আমি কিন্তু তামাদি মনীষীদের তেলরঙা স্মৃতির বোটকা গন্ধে বসে
জলের ওংবিষ্ণু ছিটে দিয়ে শষ্যবীজের জ্ঞান ফেরাতে গিয়ে অবাক
সরকারি-স্ট্যাচুর গুদোমঘরে পরাবাস্তব জেনিটাল-টুকরো ছড়ানো ঘাসে
যাসশালা, মূর্তিভাঙা পাথরচুরো বিয়ের আগে কী নাম ছিল ভুলে গেছে
আমি কিন্তু বুঝতে পারছিলুম নদীটা মাছেদের বুক ধড়ফড়ে কাহিল
পেঁকো ভাঁটার দেঁতোহাসি করোটির কাঁকড়া-ঢাকা চোখে
নেশার বোধিতে বুজে আসছে দুর্গাঠাকুরের পারিবারিক খড়পচা লাশের চাপে
যা সবাইকে এই সভ্যতা থেকে ওই সভ্যতার রোগে পথ বাতলে নিয়ে যাবে
আমি কিন্তু কুঁড়ে টাইপের বিকেলবেলায় যখন বেহেড পাকস্হলি নিয়ে ফিরছি
ভুল সময়ে আগত শীতে বদনবেচুনিদের চৌরঙ্গি স্যামপেলের ডেরায়
ম্যাপ খুলে দেখালে হ্যাঁ এই যে ওফুটে ওইতো ইউজার-ফ্রেন্ডলি বসন্তঋতু
চিলের পেছন-পেছন উড়ে ব্লোআপ হিরোর গায়ে হাত ছুঁইয়ে ভিককে চাইছে
আমি কিন্তু অতীতকে নতুন-করে গড়ে ফেলেছি জলফোঁটায় বেঁধেবেঁধে
প্রকৃতি কি আর জানতোনা লাশ গোঁজড়াতে এক সেট অমাবস্যা চাই
তাইতো জলের ক্যাঁদরায় খুকি-পোনাদের ভাগিয়ে নিয়ে চলল জোয়ার-বুড়ো
কলকাতা ২৬ নভেম্বর ১৯৯৮