খুন
কেউ কেউ বলছে এত যে ব্লগার লেখক প্রকাশককে কুপিয়ে মারা হচ্ছে দেশে, হাসিনা মোটেও উদ্বিগ্ন নন, খুনীদের ধরা, বিচার করা, এসব তিনি, সত্যি কথা বলতে কী, চান না। মৌলবাদী সন্ত্রাসীদের অখুশী করলে যদি আবার তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে, কেউ যদি তাকে নাস্তিক ভেবে বসে, তাঁকে যদি গদি হারাতে হয়! হাসিনার নাকি টনক নড়বে তাঁর পুত্রধন জয়কে যদি কুপিয়ে হত্যা করে ইসলামী খুনীরা। তাহলেই নাকি তিনি খুনের বিচার চেয়ে কাঁদবেন। তাহলেই নাকি তিনি ইসলামী খুনীদের শায়েস্তা করবেন।
আমার কিন্তু তা মনে হয় না। ক্ষমতার লোভ যাকে একবার পেয়ে বসেছে, তার কাছে পুত্রকন্যা স্বামীস্ত্রী মাবাপ সবই তুচ্ছ। জয়কে, যথেষ্ট ধর্মপ্রাণ না হওয়ার কারণে, অভিজিৎ রায়ের মতো, ওয়াশিকুর বাবুর মতো, অনন্ত বিজয় দাশের মতো, নিলয় নীলের মতো, ফয়সাল আরেফিন দীপনের মতো নৃশংসভাবে, হাসিনার চোখের সামনে, কুপিয়ে হত্যা করলেও হাসিনা ওদের বিচার চাইবেন না, ওদের শাস্তি হোক চাইবেন না। ভয়ে চাইবেন না, চাইলে যদি ইসলামী মৌলবাদী সন্ত্রাসী খুনীরা হাসিনাকে সমর্থন না করে, তিনি যদি ক্ষমতাচ্যুত হন। ক্ষমতার লোভটা রক্তপিপাসুদের রক্তের লোভের মতো। ও না হলে তাদের চলে না। গোটা দেশকে রক্তের নদীতে ভাসিয়ে দিতে আপত্তি নেই। পুত্রকন্যাদের রক্ত পান করতে বললেও হয়তো আপত্তি থাকবে না।