কুরআন কি মুহাম্মদ (সাঃ) এর নিজের কথা?
সাজিদ একটি মজার গল্প বলতে শুরু করলো। গল্প বলার আগে কয়েকবার ঝেড়ে কেশে নিল সে।
সাজিদ যখন কোন গল্প বলতে শুরু করে, তখন সে গল্পটির একটি সুন্দর নাম দেয়। এখন সে যে গল্পটি বলতে শুরু করেছে, সেটার নাম ‘নিউটন-আইনস্টাইন সমঝোতা এবং বোকা আইনস্টাইনের বিজ্ঞানী হাবলুর কাছে নতিস্বীকার।’
এখানে নিউটন আর আইনস্টাইনকে তো চিনিই, কিন্তু বিজ্ঞানী হাবলুটা যে আসলে কে, সেটা ঠিক বুঝলাম না। প্রথমে না বুঝলেও কিছু করার নেই। গল্প শুরু না হলে সাজিদকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না। এটা তার গল্প ক্লাসের প্রাথমিক শর্ত।
শুধু যে এটা বুঝি নি তা নয়। আরেকটি ব্যাপার বুঝলাম না। গল্পের নামে বলা হল ‘নিউটন-আইনস্টাইন এর সমঝোতা’ বিজ্ঞানী নিউটনের সাথে তো বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের কোনদিন সাক্ষাৎও হলো না। দুজন সম্পূর্ন দুই প্রজন্মের। তাদের মধ্যে তাহলে সমঝোতাই কিভাবে হল? মনের মধ্যে প্রশ্ন দুটো কুটকুটানি শুরু করে দিলো। না পারছি চেপে রাখতে, না পারছি উগড়ে দিতে।
সাজিদ গল্প বলা শুরু করলো। সাজিদের গল্প ক্লাসে উপস্থিত আছি আমি, রাব্বি, রোহান, মোস্তফা আর সবুজ। আমাদের মধ্যে রোহান নাস্তিক টাইপের। পুরোপুরি নাস্তিক নয়, এগনোষ্টিক বলা যেতে পারে। তার ধারণা, মুহাম্মদ সা. নিজের কথাগুলোকে ঈশ্বরের বাণী বলে চালিয়ে দিয়েছে।
যাহোক, আজকে কুরআনের বিশুদ্ধতা প্রমাণের জন্য তারা বসে নি। গল্প শুনতে বসেছে। এই সপ্তাহে সাজিদ গল্প বলবে। এর পরের সপ্তাহে আরেকজন। তার পরের সপ্তাহে আরেকজন, এভাবে।
সাজিদ বলতে শুরু করল, –
‘আজকে বলবো মহাকাশ নিয়ে গল্প। মহাকাশ নিয়ে বলার আগে বলে নিই, তখনও অ্যাস্ট্রোনমি তথা জ্যোতিবিদ্যা পদার্থবিদ্যার আওতাভুক্ত হয়নি। অন্তত মহাকাশ নিয়ে বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীদের মধ্যে ছিল ব্যাপক রকম মত পার্থক্য। এই জিনিসটা পদার্থবিদ্যার আওতায় আসার আগে এটা ফিলোসফির বিষয় ছিল। কারো ধারণা ছিল মহাকাশ অসীম, মানে মহাকাশের কোন শেষ নেই। কারো ধারণা ছিল মহাকাশ অসীম নয়, মহাকাশ সসীম। এটি একটি নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যে সীমাবদ্ধ।
এ দুয়ের বাইরে গিয়ে আরেকদল মনে করত, মহাকাশ অসীম, তবে স্থির। অর্থাৎ, এর নির্দিষ্ট সীমা নেই ঠিক, কিন্তু এটি স্থির।
বিজ্ঞানী নিউটনও তৃতীয় ধারনাটির পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি তার বিখ্যাত ‘মহাকর্ষীয় তত্ত্ব’ আবিস্কার করে তখন বিজ্ঞানী মহলে ব্যাপক হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু, এত জনপ্রিয় একটি তত্ত্বের মধ্যে খুবই সূক্ষ্ম একটি ঘাপলা রয়ে গিয়েছিল।’
নিউটনের সূত্রের মধ্যে ঘাপলা ছিল শুনে ম্যানেজমেন্টের ছাত্র রাব্বি তার চোখ বড় বড় করে বলল, -‘বলিস কি? প্রতিষ্ঠিত সূত্রের মধ্যে ঘাপলা? এরকমও হয় নাকি?’
সাজিদ বলল, -‘হ্যাঁ।’
-‘কিরকম ঘাপলা? -রাব্বির পাল্টা প্রশ্ন।
সাজিদ বলল, -‘নিউটনের সূত্র মতে, মহাবিশ্বের বস্তুগুলো একেঅপরকে নিজেদের দিকে আকর্ষণ করে। কিন্তু ঘাপলা হচ্ছে, যদি এমনটি হয়, তাহলে মহাশূন্যের বস্তুগুলো নির্দিষ্ট একটি পয়েন্টে এসে মিলিত হয়ে ধ্বংস হয়ে যাবার কথা। এমনটি হয় না কেন?’
সমাজতত্ত্বের ছাত্র সবুজ বলল, -‘তাই তো। নিউটন এর কি ব্যাখ্যা দিয়েছে?’
সাজিদ বলল, -‘নিউটনের কাছে এর কোন ব্যাখ্যা ছিল না। এ ব্যাপারটা পরে ক্লিয়ার করেছে বিজ্ঞানী আইনস্টাইন, তার বিখ্যাত ‘Theory of Relativity’ দিয়ে। আইনস্টাইন নিউটনের অমীমাংসিত প্রশ্নের সমাধানে বলেছেন, -এরকম হতো, যদি Time আর Space শাশ্বত বা পরম হতো। কিন্তু, Time আর Space কখনোই পরম নয়। এই বিখ্যাত তত্ত্ব দিয়ে বিজ্ঞানকে পরিচয় করিয়ে দিলেন নতুন এক জগতের সাথে। সেই জগতটির নাম ‘আপেক্ষিকতার জগত’।
রাব্বি বলল, -‘ও, আচ্ছা, এই জন্য গল্পের নাম দিয়েছিস ‘নিউটন-আইনস্টাইনের সমঝোতা’, তাই না?’
সাজিদ মুচকি হাসল। আমি একটা সুযোগ পেলাম প্রশ্ন করার। জিজ্ঞেস করলাম, -‘বিজ্ঞানী হাবলুটা আসলে কে?’
সাজিদ আমার প্রশ্নের কোন উত্তর দিল না। সে আবার গল্প বলতে শুরু করল- আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার সূত্র ধরে, রাশিয়ান পদার্থবিদ আলেকজান্ডার ফ্রিদমান দাবি করেন যে, এই মহাবিশ্ব স্থির নয়, এটি একটি ক্রমবর্ধমান মহাবিশ্ব। স্যার আলেকজান্ডার ফ্রিদমান সাধারন ধারণা করেছিলেন বটে, কিন্তু যথেষ্ট ব্যাখ্যার অভাবে তার কথা বিজ্ঞানী মহল তখন আমলে নেয়নি। এরপর বেলজিয়ামের বিজ্ঞানী Georges Lemaitre সর্বপ্রথম বিজ্ঞানী মহলকে একটি শক্ত শক খাওয়ালেন। তিনি বললেন, এ মহাবিশ্ব একটি ক্ষুদ্র কনা, যাকে Super Atom বলা হয়, এর বিস্ফোরণের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে, এবং রাশিয়ান বিজ্ঞানী স্যার আলেকজান্ডার ফ্রিদমান এর সাথে সুর মিলিয়ে বললেন, মহাবিশ্ব স্থির নয়, এটি ক্রমাগত সম্প্রসারিত হয়ে চলেছে। বলাবাহুল্য, Georges Lemaitre এর এসব দাবিরও ভিত্তি ছিল আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার সূত্রটি।
মোস্তফা জিজ্ঞেস করল, -‘ Georges Lemaitre এর এটিই কি সেই Big bang Theory?’
সাজিদ বলল, -‘হ্যাঁ। এটাই হলো বিগ ব্যাং থিওরি। কিন্তু মজার ব্যাপার কি জানিস? বিজ্ঞানী Georges Lemaitre আইনস্টাইনের সূত্রকে ভিত্তি করে এই দাবি করলেও আইনস্টাইন নিজেই Georges Lemaitre এর এই দাবিকে নাকচ করে দেয়।’
রাব্বি বলল, -‘বলিস কি? কেন?’
সাজিদ বলল, -‘হ্যাঁ, মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হচ্ছে, এটা আইনস্টাইন মেনে নিতে পারে নি। তিনি বললেন, Lemaitre তার ব্যাখ্যাতে ম্যাথমেটিক্যালি প্রচুর ভুল করেছেন। আইনস্টাইন আরো বলেন, -মহাবিশ্ব অসীম হলেও এটি সম্প্রসারিত হচ্ছে -এটি ভূল ব্যাখ্যা।
সে যাহোক, এই হল বিজ্ঞানীদের মধ্যে আর্গুমেন্ট। কিন্তু তাদের এই তর্কাতর্কিতে না জড়িয়ে, আমেরিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডইন হাবল বিজ্ঞানী মহলে একটি বোমা ফাটালেন।
আমি বললাম, -‘ও আচ্ছা, তুই বিজ্ঞানী হাবলকেই হাবলু বলেছিলি বুঝি?’
সাজিদ আবার মুচকি হাসলো। বললো। -‘হ্যা। শোন কি হলো, ১৯২০ সালে বিজ্ঞানী এডুইন হাবল ওরফে বিজ্ঞানী হাবলু একটি টেলিস্কোপ আবিষ্কার করে ফেললো। এই টেলিস্কোপটিই রাতারাতি পাল্টে দিলো তখনকার জ্যোতির্বিজ্ঞান জগতকে। মাউন্ট উইলসন অবজারভেটরিতে বিজ্ঞানী হাবল তার আবিষ্কৃত টেলিস্কোপ দিয়ে প্রমাণ করে দেখালেন যে, আমাদের মহাবিশ্বের ছায়াপথগুলো ক্রমাগত একটি অন্যটি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। তিনি এটি প্রমাণ করেন Droppler Effect থিওরি দিয়ে। Droppler Effect হল এই- মহাবিশ্বের বস্তুগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যদি আলোকতরঙ্গের উপর ফেলা হয়, তাহলে তরঙ্গ যদি লাল আলোর দিকে সরে আসে, তাহলে বুঝতে হবে ছায়াপথগুলো একটি অন্যটি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। যদি তা না করে সেটা নীল আলোর দিকে সরে যায়, তাহলে বুঝতে হবে ছায়াপথগুলো একটি অন্যটি থেকে দূরে সরে না গিয়ে বরং কাছাকাছি চলে আসছে। বারবার এই পরীক্ষাটি করে প্রমাণ করা হয়েছে যে, ছায়াপথগুলো একটি কাছাকাছি নয়, বরং একটি অন্যটি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। ১৯৫০ সালে মাউন্ট পলমারে সে সময়ের সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ বসিয়ে এই ব্যাপারটি আরো নিখুঁতভাবে অভজার্ব করে বিজ্ঞানীরা। হাবলের এই দাবির সাথে বিজ্ঞানী Georges Lemaitre এর দাবি সম্পূর্ণ মিলে যায় এবং সেই এক্সপেরিমেন্ট থেকে বোঝা যায়, মোটামুটি ১০ -১৫ বিলিয়ন বছর আগে একটি ক্ষুদ্র কণা থেকেই আজকের মহাবিশ্বের সৃষ্টি। মজার ব্যাপার হল, আইনস্টাইন বিশ্বাস করতেন যে, মহাবিশ্ব অসীম হলেও স্থির, সম্প্রসারিত হচ্ছে না, বিজ্ঞানী Georges Lemaitre এর থিওরিকে ভুল বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন, সেই আইনস্টাইনই নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়ে বললেন, -‘বিজ্ঞানী হাবল এবং Georges Lemaitre এর দাবি সত্য। মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হচ্ছে।
তিনি বিজ্ঞানী Georges Lemaitre এর কাছে অনুতপ্ত হযন এবং নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ভুল দাবি করেন।
এখন বিজ্ঞানী মহলে এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, মহাবিশ্ব প্রতিনিয়ত সম্প্রসারিত হয়েই চলেছে আজ অদ্যাবধি।
এতোটুকু বলে সাজিদ থামল। আমরা এক নিঃশ্বাসে বিজ্ঞানের একটি মজার অধ্যায় থেকে ভ্রমণ করে এলাম। এবার সাজিত আমাদের মধ্যে যে এগনোষ্টিক, যে বিশ্বাস করে যে, কোরআন মুহাম্মদ সা. এর নিজের কথা, তার দিকে ফিরলো।
বলল, -‘রোহান, বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে তোর এসব অবশ্যই জানা থাকার কথা, তাই না?’
রোহান বললো, -‘হ্যাঁ, জানি।’
মাত্র গত শতাব্দীতে বসে আইনস্টাইনও যে মহাবিশ্ব নিয়ে ভুল জানতেন, তা তো তুই জানিস, তাই না?’
-‘হ্যাঁ।’
-‘বিজ্ঞানী Georges Lemaitre আর বিজ্ঞানী হাবলের আগে এই জিনিস তাবৎ দুনিয়ার কেউই জানত না, ঠিক না?’
-‘হ্যাঁ।’ -রোহানের স্বীকারোক্তি।
সাজিদ বলল, -‘আচ্ছা রোহান, আমি যদি বলি তাদের অনেক অনেক অনেক আগে, তাদের প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগে একজন ব্যক্তি সব কথা বলেছে, তুই বিলিভ করবি?’
রোহান চিতকার করে বললো, -‘Impossible, Quite Impossible’
সাজিদ তখন বলল, -‘শোন রোহান, কোরআনের সূরা আয-যারিয়াত এর ৪৭ নাম্বার আয়াতে আছে ‘আমরা নিজ হাতে আসমানকে সৃষ্টি করেছি এবং এটাকে সম্প্রসারিত করে চলেছি।’
এখানে আয়াতের শেষে আসমানের সম্প্রসারণ বুঝাতে যে ‘মূসিঊন’ শব্দ আছে সেটি একটি সক্রিয় বিশেষণ। চলমান ক্রিয়া নির্দেশক, যা নির্দেশ করে কোন কাজ অধিক কাল থেকে শুরু হয়ে বর্তমানে অবধি চলছে এবং ভবিষ্যতেও তা হয়ে চলবে। অর্থাৎ আল্লাহ বলেছেন, -তিনি মহাবিশ্বকে (এখানে আসমান = মহাবিশ্ব) নিজের হাতে সৃষ্টি করেছেন এবং সেটাকে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি করে চলেছেন। ঠিক এই কথাগুলো বিজ্ঞানী Georges Lemaitre এবং বিজ্ঞানী হাবল আমাদের গত শতাব্দীতে জানিয়েছেন। বলতো, আজ থেকে চোদ্দশ বছর আগে মরুভূমিতে উট চরানো এক বালক এমন একটি কথা কিভাবে বললো, যা আধুনিক বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে মাত্র ১৯২৯ সালে? এই কথা না বাইবেলে ছিল, না ইঞ্জিলে। না ছিল কোন গ্রীক পুরাণে, না ছিল মিথোলজিতে। মহাকাশের এমন একটি রহস্যময় ব্যাপার মক্কার একজন নিরক্ষর, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাবিহীন লোক মুহাম্মদ সা. কোথায় পেলেন? বল তো?’
অন্যান্য সময় হলে রোহান বলতো, মোহাম্মদ বাইবেল থেকে চুরি করেছে, নয়তো বলতো কোন গ্রিক পুরাণ থেকে মেরে দিয়েছে। কিন্তু সাজিদের বিস্তারিত গল্প শোনার পর তার এই দাবি যে ধোপে টিকবে না, সে সেটা বুঝতে পারলো।
সাজিদ বলল, -‘এটা কি সম্ভব নিরক্ষর মুহাম্মদ সা. এর দ্বারা যদি কোনো ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপ তাতে না থাকে?’
রোহান মাথা নিচু করে বললো, -‘নাহ।’
সাজিদ বললো, -‘তাহলে প্রমাণ হলো কোরআন মুহাম্মদ সা. এর লেখা নয়, এটি একটি ঐশ্বরিক কিতাব, যা নাজিল হয়েছে মুহাম্মদ সা. এর উপর।’
রোহান কিছু বলল না। তাকে কিছুটা চিন্তিত দেখালো। সম্ভবত সে বুঝতে পেরেছে যে, চোরের দশদিন, গেরস্থের একদিন।
(এটি ‘সাজিদ’ সিরিজের ১৫ তম পর্ব। সাজিদ একটি কাল্পনিক চরিত্র। এই চরিত্রটি কাল্পনিক নানান ঘটনাপ্রবাহের মাধ্যমে নাস্তিক তথা ইসলাম ধর্ম বিদ্বেষীদের যুক্তিগুলোকে দর্শন, যুক্তি, বিজ্ঞান আর বস্তবতার আলোকে খণ্ডন করে। )
নতুন কোন থিওরী এসে যদি বিগ ব্যাং থিওরী বাতিল করে দেয় তাহলে কোরানের আয়াতের কী হবে গো?
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআন সৃষ্টি করেছেন মানবজাতির হেদায়াতের জন্য, এটি সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ট কিতাব সূরা বাকারায় তিনি বলে দিয়েছেন যে “তাতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই”, যদিও আল্লাহ তায়ালা কাফের মুশরিকদের মুখে চেলেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে এর মত একটি কিতাব বানিয়ে দেখাও, বস্তত তারা তা পারেনি এবং আজও কেও পারবেনা, কারন এটি আল্লাহ তায়ালার পবিত্র বানী যা কোন মানব সন্তান্দের পক্ষে বানানো সম্বব নয়