মেনকার গর্ভজাত হিমালয়ের জ্যেষ্ঠা কন্যা। ইক্ষাকুবংশীয় রাজা মহাভিষ যখন দেবতাদের সঙ্গে ব্রহ্মার সভায় বসে ছিলেন, তখন বায়ুর প্রভাবে গঙ্গাদেবীর সূক্ষ বস্ত্র অপসৃত হয়। দেবতারা নতমুখ হলেন, কিন্তু মহাভিষ অপলক দৃষ্টিকে গঙ্গার দিকে তাকিয়ে রইলেন। ব্রহ্মা সেটা লক্ষ্য করে মহাভিষকে বললেন যে, তিনি স্বর্গে থাকার উপযুক্ত নন, ওঁকে আবার মর্তে গিয়ে জন্মাতে হবে। মহাভিষ তখন ঠিক করলেন যে, তিনি প্রতীপ রাজার পুত্র হবেন। যথা সময়ে মহাভিষ শান্তনু নাম নিয়ে প্রতীপ রাজার পুত্র হয়ে জন্মান। দৈবচক্রে গঙ্গার সঙ্গে শান্তনুর আবার দেখা হয়। গঙ্গা শান্তনুকে নিজের পরিচয় দেন মহর্ষি জহ্নুর কন্যা বলে। শান্তনু গঙ্গাকে বিবাহ করতে চাইলে, উনি সন্মত হন এই সর্তে যে, শান্তনু কোনওদিন ওঁর কোনও কাজে বাধা দিতে পারবেন না। বাধা দিলেই উনি চলে যাবেন। গঙ্গা পর পর নিজের সাতটি পুত্রকে জন্মাবার সাথে সাথে নদীতে বিসর্জন দেন। অষ্টম পুত্রকে যখন বিসর্জন দিতে যাচ্ছেন, তখন শান্তনু বাধা দেন। এই অষ্টম পুত্র দেবব্রত পরে ভীষ্ম নামে পরিচিত হন। (রামায়ণে আছে ভগীরথ যখন গঙ্গা আনয়ন করেছিলেন তখন ভরতবংশজাত জহ্নু (অজমীঢ়ের পুত্র) ওঁর যজ্ঞবাট প্লাবিত হওয়ায় ক্রুদ্ধ হয়ে গঙ্গাকে পান করেন। পরে দেবগণ ও ভগীরথের প্রার্থনায় কর্ণপথে ঔ মতান্তরে, উরুভেদপূর্বক – নিঃসারিত করেন। সেইথেকে গঙ্গা জাহ্নবী নামে খ্যাত)