক হল চৈত সিংয়ের জমিদারিতে কোম্পানি কোনোরকম হস্তক্ষেপ করবে না৷ কোম্পানির পক্ষ থেকে আরও বলা হল, চৈত সিং দু-হাজার অশ্বারোহী রাখবেন৷ সেটা তাঁর ইচ্ছা হলে তবে৷ তিনি রাখতে বাধ্য নন৷ চৈত সিং অশ্বারোহী রাখবেন বলে কোনো অঙ্গীকারও করেননি৷ কোম্পানির যদি এই অশ্বারোহীর সাহায্যের দরকার হয় তাহলে তার জন্য চৈত সিংকে খরচপত্রের টাকা দেওয়া হবে৷ এক অশ্বারোহীর দল রাখা না রাখা চৈত সিং-এর মর্জির উপর নির্ভর করবে৷ এজন্য ইংরাজরা কোনোরকম জোর করবেন না৷
১৭৭২ সালে হেস্টিংস গভর্নর-জেনারেল হলেন৷ তখন কোম্পানির টাকাপয়সার টানাটানি৷ মারাঠাদের সঙ্গে যুদ্ধবিগ্রহে অনেক টাকা খরচ হল৷ ১৭৭৮ সালের মাঝামাঝি কলকাতায় খবর এসে পৌঁছোল যে, ইউরোপে ফরাসিদের সঙ্গে ইংরেজদের যুদ্ধ বেধেছে৷ যুদ্ধ হলেই টাকার খুব দরকার হয়৷ চৈত সিংকে বলা হল যে, যুদ্ধের খরচ মেটাবার জন্য তাঁর কিছু করা উচিত৷ সেইজন্য তাঁকে তিন ব্যাটেলিয়ান সৈন্যের খরচ দিতে হবে৷ এক ব্যাটেলিয়ানে হাজার লোকের কিছু কম থাকে৷ কয়েকটি ব্যাটেলিয়ান একসঙ্গে করে ব্রিগেড তৈরি হয়৷ ব্রিগেডে হাজার-দশেক সৈন্য থাকে৷ চৈত সিং দেখলেন তাঁর উপর অনেক টাকার দায়িত্ব এল৷ তিনি ইংরাজদের বললেন এত খরচ করা তাঁর সাধ্যের বাইরে৷ আরও টাকা দেবার কথা হয়েছিল৷ চৈত সিং-এর দূত জানালেন অসম্ভব৷ শেষে ইংরাজের ধমক খেয়ে দূত স্বীকার করলেন, তাঁর মনিব পাঁচ লাখ টাকা দিতে রাজি আছেন৷ কিন্তু এই অঙ্গীকার শুধু এক বছরের জন্য৷ হেস্টিংস বললেন, তা হবে না৷ যতদিন ফরাসিদের সঙ্গে যুদ্ধ চলবে ততদিন পাঁচ লাখ টাকা চাই৷
হেস্টিংসের ধারণা হল যে, চৈত সিং গোলমাল করবার চেষ্টায় আছেন৷ কোম্পানির সৈন্যদের চৈত সিংয়ের রাজ্যের মধ্যে ঢুকবার হুকুম দেওয়া হল৷ এতে কোম্পানির যে বাড়তি খরচ হবে, হেস্টিংস জানালেন-তাও চৈত সিংকে দিতে হবে৷
বছর-দুয়েক এরকমভাবে চলল৷ চৈত সিং তারপর হেস্টিংসকে জানালেন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে যে ব্যবহার করেছেন তার জন্য তিনি অনুতপ্ত৷ সেই সঙ্গে হেস্টিংসকে দু-লাখ টাকা পাঠালেন৷ এটা ঘুষ৷ তখনকার দিনে বড়ো বড়ো সাহেবদের এরকম ঘুষ দেওয়া অজানা ছিল না৷ হেস্টিংস একটু ইতস্তত করে টাকাটা নিলেন৷ কিন্তু টাকা নিজের তহবিলে জমা করলেন না৷ মারাঠাদের সঙ্গে যুদ্ধে খরচ করবার জন্য তুলে রাখলেন৷ আর সঙ্গেসঙ্গে চৈত সিংয়ের কাছে জানতে চাইলেন-আরও টাকা তাঁর দেবার কথা ছিল তার কী হল? দু-হাজার অশ্বারোহী রাখবার কথা ছিল, তার কী ব্যবস্থা হয়েছে? আগেই বলেছি, দু-হাজার অশ্বারোহী যে রাখতেই হবে এমন কথা হয়নি৷
ইংরেজরা দু-হাজার অশ্বারোহী থেকে আস্তে আস্তে দেড় হাজারে নামলেন, তারপর এক হাজারে৷ চৈত সিং বললেন, এক হাজার অশ্বারোহীর মাইনে দেবার মতো টাকাও তাঁর নেই৷ তার বদলে তিনি পাঁচ-শো অশ্বারোহীর একটি দল তৈরি করলেন আর পাঁচশো পদাতিক জোগাড় করলেন৷ তারপর হেস্টিংসকে খবর দিলেন৷ হেস্টিংস চৈত সিংয়ের এই চিঠির উত্তর দেওয়ার দরকার আছে বলে মনে করলেন না-বরং ভাবলেন যে, চৈত সিংকে উচিত শিক্ষা দেওয়া দরকার৷ গভর্নর-জেনারেলের কথা না শুনবার ফল কী হতে পারে তাঁকে বুঝিয়ে দিতে হবে৷
১৭৮১ সালের জুলাই মাসে ওয়ারেন হেস্টিংস বক্সারে এসে পৌঁছোলেন৷ বক্সার চৈত সিংয়ের জমিদারির পূর্ব সীমান্ত৷ অলিখিত নিয়ম হচ্ছে যে, সীমান্তে এরকম গণ্যমান্য অতিথি এলে সেই জায়গায় গিয়ে অতিথির অভ্যর্থনা করতে হয়৷ চৈত সিং বক্সারে এলেন৷ সঙ্গে একটি বড়ো নৌবাহিনী এল, তার নাবিক ও সৈন্যদের সংখ্যা দু-হাজার হবে৷ এত লোকজন নিয়ে গভর্নরের সঙ্গে দেখা করতে আসা উচিত হয়নি৷ হেস্টিংসের মেজাজ আরও খারাপ হল৷ চৈত সিং এইবার ভয় পেলেন৷ তিনি তাঁর পাগড়ি মাথা থেকে খুলে হেস্টিংসের কাছে পাঠিয়ে দিলেন৷ পাগড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার অর্থ বশ্যতা স্বীকার করা৷ হেস্টিংসের তখন এত রাগ হয়েছিল যে, তিনি সেই পাগড়ি গ্রহণ করলেন না৷ সোজা বারাণসী রওনা হয়ে গেলেন৷ সেখানেও হেস্টিংস চৈত সিংকে তাঁর সামনে আসতে দিলেন না-তাঁর কাছে কোম্পানির কী কী দাবি লিখে জানালেন৷ চিঠিতে এমন কথাও ছিল যে, চৈত সিং রাজ্যশাসন করবার অনুপযুক্ত৷ রাজ্যে চুরি-ডাকাতি লেগেই আছে৷
চৈত সিং খুব বিনীত উত্তর দিলেন৷ বললেন, তাঁর শত্রুরা তাঁর যাতে সর্বনাশ হয় এমন কথা রটিয়ে বেড়াচ্ছে৷ চিঠির শেষে ছিল, ‘আমি আপনার দাস…আপনার দিন দিন শ্রীবৃদ্ধি হোক৷’
এই চিঠি পেয়েও হেস্টিংসের রাগ কমল না৷ পরে তিনি তাঁর কাউন্সিলের সদস্যদের বলেছিলেন : চিঠির ভাষা দেখলেন আপনারা? এ তো নিজের সাফাই নয়, আমার বিরুদ্ধে কথা৷কাশীর রেসিডেন্ট উইলিয়াম মার্কামকে হুকুম দিলেন, তিনি যেন পরদিন ভোরে সৈন্য নিয়ে চৈত সিংকে গ্রেপ্তার করেন৷ চৈত সিং যদি কোনোরকম বাধা দিতে চান তাহলে যেন মেজর পপামের সৈন্যদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়৷
রাজাকে গ্রেফতার করা হলে পরবর্তী হুকুম না আসা পর্যন্ত মার্কাম যেন তাঁকে নিজের কাছে বন্দি করে রেখে দেন৷ চৈত সিং কোনো বাধা দেননি৷ বন্দি হবার পর হেস্টিংসকে একটি চিঠি লিখলেন৷ তার একটি অংশ এইরকম, ‘আমি তো পূর্বেই আপনার নৌকায় উঠে বলেছিলাম যে, আমি কোম্পানির সেবক৷ মন-প্রাণ দিয়ে কোম্পানির সেবা করব৷ আমাকে যা করতে ইচ্ছা হয় আপনি নিজের হাতে করুন৷ আমি আপনার দাস৷ সান্ত্রির কি কোনো দরকার আছে?’ রেসিডেন্ট মার্কামও ওয়ারেন হেস্টিংসকে সেই কথাই লিখেছিলেন৷ চৈত সিং গ্রেফতার হওয়ার সময় কোনো বাধা দেননি৷ তিনি বলেছিলেন, তাঁর একটি মাত্র প্রার্থনা-তাঁর যেন গ্রাসাচ্ছাদনের ব্যবস্থা থাকে৷ তাঁর জমিদারি, তাঁর দুর্গ, তাঁর নিজের জীবনও তিনি হেস্টিংসের পায়ে রাখছেন৷ হেস্টিংস এইবার চৈত সিংকে লিখলেন: ভয়ের কোনো কারণ নেই৷ মার্কামসাহেব তাঁর সঙ্গে দেখা করে সব কথা জানাবেন৷
চৈত সিং লিখলেন, ‘আপনি আমার রক্ষাকর্তা, আপনি তো আমাকে আপনার স্নেহের ছায়ায় আবৃত করে রেখেছেন৷ আমি এখন সব দুশ্চিন্তা ও ভয় থেকে মুক্ত৷ আপনিই আমার প্রভু৷ আপনি যা বলবেন আমি তাই ঠিক মনে করব৷’
হেস্টিংস যা চেয়েছিলেন এ-পর্যন্ত তাই হচ্ছিল৷ রাজাকে বন্দি করার খবর পেয়ে কিন্তু ঘটনা এইবার অন্য দিকে মোড় নিল৷ রামনগর থেকে দলে দলে সশস্ত্র লোক নদী পার হয়ে চৈত সিংয়ের প্রাসাদের দিকে আসতে লাগল৷ চৈত সিংয়ের প্রাসাদে যেসব ইংরাজ সৈন্য মোতায়েন ছিল তারা হঠাৎ আবিষ্কার করল যে, তাদের সঙ্গে বন্দুক আছে কিন্তু ভুল করে গুলি আনা হয়নি৷ মেজর পপাম বিপদ বুঝতে পেরে বাইরে থেকে অন্য সৈন্যদের খবর দিয়ে ডেকে পাঠালেন৷ তারা যখন এসে পড়ল তখন প্রাসাদের চারপাশে চৈত সিংয়ের এত প্রজাদের ভিড় যে, ভিতরে প্রবেশ করা অসম্ভব৷ সরু গলির ভিতরে ইংরেজ সৈন্যরা সুবিধা করতে পারল না৷ চৈত সিংহের লোকরা শেষ পর্যন্ত ইংরাজ সৈন্যদের উপর গুলি ছুড়তে লাগল৷ চৈত সিং বুঝতে পারলেন যে, ঘটনা যে দিকে যাচ্ছে তাতে তাঁর সর্বনাশ হবে৷ তিনি একটি ছোটো দরজা দিয়ে নদীর দিকে এগিয়ে গেলেন৷ জল সেখান থেকে অনেক নীচে৷ তিনি নিজের পাগড়ি বারান্দার সঙ্গে বেঁধে তাই ধরে নীচে নেমে গেলেন৷ সেখানে আগে থেকেই নৌকো রাখা ছিল৷ সেই নৌকোয় করে তিনি ওপারে রামনগর পৌঁছে গেলেন৷
চৈত সিংয়ের লোকরা যখন প্রাসাদে ইংরাজ সৈন্যদের আক্রমণ করল তখন তাদের কিছু করার সাধ্য ছিল না৷ অল্প সময়ের মধ্যে তাদের আর কেউ বাকি রইল না৷ তিন দিন পরে ওয়ারেন হেস্টিংস এক বড়ো সৈন্যদল রামনগরে পাঠিয়েছিলেন৷ রামনগরেও ইংরাজদের সুবিধা হল না৷ সেখানেও সংকীর্ণ পথ, গলির মধ্যে ইংরেজদের বিপদ হতে লাগল৷ দু-দিকে যদি বড়ো বাড়ি থাকে তাহলে সেখান থেকে আক্রমণ এলে তাকে প্রতিরোধ করা কঠিন৷ একজন ইংরাজ কর্মচারী তাঁর সৈন্য নিয়ে বিবেচনা না করে একটি গলির মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন, সেখান থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারেননি৷ ইংরাজ সৈন্যদের এই দ্বিতীয়বার বিপত্তি ঘটল৷ গুজব রটল যে, এইবার ওয়ারেন হেস্টিংসকেও আক্রমণ করা হবে৷ সমস্ত এলাকা জুড়ে ইংরেজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের চেষ্টা হচ্ছে৷ হেস্টিংস বিপদ বুঝে চুনারে পালিয়ে গেলেন৷ এই ঘটনাকে নিয়ে একটি ছড়া তৈরি হয়েছিল৷
ঘোড়েপর হাওদা, হাথি পর জিন,
জলদি ভাগ গয়া ওয়ারেন হেস্টিন৷
হাওদা তো হাতির পিঠে লাগানো হয় কিন্তু ভুল করে তা ঘোড়ার পিঠে লাগাবার চেষ্টা হয়েছিল৷ এমন গোলমালে বিদ্রোহ খুব তাড়াতাড়ি বারাণসী থেকে ফৈজাবাদ ও তার চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল৷ কিন্তু তা বেশিদিন স্থায়ী হল না৷ জোয়ারের ঢেউয়ের মতো যা কোম্পানির শাসনকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করেছিল তা আবার ভাটার জলের মতো তাড়াতাড়ি সরেও গেল৷ উত্তেজনা কমে আসবার পরে হেস্টিংস নতুন ব্যবস্থা নিলেন৷
চৈত সিংয়ের পরিবারের একজন, মোহিপনারায়ণকে চৈত সিংয়ের জায়গায় বসানো হল৷ তাঁর হাতে বেশি ক্ষমতা রইল না৷ তাঁর বাবা দিগ্বিজয় সিংকে নায়েব করে দেওয়া হল, তাঁর হাতেই ছিল প্রকৃত ক্ষমতা৷ তাও আবার অনেক ছেঁটে দেওয়া হল৷ দিগ্বিজয় সিংয়ের বিচার-ব্যবস্থা বা টাঁকশালের উপর কোনো কর্তৃত্ব রইল না৷ খাজনার হার ওয়ারেন হেস্টিংস প্রায় দ্বিগুণ করে দিলেন৷ এখন থেকে বছরে চল্লিশ লাখ টাকা৷
চৈত সিং ইতিহাস থেকে অদৃশ্য হয়ে গেলেন৷ কিন্তু বহুদিন পর্যন্ত এই নিয়ে অনেক আলোচনা চলেছিল৷ হেস্টিংসের সমালোচকরা প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, হেস্টিংসের এই কাজ কি উচিত হয়েছিল? চৈত সিং তো সাধারণ জমিদার ছিলেন না৷ প্রকৃতপক্ষে তিনি ছিলেন রাজা৷ তাঁর সঙ্গে এরকম ব্যবহার কি উচিত হয়েছিল? হেস্টিংসের কি চৈত সিংয়ের উপর কোনো রাগ ছিল? এই উপলক্ষে তিনি শোধ তুলতে চেয়েছিলেন? অন্যদিকে হেস্টিংসের বন্ধুরা বলেছেন যে, হেস্টিংস কোথাও নিয়মের বাইরে কাজ করেননি৷ ফরাসিদের সঙ্গে যুদ্ধের সময় তিনি যে বাড়তি সাহায্য চেয়েছিলেন তাতে তাঁর অধিকার ছিল৷ তা ছাড়া চৈত সিংয়ের শাসনও খারাপ ছিল৷ দেশে চুরি-ডাকাতির অন্ত ছিল না৷ হেস্টিংস যা করেছেন তার ফল ভালোই হয়েছে৷
শেষ কথা বলা কঠিন৷ ইংরেজরা বারে বারে বলেছিলেন যে, সমস্ত দেশ জুড়ে কোম্পানির বিরুদ্ধে বিদ্রোহের চেষ্টা চলেছিল৷ সত্যিই কি তাই হয়েছিল? হয়ে থাকলেও তাতে চৈত সিংয়ের কতটা হাত ছিল! এসব কথার কিন্তু উত্তর দেওয়া এখন আর সম্ভব নয়৷