2 of 3

গরবাচেভ

গরবাচেভ

২০০৮ সালে বিখ্যাত গ্লাসনস্ত এবং পেরেস্রোইকার স্থপতি মিখাইল গরবাচেভ আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ইতালির বোসকো মারেঙ্গোতে, ওয়ার্ল্ড পলিটিক্যাল ফোরামের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করতে। আমার বিষয় ছিল নারীর সমানাধিকার। আমি টেবিলের এইপাশে, ওইপাশে বসে মন দিয়ে আমার বক্তব্য শুনেছেন গরবাচেভ। কানে অনুবাদের হেডফোন লাগিয়ে শুনেছেন। সাইমালটেনিয়াস অনুবাদ ছিল। বক্তৃতা শেষ হলে আমার দিকে তাকিয়ে হেসে বুড়ো আঙুল উঁচু করলেন। তারপর দেখলাম। উনি নিজের চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়লেন। ভাবলাম হয়তো কোনও জরুরি কাজে কোথাও যাচ্ছেন। আশ্চর্য, উনি লম্বা টেবিলটার কিনার দিয়ে হেঁটে হেঁটে আমার কাছে পোঁছুলেন। আমি তাঁর গন্তব্য! আমাকে ভীষণ চমকে দিয়ে আলিঙ্গন করলেন আমাকে, শুদ্ধ ইংরেজিতে বললেন, খুব ভালো বলেছে, সবার চেয়ে ভালো হয়েছে তোমার বক্তব্য। দি বেস্ট যাকে বলে। আমি বিস্মিত, মুগ্ধ, অপ্রস্তুত, অপ্রতিভ। এরপর উনি ফিরে গেলেন নিজের চেয়ারে। ফিরে মাইক্রোফোন টেনে নিয়ে রাশান ভাষায় বলতে শুরু করলেন আমি যা বলেছি তা কেন তিনি মনে করেন অতি প্রয়োজনীয়, কেন আমার পাশে সবার দাঁড়ানো উচিত। প্রায় পনেরো মিনিট বললেন। আমি থ।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *