।। গুরুজন মাহাত্ম্য বর্ণনম্।।
।। গুরুজন মাহাত্ম্য বর্ণন।।
চতুর্ণামপি বণানাং নান্যো বন্ধুঃ প্রচক্ষতে। ঋতে পিতুদ্বিজশ্রেষ্ঠা ইতীয়ং নৈগমী স্মৃতিঃ।।১।। এয়োহপি গুরবঃ শ্রেষ্ঠাস্তাভ্যাং মাতা পরো গুরু। যে সোদারা জ্যেষ্ঠশ্রেষ্ঠা উত্তরোত্তরতো গুরুঃ।।২।। দ্বাদশ্যাং তু আমবাস্যামথ বা রবিসংক্রমে বাসাংসি দক্ষিণা দেয়া মনিমুক্তা যথারুচি।।৩।। অযনে বিষ্ণুবে চৈব চন্দ্রসূর্যগ্রহে তথা। প্রাপ্তে চাপরপক্ষে তু ভোজয়েচ্চাপি শক্তিতঃ।।৪।।
চারবর্ণের অন্য কোনও বন্ধু নেই। হে দ্বিজশ্রেষ্ঠ, পিতাই এক পরম বন্ধু, পিতা ছাড়া অন্য কোন বন্ধু নেই–এটা নৈগম স্মৃতি বলে।।১।।
এই তিনজনই গুরুগণের শ্রেষ্ঠ এবং ঐ দু’জন থেকে মাতা পরম গুরু। যে সোদর এবং জ্যেষ্ঠদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সে উত্তরোত্তর থেকে গুরু হয়।।২।।
দ্বাদশী বা অমাবস্যায় অথবা সূর্যের সংক্রমণ দিনে বস্ত্ৰ দক্ষিণা দিতে হয় এবং নিজ রুচি ও শক্তি অনুসারে মুক্তাও দিতে হয়।।৩।।
অয়নে, বিষুবে, চন্দ্র তথা সূর্য গ্রহণে অণর পক্ষ প্রাপ্ত হলে শক্তিধর (ক্ষমতার) অনুরূপ ভোজনও করাতে হবে।।৪।।
পশ্চাৎপ্ৰবন্ধয়েপ্তাদৌ মন্ত্রেণানেন সত্তমাঃ। বিধিবদ্ব ন্দনাদেব সবতীর্থফলং লভেৎ।। ৫।। স্বগাপবগপ্ৰদমেকমাদ্যং ব্রহ্মস্বরূপং পিতরং নমামি যতো জগৎ পশ্যাতি চারুরূপং তং তপয়ামঃ সলিলৈস্তিলৈযুতৈঃ।।৬।। পিতরো জনয়ন্তীহ পিতরঃ পালয়ন্তি চ। পিতরো ব্রহ্মরূপা হি তেভ্যো নিত্যং নমোনমঃ।।৭।। যস্মাদ্বিজয়তে লোকস্তস্মাদ্বর্ম প্রবর্ততে। নমস্তুভ্যং পিতঃ সাক্ষগব্রহ্মরূপ নমোহস্তু তে।।৮।। যা কুক্ষিবিবরে কৃত্বা স্বয়ং রক্ষতি সর্বতঃ। নমামি জননীং দেবীং পরাং প্রকৃতিরূপিনীম্।।৯।। কৃচ্ছ্রেণ মহতা দেব্যা ধারিতোহ হং যথোদরে। ত্বপ্তরসাদাজ্জখৃষ্টং মাতরনিত্যং নমোহস্তুতে।। ১০।।
হে সত্তম! এর পিছনে এই নিম্ন মন্ত্র দ্বারা চরণের বন্দনা করতে হবে। বিধি বিধানসহ বন্দনা করলেই সমস্ত তীর্থের ফল প্রাপ্তি ঘটে।।৫।।
মন্ত্র হল, স্বর্গ এবং মোক্ষপ্রদানকারী আদ্য ব্রহ্মের স্বরূপ দ্বারা যুক্ত পিতাকে আমি প্রণাম করছি যা থেকে জগৎ চারুরূপকে দেখে তাকে তিল দ্বারা যুক্ত জল দ্বারা তৃপ্ত করছি।।৬।।
এই সংসারে পিতা উৎপাদন করে এবং পিতৃগণই পালনও করে। পিতা ব্রহ্ম-এর রূপযুক্ত হয়। অতএব তাঁর জন্য নিত্যই বারংবার নমস্কার।।৭।।
যা থেকে লোক বিজয় প্রাপ্ত হয় এবং তা থেকে ধর্ম প্রবৃত্ত হয়। হে পিতা! হে সাক্ষাৎ ব্রহ্ম স্বরূপ! আপনার জন্য নমস্কার, আপনাকে আমার প্রণাম জানাচ্ছি।।৮।।
যে নিজ কুক্ষি বিবরে থেকে স্বয়ং সর্বপ্রকারে আমার রক্ষা করে ঐ পরা প্রকৃতি স্বরূপ দেবী জননীকে আমি নমস্কার করছি।।৯।।
দেবী বড়ই কষ্টে যেভাবে আমাকে নিজ উদরে ধারণ করেছিল। হে মাতা! এই সমস্ত জগৎ আমি আপনারই প্রসন্নতায় দেখছি।।১০।।
পৃথিব্যাং যানি তীথানি সাগরাদীনি সর্বশঃ। বসন্তি যত্র তাং নৌমি মাতরং ভূতিহেতবে।।১১।। গুরুদেব প্রসাদেন লধ্বা বিদ্যা যশস্করী। শিবরূপ নমস্তস্মৈ সংসারাণবসেতবে।।১২।। বেদ বেদাঙ্গশাস্ত্রণাং তত্ত্বং যত্র প্রতিষ্ঠিতম্। আধারঃ সর্বভূতানামগ্ৰজন্মন্নমোহস্তু তে।।১৩।। ব্রাহ্মণো জগতাং তীথং পাবনং পরমং যতঃ। ভূদেব হর মে পাপং বিষ্ণুরূপিন্নমোহস্তু তে।।১৪।। কণিষ্ঠং তারহস্তং স্যাদুত্তমং পঞ্চবিংশতি। সর্বোত্তমং চ দ্বাত্রিমশচ্চতুষ্কোণে মহাফলম্।।১৫।।
পৃথিবীতে যত তীর্থ আছে এবং সব সাগর প্রভৃতি আছে এই সব যেখানে নিবাস করে সেই নিজ দেবী মাতাকে ভূতি হেতু নমস্কার করছি।।১১।।
গুরুদেবের প্রসাদে আমি যশ প্রদানকারী বিদ্যা প্রাপ্ত হয়েছি। এইভাবে শিব স্বরূপ হল গুরুবর্ণ! এই সংসাররূপী সাগর পার হবার সেতুর জন্য আপনাকে আমার শত শত বার প্রণাম জানাচ্ছি।।১২।।
যেখানে বেদ বেদের অঙ্গস্বরূপ শাস্ত্রের তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত থাকে। যা সমস্ত প্রাণীদের আঠার স্বরূপ হে অগ্রজন্মা! আপনার জন্য আমার প্রণাম জানাচ্ছি।।১৩।।
ব্রাহ্মণ সমস্ত জগতের তীর্থ কেননা এটি হল পরম পাবন। হে ভূদেব! হে বিষ্ণুপূপী! আমার পাপ হরণ কর। আপনার জন্য আমার প্রণাম জানাচ্ছি।।১৪।।
এখন দেবায়তন নির্মাণ করানোর বিষয়ে বলা হচ্ছে যে, কনিষ্ঠ দেবালয় তার হস্ত হয় যা পঞ্চবিংশতি উত্তম। বত্রিশ সর্বোত্তম হয় এবং যা চতুষ্কোণ হয় তা থেকে মহাফল হয়।।১৫।।
পুরদ্বারং চ কতব্যং চতুরস্ত্রং সমং ভবেৎ। অষ্টকোণং ন কতব্যং ত্রিপুরং চ কলৌ যুগে।।১৬।। সুরবেশ্মানি যাবন্তো দ্বিজেন্দ্রা পরমানবঃ। তাবদ্বর্ষসহস্রাণি স্বর্গলোকে মহীয়তে।।১৭। কতুদেশগুণং প্রোক্তমাপান পরিপালকঃ। পতিতানাদ্ধরেদ্যস্ত স সর্বং ফলমতে।।১৮।। পতিতং পতমানং চ তথাদ্ধস্ফুটিতং তথা। সমুদধৃত্য হরেবেশ দ্বিগুনং ফলমাপুয়াৎ।।১৯।। পতিতস্য তু যঃ কৰ্ত্তা পতমানস্য রক্ষিতা। বিষ্ণোরধিতলস্যৈব মানব স্বৰ্গৰ্ভা ভবেৎ।। ২০।। যঃ কুথাদ্বিষ্ণুপ্রাসাদং জ্যোতিলিঙ্গস্য বা কৃচিৎ। সূর্যস্যাপি বিরিঞ্চেশ্চ দুর্গায়া শ্রীধরস্য চ।।২১।।
পুরদ্বার চতুরস্ত্র এবং সম করতে হবে। এই কলিযুগে অষ্টকোণ ত্রিপুর তৈরী করা হবে না।।১৬।।
দেবালয়ে হে দ্বিজেন্দ্ৰগণ! যত পরমাণু আছে তত সহস্ৰ বৰ্ষ পর্যন্ত ঐ মন্দির নির্মাতা স্বর্গলোকে প্রতিষ্ঠা প্রাপ্ত হয়।।১৭।।
যিনি দেবালয় তৈরী করান তাকে দশগুণ আপান পরিপালক বলা হয়। তিনি পতিত হয়েও ঐ সবার উদ্ধার করেন এবং সম্পূর্ণ ফল প্রাপ্ত হন।। ১৮।।
পড়ে গেছে বা পড়ন্ত তথা অর্ধেক ভাঙ্গা হরির আপতন ভালভাবে জীর্ণোদ্ধার করলে সে দুগুণ ফল প্রাপ্ত হওয়ার অধিকারী হয়। নতুন তৈরীর অপেক্ষা জীর্ণ দেবালয় উদ্ধারের দু’গুণ ফললাভ করে।।১৯।।
পতিতের যে কর্তা এবং পতমানকারী হয় তার রক্ষা করলে সেই মানুষ বিষ্ণুর অধস্তলেরই স্বর্গভাগী হয়।। ২০।।
যে বিষ্ণুর প্রসাদে তৈরী করে অথবা জ্যেতির্লিঙ্গ এর প্রাসাদ করে সূর্য, ব্রহ্ম, দুর্গা এবং শ্রীধরের প্রাসাদ তৈরী করে সে কোটি কল্প পর্যন্ত স্বর্গবাসী হয়।।২১।।
স্বয়ং স্বকুলমুদ ধৃত্য কল্পকোটিং বসেদ্দিবি। স্বগাদ্ৰষ্টো ভবেদ্ৰাজা ধনী পুজ্যতমোপি বা।। ২২।। দেবীলিঙ্গেষু যোনৌ বা কৃত্বা দেবকুলং নরঃ। স্মরত্বং প্রাপ্পুযোশ্লোকে পূজিতো দিবি সবদা।।২৩। প্রাবৃটকালে স্থিতং তোয়মগ্নিষ্টোম ফলং লভেৎ। শরৎকালস্তিতং তোয়ং যজ্ঞতোয়দ্বিশিষ্যতে।।২৪।। নিদাঘকালে পানীয়ং যস্য তিষ্ঠতি বাপিনঃ। স্বর্গং গচ্ছেস্ত নরকং ন কদাচিদবাপুয়াৎ।।২৫।। একাহং তু স্থিতং তোয়ং পৃথিব্যাং দ্বিজসত্তমাঃ। কুলানি তারয়েত্তস্য সপ্ত সপ্ত পরানি চ।।২৬।। পূবং পিতৃকুলে সপ্ত তদ্বন্মাতৃকুলে দ্বিজাঃ। চতুদশমিদং জ্ঞেয়ং শতলেখং ততঃ শৃণু।।২৭।
দেবালয় নির্মাণকারী চাইলে কোনও এক দেবতার গৃহ তৈরী করবে। নিজ বংশোদ্ধার করে কোটি কল্প পর্যন্ত স্বর্গলোকে থাকতে পারবে। যখন স্বর্গের উপভোগ সমাপ্ত হয়ে যাবে তখন সে আবার এই মনুষ্যলোকে জন্ম গ্রহণ করে রাজা, ধনী বা পূজ্যতম হবে।।২২।।
হে মানুষ দেবীর লিঙ্গে অথবা যোনিতে দেবকুল করে সে লোকে স্মরস্বরূপ প্রাপ্ত করে এবং সর্বদা স্বর্গে পূজিত হয়।।২৩।।
বর্ষার সময় যার জল স্থিত হয় অগ্নিষ্টোমের ফল লাভ করে, যার জল শরৎকালে স্থিত হয় যে যজ্ঞীয় জল থেকেও বিশেষতা রাখে।।২৪।।
যার পুকুরে গ্রীষ্ম ঋতুতে জল থাকে সেই পুকুর খননকারী মানুষ স্বর্গে চলে যায় এবং তাকে নরক কখনও প্রাপ্ত হয় না।।২৫।।
হে দ্বিজশ্রেষ্ঠ! পৃথিবী মন্ডলে এক দিনও স্থিত থাকা জল ঐ নির্মাতার পূর্বের এবং পরের সাত কুলের উদ্ধার করে।।২৬।।
প্রথমে পিতৃকুলে সাত এবং তারপর মাতৃকুলে সাত এইভাবে চোদ্দ কুল হয়ে যায়। এখন শত লেখ শ্রবণ কর।।২৭।।
পিতুরূধ্বং কুলং বিংশং মাতুরূধ্বং কুলং তথা তদ্ব প্তরং বিজানীয়াদ্রাযায়াঃ পঞ্চ এব চ।।২৮। পঞ্চ বৈ মাতৃতশ্চাস্য পিতুমাতামহে কুলে। পঞ্চ পঞ্চ বিজানীয়ান্মাতুমাতামহস্য চ।।২৯।। গুরোঃ পিতৃকুলে পঞ্চ তস্য মাতৃকুলে তথা। আচাযস্য কুলে দ্বং স্বং দশরাজকুলস্য চ।।৩০।। রাজ্ঞো মাতামহকুলে পঞ্চ চৈব প্রকীতিতাঃ। একোত্তরং শতকুলং পরিসংখ্যাতমেব চ।।৩১।। আত্মনা সহ বিপ্রেন্দ্রা উদ্ধারঃ সংমতঃ স্মৃতঃ। কুর্যাদ্দেবাচনং তীর্থে স্ববিমুক্তে দশাণবে।।৩২।। সমুদ্ধরেৎকুলশতং শূনু বিংশকুলং দ্বিজ। পঞ্চ পঞ্চ চ পিত্রোশ্চ পিতুমাতামহস্য চ।।৩৩।। মাতুমাতামহস্যৈব জাতিং দ্বন্দ্বমুদাহৃতম্। গুরোঃ সন্তানকে দ্বন্দ্বং তদ্বদ্যাদবসাত্ত্বতৌ।।৩৪।।
পিতার ঊর্ধ্বের কুড়ি এবং এভাবে মাতার ঊর্ধ্বের কুড়ি এবং এরপর নিজ পত্নীর পাঁচ বুঝতে হবে।।২৮।।
এভাবে মাতা থেকে এর পাঁচ এবং পিতার মাতামহ কুলে পাঁচ পাঁচ তথা মাতামহকে জানতে হবে।।২৯।।
গুরুর পিতৃকুলে পাঁচ এবং মাতৃকুলে পাঁচ, আচার্যের কুলে দুই তথা রাজার কুলের দশজনের উদ্ধার করে দেয়।।৩০।।
রাজার মাতামহের কুলে পঁচে বলা হয়েছে। এই প্রকারে একশ-রও অধিক অর্থাৎ একশ’এক কুলের সংখ্যা করা হয়েছে।।৩১।।
হে বিপ্রেন্দ্ৰগণ! নিজ আত্মার সঙ্গেই উদ্ধার হওয়াকে সম্মত বলা হয়। তীর্থে স্ববিমুক্ত দশার্ণবে দেবতার অর্চনা করা উচিৎ।।৩২।।
হে দ্বিজ! এইভাবে শতকুলের সমুদ্ধার করা উচিৎ। এবার বিংশকুল শ্রবণ কর। পাঁচ-পাঁচ মাতা এবং পিতার এবং পিতার মাতামহের ও মাতার পরপক্ষস্য চৈকং স্যাদেকবিংশং কুলং ক্রমাৎ। পানীয়মেতস্তকলং ত্রৈকোক্যং সচরাচরম্।।৩৫।। পানীয়েন বিনা বৃত্তিলোকে নাস্তীতি কহিচিৎ। বারস্বস্থং পুষ্পখন্তং তোয়ে পততি যাবতি।।৩৬। তাবৎকালং বসেৎস্বগে চান্তে ব্রহ্মত্বমাপুয়াৎ। তস্মাত্তেয়োপরি গৃহং প্রসাদোপরি বজয়েৎ।।৩৭।। সূর্যরশ্মিযুতং যদ্বৈ তত্তোয়ং তু বিনিন্দিতম্। চন্দ্ররশ্মিবিহীনং যন্নামৃতত্বায় কল্পতে।।৩৮।।
তস্মাদ্দশগুণং কুন্তে তস্মাদ্দশগুণং হ্রদে দেবানাং স্থাপনং কূর্যাদবিমুক্তপলং শুভম্।।৩৯।। সুস্থিতং দুঃস্থিতং বাপি শিবলিঙ্গং ন চালয়েৎ। চালনাদ্রৌরবং যাতি ন স্বর্গং ন চ স্বৰ্গভাক।।৪০।।
মাতামহের দ্বন্দ্ব জাতির কথা বলা হয়েছে।গুরুর সন্তানের সঙ্গে দ্বন্দ্ব এবং এরপর যাদব সাত্বত এবং পরপক্ষের এক এই ক্রমে একবিংশ কুল আছে। এই দল সম্পূর্ণ চরাচর ত্রৈলোক্য-এর উদ্ধার করে।।৩৩-৩৫।।
পানীয় ছাড়া লোকে কোথাও বৃত্তি হয় না। যতক্ষণ বারস্বস্থ পুষ্পখ জলে পড়ে ততক্ষণ স্বর্গে নিবাস করে এবং শেষে ব্রহ্মত্ব প্রাপ্তি করে। এজন্য জলের উপর গৃহ এবং প্রাসাদের উপর গৃহ বর্জিত রাখতে হবে।।৩৬-৩৭।।
যে জল সূর্যের রশ্মির দ্বারা যুক্ত হয় তা বিনিন্দিত হয়। যে চন্দ্রমার রশ্মি বিহীন হয় তা অমৃতত্বের জন্য কল্পিত হয় না।।৩৮।।
এর থেকে দশগুণ কুন্ডে এবং তার থেকে দশগুণ হৃদয়ে দেবতাদের স্থাপন করতে হবে তা অবিমুক্ত ফল শুরু হয়।।৩৯।। উচ্ছন্ননগরগ্রামে স্থানত্যাগে চ বিপ্লবে। পুনঃ সংসারধমেন স্থাপয়েদবিচারয়ন্।।৪১।। বাহুদত্তাদিপ্রতিমা বিষ্ণোশ্চান্যস্য সত্তমাঃ। ন চালয়েৎস্থাপিতে চ বিপ্ৰব-ক্ষং ন চালয়েৎ।। ৪২।। কেশবং হরিবৃক্ষং চ মধুকং কিংশুকং তথা। নাকালে স্থাপয়েজ্ঞাতু চালনাদবহ্মহা ভবেৎ।।৪৩।। দেবালয়স্য পুরতঃ কযাপুষ্করিনীং দ্বিজাঃ। ব্রাহ্মণানাং সমাজে চ রাজদ্বারে চতুষ্পথে।।৪৪।। দেবাথে ব্রাহ্মণাথে চ সুখং কুযাচ্চ সর্বতঃ। পশ্চিমে পুষ্টিকামং তু উত্তরে সর্বকামদম।।৪৫।। যাম্যে স্বাথং কুবীত কোণে তু নরকং ভবেৎ। মুখং প্রকল্পয়েন্মধ্যে কেচিদুত্তরলঙ্ঘনম।।৪৬।।
সুস্থিত বা দুঃস্থিত যেমনই হোক শিবলিঙ্গ চালিত করা উচিৎ নয়। এর চালনা করলে রৌরবকে জায়া করা হয় এবং স্বর্গে যায় না এবং স্বর্গের ভাগীও হয় না।।৪।।
উচ্ছন্ন নগর-গ্রামে, স্থান ত্যাগে এবং বিপ্লবে পুনঃসংসার ধর্ম বিনা কোন বিচার করে স্থাপনা করা উচিৎ।।৪১।।
হে সত্তম! বিষ্ণুর বা অন্যের বাহু, দন্ড প্রভৃতি প্রতিমা চালিত করা উচিৎ হয় এবং স্থাপিত করলে বিপ্র বৃক্ষকেও চালিত করবে না।।৪২।।
কেশব, হরিবৃক্ষ, মধুক এবং কিংশুক অকালে কখনও স্থাপিত করবে না
এবং এর চালন করলে ব্রহ্মহা হয়।।৪৩।।
হে দ্বিজগণ! দেবালয়ের পুরোভাগে পুষ্করিণী তৈরী করা উচিৎ। ব্রাহ্মণ সমাজে রাজদ্বারে এবং চতুষ্পথে পুষ্করিণী হওয়া উচিৎ।।৪৪।।
দেবতাদের অর্থে এবং ব্রাহ্মণদের অর্থে সব প্রকারে সুখ করবে। পশ্চিমে পুষ্টি কামকে এবং উত্তরে সমস্ত কামনার দানকারী হয়।। ৪৫।।
যাম্যদিকে স্বার্থ করবে না এবং কোণে করলে নরক হয়। এর মুখ মধ্যে প্রকল্পিত কর। কিছু বিদ্বান একে উত্তর লক্ষ্মণ বলেন।।৪৬।।
কুয়াদ্দক্ষিণপূর্বে তু অর্থহস্তপ্রমানতঃ। তড়াগে তু ফলাহস্তং হস্তিকং হ্রাসয়েক্রমাৎ।।৪৭।। তৃপ্যে হস্তং নলিন্যাদাবতো হীনং ন কারয়েৎ। গর্ততৃনং কলাহস্তং তনাগেহত্ৰ প্ৰচক্ষ্যতে।।৪৮।। হীনে হীনতরং কুলাদ্বস্তমানেন হ্রাসয়েৎ। যুপস্তথা খাদির এর কার্যঃ শ্রৈপনিকো ধাত্রিসমুদ্রশ্চ।। ৪৯।।
বারহাত প্রমাণ দ্বারা দক্ষিণ পূর্বে করতে হবে। তড়াগে ফলাহস্ত ক্রমে হস্তিকের হ্রাস কর।।৪৭।।
তৃপ্যে নলিনীর দাব থেকে হস্তহীন করবে না। গৰ্ত্ততৃণ কলা হস্ত এই তড়াগে বলা হয়েছে।।৪৮।।
হীনে হীনতা কর এবং হস্তমান থেকে ব্রাসকারী তৈরী করবে। খদিরের, শ্রৈপর্ণিক বা ধাত্রী থেকে সমুৎপন্ন ধূপ করাতে হবে।।৪৯।।