1 of 2

কিলিং মিশন – ৪৯

ঊনপঞ্চাশ

লেকের তীরে শুরু হয়েছে হৈ-চৈ ও হুলুস্থুল। আলখেল্লা পরা এক লোক পালিয়ে যেতে চাওয়ায় জুডোর প্যাচে তাকে মাটিতে আছড়ে ফেলল জনি ওয়াকার। পরক্ষণে ওর বুটের জোরালো লাথি মাথায় নিয়ে প্রায় অচেতন হলো সে। নিচু গলায় বলল ওয়াকার, ‘এত জলদি ভেগে গেলে হবে, দোস্ত!’

প্রাসাদ নিরাপদ ভেবে ওদিকে যেতে চাইছে ক্লাবের সদস্যরা। কিন্তু দু’দিক থেকে তাদের পথরুদ্ধ করল রানা ও ফক্স। মাত্র কয়েক মিনিটে উদ্যত অস্ত্রের মুখে একজায়গায় জড় হলো থঅথ-পূজারীরা।

একটু আগেও এরা ছিল সমাজের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ও প্রভাবশালী লোক। রাতের পার্টিতে নিরীহ এক মেয়েকে খুন করে মিটিয়ে নিতে চেয়েছে পৈশাচিক রক্ততৃষ্ণা। অথচ তারা এখন হয়ে গেছে কালো একপাল ভেড়ার মত অসহায়। অস্ত্র হাতে তাদেরকে ঘিরে ধরেছে তিন সশস্ত্র যুবক। কোথাও যাওয়ার উপায় নেই। আর সেটা বুঝে সুবোধ বালক হয়ে গেছে ক্লাবের বেশিরভাগ সদস্য। মাথার ওপরে হাত তুলে প্রাণভিক্ষা চাইছে কেউ কেউ। আবার কেউ দাপট দেখিয়ে ভাবছে মুক্ত করতে পারবে নিজেকে। এরা আছে মস্তবড় ভুলের গভীর সাগরে। পিস্তলের বাঁট দিয়ে মেরে রাগী একজনের কপাল ফাটিয়ে দিল রানা। নিজের দুর্ভাগ্য মেনে নিয়ে মাটিতে বসে নিঃশব্দে কাঁদতে লাগল লোকটা। আরেকজন অন্যদের ঠেলে প্রাসাদের দিকে যেতে চাইলে তাকে ল্যাং মেরে মাটিতে ফেলল ফক্স। গায়ের জোরে তার পেটে লাথি দিয়ে নরম সুরে বলল, ‘ব্যথা পেলে, ব্রাদার?’

গা ঘেঁষে দাঁড় করানো হলো লোকগুলোকে। ভিড় থেকে একজন বলল, ‘তোমরা কি পাগল হলে? জানো আমরা আসলে কারা?’

‘প্রাণে বাঁচলে আদালতে মামলা ঠুকবে,’ পরামর্শ দিল ওয়াকার।

দ্বীপের দিকে তাকাল রানা। সঠিক সময়ে জ্বালানী কাঠ জোগান দেয়া হয়নি বলে নিভু নিভু হয়েছে থঅথের মূর্তির সামনে আগুনের কমলা শিখা। আবছা দেখাচ্ছে কালচে জঙ্গল। বেদিতে এলিয়ে আছে বলির জন্যে আনা মেয়েটা। বোধহয় চেতনা নেই। হয়তো তাকে দেয়া হয়েছে কড়া কোন ড্রাগ। প্রথম সুযোগে দ্বীপে গিয়ে ওকে উদ্ধার করবে, ভাবল রানা। ঘুরে চোখ বোলাল ভিড়ের ওপরে। এরা সংখ্যায় অন্তত পঞ্চাশজন হলেও তাদের মধ্যে লাঠি হাতে থুথুরে কোন বুড়ো নেই। অর্থাৎ, হাত ফস্কে বেরিয়ে গেছে গ্র্যাণ্ড মাস্টার ইমোজেন ব্যালার্ড। এটা ভাবতে গিয়ে মুখের ভেতরটা তিতা লাগল রানার।

‘প্রিয় লেডিয়, আপনারা নিজেদের সুন্দর মুখ দেখান,’ উঁচু গলায় বলল ওয়াকার। ‘আলখেল্লাও খুলে ফেলবেন। রমণীয় দেহ দেখে মুগ্ধ হতে চাই।’

মৃদু আপত্তি তুললেও অস্ত্রের মুখে মাথার হুড সরিয়ে মুখোশ খুলল তারা। চাঁদের আবছা আলোয় দেখা গেল সবার চেহারা। তাতে ভীষণ হতাশ হলো রানা। এদের মধ্যে লিয়োনেলকে না দেখে আরও তিক্ত হয়েছে ওর মন। ব্যালার্ড ও লিয়োনেল এখানে নেই। তার মানে, এখনও বিপদে আছে জেসিকা আর ওরা।

পিস্তল নেড়ে লোকগুলোকে প্রাসাদের দিকে যেতে ইশারা করল ওয়াকার। কড়া গলায় বলল, ‘কুত্তার বাচ্চারা, সোজা হেঁটে যাবি। কোথাও থামলে এক গুলিতে খতম করে দেব।’

কেউ কেউ আছে দ্বিধার ভেতরে। ভাবছে ছুটে পালিয়ে যেতে পারবে। যদিও কোথাও যাওয়ার উপায় আসলে তাদের নেই। ভয় দেখাতে গিয়ে ওয়ালথার পিপি দিয়ে নিজের পায়ের কাছে গুলি ছুঁড়ল রানা। ছিটকে উঠল ধুলোবালি। চড়া গলায় বলল ও, ‘দৌড় দিলে খুন হবে তোমরা!’

ভাগতে গেলেই মরবে শুনে দাঁড়িয়ে রইল তারা।

‘আমি চাই শুয়োরের বাচ্চারা দৌড় দিক,’ ঠোঁট বাঁকা করে হাসল ফক্স। গুলি করতে ভাল লাগবে আমার।’

জায়গা থেকে নড়ল না দ্য হ্যাভোক ক্লাবের কেউ।

‘এগোতে শুরু করো,’ নির্দেশ দিল রানা।

একদল দুর্নীতিপরায়ণ অমানুষের বিরুদ্ধে দলে মাত্র তিনজন হলেও ওরা স্পেশাল ফোর্সের ট্রেইনিং পাওয়া যোদ্ধা। বিপক্ষে আছে থলথলে, পেটমোটা, আরামদায়ক জীবনে অভ্যস্ত মধ্যবয়স্ক একদল লোক। প্রতি সপ্তাহে হয়তো গল্ফ খেলে তারা। শারীরিক পরিশ্রম না করে নিয়মিত হাজির হয় দামি গাড়িতে চেপে অফিসে। এদের জীবনে সত্যিকারের বিনোদন মানেই ভয়ঙ্কর যন্ত্রণা দিয়ে নিষ্ঠুরভাবে নিরীহ মেয়েদেরকে খুন করা।

রানা, ফক্স ও ওয়াকারের অস্ত্রের মুখে প্রাসাদের দিকে চলল তারা। এমনসময় রানার দলে যোগ দিল রামিন ও ডিগবার্ট। বাইপড গুটিয়ে .৩৩৮ রেমিংটন রাইফেল হাতে হাঁটছে রামিন। এমপি গানের বাড়িতে পাওয়া পিস্তল আছে ডিগবার্টের হাতে। ঝুঁকিপূর্ণ মিশনে এসে এককান থেকে আরেক কানে পৌঁছে গেছে তার হাসি। প্রিয় বন্ধু ওয়াকারকে বলল, ‘কতদিন পর ভাল লাগছে, দোস্ত! তুমি শালা আসলে অতটা মন্দলোক নও, নইলে ডাকতে না।’

‘দারুণ লক্ষ্যভেদ করেছে রামিন, নিখাদ প্রশংসা করল ওয়াকার।

‘একবার মাসুদ ভাইয়ের স্কোরের কাছে যেতে পারতাম!’ আফসোস করল রামিন।

প্রাসাদের দিকে তাকাল রানা।

ওরা গোপনে হামলা করেছে বলে কিছুই বুঝতে পারেনি সিকিউরিটির লোকেরা। অবশ্য যে-কোন সময়ে তাদের টনক নড়বে।

‘সতর্ক হও,’ বলল রানা। ‘লজ হাউস বা প্রাসাদ থেকে হামলা আসতে পারে।’

‘জঙ্গলে ওদের ক’জনকে পেয়েছি,’ বলল ডিগবার্ট। ‘প্রথম দু’জন ক্যামেরা মেরামতকারী। বোঝার আগেই জ্ঞান হারিয়েছে। আধঘণ্টা পর আমাদের ঘাঁটির কাছে পৌঁছে গেল পরের দু’জন। তবে আর কখনও কাউকে বিরক্ত করবে না।’

ডিগবার্ট ছোট এক রেডিয়ো ছুঁড়তেই ওটা লুফে নিল রানা। বুঝে গেছে, খতম হয়েছে সিকিউরিটির দু’জন। তবে জানার উপায় নেই এস্টেটে এখনও কয়জন গার্ড রয়ে গেছে। রেডিয়ো অন করতেই রানা শুনল, আলাপ করছে গার্ডেরা। তারা টের পেয়েছে, অস্বাভাবিক কিছু ঘটছে এই ক্লাবে।

যে-কোন সময়ে প্রাসাদের দিক থেকে আসবে পাল্টা আক্রমণ, ভাবল রানা। ওরা প্রাসাদের পঞ্চাশ গজের মধ্যে পৌছুতেই প্যাটিয়োর সিঁড়ি বেয়ে নেমে লনের দিকে এল কয়েকজন সিকিউরিটি গার্ড। রাতের বাতাসে পটকার মত আওয়াজ তুলল তাদের পিস্তলের গুলি। শব্দগুলো দূরের লজ হাউসে পৌঁছে গেছে কি না তা নিশ্চিত নয় রানা। বন্দিদের গায়ের কাছে সরে এল ওরা। হ্যাভোক ক্লাবের সদস্যরা আহত হবে ভেবে গুলি বন্ধ করল সিকিউরিটির লোকেরা। লড়াইয়ের সময় ওটা মস্তবড় ভুল সিদ্ধান্ত।

পিস্তলের কয়েকটা গুলি শত্রুপক্ষ লক্ষ্য করে ছুঁড়ল রানা। পঞ্চাশ গজ দূর থেকে ছুটন্ত কারও গায়ে গুলি করা প্রায় অসম্ভব। তবুও ওর একটা গুলি বুকে বিঁধতেই হুমড়ি খেয়ে লনে পড়ল এক গার্ড। একইসময়ে ওয়াকার ও ডিগবার্টের গুলিতে খুন হলো সিকিউরিটির আরও দু’জন। গার্ডদের একজনের হাতে এআর-১৫ কারবাইন। এত কম রেঞ্জে ওটা ভয়ঙ্কর অস্ত্র। রামিনের রাইফেলের গুলি লাগল কারবাইনধারী গার্ডের গলায়। বাড়ির সিঁড়ির রেলিঙের পাশে পড়ল লাশ। তার সঙ্গী ছোঁ দিয়ে তুলে নিল কারবাইনটা। কিন্তু তখনই একপশলা গুলি করে তাকে যমের বাড়ি পাঠাল ফক্স। আরও কয়েক মুহূর্ত গুলি চলার পর আতঙ্কিত হয়ে উঠল শার্লন হলের গার্ডেরা। প্রাণের ভয়ে রাতের আঁধারে পালিয়ে গেল তারা।

ওদিকে জঙ্গলের কাছে শুরু হলো তুমুল গোলাগুলি। রানার বন্ধু মার্সেনারিদের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হয়েছে শার্লন হলের গার্ড ও ক্র্যাক টিমের। কাছাকাছি সময়ে ওদিক থেকে এল একাধিক আর্তনাদ। বিস্ফোরিত হলো ছয়টা গ্রেনেড। ভিটেলা রেমারিকের অধীনে শত্রুপক্ষকে কোণঠাসা করে ফেলেছে মার্সেনারিরা। একটু পর কমে গেল গুলির আওয়াজ। হার্ডস্টাফ আর তার দলের সবাই বোধহয় পালিয়ে যেতে শুরু করেছে। শত্রু না থাকলে রেমারিকের দলের সবাই দেরি না করে এলাকা ত্যাগ করবে। পরে রানার সঙ্গে দেখা করবে লণ্ডনে রানা এজেন্সিতে।

মিনিট দুয়েক পর জঙ্গল থেকে আর কোন গুলির আওয়াজ এল না।

‘শালারা কাপুরুষ,’ মন্তব্য করল ওয়াকার।

‘আমাদের সঙ্গে লড়ে জিতে যেতে হলে ওদের লাগবে পুরো এক রেজিমেন্ট সৈনিক,’ বলল ডিগবার্ট।

রানার দিকে তাকাল রামিন। ‘মাসুদ ভাই, আপনার কি মনে হয় পালিয়ে গিয়ে ওরা পুলিশে যোগাযোগ করবে?’ মৃদু মাথা নাড়ল রানা। ‘কী বলবে ওদেরকে?’

‘ঠিক,’ হাসল ফক্স। ‘এটা তো বলতে পারবে না, দারুণ জমজমাট শয়তান-পূজায় এক মেয়েকে জবাই করতে গেছে, তাই নিষ্ঠুরভাবে তাদেরকে খুন করছে একদল বাজে লোক!’

‘চলো, এগোও,’ তাড়া দিল রানা।

লন পেরিয়ে বন্দিদেরকে সিঁড়ি বেয়ে প্রাসাদে তুলল ওরা। রাগ ও ক্ষোভে ফুঁসছে ক্লাবের ক’জন। অন্যদের সাহস নেই টু শব্দ করবে। খুন হবে ভেবে ফুঁপিয়ে কাঁদছে কেউ কেউ। খোলা দুটো ফ্রেঞ্চ উইণ্ডো দিয়ে রানা দেখল, ওদিকের ঘর আসলে মস্ত এক কান্ট্রি-ক্লাব লাউঞ্জ। চারপাশে আরামদায়ক সোফা। একদিকে দামি মদের বোতলে ভরা বার। একনজরে রানা বুঝে গেল, এই ঘরে কাউকে বন্দি করে রাখতে পারবে না।

ক্লাব সদস্যদেরকে পাহারা দিয়ে রাখতে বলে প্রাসাদের আরও অভ্যন্তরে ঢুকল রানা। এক এক করে দরজা খুলে দেখছে ঘরগুলো। পঞ্চম দরজা খুলে পেয়ে গেল বিশাল ভোজকক্ষ। পাথরের পুরু দেয়ালে কালো কাঠের প্যানেলিং। একদিকে সাদা কাপড়ে ঢাকা আসবাবপত্র। ঘরের শেষদিকে বিশাল ফায়ারপ্লেস। মেঝেতে জমেছে পুরু ধুলো। উঁচু বো উইণ্ডো দিয়ে মেঝেতে নেমে এসেছে চাঁদের ফ্যাকাসে আলো।

হয়তো বহু বছর আগে এখানে জমত দুর্দান্ত পার্টি। তবে সেদিন আর নেই। পরিত্যক্ত হয়েছে এই ঘর। বন্দিদের আটকে রাখার জন্যে জায়গাটা পছন্দ হলো রানার। শক্তপোক্ত ভারী ডাবল-ডোর ভেঙে বেরোতে পারবে না কেউ। জানালার বাইরে আছে লোহার চওড়া পাত। বাইরে থেকেও ভেতরে ঢোকার কোন উপায় নেই।

লাউঞ্জে ফিরে এল রানা। ওর জন্যে অপেক্ষা করছে দলের অন্যরা। ‘ওদেরকে নিয়ে এসো,’ বলল রানা।

পাঁচ মিনিটের ভেতরে ক্লাব সদস্যদেরকে পাহারা দিয়ে ভোজকক্ষে নিয়ে গেল ওরা। দেয়ালে বাতির সুইচ পেয়ে ওটা টিপে দিল রামিন। ছাতের স্পটল্যাম্প চারপাশে ছড়াল উজ্জ্বল আলো। আঁধার থেকে আলোয় এসে চোখ-মুখ কুঁচকে ফেলেছে বন্দিরা।

‘একেকটা কুৎসিত বাঁদরের ছানা!’ বলল ওয়াকার।

মুখ বিকৃত করল ফক্স। ‘এখন শালাদের দেখে মনে হচ্ছে না যে তারা সমাজের মাথা!’

‘আমি একে টিভিতে দেখেছি,’ লালচে চুলের একজনকে দেখাল রামিন। নিজেও তাকে কোথায় যেন দেখেছে রানা। আপাতত ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবার উপায় নেই তার। খুন হবে ভেবে ছর ছর শব্দে প্রস্রাব করে ভিজিয়ে ফেলেছে দামি প্যান্ট।

‘কিছু না বুঝে নির্বাচনে এই কুত্তাকে ভোট দিয়েছিলাম, ‘ পিস্তল নেড়ে বয়স্ক একজনকে দেখাল ডিগবার্ট। ‘তখনও শুয়োরগুলোকে ভোট দেয়ার মানসিকতা ছিল।’

চুপ করে আছে রানা। ব্যালার্ড ও লিয়োনেল হাত ফস্কে বেরিয়ে গেছে ভাবতে গিয়ে হতাশ বোধ করছে।

টিভিতে রামিন যাকে দেখেছে, সে মিনমিন করে বলল, ‘বাবারা, আমাদেরকে নিয়ে কী করা হবে?’

‘যা-খুশি করে রেহাই পাবে না!’ চিৎকার করল একজন। তোমরা জানোও না আমরা আসলে কারা!’

‘ভাল করেই জানি,’ শীতল স্বরে বলল ওয়াকার। ‘বেশিক্ষণ নেই সাধারণ মানুষও সব জানবে। সিনেমার দুর্দান্ত এক হরর কাহিনী হবে তোমাদেরকে নিয়ে।’

‘না!’ আর্তনাদ ছেড়ে জানালা ভেঙে বেরোতে চাইল এক লোক।

তার মুখের পাশে কারুকাজ করা কাঠের প্যানেলে এমপিএক্স সাবমেশিন গান থেকে একপশলা গুলি ছুঁড়ল ফক্স। প্রৌঢ়ের চোখে-মুখে কাঠের কুচি লাগতেই বলল, ‘সাবধান, ব্রাদার! পরের গুলি কিন্তু বিধবে তোমার ফোলা পোঁদে!’

‘কিছুক্ষণ এদেরকে আটকে রাখো,’ বলল রানা।

‘তুমি নিজে কোথায় চললে?’ জানতে চাইল ওয়াকার।

দরজার কাছ থেকে বলল রানা, ‘আমি যাচ্ছি ওই দ্বীপে।’

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *