1 of 2

কুকুরদল – ১৭

অধ্যায় ১৭

রঙ মূলত সাদা-কালো

অন্ধকারের ছায়া-অপছায়া বোধ…

শামীমের ঘর কাঁপিয়ে বাজছিল আর্টসেলের ঘুণে খাওয়া রোদ। টেবিলের ওপর ছড়িয়ে আছে অনেকগুলো ফটোকপি করে আনা কাগজের তাড়া। তার ওপরই চার্জ দিয়ে রাখা ফোন আর ল্যাপটপ, টেবিলের নিচে স্পিকার থেকে ভেসে আসছে লিংকন ডি কস্টার ভরাট কণ্ঠস্বর। একটু পাশে ডাবল বেড। তার ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আরও রাজ্যের বইখাতা। এসবের কিছুই শামীমকে স্পর্শ করতে পারছে না অবশ্য, হাত চালিয়ে ল্যাব রিপোর্ট লিখে যাচ্ছে সে। এর মধ্যেই মাথা গলিয়ে দিলো মুহিব।

“আয় দোস্ত।” একবার দরজার দিকে তাকিয়ে বলল শামীম। গানের ভলিউম কমিয়ে দিলো। মুহিব খাট পর্যন্ত পৌছানোর আগেই ল্যাব রিপোর্টও ঠেলে দূরে সরিয়ে দিলো সে, “ঢাকা ট্যুর কেমন গেলো?”

মাথা চুলকালো মুহিব, ঢাকা ট্যুরের ফলাফলই বলা চলে এই চুলকানিকে বাসের জানালা পুরো রাস্তা ছিল খোলা। ধুলোবালি ঢুকে একসা হয়ে আছে চুলের ভেতর। গোসল করার সময় পায়নি সে, সরাসরি শামীমের এখানে চলে এসেছে।

“শামসভাইয়ের পরিবারের সাথে কথা বলে এসেছি। দরকারি কিছু তথ্য জানা গেছে।”

ঢাকা গিয়ে এবার কি কি জানতে পেরেছে তাকে খুলে বলল মুহিব। পুরোটা সময় চুপচাপ তার কথা শুনে গেলো বন্ধুবর, বাঁধা দিলো না। যতক্ষণ মুহিব কথা বলছে, মনোযোগ দিয়ে একে একে তিনটা সিগারেট শেষ করলো সে।

শিয়ার সঙ্গে ধানমন্ডি লেকের কাছে কি কথা হয়েছে জানার পরই বেঁকে বসলো সে, “আমি মনে করি এখানে একটা ফাঁক আছে দোস্ত। তূর্ণার সাথে শামসভাইয়ের রিলেশন ছিল না। আগে কোনও এক সময় হয়তো ছিল, তবে উনার মার্ডারের সময় তেমনটা না থাকার সম্ভাবনা বেশি। ওদের নিশ্চয় ব্রেকআপ হয়ে গেছে, এই খবরটা হয়তো ভাইয়ের বাসায় জানতো না।”

“এমনটা তোর কেন মনে হলো?”

শুকনো হাসলো শামীম। তারপর তাকে জানালো কল্লোলের সঙ্গে তার আলাপচারীটার বিবরণ।

“শামসভাই তো আর ব্যাংকে জব করতো না। আপুর এখনকার প্রেমিক ভাইদের থেকে অনেক সিনিয়র হবেন।”

কিছুক্ষণ ভাবলো মুহিব, তারপর শামীমের প্যাকেট থেকে নিয়ে আরেকটা সিগারেট ধরালো, “বলতে চাইছিস শামসভাই তূর্ণার এক্স-বয়ফ্রেন্ড।”

“হুঁ। আমার ধারণা, এই ব্যাংকার বয়ফ্রেন্ডও খুনের কেসটার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।”

“এটা কি সম্ভব?”

“অসম্ভব কিছু না। কিছু পাগল প্রেমিককে আমি চিনি, যারা এক্স–গার্লফ্রেন্ডের ছায়া থেকে খুব দ্রুত বেরিয়ে আসতে পারে না। কিন্তু এধরণের পিছুটানের পর কি হইতে পারে তা তো জানোসই। অনেকের লেজে চাপা দেয় তাদের পা। এধরণের এক্স-বয়ফ্রেন্ডদের পিটাইতে লোক চাইয়া হাত তুলতে বললে রাস্তার অর্ধেক মানুষ হাত তুলবে।”

মুহিব সায় দিলো না। তার কাছে মনে হচ্ছে কিছু একটা ঠিক নেই। শামীম বলতে চাইছে এক্স-বয়ফ্রেন্ড কোনো মেয়ের সাথে ছোঁক ছোঁক করলে তার প্রেজেন্ট-বয়ফ্রেন্ড গরম মাথায় একটা কিছু ঘটিয়ে ফেলতে পারে। তবে খুনের প্রেক্ষাপট কেমন ছিল তা মুহিবের জানা আছে। শামীমের গল্পের সাথে মিলে যাওয়ার মতো নয় সেটা 1

“তাছাড়া দেখ, ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়ার কথা এখানে কিন্তু বলা হয়েছে। যদি শামসভাই তূর্ণাকে নিয়ে খুব বেশি আদিখ্যেতা দেখিয়েই ফেলে, এমন একটা কথা চইলা আসা কিন্তু অস্বাভাবিক কিছু না।”

“এতো সিম্পল একটা কারণে কেউ কাউকে খুন করে ফেলে না।”

এটার উত্তরও রেডি ছিল শামীমের কাছে, “সেটা ঠিক আছে। কিন্তু হতেও তো পারে, ওরা কেউ খুনের উদ্দেশ্যে স্ট্রাইক করে নাই। তুই যেখান থেকে দেখেছিস তাতে করে তেমন কিছু মনে হইছে হয়তো। হয়তো ওরা একটু কড়কে দিতে চাইছিলো শামসভাইকে। কিন্তু পরিমাণটা বেশি হয়ে গেছে। তাছাড়া দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব যেটা আছে তাও তো বিবেচনায় রাখতে হবে।”

সিগারেটটা শামীমের হাতে তুলে দিয়ে মোট পাল্টালো মুহিব, “আমি জানি আমি কি দেখেছি। তোর কথা ঠিক, মনে হয় কেসটা নিয়ে বেশি ভাবার কারণে আমাদের সবাইকেই খুনি মনে হচ্ছে। তাও এই বয়ফ্রেন্ডকে নজরে রাখতে হবে আমাদের। কোনো কিছুই এড়িয়ে যাবো না আমরা।”

মাথা দোলালো শামীম, “এই ব্যাটাকে এখন পাই কোথায়? মেয়েগুলো ক্যাম্পাসে প্রেম করলেই পারে। বয়ফ্রেন্ডদের সহজে খুঁজে বের করা যায় তাহলে!”

হেসে ফেললও মুহিব, “তোর কথা ভেবে সবাই প্রেম করবে, তাইতো? ভাবার কিছু নাই। এই ব্যাটাকে খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে না। আমাদের শুধু জানতে হবে তূর্ণা আপুর পেছনে সব সময় লেগে ছিল কোন ছেলেটা। খুঁজে বের করতে হবে ডেডিকেটেড সেই স্টকাউকে।”

শয়তানী হাসিতে ভরে গেলো শামীমের মুখ। ল্যাব রিপোর্ট লিখার ভুত তার মাথা থেকে আগেই বের হয়ে গেছে। মানিব্যাগ আর মোবাইলটা বের করে উঠে দাঁড়ালো সে। তুলে নিলো ঘরের চাবি।

“চল বের হই। কল্লোলকে একটা ফোন করলেই চলে আসবে।”

হাত নাড়লো মুহিব, “স্টকার কিংবা কল্লোল, কেউ-ই পালিয়ে যাচ্ছে না। তুই ওকে ফোন করে আমার মেসের সামনে আসতে বল। আমি শাওয়ারটা নিয়ে আসি।”

*

পাশাপাশি দুই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ একই অঞ্চলের আরও অসংখ্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ ছাত্রদের মাথা ঘুরিয়ে দেওয়া তূর্ণা মেয়েটির সর্ববৃহৎ স্টকার সাহেবকে পাওয়া গেলো স্টেট ইউনিভার্সিটির সামনের গেটে। মনোযোগ দিয়ে একটা ডার্বি খাচ্ছিলো মাসুম ভাই, ওদের এক বছরের সিনিয়র। সে হিসেবে তূর্ণা আপুর এক বছরের জুনিয়র। কল্লোল যেমনটা বলেছে তার অর্ধেকটাও যদি সত্য হয়, এই ডার্বি ফুঁকতে থাকা ছেলেটাই তূর্ণার জন্য সবচেয়ে ডেডিকেটেড লাভার। জ্যাক ডওসনের (টাইটানিকের হিরো) প্রেম কাহিনী মাসুম ভাইয়ের সাথে লাগতে এলে একশ পয়েন্ট পেছনে থেকে হারবে। ছয় বছর ধরে লেগে আছে। বছর তিনেক আগে আইসিইউ–তেও ছিল তূর্ণার জন্য হাত কেটে। মেয়েটির সব তথ্য তার নখদর্পণে।

কল্লোলের লাগামছাড়া মুখের ভাষায়, “মাইয়া কোথা থেকে পেন্টি কেনে তাও মাসুম ভাইয়ের মুখস্ত।”

অতো গোপন খবরে অবশ্য শামীম-মুহিবের দরকার নেই। তাদের দরকার ছোট্ট একটা তথ্য। ব্যাংকার ব্যাটার ব্যাপারে তাদের জানতে হবে। প্রেমিকের সাথে ব্যর্থ প্রেমিকের শত্রুতা সব সময় থাকে। কাজেই ব্যাংকার লোকটার ওপর বিজাতীয় বিদ্বেষ থাকবে মাসুম ভাইয়ের। সহজ সমীকরণ । খুব সহজেই তাকে ভাঙানো যাবে বলে ওরা বিশ্বাস করেছিলো।

ভার্সিটির সামনের গেটে বসে স্টকার মাসুম তখন ধ্যান জ্ঞান দিয়ে পাশে বসে থাকা আরেক যুবকের সাথে তুমল আড্ডা দিচ্ছে। দু’জনের হাতেই ডার্বি। এমন এক আড্ডার মাঝখানে গিয়ে কাউকে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করা যায় না। অগত্যা অপেক্ষা করতেই হলো। মাসুম ভাইয়ের বন্ধুটির অবশ্য গা নড়ানোর তেমন আগ্রহ দেখা যায় না। প্রায় বিশ মিনিট পর উঠে দাঁড়ালো সে এবং একাকি পাওয়া গেলো তূর্ণার সবচেয়ে মরিয়া প্রেমিকটিকে।

“আরে শামীম যে, খবরাখবর কি?” আগ বাড়িয়ে তিনিই জানতে চাইলেন। ক্যাম্পাসের পরিচিত জুনিয়রদের সঙ্গে যেভাবে কুশল বিনিময় করে যে কেউ।

শামীম একটু হেহে করলো, কুশল বিনিময় ইত্যাদি চালিয়ে যেতে হয় এধরণের পরিস্থিতিতে। বিরক্ত মুখে মুহিব তাদের গলাগলি দেখতে থাকে। কেমন আছেন ভাই, যা প্যাড়া খাইতেছি ভাই ইত্যাদি ইত্যাদি। মিনিট তিনেক পর আর সহ্য করতে পারলো না সে, মাসুম ভাইয়ের পাশে বসে পড়লো।

“ভাই, আপনার কাছেই আসছিলাম আমরা। শামীম ক্যাম্পাস টোয়েন্টি ফোর সেভেনের হয়ে আর্টিকেল লিখছিলো…” কাজের কথায় চলে এলো মুহিব।

“কইয়া ফালাও।” আন্তরিক ভঙ্গিতেই বললেন মাসুম ভাই।

“তূর্ণা আপুর ব্যাংকার বয়ফ্রেন্ড, আমাদের মনে হয় শামসভাইয়ের মার্ডারের সাথে ওই ব্যাটার যোগসাজ আছে।”

মুহূর্তেই মাসুম ভাইয়ের মুখভাব পাল্টে গেলো। চুপচাপ সস্তা সিগারেটে টান দিতে দিতে কথাটা বিবেচনা করলো সে।

“এই কথা তোমার ক্যান মনে হইলো?”

“শামসভাইয়ের সাথে রিলেশন ছিল না আপুর?”

“তা ছিল। সেইসব অনেক পুরাতন কাহিনী। এক বছর আগে থেকেই ওদের ব্রেক আপ।”

“এরপরও শামসভাই আপুর সাথে যোগাযোগ রাখতেন।” এটা অনেকটাই অনুমানে বলল মুহিব। শামসের সাথে তূর্ণার যোগাযোগ না থাকলে জাকি ভাইয়ের সাথে মেয়েটির দেখা করার প্রশ্ন আসে না।”এধরণের ব্যাপারগুলো রিলেশনে অনেক ধরণের ঝামেলা আনে। ব্যাংকার ভদ্রলোকের মোটিভ আছে।”

সামান্য কাশির শব্দ শোনা গেলো পেছন থেকে। ঘুরে তাকিয়ে মাসুম ভাইয়ের ডার্বি সঙ্গিকে দেখতে পেলো ওরা। হাতে একটা ৪০০ মিলির কোক। এটা আনতেই তাহলে উঠে গিয়েছিলো সে। চুরি করে ধরা পড়ে গেছে এমন ভঙ্গিতে একে অন্যের দিকে তাকালো মুহিব আর শামীম। এই আলোচনাটা আর কারও সামনে করতে চাইছিলো না তারা।

“তূর্ণার বয়ফ্রেন্ড নিয়ে আলাপ হচ্ছে নাকি এখানে?” কোক হাতে দাঁড়িয়ে থাকা যুবক অবশ্য হাসিমুখেই জানতে চাইলো, “তার সাথে তোমাদের সম্পর্ক কি?”

মুচকি হাসলো মাসুম, “ওরা ভাবতেছে শামসভাইকে ওই ‘ব্যাংকার ই মেরেছে।”

ব্যাংকার শব্দটা উচ্চারণ করার সময় যথারীতি জোর দিয়েছে সে, ইঙ্গিতটা ব্যাঙ্গাত্মক। অর্থাৎ মোটেও গুরুত্বের সাথে তাদের কথাগুলোকে নেয়নি মাসুম ভাই!

“ব্যাংকে চাকরি করলেই কি ব্যাংকার নাকি? কি যে বলো তোমরা। কোকের বোতল খুলে এক ঢোক খেয়ে মুহিবের দিকে এগিয়ে দিলো সে বোতলটা, “শামসকে মেরে ওই লোকের লাভটা কি হবে?”

হাল্কা এক ঢোক গিলে শামীমের হাতে বোতল ধরিয়ে দিলো মুহিব, “লাভ ক্ষতির হিসেব করছি না আমরা। আমার ধারণা এটা ক্রাইম অব প্যাশন। হুটহাট ঘটে গেছে ব্যাপারটা।”

যদিও মুহিবের চেয়ে ভালো আর কেউ জানে না ওখানে খুনটা কিভাবে ঘটেছে। তবে একজন প্রেমিকের মুখ থেকে কথা বের করার জন্য তার ‘সতান’-এর নামে বদনাম করা ছাড়া গতি কি? এই মুহূর্তে আপ্রাণ চেষ্টা করছে তারা, তূর্ণা আপুর বয়ফ্রেন্ড সেই ব্যাংক কর্মকর্তাকে সুপার ভিলেন হিসেবে প্রেজেন্ট করতে। মাসুম ভাই এখনও মুখ খোলেননি, তবে একটা পর্যায়ে খুলবেন তো অবশ্যই। তখন ব্যাংকে চাকরি করা ওই ছেলের ব্যাপারে সবটাই জানা যাবে।

সুপার ভিলেন ইমেজ বানানোর একটা ধাপ হিসেবে শামীম আরও যোগ করলো, “শুনেছি ওই লোক বিশেষ সুবিধার না। পকেটে ক্ষুর নিয়ে ঘুরতো ভার্সিটি লাইফে। কোন এক ছেলেকে নাকি একবার ফাঁসিয়েও দিয়েছিলো ক্ষুর। মামলা খেতে খেতেও বেঁচে গেছে।”

একেবারেই বানোয়াট কাহিনীটা শুনে অনেক কষ্টে হাসি চেপে রাখলো মুহিব।

“বলো কি হে! এই লোক তো ডেঞ্জারাস।” কোকওয়ালা বলল, “যদিও আমি তার ব্যাপারে এসব কিছুই শুনিনি।” হাত বাড়িয়ে দিলো সে, “আমি আলমগির কবির।”

দুইজনই পালা করে হাত মেলালো ওরা। তারপর শামীম কোকের বোতলটা মুহিবের হাতে পার করে দিলো আরেকবার।

“আপনি কেমনটা শুনেছেন?” আগ্রহের সাথেই জানতে চাইলো মুহিব। অন্যদিকে তাকিয়ে থাকলো মাসুম।

কোকের জোগানদাতা আয়েশ করে একটা ডার্বি ধরালেন প্রশ্নটার উত্তর দেওয়ার আগে।”আমি শুনেছি ব্যাংকে চাকরি করা ওই ছেলে তেমন ঝামেলায় জড়ানোর মতো মানুষ না। জীবনে একটা পিঁপড়েও মারেনি সে, ক্ষুর নিয়ে ঘোরার প্রশ্নই আসে না। হ্যাঁ, মেয়েটাকে সে ভালোবাসতো ঠিক তবে তার আগের সম্পর্কগুলোকে শ্রদ্ধা করার মতো ম্যাচিউরও ছিল। শামসের সাথে তূর্ণার যোগাযোগ হতেই পারে, একটা প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার অর্থ তো মুখ দেখাদেখি বন্ধ নয়। শামসের সাথে তোমাদের সন্দেহভাজনের পরিচয়ও ছিল কিন্তু। ওদের মধ্যে শত্রুতার কোনো সম্পর্ক ছিল না। এই যে মাসুমের সাথে বসে ছেলেটা এখন সিগারেট আর কোক খাচ্ছে, শত্রুতার ছাপ দেখতে পাচ্ছো?”

মুহিবের গলায় কোক আটকে গেছে। কাশতে গিয়েও বিষম খেলো। ডার্বিটা পড়ে গেছে হাত থেকে। গলা ছেড়ে হাসছে মাসুম ভাই। শামীম এখনও বোকা বোকা ভাব নিয়ে তাকিয়ে আছে ওদের দিকে, ব্যাপারটা এখনও বুঝতে পারেনি সে।

ভুরু নাচালো আলমগির কবির, “আমিই সেই ব্যাংকে চাকরি করা অধম, তূর্ণার এক্স-বয়ফ্রেন্ড। ব্যাংকারদের মতো অঢেল টাকা পয়সা হাতে থাকে না, ডার্বি-টার্বি খাই। মানুষ খুন করার পেশা বা নেশা আমার নেই, ভাই।”

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *