আমি এমনকী ব্রিটিশদের টুকরোটাকরা-ঠাসা অতীত ঝেড়ে
অন্ধস্কুলের দেয়ালে দেখি লেখা গুটিকয় তালঠুকুয়া জ্ঞানের স্লোগান
হাতড়ে দেখি আরে ক্ষীরের সিঙাড়ার হালুয়ায় পুর-দেয়া কানামাছি
চাঁদবণিক প্রায়ভেট নামে বিশ্বায়নের পার্লার খুলেছে
আমি এমনকী কোকিলটাকে বলেছি তোর নাম যে কোকিল তা কি জানিস
কইমাছও তো জানে না যে বাজারে ল্যাংটোপোঁদে ও দুরুদুরু-বুক কইমাছ
ভুষিমালের প্রতীক নিয়ে করবিটা কী নতুন বলতে কিসসু বাকি নেই রে
আমি এমনকী শালবনের রিমিক্স নাচের ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখতে
খাঁজকাটা রোদ্দুরের ডালেডালে অক্ষয় বয়স্ক চিল রেখেছি দফায়-দফায়
যাতে একটানা ডেকে-ডেকে রাতটাকে বাড়াতে পারে কুকুর সমাবেশ
আমি এমনকী মানব-সন্তানদের হিসিভেজা মফসসলি ইসটিশানে
মাগিপিয়াসী নিত্যযাত্রীদের আত্মা-মেরামতের নাইটশিফট কারখানায়
মানুষ কাকে বলে জানতে আয়নাভাঙা টুকরোর মুখগুলো ওজন করাতে গিয়ে
টের পেলুম সত্যকে জানতে হলে ভাষার বাইরে লাইন দিতে হবে রে
কলকাতা ২৫ নভেম্বর ১৯৯৮