ক্ষণিক

এ চিকন তব লাবণ্য যবে দেখি
          মনে মনে ভাবি, এ কি
ক্ষণিকের ‘পরে অসীমের বরদান,
     আড়ালে আবার ফিরে নেয় তারে
          দিন হলে অবসান।
একদা শিশিররাতে
     শতদল তার দল ঝরাইবে
          হেমন্তে হিমপাতে,
সেই যাত্রায় তোমারো মাধুরী
          প্রলয়ে লভিবে গতি।
এতই সহজে মহাশিল্পীর
          আপনার এত ক্ষতি
     কেমন করিয়া সয়,
     প্রকাশে বিনাশে বাঁধিয়া সূত্র
                   ক্ষয়ে নাহি মানে ক্ষয়।
     যে দান তাহার সবার অধিক দান
          মাটির পাত্রে সে পায় আপন স্থান।
                   ক্ষণভঙ্গুর দিনে
     নিমেষ-কিনারে বিশ্ব তাহারে
                   বিস্ময়ে লয় চিনে।
               অসীম যাহার মূল্য সে-ছবি
                   সামান্য পটে আঁকি
          মুছে ফেলে দেয় লোলুপেরে দিয়ে ফাঁকি।
     দীর্ঘকালের ক্লান্ত আঁখির উপেক্ষা হতে তারে
                   সরায় অন্ধকারে।
     দেখিতে দেখিতে দেখে না যখন প্রাণ
          বিস্মৃতি আসি অবগুণ্ঠনে
                   রাখে তার সম্মান।
          হরণ করিয়া লয় তারে সচকিতে,
               লুব্ধ হাতের অঙ্গুলি তারে
                   পারে না চিহ্ন দিতে।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *