গ্রহণ । নবারুণ ভট্টাচার্য
চুপ
এখন গ্রহণ চলছে
তাই সব কিছু ছায়া দিয়ে ঢাকা।
দুরন্ত চীনেমাটি বাসনের দোকান
ঠাস্—কাপ না প্লেটের চিৎকার
মহেঞ্জোদড়োর সেই ছানিপড়া ষাঁড়
আচমকা ঢুকে পড়ে
নেড়ে যাচ্ছে শিঙ
সহসা নাকেতে ঘুষি
মেরে সরে গেল ছায়া
শ্যাডো বক্সিং !
চুমু!
ছায়ার তৈরি বৌ
তার হাতে ছায়া ছায়া শাঁখা
ছায়ার সিলিঙে ঘোরে
ভৌতিক ছায়াময় পাখা
ছায়াতে শিশুটি কাঁদে
তার মুখে দাতব্য স্তন
অকাতরে গুঁজে দেয়
ছায়াঢাকা বিদেশী মিশন।
বাহ
টেলিভিশনেতে ছায়া খেলা করে
উপচ্ছায়া রাতারাতি প্রচ্ছায়া হয়
ছায়ার জানলা দিয়ে হু হু করে
ছায়াচূর্ণ ঢোকে
খিল খিল করে কেউ কেঁদে ওঠে
ছায়া নামধারী কোনো প্রেমিকার শোকে!
পার্টনার!
পাটোয়ারি বুদ্ধি ভুলে এবারে ধর্মে দাও মন।
ভূমণ্ডলে আপাতত ছায়ার গ্রহণ।