কোলকাতা কেন্দ্রিক কর্মকাণ্ডের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ
সংযোজন : কয়েকটি ঐতিহাসিক নথিপত্র
জাতীয় কংগ্রেসের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্পর্কে এ, ও, হিউমের বক্তব্য, ৩০শে এপ্রিল ১৮৮৮
প্রথমেই এই ধারণা ব্যক্ত করা যুক্তিসঙ্গত হবে যে, ভারতের মঙ্গল সাধনের জন্য কৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিগণ যে সকল প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছেন, তার মধ্যে বর্তমানে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ও সুদৃঢ় ফলশ্রুতি হল কংগ্রেস আন্দোলন। কংগ্রেস সম্পর্কে সম্যক পরিচয় লাভের জন্য প্রথমে জানা প্রয়োজন কি কি মূল আদর্শের উপর ভিত্তি করে সেই সংস্থা (যা সম্প্রতি জাতীয় দলের সঙ্গে একত্রিত হয়েছে) পরিচালিত হচ্ছে— যে আদর্শের উপর কংগ্রেস ও অন্যান্য সামাজিক ও ধর্মীয় আন্দোলনগুলি গড়ে উঠেছে।
এই মূল আদর্শগুলি কি কি সেই বিষয়ে আমি আপনাদের নিকট আলোচনা করার সুযোগ নেবো। এটা মনে রাখা ভাল যে, এই সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোন রকম ভুল-ভ্রান্তি না থাকা বাঞ্ছনীয়। জাতীয় আন্দোলনের পথিকৃৎগণ যে মূল উদ্দেশ্যগুলি দিয়ে পরিচালিত হয়েছেন তাহল তিন ধরনেরঃ “প্রথমত, ভারতীয় জনসমষ্টির বিভিন্ন ও পরস্পর বিরোধী সকল উপাদানগুলিকে একটি জাতীয় সভায় পরিণত করা;
“দ্বিতীয়ত, নবজাগ্রত জাতিকে মানসিক, নৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্রম অগ্রগতির দিকে পরিচালিত করা,;
“তৃতীয়ত, ভারতের প্রতি সম্পর্কের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর ও বৈষম্যমূলক অবস্থার সংশোধন করে ইংল্যাণ্ড ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক ঐক্য সুসংহত করা।”
মর্লে মিন্টো সংস্কার সম্পর্কে স্যার উইলিয়াম ওয়েডারবার্ণকে লিখিত গোপালকৃষ্ণ গোখলের পত্র, ৩ ডিসেম্বর ১৯০৯ সাল।
সংস্থার নির্দেশ সম্পর্কে আমার মতামত কি এই চিঠিতে আপনাকে জানাবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি এবং এই জন্য এই চিঠি লিখছি। এই বিষয়ে দীর্ঘ পত্রাঘাতে আপনাকে বিব্রত করতে চাই না। এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে, মুসলমান ব্যতীত সমস্ত দেশের অন্য সকল গোষ্ঠীর নিকট এই নির্দেশ গভীর ক্ষোভ সঞ্চার করেছে। বস্তুতপক্ষে, সংস্কার প্রস্তাবের গুণাবলী নির্দেশনামার বিস্তৃত বিবরণের মধ্যে হয়ে রয়েছে, অন্যদিকে দোষত্রুটিগুলি সহজেই ধরা পড়ে এবং যে কেউ রিপোর্ট পড়লেই বুঝতে পারবেন। সকলের নিকট এটা সহজেই অনুমেয় যে, ভাইসরয়ের পরিষদে মুসলমান প্রতিনিধিত্বের সংখ্যা শুধুমাত্র বৈষম্যমূলকই নয়, তা গুরুতররূপে বৈষম্যমূলক। বোম্বাইয়ের কথাই ধরা যাক, বোম্বাই থেকে ভাইসরয়ের পরিষদে চারজন সদস্য পাঠাবার কথা— এদের মধ্যে একজন ভূস্বামী সম্প্রদায় থেকে, একজন বোম্বাই আইন পরিষদের মুসলমান সদস্যদের মধ্য থেকে এবং বাকী দু’জন মুসলমান সদস্য সমেত অন্যান্য বেসরকারী সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত হবেন। ভূস্বামী সদস্য পর্যায়ক্রমে সিন্ধু ও প্রেসিডেন্সী প্রদেশ থেকে নির্বাচিত হবেন এবং এর ফলে পর্যায়ক্রমে একজন মুসলমান ও একজন হিন্দু সদস্য পাঠান হবে। এইভাবে ভূস্বামী প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে অধিক অংশ মুসলমানদের হাতে তুলে দেওয়া হল এবং প্রেসিডেন্সী প্রদেশের বাকী অংশটুকু যা সবদিক থেকেই সিন্ধু প্রদেশ অপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ হলেও সিন্ধুর সমতুল্য ধরা হল। প্রথমবারের আসনটি সিন্ধুকে দেওয়া হল। ফলে পরবর্তী তিন বৎসর যাবৎ বোম্বাই প্রেসিডেন্সীর ভূস্বামীদের প্রতিনিধিত্ব করবেন মুসলমানগণ। এছাড়া, নতুন বোম্বাই কাউন্সিলে সাতজন মুলসমান সদস্য থাকবেন এবং তাঁরা নিজেদের স্বতন্ত্র ভোটে একজন মুলসমান প্রতিনিধি পাঠাবেন। পরিশেষে, স্থানীয় পরিষদের সকল বেসরকারী সদস্যগণ দু’জন সদস্য পাঠাতে পারবেন। এই সদস্যদের সংখ্যা মোট ২৮ জন, ২১ জন নির্বাচিত ও সাতজন সরকার কর্তৃক মনোনীত। নির্বাচন নীতি হবে পৌনঃপুনিক অর্থাৎ একজন সদস্য তার দু’টি ভোটই একজন প্রার্থীকে দিতে পারবেন। সুতরাং ২৮ জন সদস্যদের মোট ৫৬টি ভোট থাকবে এবং যে কোন প্রার্থী উনিশটি ভোট সংগ্রহ করলে দু’টি পদের একটি দখল করতে পারবেন। সাতজন মুসলমান সদস্য এই উনিশটি ভোটের চৌদ্দটি নিজেদের মধ্যেই যোগাড় করতে পারবেন। তারা যদি দু’জন ইউরোপীয় সদস্যের (৪টি ভোট) ভোট নিজেদের দিকে টানতে পারেন এবং সাতজন মনোনীত সদস্যদের মধ্য থেকে একটি ভোট পান, তাহলে দুইটি আসনের একটি তাদের সুনিশ্চিত। এটা কোনমতেই অমূলক নয় যে, আগামী তিন বৎসর ভাইসরয়ের পরিষদে বোম্বাই থেকে যে চারজন সদস্য পাঠানো হবে তার তিনজনই মুসলমান প্রতিনিধি হবেন এবং বোম্বাই প্রেসিডেন্সীর মোট জনসংখ্যার মাত্র এক পঞ্চমাংশ মুসলমান সম্প্রদায়ভুক্ত। এটা মোটেই আশ্চর্যজনক নয় যে, স্যার ফিরোজশাহের মত ব্যক্তিও হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন এবং তিনি কয়েক দিন আগেই আমাকে বলেছেন যে, সমস্ত বিষয়টি থেকে তিনি সরে আসবেন। এছাড়া পাঞ্জাবের কথা ধরা যাক। পাঞ্জাব থেকে তিনজন সদস্য ভাইসরয়ের পরিষদে পাঠানো হবে এবং এটা অস্বাভাবিক নয় যে, প্রথম থেকেই ও পরবর্তী কালেও তিনজন সদস্যই মুসলমানদের হাতে থাকবে। হিন্দুদের সম্ভবত কোন প্রতিনিধি থাকবে না এবং কোন সময় হয়তো একজন থাকবে। কিন্তু তারা (হিন্দুরা) প্রদেশের মোট জনসদস্যদের প্রায় অর্ধেক এবং শিক্ষা, অর্থ ও জনসেবার দিক দিয়ে তারা খুবই উচ্চমানের। পূর্ববঙ্গেও পরিস্থিতি একই প্রকার নৈরাশ্যজনক।
বদরুদ্দীন তায়েবজীকে লিখিত সৈয়দ আহমদ খানের পত্র, ২৪ জানুয়ারী ১৮৮৮ সাল।
মাদ্রাজের কংগ্রেস অধিবেশন আপনার প্রধান ভূমিকা গ্রহণের ফলে হিন্দু জনগণ আনন্দিত হয়েছেন সত্য, কিন্তু আমাদের পক্ষে এই ঘটনা খুবই দুঃখবহ।
আমি জানি না “জাতীয় কংগ্রেস” কথাটি বলতে কি বোঝায়। এটা কি ধরে নেওয়া যায় যে, ভারতের বহু বর্ণ ও ধর্ম-বিশিষ্ট জনগণ একটি জাতির অন্তর্ভুক্ত অথবা একটি জাতিতে পরিণত হতে পারে এবং তাদের উদ্দেশ্য ও আশা-আকাঙ্ক্ষা এক ও অভিন্ন? আমার মতে, এটা অসম্ভব এবং এটা যখন অসম্ভব তখন একটি জাতীয় কংগ্রেস নামক সংগঠন সম্ভব নয় অথবা এটা সকল জনগণের পক্ষে সমান সুযোগ-সুবিধা দিতে পারে না।
আপনি মনে করেন অপ্রাসঙ্গিক জাতীয় কংগ্রেসের কার্যকলাপ ভারতের পক্ষে মঙ্গলজনক। কিন্তু আমি দুঃখের সঙ্গে জানাই যে, এই কার্যকলাপ শুধুমাত্র আমার নিজস্ব সম্প্রদায়ের পক্ষেই নয়, ভারতের পক্ষেও ক্ষতিকর।
আমি যে কোন ধরনের ও প্রকারের কংগ্রেসের বিরোধী— কারণ তা ভুল আদর্শের উপর ভিত্তি করে ভারতকে একটি অভিন্ন জাতিরূপে গণ্য করে।
মুসলমানদের জন্য পৃথক নির্বাচন সম্পর্কে লর্ড মর্লের বক্তব্য, ২৩ ফেব্রুয়ারী ১৯০৯ সাল
মুসলমানগণ তিনটি জিনিস দাবী করেছে। আমার মনে হয় তারা একটি প্রতিনিধিবর্গ পাঠাবেন এবং আমি খুব ভাল করেই জানি তাদের মনে কি আছে। এই সকল ব্যবস্থাপক সভার সমস্ত বিভাগে তারা তাদের নিজেদের প্রতিনিধিবর্গের নির্বাচন দাবী করেছে। ঠিক সাইপ্রাসের মত যেখানে, আমি মনে করি, মুসলমানগণ নিজেদের দ্বারাই জয়লাভ করেছে। তারা নয়টি ভোট পেয়েছে এবং অ-মুসলমানরা পেয়েছে তিনটি ভোট। সুতরাং বোহেমিয়ায়, সেখানে শুধু জার্মানদের ভোটাধিকার আছে এবং তাদের নিজেদের নিবন্ধগ্রন্থ আছে। অতএব আমরা পূর্ববর্তী কোন নজীর এবং উপমা ছাড়াই পৃথক নিবন্ধগ্রন্থের পরিকল্পনা নিইনি। দ্বিতীয়ত তারা তাদের সংখ্যা সংক্রান্ত ক্ষমতার ব্যাপারে আরো অধিকসংখ্যক সদস্যপদ চায়। এই দু’টি দাবীতে আমাদের পুরোপুরি মত আছে এবং ইহা পূরণ করার অভিপ্রায় আছে। তৃতীয় দাবীটি হল যে, যদি ভাইসরয়ের কার্যনির্বাহক পরিষদে কোন হিন্দু থাকে— যার সম্পর্কে আমার আসন লাভের পূর্বেই কোন বক্তব্য পেশ করা আমার পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ— তাহলে সেই ভাইসরয়ের পরিষদে দু’জন ভারতীয় সদস্য থাকবে এবং তাদের মধ্যে একজন অবশ্যই মুসলমান হবে। ঠিক, যেহেতু আমি তাদের বলেছি এবং এখন মহামান্য কর্তৃপক্ষকে বলছি।
মুসলিম লীগের উদ্দেশ্য, ৩১ ডিসেম্বর ১৯১২ সাল।
৩১ ডিসেম্বর ১৯১২ আগা খাঁর সভাপতিত্বে নিখিল ভারত মুসলিম লীগ কাউন্সিলের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এখানে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয় যার মধ্যে মুসলিম লীগের উদ্দেশ্যগুলি অনুমোদিত হয় :
(১) ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের প্রতি ভারতবাসীর আনুগত্যের মনোভাব বৃদ্ধি ও রক্ষা করা।
(২) ভারতীয় মুসলমান সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক ও অন্যান্য অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত ও বর্ধিত করা।
(৩) মুসলমান সম্প্রদায় ও ভারতের অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌভ্রাত্র ও সংহতি বৃদ্ধি করা।
(৪) উপরি-লিখিত উদ্দেশ্যগুলি ব্যাহত না করে ভারতীয় জনগণের মধ্যে জনসেবার আদর্শ প্রচার করে ও জাতীয় ঐক্য সুসংহত করে এবং এই উদ্দেশ্য ভারতের অন্যান্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে ভারতে সাংবিধানিক উপায়ে বর্তমান শাসনতান্ত্রিক কাঠামোর সুষ্ঠু সংস্কার সাধন করা এবং ভারতের পক্ষে উপযুক্ত স্ব-শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অগ্রসর হওয়া সূত্রঃ (ক) দি ইভেলুশন অব ইণ্ডিয়া এ্যাণ্ড পাকিস্তান ১৮৫৮-১৯৪৭: সম্পাদনা সি, এইচ, ফিলিপস।
(খ) দি ইণ্ডিয়ান ন্যাশনালিষ্ট মুভমেন্টঃ সম্পাদনা বি, এন, পাণ্ডে।
(গ) পাকিস্তানের সৃষ্টি ১ম খণ্ডঃ সম্পাদনা এস, এস, পীরজাদা
ভারতীয় কংগ্রেসের জন্ম থেকে ১৯১১ সাল পর্যন্ত সভাপতি ও সম্পাদকদের নাম
স্থান ও বছর – সভাপতির নাম – সম্পাদকের নাম
বোম্বাই ১৮৮৫ – উমেশচন্দ্র ব্যানার্জী – এ ডব্লুউ হিউম
কলিকাতা ১৮৮৬ – দাদাভাই নৌরজী – এ ডব্লুউ হিউম
মাদ্রাজ ১৮৮৭ – বদরুদ্দিন তায়েবজী – এ ডব্লুউ হিউম
এলাহাবাদ ১৮৮৮ – জর্জ ইউল – এ ডব্লুউ হিউম
বোম্বাই ১৮৮৯ – স্যার ডব্লুউ ওয়েডারবান – এ ডব্লুউ হিউম
কলিকাতা ১৮৯০ – স্যার পি মেহতা – এ ডব্লুউ হিউম
নাগপুর ১৮৯১ – পি আনন্দ চালু – এ ডব্লুউ হিউম
এলাহাবাদ ১৮৯২ – উমেশচন্দ্র ব্যানার্জী – এ ডব্লুউ হিউম
লাহোর ১৮৯৩ – দাদাভাই নৌরজী – এ ডব্লুউ হিউম
মাদ্রাজ ১৮৯৪ – এ ওয়েব – এ ডব্লুউ হিউম
পুনা ১৮৯৫ – সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী – এ ডব্লুউ হিউম
কলিকাতা ১৮৯৬ – আর ত্রিম সিয়নী – এ ডব্লুউ হিউম
অমরাবতী ১৮৯৭ – সি শংকরন নায়াব – এ ডব্লুউ হিউম
মাদ্রাজ ১৮৯৮ – আনন্দমোহন বসু – এ ডব্লুউ হিউম
লক্ষ্ণৌ ১৮৯৯ – রমেশচন্দ্র দত্ত – এ ডব্লুউ হিউম
লাহোর ১৯০০ – এন জি চন্দ্রাভারকর – এ ডব্লুউ হিউম
কলিকাতা ১৯০১ – দিনশা ওয়াচা – এ ডব্লুউ হিউম
মাদ্রাজ ১৯০৩ – সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী – এ ডব্লুউ হিউম
আহমেদাবাদ ১৯০২ – লালমোহন ঘোষ – এ ডব্লুউ হিউম
বোম্বাই ১৯০৪ – স্যার হেনরী কটন – এ ডব্লুউ হিউম
বারানসী ১৯০৫ – গোপালকৃষ্ণ গোখলে – এ ডব্লুউ হিউম
কলিকাতা ১৯০৬ – দাদাভাই নৌরজী -এ ডব্লুউ হিউম
সুরাট ১৯০৭ – রাসবিহারী ঘোষ – এ ডব্লুউ হিউম
মাদ্রাজ ১৯০৮ – রাসবিহারী ঘোষ – এ ডব্লুউ হিউম
লাহোর ১৯০৯ – মদমোহন মালব্য – এ ডব্লুউ হিউম
এলাহাবাদ ১৯১০ – স্যার ডব্লুউ ওয়েডারবার্ন – এ ডব্লুউ হিউম
কলিকাতা ১৯১১ – বিষেণনাথ ধর – এ ডব্লুউ হিউম
ভারতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক ছিলেন বৃটিশ নাগরিক অ্যালান অক্টাভিয়ান হিউম। সংক্ষেপে এ ডব্লুউ হিউম। মিঃ হিউম আদিতে স্কটল্যান্ডের অধিবাসী। ইনি প্রথমে ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। সুদীর্ঘ ৩০ বছরকাল ভারতে চাকরির পর ১৮৮২ খ্রীষ্টাব্দে অবসর গ্রহণ অন্তে মিঃ হিউম ভারতেই বসবাস করেন। তৎকালীন ইংরেজ বড়লাট লর্ড ডাফরিন-এর সম্মতিক্রমে ইনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সংগঠন করেন এবং স্বয়ং এর প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক নির্বাচিত হন। মিঃ হিউম একনাগাড়ে আমৃত্যু ২৬ বছরকাল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
কংগ্রেসের জন্ম থেকে বংগভংগ রদ পর্যন্ত বড়লাট ও ভারত সচিবদের নাম
বড়লাটদের নাম – সময়কাল
লর্ড ডাফরিন – ১৮৮৪-৮৮
লর্ড ল্যান্সডাউন – ১৮৮৮-৯৪
লর্ড এলগিন (দ্বিতীয়) – ১৮১৪-১১
লর্ড কার্জন – ১৮১৯-০৪
লর্ড এমপথিল – ১৯০৪
লর্ড কার্জন (পদত্যাগ) – ১৯০৪-০৫
লর্ড মিন্টো – ১৯০৫-১০
লর্ড হার্ডিঞ্জ – ১৯১০-১৬
ভারত সচিবদের নাম – সময়কাল
লর্ড কিমবার্লি – ১৮৮২-৮৫
লর্ড র্যানডলফ্ চার্চিল – ১৮৮৫-৮৬
লর্ড কিমবার্লি (ফেব্রুঃ-আগস্ট) – ১৮৮৬
লর্ড ক্রস – ১৮৮৬-১২
লর্ড কিমবার্লি – ১৮৯২-৯৪
স্যার ফাউলার – ১৮৯৪-৯৫
লর্ড হ্যামিলটন – ১৮৯৫-০৩
ডব্লিউ ব্রডরিক – ১৯০৩-০৫
লর্ড মলে – ১৯০৫-১০
লর্ড ফ্লু – ১৯১০-১৫