1 of 2

কুকুরদল – ১১

অধ্যায় ১১

হাশেম ভাইয়ের দোকানে ওরা দু’জনই ফিরে এলো প্রবল উত্তেজনা নিয়ে। এর মধ্যে বার দুয়েক তোফায়েল ভাইয়ের টাইমিং নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে ফেলেছে শামীম। লোকটা ঐ সময়ে এসে ইলোরাকে ধরে নিয়ে না গেলে লেডিস হল পর্যন্ত হেঁটে যেতো ওরা। তারপর ফিরে আসতে আসতে অন্তত মিনিট বিশেক দেরি তো হতোই (মেয়েদের হলকে বাড়তি এক কিলোমিটার দূরে স্থাপন করার কু-প্রভাবে)। আর অতো দেরি করে এলে জাকি ভাইয়ের সাথে রহস্যময় সুন্দরির বিরহ দৃশ্যের দর্শক হওয়ার সৌভাগ্য ওদের হতো না।

“এই মাইয়া আমাদের ভার্সিটির না,” একটা সিগারেট ধরিয়ে ঘোষণা দিলো শামীম, “বাইরের মাইয়া।”

“তা হতেই পারে। তারপরও ইলোরাকে দিয়ে খোঁজ নেওয়াবো। তূর্ণা বলে কেউ ওদের হলে থাকলে বের করা যাবে।”

“হুঁ। কিন্তু আমাদের মাথাব্যথা তো ওই মাইয়া না। জাকি ভাইয়ের কপাল ফাটলো কি করে? বন্ধের আগে-পরে তো তারে দেখি নাই আমি। এইটা অস্বাভাবিক। তুই মার্ডার হইয়া গেলে আমি কি সঙ্গে সঙ্গে লুকায় পড়ুম-”

“যদি না আমার মার্ডার হওয়ার পেছনের কারণ আর তোর লুকিয়ে পড়ার কারণ এক হয়!”

“-এক্সাক্টলি!” উরুতে চাপড় দিয়ে বলল শামীম, “জাকি ভাই কোনো দিক থেকে ঘটনার সাথে ইনভলভড়। আমরা ভুল দিক দিয়া চিন্তা করতাছিলাম। ব্যাসিকটা নজরে আসে নাই সেইজন্য।”

“ব্যাসিক কোনটা?”

সিগারেটটা মুহিবের হাতে ধরিয়ে দিলো শামীম, “সিম্পল। ভিক্টিমের ক্লোজ যারা তাদের লগে কথা বলা। ভিক্টিমরে চেনা। ভিক্টিমের ব্যাপারে ডিটেইলস না জানলে খুনের মোটিভ জানবি কি করে, গাধা। খুনটা কে করলো তা বাইর করবি কি করে?”

“খুনটা কে করেছে তা আমি এরই মধ্যে জানি। রেদোয়ান র‍্যাড। তার সাথে ছিল আরও চারজন মতো।” বলার সময় চারপাশে তাকিয়ে দেখলো মুহিব। না, কেউ শুনছে না তাদের কথা।

“এইজন্যই ব্যাসিক জিনিসগুলা আমরা এড়াইয়া গেছি। আমরা জাইনাই গেছি খুনটা কার করা। সেইজন্য আমাদের ফোকাস ঘুইরা আছে খুনির দিকে। ভুল করছি দোস্ত আমরা এইটা। আমাদের ফোকাস দেওয়া লাগবে শামসভাইয়ের দিকে। জাকি ভাইয়ের দিকে। তার ফ্রেন্ডসার্কেলের দিকে, ওই তূর্ণা মাইয়াটার দিকে। এতোদিন করছিলাম রিভার্স ইনভেস্টিগেশন। এবার মনে হইতেছে সোজা লাইনে চলার সময় হইছে।”

“হুঁ, তা তো বুঝতে পারছি। কিন্তু কিভাবে করবো এটা? এরা সবাই আমাদের থেকে দুই বছরের সিনিয়র। জুনিয়র হলে ডেকে এনে কথা বের করে ফেলা যেতো। এখন কেস উল্টা।”

মোবাইল নাচালো শামীম, “সেজন্যই ভুতবাবাকে ফোন দিয়ে ডাকলাম এইখানে। সারাদিন ক্যাম্পাসে পইড়া থাকে সে, আমাদের চেয়ে ভেতরের খবর সে ভালো জানবে।”

ভুতবাবা সুমনের জন্য অপেক্ষা করতে করতে নতুন পাওয়া তথ্যটা নিয়ে সামান্য ভাবলো মুহিব। এতোদিন একেবারে অন্ধকারে ছিল ওরা। খুনিকে তারা চেনে, অথচ খুনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রনেতা। তার বিরুদ্ধে শুধু মুখের কথায় নেমে পড়া যায় না। অন্ধকার সেই রাতে মুহিব কোনো প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারেনি। সে শুধুই একজন সাক্ষী। তার সাক্ষ্য ঢেকে ফেলা ক্ষমতাসীন কারও জন্য কঠিন কিছু নয়। প্রয়োজনে তাকে শুদ্ধ গুম করে ফেলা হতে পারে, কথাটা মনে পড়তেই মেরুদণ্ড বেয়ে শীতল স্রোত বয়ে গেলো ওর। আরও খারাপ কেস যেটা হবে, খুনের স্থানে মুহিবকে ফিট করতে পারলে উল্টো তাকেই ফাঁসিয়ে দেবে রেদোয়ান আর তোফায়েল।

তাদের ক্ষমতার প্রভাবেই এতোদিন কোনো কার্যকর পথ বের করতে পারেনি মুহিব। ছোট্ট এক পরিকল্পনা সে করেছিলো, তবে নিঃসন্দেহে অনেক দীর্ঘ সময় নেবে সেই পরিকল্পনা। জড়িয়ে ফেলতে হবে আরও কিছু মানুষকে এবং তাদের কেউ ভুল করলেই ভেস্তে যাবে পুরো পরিকল্পনাটাই। এসব অনেক কারণেই বিরোধী দলের কোনো নেতাকে এই ব্যাপারে জড়িয়ে ফেলার ব্যাপারে শামীমের সায় নেই তেমন।

তবে এখন নতুন একদিকে আলো পড়েছে। শামসের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলা হয়নি। শামীমের মতে জাকি বলে ভিক্টিমের সবচেয়ে কাছের বন্ধুটি যে আছে, তাকে ঘটনার আগে এবং পরে ক্যাম্পাসে দেখা যায়নি। সে কোথায় ছিল এ কয়দিন? কপালে একটা ব্যান্ডেজ নিয়ে এখনই বা উদয় হলো কেন?

দূরে ভুতবাবাকে দেখা যায়। স্নাইপার রাইফেলের স্কোপের মতো দেখতে এক ক্যামেরা নিয়ে এদিকেই আসছে।

মুহিব বলল, “তূর্ণা মেয়েটাকে আমাদের দরকার হবে। তাকে এড়িয়ে গেলে হবে না।”

“ক্যান? জাকি ভাইয়ের প্রেমিকাও সে হইতে পারে। এইসবের সাথে তার সম্পর্ক থাকার সম্ভাবনা দেখতাছি না।”

“আমরা কোনো সম্ভাবনা উড়িয়ে দেবো না।”

ভুতবাবার প্রতি উষ্ণ সম্ভাষণ ছুঁড়ে দিলো ওরা, যে শব্দগুলো মূলতো ম–বর্গীয় এবং চ-বর্গীয়। তারপর তার দিকে উষ্ণ এক হাসি দিয়ে জানতে চাইলো শামীম, “সীতাকুণ্ডের ভূতের লগে আর মোলাকাত করতে যাস নাই?”

মাথা নাড়লো সুমন, “আর হয় নাই। ক্যাম্পাসে ফিরে যা শুনলাম, ভুত–টৃতের ব্যাপারে আগের মতো আর আগ্রহ পাই না। বিশ্বাসও উইঠা যাইতেছে। সেইদিন শুনলাম সীতাকুণ্ডে একটা গ্রুপ নাকি নকল ভূত সাইজা ধরা খাইছে। আমার সন্দেহ হইতেছে এই শালারাই আমাদের ঐ বাড়িতে ভয় দেখাইছে। সব ভুয়া ভুত দুনিয়ায়। মাঝ দিয়া একটা ক্যামেরা চুদে গেলো আমার!”

“এরা আসলেই থাকলে কিন্তু ভালো হইতো। শামসভাইয়ের ভুতকে ডাইকা আনা যাইতো। সে হয়তো তার খুনিদের ব্যাপারে টেস্টিফাই করতো।” কথাটা বলেই শামীম বুঝতে পারলো মুখ ফস্কে গেছে। খুন করে করেছে তা ওদের কারও জানার কথা না, সরাসরি টেস্টিফাইয়ের প্রসঙ্গ তুলে ফেলায় ভুতবাবা সন্দেহ করে বসলে সমস্যা হয়ে যাবে। তবে ভাগ্যক্রমে শামীমের কথাটাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার মতো কিছু ভাবেনি ভুতবাবা। তবুও তার দিকে ভ্রু কুঁচকে একবার তাকালো মুহিব।

ক্যামেরাটা সাবধানে নামিয়ে রেখে ওদের পাশে বসলো সুমন, “টেস্টিফাই করতে হলে তো আগে জানা লাগবে খুনটা কে করেছে। আমাদের ক্যাম্পাস তো ঢিলা। এক মাস পার হয়ে গেলো, কোনো আপডেট নাই। ক্যাম্পাস থেকেও কোনো চাপ নাই। এই খুনি আর ধরা পড়বে না মনে হয়।”

খুন, ক্যাম্পাস, সন্দেহভাজন, পুলিশের অযোগ্যতা ইত্যাদি নিয়ে দীর্ঘ আলাপ শুরু হয়ে গেলো। একে অন্যের দিকে স্বস্তির সাথে তাকালো মুহিব আর শামীম। টেস্টিফাইয়ের প্রসঙ্গ থেকে তারা খুনিকে চেনে কি না সে ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন তোলেনি ভূতবাবা। বরং তার মুখ ছুটিয়ে দেওয়া গেছে। আর কে না জানে একবার সুমনের মুখ ছুটে গেলে বন্ধ করা কেমন শক্ত! শুধু একটু-আধটু ধরিয়ে দিতে হচ্ছে, তারপর সেই বিষয়ে যা যা জানে সব হড়বড় করে বলে যাচ্ছে সুমন। কান খাড়া করে শুধু শুনতে থাকলো ওরা। খানিক বাদেই আসল প্রসঙ্গ টানলো শামীম, তূর্ণা নামের মেয়েটার সঙ্গে জাকির সম্পর্কটা কি? তবে থমকে যেতে হলো ভূতবাবার অস্বীকৃতি লক্ষ্য করে।

ভুতবাবা সুমনের দিকে কয়েকবার পিটপিট করে তাকালো মুহিব, “তাহলে তুই বলছিস, জাকি ভাইয়ের গার্লফ্রেন্ড ইটিই-র সাবলিহা?”

“অবশ্যই। কেন? ভাই কি সাবির সাথে চিট করতেছে নাকি?” বেশ আগ্রহের সাথেই জানতে চাইলো সুমন। সাবলিহা কবে থেকে তার কাছে “সাবি” তার সাথে এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে থাকতে পারে।

“তা না। ভাইয়ের সাথে তূর্ণা নামের একটা মাইয়ারে দেখলাম। মাইয়া কান্নাকাটি কইরা হল থেইকা বাইর হইয়া গেলো। সেইজন্য জিগাইলাম আরকি।” শামীম ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলো ঘটনাটা।

“এইটা তো মামা সন্দেহ জাগাইন্যা ঘটনা।” সুমনকে বেশ সিরিয়াস মনে হলো, “মাইয়া কাঁন্দবে ক্যান?”

“সেইটা তো মামা আমিও বুঝলাম না।” নিজেকে পাপ পঙ্কিলতার উর্ধ্বে সরিয়ে নিতে নিতে দাবি করলো শামীম, “তার ওপর বুঝলি না, দেখলাম কপাল ফাটাইছে ভাই। এখনও ব্যান্ডেজ বান্ধা। তূর্ণা মাইয়াটাও আগুন সুন্দরি। শামসভাই মইরা গেলো। সুন্দরি তূর্ণা কান্নাকাটি করতেছে। জাকি ভাইয়ের কপাল ফাটা। কি মিলামু কও!”

চোয়াল ঝুলে পড়লো সুমনের “তোরা ভাবতেছিস খুনটা করেছে জাকি ভাই?”

মাথা নাড়লো মুহিব, “সেইটা নিশ্চিত করে বলার সময় তো এখনও আসে নাই। আমরা একটু খোঁজ-টোঁজ নিয়া দেখি আরকি।”

“আমার মনে হয় তোদের কোথাও ভুল হচ্ছে।” উশখুশ করে বলল সুমন, “জাকি ভাই এমন কিছু করবে না।”

“করতেও তো পারে। খুন-খারাবীর কেসগুলোর বেশির ভাগই কিন্তু করে থাকে বন্ধু-বান্ধব। আর সাথে থাকে বন্ধুর লগে মিল্যা যাওয়া পছন্দের এক আগুন ঝড়ানো সুন্দরি।”

“তা ঠিক আছে। কিন্তু এখানে কেস এটা না।” জোরে জোরে মাথা নেড়ে বলল সুমন।

“কেস তাহলে কোনটা?”

“শামসভাইয়ের মার্ডার কেসের কাহিনী আমি কিছু জানি না। কিন্তু জাকি ভাইয়ের মাথা শামসভাই ফাটায় নাই এইটা আমি জানি। ঐটা আলাদা কেস। এইটার সাথে তার সম্পর্ক নাই।”

“জমজমাট কোনো কাহিনী মনে হইতেছে।” শামীম এতোটুকুই বলল। শুরু হয়ে গেলো সুমনের তুবড়ি।

হ্যাঁ, জাকির মাথায় দাগ এলো কোথা থেকে তা সে জানে। তবে এর সঙ্গে আসলেই শামসের কোনো সম্পর্ক নেই। তোফায়েল গ্রুপের সাথে জাকির সমস্যা অনেকদিন ধরেই। রাজনীতিও তারা করে দুই গ্রুপের হয়ে। যদিও দুই দিক থেকেই তারা সরকারি পক্ষ, তবে এতে করে নিজেদের ভেতরের ঝামেলা তো আর মুছে যায় না। বর্তমান জেনারেল সেক্রেটারির কাছের ছোটোভাই জাকি। তোফায়েল রাজনৈতিক দলটির প্রেসিডেন্টের ডানহাত। আর সরকারি ছাত্রদলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাদেরই জেনারেল সেক্রেটারির অন্তর্কোন্দল যে এক সাধারণ ঘটনা তা না জানে কে?

“বুঝতেছস তো, জাকির লগে তোফায়েলের গ্যাঞ্জামটা কই? কিন্তু এইটার শুরু দোস্ত অন্য জায়গা থেকে। ফার্স্ট ইয়ারে তাদের মধ্যে এসব ছিল না যতোদূর শুনছি। পরে গ্যাঞ্জামটা লাইগা গেলো।”

“মাইয়া?”

ফোঁস করে নিঃশ্বাস ছাড়লো সুমন, মাথা দোলালো শামীমকে সমর্থন দিতে, “হুঁ! এক মেয়ের প্রেমে পড়েছিলো দুইজন। বুঝলা না? রাইভাল তারা তখন থেকে। মেয়েটা মনে হয় সিএসই-র। নাম ভুলে গেছি। ঐ সময় তো আর আমরা ছিলাম না। আমি বড় ভাইদের কাছে শুনেছি এসব। কিন্তু ওই মেয়ের সাথে তাদের কিছু না হলেও, শেষটায় নিজেদের মধ্যে হয়েছে সাপে–নেউলে সম্পর্ক। জাকি মনে করে আপুটার সাথে তার প্রেম হয়নি তোফায়েলের জন্য। তোফায়েল মনে করে সে আপুকে পটাতে পারেনি জাকির জন্য। কিছু গুজবও বাতাসে ভাসে। ওই আপুকে নিয়ে জাকি ভাই নাকি কক্সবাজার ট্রিপ দিয়েছিলো। শুধু ওরা দু’জন। পরে ক্যাম্পাসে এটা ছড়ানোর পর সামান্য এক ঘটনার জের ধরে তোফায়েল ক্যাফের মাঝখানে জাকি ভাইয়ের ওপর ঝাঁপায় পড়লো। দুই বছর আগের ঘটনা।

“মারামারিটা সিরিয়াস হয়েছিলো কেমন?”

হাত ওল্টালো সুমন, “আমি তো আর সেখানে ছিলাম না। শুনেছি চেয়ার দিয়ে জাকি ভাইকে পিটিয়েছিলো সেদিন তোফায়েল। জাকি ভাই রেজিস্ট করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সুবিধা হয় নাই। উল্টো চাকু বাইর করেছিলো হারামজাদা।”

“চাকু মেরেছিলো?”

“না। র‍্যাড ভাই ঠেকাইছিলো তাকে। নাহলে ওইদিনই একটা খুন হয়ে যেতো। তখন নাকি রেদোয়ান আর তোফায়েল এখনকার মতো জিগারি দোস্ত ছিল না। পরে আকাম কুকাম করতে করতে হয়েছে। মজার ব্যাপার হলো জাকি এর আগে সিরিয়াস রাজনীতি করে নাই। এই ঘটনার পর থেকে সে একটু বেশি ইনভলভড। আমরা আসার আগের বছর যে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনটা হলো সেইখানে কিন্তু জাকি ভাইয়ের গ্রুপ অ্যাক্টিভ ছিল ভালোই। আমাকে এইসব গল্প শুনাইছে তৈমুর ভাই। উনারা নাকি তখন ভাবছিলেন এইবার জাকি তোফায়েলরে ফাটায়া দেবে। জাকি ভাইয়ের সম্মান অনেক বাড়ছিলো পার্টির ভেতর। অথচ উনি সেইটা করেন নাই।”

শামীম শুকনো হাসলো, “ফার্স্ট ইয়ারের অ্যামেচার তো আর ছিলেন না তখন। পরিণত হয়েছেন। ব্যক্তিগত ক্ষোভ ঝাড়ার কথা না একজন রাজনীতিবিদের। তবে সুযোগ পেলে তোফায়েলকে তিনি বাটে ঠিকই ফেলবেন। ওস্তাদের মাইর শেষ রাতে।”

“ঘটনা আসলে তেমন হয় নাই।” ইতস্তত করলো সুমন।

ভ্রু কুঁচকে তার দিকে তাকালো মুহিব। আলোচনা কোনদিকে যেতে চলেছে সে বুঝতে পেরেছে।

“জাকি ভাইয়ের মুখে যে কাটা দাগটা দেখেছিস তোরা—”

বাক্যটা শেষ করে দিলো মুহিবই, “তোফায়েলই আরেক দফা পিট্টি দিয়ে ঐ দাগ ফেলেছে কয়েকটা দিন আগে।”

“বুঝলি কি করে?” একটু অবাকই হলো সুমন, “কি নিয়ে লেগেছিলো জানি না, তবে কিভাবে যেন জাকিকে বাগে পেয়ে গেছিলো তোফায়েল। মেরে ছাতু করে ফেলেছে একেবারে। কপাল উনার কেটেছে ওভাবেই।”

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *