ঘাসের বুকের থেকে কবে আমি পেয়েছি যে আমার শরীর —
সবুজ ঘাসের থেকে; তাই রোদ ভালো লাগে — তাই নীলাকাশ
মৃদু ভিজে সকরুণ মনে হয়; — পথে পথে তাই এই ঘাস
জলের মতন স্নিগ্ধ মনে হয়, — কউমাছিদের যেন নীড়
এই ঘাস; — যত দূর যাই আমি আরো যত দূর পৃথিবীর
নরম পায়ের তলে যেন কত কুমারীর বুকের নিঃশ্বাস
কথা কয় — তাহাদের শান — হাত খেলা করে — তাদের খোঁপায় এলো ফাঁস
খুলে যায় — ধূসর শাড়ির গন্ধে আসে তারা — অনেক নিবিড়
পুরোনো প্রাণের কথা কয়ে যায় — হৃদয়ের বেদনার কথা —
সান্ত্বনার নিভৃত নরম কথা — মাঠের চাঁদের গল্প করে —
আকাশের নক্ষত্রের কথা কয়; — শিশিরের শীত সরলতা
তাহাদের ভালো লাগে, — কুয়াশারে ভালো লাগে চোখের উপরে;
গরম বৃষ্টির ফোঁটা ভালো লাগে; শীত রাতে — পেঁচার নম্রতা;
ভালো লাগে এই যে অশ্বথ পাতা আমপাতা সারারাত ঝরে।
বালিকার প্রেমিক
আমি কারো প্রেমিক হতে পারব না,
যতই তুমি আলগা করো খোঁপার বাঁধন।
আমি কারো প্রেমিক হতে পারব না,
যতই তুমি আলগা করো বুকের আঁচল।
আমি কারো প্রেমিক হতে পারব না,
যতই তুমি আলগা করো অবৈধ ইঙ্গিত।
আমি কারো প্রেমিক হতে পারব না,
যতই তুমি আলগা করো ময়ুর নাচার মৌনতা।
আমি কারো প্রেমিক হতে পারব না,
যতই তুমি আলগা করো দেহ মনের জানালা।
আমি কারো প্রেমিক হতে পারব না,
যতই তুমি আলগা করো উরুদ্বয়ের গুরু সর্বনাশ।
আমি কারো প্রেমিক হতে পারব না,
যতই তুমি আলগা করো পদতলের আঁচল নিয়ে টানাটানি।
আমি কারো প্রেমিক হতে পারব না,
যতই তুমি আলগা করো খোলা মেলা শরীরের কারুকাজ।
আমি কারো প্রেমিক হতে পারব না,
যতই তুমি আলগা করো দীর্ঘশ্বাস বুকের নিঃশ্বাস।
আমি কারো প্রেমিক হতে পারব না,
যতই তুমি আলগা করো আলো ছায়ার আঁধার।