কালানুসারে ঘটনাপঞ্জী
১. শ্রুতি : ঈশ্বরের মুখনিঃসৃত বাণী হিসেবে প্রচারিত। মুখে মুখে শোনা। অলিখিত। ঋষিরা এগুলোর দ্রষ্টা। তারা এগুলোর স্রষ্টা বা রচয়িতা নন। শ্রুতির উদাহরণ ‘বেদ’। বলা হয় বেদ যিনি মানেন তিনি ‘আস্তিক’ ও যিনি মানেন না তিনি ‘নাস্তিক’।
২. স্মৃতি : মানুষ শোনা কথা স্মৃতিতে ধরে রাখত। এক সময়ে স্মৃতি থেকে মানুষ তা শ্লোক আকারে গ্রন্থিত করে। উদাহরণ মনুস্মৃতি।
৩. ব্রাহ্মণ্য ধর্ম : এমন একটি ধর্মীয় কাঠামো যেখানে গুণাগুণ নির্বিশেষে ব্রাহ্মণের আসন সর্বোচ্চ এবং তাকে ঘিরেই ধর্ম। অর্থাৎ ব্রাহ্মণ সকলের ওপরে, আর সব হিন্দুর স্থান তার নিচে। ব্রাহ্মণ ছাড়া আর সকল হিন্দু শূদ্র। পূজার অধিকার শুধু মাত্র ব্রাহ্মণের ব্রাহ্মণ্যধর্মকেই কেউ কেউ হিন্দুধর্ম বলে। একে বর্ণাশ্রম ধর্মও বলা হয়। অর্থাৎ ধর্মটি চারবর্ণ ও চার আশ্রম ভিত্তিক।
8. প্ৰাক-সিন্ধু সভ্যতা : খ্রি. পূ. ৩৫০০। এই সময়ে বেলুচিস্তানের লোক খাদ্য উৎপাদন জানত (গম/বার্লি) ও সেখানে গ্রামের উপস্থিতি ছিল। তখন তামা-ব্রোঞ্জ ব্যবহার হতো। খ্রিস্টপূর্ব ২,৭০০ কালে গ্রাম ভিত্তিতে সংগঠিত ছিল এই সভ্যতা। লোহা ব্যবহার পরে (অথর্ব বেদ কালে)।
৫. সিন্ধু সভ্যতা (মহেঞ্জোদারো) : খ্রি. পূ. ২৫০০-১৭০০। ভাষা দ্রাবিড়দের মত। সিন্ধু সভ্যতার অন্যতম নিদর্শন মহেঞ্জোদারো নগরী বিলুপ্ত হয় খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ এ। বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও উন্নত সভ্যতা। এই সভ্যতার লোকদের সাথেই আর্যদের দীর্ঘস্থায়ী সংঘর্ষ হয়। পরে আপোষরফা হয়।
৬. আর্য আগমন : খ্রি. পূ. ১৫০০। শুধু বেদেই আর্যদের কথা লিপিবদ্ধ আছে। তাদের অস্তি ত্বের আর কোনো প্রমাণ নেই। তাই বেদ তাদের সৃষ্টি এই উপসংহার করা যায় না। সম্ভবত এরা আসে মধ্যএশিয়া অথবা ইউরোপ থেকে। খ্রিস্টপূর্ব ১,৫০০ কালের পূর্বেও তাদের উপস্থিতির সাক্ষ্য আছে। আর্যরা শিকারি জাতি। কৃষি কাজ জানত না। সিন্ধু সভ্যতার লোকদের তুলনায় এরা ছিল অনুন্নত।
৭. ঋক বেদ: খ্রি. পূ. ১৫০০-১০০০/১২০০-৯০০। মতান্তরে রচনাকাল খ্রি. পূ. ২৫০০- ২০০০। এটি চার বেদের প্রথম বেদ। প্রথমে মুখে মুখে ছিল। পরে দ্বৈপায়ন বেদকে বিভক্ত করে চারটি সংহিতা রচনা করেন। তাই তাঁর নাম ‘বেদব্যাস’।
৮. বেদ সাহিত্য : খ্রি. পূ. ১৫০০-৬০০। সমগ্র বেদ সাহিত্য এই সময়ের মধ্যে রচিত বলে অনুমান করা হয়। অর্থাৎ চারটি বেদ যথা : ঋক, যজুঃ, সাম ও অথর্ব এই সময়ের মধ্যে রচিত।
৯. মহাভারতের যুদ্ধ: খ্রি. পূ. নবম শতাব্দী। আর এক মতে খ্রি. পূ. ১০০০-৭০০ এর মধ্যে মহাভারতের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। কেউ কেউ এই যুদ্ধকে কাল্পনিক যুদ্ধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
১০. উপনিষদ : খ্রি. পূ. ৮ম- খ্রিস্টাব্দ ৫ম। বেদের প্রান্ত-ভাগের বিষয়গুলো নিয়ে রচিত। উপনিষদে সৃষ্টি তত্ত্ব স্থান পেয়েছে। উপনিষদ বলে সৃষ্টির মূলে আছেন সর্বব্যাপী, সর্বভূতান্তরাত্মা ও সর্বান্তর্যামী মহেশ্বর। তিনি অখণ্ড পূর্ণ ভূমা ও অনন্ত। রামকৃষ্ণ মিশন উপনিষদ প্রচার করে। উপনিষদের বাণী অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্ষত্রিয় ও অন্যান্য অ- ব্রাহ্মণদের দ্বারা রচিত :
১১. রামায়ণ : খ্রি. পূ. তৃতীয়-দ্বিতীয়। ভূমিপুত্র ও আর্যদের সংঘর্ষের কাহিনী। রামকে (আর্য প্রতিনিধি) বীর হিসেবে চিত্রায়িত। রাবণকে (ভূমিপুত্রদের প্রতিনিধি) প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখানো হয়েছে। রাম ভূমিপুত্রদের সহায়তায় জয় লাভ করেন।
১২. বর্তমান আকারে মহাভারত : খ্রি. পূ. ৪র্থ-খ্রিস্টাব্দ ৪র্থ। বর্তমান আকারে মহাভারত রচিত হয়েছে খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ থেকে খ্রিস্টাব্দ ৪র্থ শতকের মধ্যে। দীর্ঘকাল ধরে রচিত হওয়ায় এর মধ্যে প্রক্ষিপ্ত অংশ প্রচুর। আসল অথবা নকল বোঝা কঠিন। প্রাচীনকালে এটি ক্ষত্রিয় বীরের কাহিনী ছিল। কৃষ্ণের কাহিনী সংযোজন পরে।
১৩. মহাবীর বর্ধমান : খ্রি. পূ. ৬ষ্ঠ শতাব্দী। জন্ম-মৃত্যুর তথ্য নেই। মৃত্যু সম্ভবত খ্রি. পূ. ৫২৮। বৈশালীতে জন্ম। ক্ষত্রিয় বংশ। লিচ্ছবী পরিবারের সাথে সম্পর্কিত। ৪২ বছরে কৈবল্য লাভ। পরিচিত হন ‘জিন’ হিসেবে। তা থেকেই জৈন ও জৈন ধর্মের উৎপত্তি। মৃত্যু পাটনায় তাঁর সময়ের রাজা বিম্বিসার ও অজাতশত্রু। মহাবীর ব্রাহ্মণ্যধর্মের প্রতিবাদকারী 1
১৪. বিম্বিসার (মগধ রাজ্য স্থাপক) ও অজাতশত্রু : খ্রি. পূ. ৬ষ্ঠ শতাব্দী। ভারত ষষ্ঠ শতাব্দীতে কাশী, কোশল, অঙ্গ, মগধ, রাজী-রাজ্য, মল্ল, চেদি, বাৎস্য, কুরু, পাঞ্চাল, মৎস্য, শূরসেন, আশক, অবন্তী, গান্ধারা ও কম্বোজ এই ১৬টি রাজ্যে বিভক্ত। দক্ষিণ বিহারের ক্ষুদ্র রাজার সন্তান বিম্বিসার। তিনি রাজ্যগুলো একত্রিত করে বৃহত্তর মগধ রাজ্য গঠন করেন। বুদ্ধ অথবা মহাবীরের অনুসারী। বিম্বিসারের পুত্র অজাতশত্রু। তার পুত্র উদয়ন। উভয়ই পিতৃ হন্তক।
১৫. বুদ্ধ (পরিনির্বাণ) : খ্রি. পূ. ৪৮৪/৫৪৩। শাক্য বংশ। জাতিতে ক্ষত্রিয়। পিতা শুদ্ধোধন তিনি শাক্যদের দ্বারা নির্বাচিত প্রধান। জন্ম কপিলাবস্তুতে। নেপালের লুম্বিনিতে। স্ত্রী গোপা অথবা যশোধারা। পুত্র রাহুল। বৌদ্ধধর্মের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর বাণী সাম্যের বাণী। ব্রাহ্মণ্যধর্মের যজ্ঞ, পশুবলী ও জাত-পাতে অবিশ্বাসী। ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্পর্কে ́ নীরব। সকল প্রাণী সুখী হোক তাঁরই মহান বাণী। অহিংসা পরম ধর্ম বুদ্ধের কথা।
১৬. মহাপদ্ম নন্দ (মগধ রাজ্যে শূদ্র রাজা) : খ্রি. পূ. ৩২৬। মগধ রাজ্যে নন্দ বংশের প্রতিষ্ঠাতা। অন্য নাম উগ্রসেন। নন্দের মাতা শূদ্র। গ্রীক লেখকদের মতে রাণীর সমর্থনে রাজাকে হত্যা করে রাজ্য লাভ। জৈনদের মতে সভাসুন্দর ও নাপিতের মিলনের ফল নন্দ তাকে ক্ষত্রিয় ধ্বংসকারী বলে মনে করা হয়। শক্তিশালী রাজা। নন্দের পর তার ৮ পুত্র শাসন করে। শূদ্র নন্দ রাজা হওয়ায় পুরাণগুলোতে আক্ষেপ করা হয়েছে। কারণ ব্রাহ্মণরা শূদ্র রাজা পছন্দ করেনি
১৭. আলেকজান্ডার : খ্রি. পূ. ৩২৬। আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণ। মৃত্যু খ্রি. পূ. ৩২৩। তৎকালীন গ্রীক বীর। তখন বাংলা একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল।
১৮. চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য (বেদে অবিশ্বাসী) : খ্রি. পূ. ৩২২-২৯৮। মৌর্য্য বংশের প্রতিষ্ঠাতা। নন্দ বংশের রাজা ধন নন্দকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাজ্য লাভ। তাকে সাহায্য করে ব্রাহ্মণ চানক্য (কৌটিল্য)। মৌর্য্যরা সম্ভবত ক্ষত্রিয়। কিন্তু বেদে বিশ্বাস নেই। চন্দ্রগুপ্ত ছিলেন জৈন! বৈদিক ঐতিহ্যে ক্ষত্রিয়রাই দেশ শাসন করে। মগধ রাজ্যের উত্থানে এই ধারণা নষ্ট হয়। ১৯. বিন্দুসার (চন্দ্রগুপ্তের পুত্র) : খ্রি. পূ.৩০০-২৭৩। চন্দ্রগুপ্ত ও নন্দদের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক ছিল। চন্দ্রগুপ্তের জন্ম ছোট বংশে। মৌর্য শব্দের অর্থ মূর। মূর নন্দের স্ত্রী। চন্দ্রগুপ্তের মা। কিন্তু বর্তমানে বলা হয় চন্দ্রগুপ্ত ক্ষত্রিয়। বংশ মৌর্য্য। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র তার আমলে রচিত।
২০. সম্রাট অশোক (বিন্দুসার পুত্র) : খ্রি. পূ.২৬৯। রাজ্যলাভ খ্রি. পূ.২৬৯। অভিষেক ২৭৩। ছিলেন বৌদ্ধ। মৃত্যু খ্রি. পূ. ২৩৬। তার রাজ্য টিকে থাকে খ্রি. পূ:১৮৪ পর্যন্ত। কিন্তু শাসক তালিকা অনিশ্চিত। সম্রাট অশোক বিরাট সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।
২১. পুত্যমিত্র শুঙ্গ (ব্রাহ্মণ) : খ্রি. পূ. ১৮৭-১৪৮। মৌর্য্য বংশের শেষ রাজা বৃহদ্রথকে হত্যা করে তার জেনারেল ব্রাহ্মণ পুষ্যমিত্র সূঙ্গ খ্রি. পূ. ১৮৭-১৪৮। মৌর্য্যদের ওপর ব্রাহ্মণরা ক্ষ্যাপা ছিল। সুঙ্গ বংশ রাজত্ব করে ১১২ বছর।
২২. মনুসংহিতা রচনা : খ্রি. পূ. ২০০-খ্রিস্টাব্দ ২০০। ব্রাহ্মণ্য ধর্মের পুনরুত্থান। মনুসংহিতা একটি প্রতিক্রিয়াশীল গ্রন্থ। উগ্র বর্ণবাদের দলিল। কিন্তু বলা হয় হিন্দুদের আইন গ্রন্থ।
২৩. কাণ্যবংশ : এই বংশের রাজা বাসুদেব ছিলেন সুদের মন্ত্রী। তিনি রাজাকে হত্যা করে রাজ্য লাভ করেন। তাদের রাজত্ব শেষ খ্রি. পূ. ৩০। কাণ্যবংশের পরবর্তী ৩০০ বছরের সঠিক ইতিহাস পাওয়া যায় না।
২৪. কুশান বংশের কণিষ্ক : ৭৮-১০১ খ্রিস্টাব্দ। কনিষ্ক শকাব্দ চালু করেন। তিনি বৌদ্ধদের সভা ডাকেন। অশ্বঘোষ ও নাগার্জুন তার সময়ের। তৃতীয় শতাব্দীতে তার পতন। বাসুদেব সর্বশেষ রাজা এই বংশের (১৪৫-১৭৬ খ্রিস্টাব্দ)। বাসুদেব ছিলেন শৈব। তখন মহাযানী বৌদ্ধধর্ম প্রসিদ্ধি লাভ করে। হীনযানও তখন ছিল।
২৫. অশ্বঘোষ : ১০০ খ্রিস্টাব্দ। সমন্বয়বাদী বৌদ্ধ পণ্ডিত। রচনা করেন “বুদ্ধ চরিত”। তাঁর সময়ে বৌদ্ধধর্ম প্রবল।
২৬. গুপ্ত যুগ (পৌরাণিককাল) : ৩২০- ৫০০ খ্রিস্টাব্দ। এর প্রতিষ্ঠাতা কোনো এক গুপ্ত। উপাধি শুধু মহারাজা। সম্ভবত বৈশ্য জাতি। মগধের ছোট রাজা ছিলেন।
২৭. গুপ্তের পুত্র ঘটোৎকচ :
২৮. ঘটোৎকচের পুত্র চন্দ্রগুপ্ত-১ : ৩২০ খ্রিস্টাব্দে সিংহাসন লাভ। তিনি বিবাহ করেন লিচ্ছবী বংশের রাজকুমারী কুমারী দেবীকে। গুপ্ত বংশের রাজ্য প্রতিষ্ঠাতা। চন্দ্রগুপ্ত-১ এর পর তার পুত্র সমুদ্রগুপ্ত।
২৯. সমুদ্রগুপ্তের মৃত্যু : ৩৮০ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে। সমুদ্রগুপ্ত বৈষ্ণব ছিলেন।
৩০. চন্দ্রগুপ্ত-২ : ৩৮০-৪১২/১৩ খ্রিস্টাব্দ। সমুদ্রগুপ্তের পুত্র। তিনি ছিলেন বৈষ্ণব। তার প্রভাবশালী মন্ত্ৰী শৈব। এক জেনারেল ছিলেন বৌদ্ধ। তিনি বিক্রমাদিত্য বলে পরিচিত।
৩১. কালিদাস (শৈব) : চন্দ্রগুপ্ত-২ এর কাল। বিখ্যাত কবি। বিখ্যাত নালন্দা (বর্তমান কালের বিশ্ববিদ্যালয়) এই সময়ে প্রতিষ্ঠিত। এই বংশের রাজত্ব শেষ ৫০০ খ্রিস্টাব্দে।
৩২. গুপ্তযুগের অবদান: ৩২০-৫০০ খ্রিস্টাব্দ। বৈদিক ধর্মের স্থলে হিন্দুধর্মের ভিত্তি স্থাপিত হয়। বেদের দেবতার স্থলে প্রতিষ্ঠিত হয় শিব বিষ্ণু কার্তিক সূর্য লক্ষ্মী পার্বতী। পুরাণ গুলো এই সময়ে পুনর্বিন্যাসিত করা হয়। বেদের বদলে স্থান পায় পুরাণ। লক্ষ্মী হন বিষ্ণুর স্ত্রী। শৈবধর্ম প্রাধান্য পায়। বিষ্ণুর অবতার সৃষ্টি করা হয়। মহাযানী বৌদ্ধ প্রবল হয়। তারা মূর্তি পূজায় আসে। হীনযানী দুর্বল হয়। বিশাখা দত্ত রচনা করেন ‘মুদ্রা রাক্ষস’ নাটক। ‘শূদ্রক’ রচনা করেন ‘মৃচ্ছকটিক’ নাটক।
৩৩. আর্যভট্ট : ৪৭৬ খ্রিস্টাব্দ।
৩৪. ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা : ৫৭০-৬৩০ খ্রিস্টাব্দ। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে জন্ম। ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যু।
৩৫. হর্ষবর্ধন : ৬০৬ খ্রিস্টাব্দ। তার পূর্ব পুরুষরা সূর্য পূজারী। হর্ষ নিজে শৈব এবং পরে বৌদ্ধ হন। তার বোন রাজ্যশ্রী ছিলেন বৌদ্ধ
৩৬. শশাঙ্ক ৬০৬-৬৩৭ খ্রিস্টাব্দ। গৌড়ের রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। তার মুদ্রায় মহাদেব/নন্দীভৃঙ্গীর প্রতিকৃতি স্থান পেয়েছে।
৩৭. সমুদ্রযাত্রা নিষিদ্ধ : সপ্তম শতাব্দী। ব্রাহ্মণরা সমুদ্রযাত্রা নিষিদ্ধ করে। এর ফলে বৈশ্যদের ক্ষমতা খর্ব হয়। এটি ব্রাহ্মণ-বৈশ্য দ্বন্দ্বের ফল।
৩৮. রাজপুত রাজাগণ : অষ্টম শতাব্দী থেকে মুসলমান আগমন পর্যন্ত। এদের উৎস সম্বন্ধে বহু মত। সূর্য বংশ, চন্দ্রবংশ, গুর্জর ও অন্যান্য বিদেশি জাতি ও সিথিয়ান থেকে উদ্ভূত বলে দাবি। মনে হয় শক হিন্দু ও হুনদের মিশ্রণের ফল। এরা প্রকৃতপক্ষে কৃত্রিম ক্ষত্রিয়। ভারতকে খণ্ড খণ্ড রাজ্যে বিভক্ত করার জন্য দায়ী বলে অভিযুক্ত। তাদের পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত বিদেশি আক্রমণকে উৎসাহিত করে।
৩৯. শান্তরক্ষিত : অষ্টম শতাব্দী। বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারক। বিখ্যাত পণ্ডিত।
৪০. বজ্রযানী বৌদ্ধ মত সহজযান : অষ্টম শতাব্দী। ৮ম শতাব্দী থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত প্রাধান্য। এদেরকে সহজিয়া বলা হয়। এর প্রবর্তক লুইপাদ।
৪১. পালবংশ : ৭৫০-১২০০ খ্রিস্টাব্দ। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। এরা ব্রাহ্মণদের সম্মান প্রদান করে ৪৫০ বছরের পাল শাসন বাঙালির জন্য অসাধারণ ঘটনা। শেষ রাজা পল পাল (১১৬৫-১২০০ খ্রিস্টাব্দ)। এই সময়ে বাংলায় ভেদাভেদবিহীন সমতল সমাজ ছিল। জাত-পাত বিচার ছিল না
৪২. শংকরাচার্য : ৭৮৮-৮২০ খ্রিস্টাব্দ। হৃদয়হীন দক্ষিণ ভারতীয় শৈব ব্রাহ্মণ। অদ্বৈতবাদ ও মায়াবাদ প্রচারক। বৌদ্ধধর্ম ধ্বংসকারী বলে পরিচিত। তিনি মহাভারতের ভেতরে ‘গীতা’ ঢুকিয়ে দিয়েছেন বলে অনেকের বিশ্বাস। হিন্দুধর্মে ব্রাহ্মণ্য আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন।
৪৩. চর্যাপদ : দশম শতাব্দী। বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন। চর্যাপদের সময় থেকে বাঙালির আবির্ভাব। নেপালে প্রাপ্ত। এই সময়ে নাথধর্ম প্রবল ছিল।
৪৪. রামাই পণ্ডিত : দশম শতাব্দী। ‘শূন্যপুরাণ’ প্রণেতা। পদ্যগদ্যময় বাংলা। গদ্যের উদগাতা।
৪৫. নাথপন্থ : সপ্তম-দশম শতাব্দী। তন্ত্র ও যোগের মিশ্রণে গঠিত বাংলার অন্যতম ধর্মমত চৈতন্যদেব কর্তৃক রাম ও কৃষ্ণ দেবতায় রূপান্তরের পূর্ব পর্যন্ত বাংলা অঞ্চলে অত্যন্ত জনপ্রিয় ভারতের বিভিন্ন অংশে বহুল প্রচারিত।
৪৬. ভবদেব ভট্ট : দশম শতাব্দী। বৌদ্ধদের হিন্দুর বর্ণাশ্রম ধর্মে (কাস্ট-ভিত্তিক সমাজ) আনেন। রাঢ়ীয় ব্রাহ্মণ্য সংস্কার প্রবর্তন করেন।
৪৭. অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান : ৯৮০-১০৫৩ খ্রিস্টাব্দ। বিক্রমপুরের বিখ্যাত বাঙালি পণ্ডিত তিব্বতে যান ১০৪২ খ্রিস্টাব্দে। তিব্বত থেকে মঙ্গোলিয়া পর্যন্ত বৌদ্ধধর্ম প্রচার করেন তিব্বতীরা তাঁকে ‘মানুষী বুদ্ধ’ হিসেবে পূজা করে। তাঁর সমসাময়িক বৌদ্ধ পণ্ডিত শীলভদ্র শান্তিদেব শান্তিরক্ষিত লুইপাদ প্রজ্ঞাবর্মা জালন্ধরীপাদ প্রমুখ।
৪৮. গোরক্ষনাথ : ১০/১১শ শতাব্দী। নাথধর্মের প্রতিষ্ঠাতা। মীননাথের শিষ্য। আধুনিক ভারতের গোরখপুর অঞ্চল তাঁর নামে। গোরখারা গোরক্ষনাথপন্থী।
৪৯. জ্ঞানশ্রী মিত্র : একাদশ শতাব্দী। গৌড়ে জন্ম। বিক্রমশিলা মহাবিহারের অন্যতম পণ্ডিত। বহু শাস্ত্রের রচয়িতা।
৫০. বিজয় সেন : ১০৯৪-১১৬০। সেন বংশীয় রাজ্য প্রতিষ্ঠাতা। গৌড়েশ্বরকে পরাজিত করেন ১০৯৭ খ্রিস্টাব্দে। শৈব। বিজয় সেনের পুত্র বল্লাল সেন।
৫১. বল্লাল/লক্ষণ : ১১৫৯-১১৭৯/১১৭৯-১২০৩। বল্লালের আমলেই বাংলায় জাত-পাতের উৎপত্তি। বল্লালের পুত্র লক্ষণ সেন। লক্ষণের জন্ম ১১১৯(?) খ্রিস্টাব্দে। তিনি বৈষ্ণব। তার পূর্ববর্তীরা ছিলেন শৈব।
৫২. জয়দেব : দ্বাদশ শতাব্দী। গীতগোবিন্দ রচয়িতা। সহজিয়াদের আদিগুরু। বাড়ী বীরভূম। গীতগোবিন্দ লক্ষণের সভায় রচিত। জয়দেব ধোয়ী শরণ উমাপতিধর লক্ষণ সেনের সভাকবি।
৫৩. জীমূতবাহন : দ্বাদশ শতাব্দী। শাস্ত্রকার। হিন্দুদের উত্তরাধিকার আইন অর্থাৎ ‘দায়ভাগ রচয়িতা।
৫৪. ধোয়ী : দ্বাদশ শতাব্দী। জন্ম নবদ্বীপে। সেন যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি।
৫৫. বখতিয়ার : ১২০৩/৪। নদীয়া জয় করেন। বাংলায় মুসলমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বাইরে থেকে তাদের আগমণ শুরু হয়।
৫৬. সন্ধাকর নন্দী : ১২/১৩ শতাব্দী। পাল আমলের শ্রেষ্ঠ কবি।
৫৭. স্বাধীন সুলতানী শাসন : ১২০৪-ষোড়শ পর্যন্ত। সুলতানী শাসন দীর্ঘদিন চলে। এই আমলে বাংলায় ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয়।
৫৮. জ্ঞানেশ্বর/নামদেব : ত্রয়োদশ/চতুর্দশ। মারাঠি লেখক। জাতীয়তাবাদী। জাত-পাত বিরোধী।
৫৯. বিদ্যাপতি : ১৩৭৪(?)। বাঙালি বলে দাবি। পিতার নাম গণপতি ঠাকুর। মিথিলা নিবাসী।
৬০. কৃত্তিবাস ওঝা : ১৩৯৯-১৪৩৩। নদীয়াবাসী। রামায়ণ অনুবাদকারী। অনেক প্রক্ষিপ্ত অংশ তাঁর রামায়ণে স্থান পেয়েছে।
৬১. ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ/ বৃহদ্ধর্ম পুরাণ : চতুর্দশ শতাব্দী। হিন্দুদের জন্য বিভিন্ন বিধিনিষেধ সম্বলিত রচনা। জাতিভেদ প্রথা সূচনা করা হয় এই সব পুরাণ দিয়ে। আলৌকিক ঘটনায় পূর্ণ। স্থানে স্থানে বিদ্বেষ পূর্ণ কাহিনী দিয়ে ব্রাহ্মণ্য আধিপত্য প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত।
৬২. রাজা গণেশ : ১৪১৫-১৪১৮। বাংলার অন্যতম রাজা। তিনিই একমাত্র হিন্দুরাজা যিনি পাঁচ শতাধিক বছরের মুসলমান শাসনের মধ্যে কয়েক বছরের জন্য হিন্দু রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেন।
৬৩. চণ্ডীদাস : ১৪১৭-৭৭। সহজ সাধনার কবি। রাধাকৃষ্ণের মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে সহজিয়া সাধনা করেন তিনি। পদাবলী সাহিত্যের প্রবর্তক।
৬৪. প্রভু নিত্যানন্দ : ১৪৭৭-১৫৩২ (?)। বীরভূম নিবাসী। তাঁর প্রকৃতনাম মুকুন্দ বন্দোপাধ্যায়।
৬৫. চৈতন্য দেব : ১৪৮৫-১৫৩৩। প্রকৃত নাম বিশ্বম্ভর মিশ্র। পিতা জগন্নাথ মিশ্র। গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক। ভক্তির মাধ্যমে রাধার আশ্রয়ে কৃষ্ণকে জনপ্রিয় করেন। ধর্মে সাম্যপন্থী।
৬৬. কবীর : পঞ্চদশ শতাব্দী। কবীর পন্থার জনক। জোলার সন্তান। মানবতাবাদী ও শক্তিশালী সমন্বয়বাদী সাধক। উত্তর ভারতে কবীর পন্থা অত্যন্ত জনপ্ৰিয়।
৬৭. মোঃ সগীর : পঞ্চদশ শতাব্দী। ইউসুফ-জুলেখার লেখক।
৬৮. ভাস্কো-ডা-গামা : ১৪৯৮। পর্তুগীজ নাবিক। ভারতে আগমন। এই সময় থেকেই পশ্চিম দেশীয়রা ভারতে আসতে শুরু করে।
৬৯. বৃহস্পতি মিশ্ৰ : পঞ্চদশ শতাব্দী?। শাস্ত্রকার।
৭০ . কেশব ভারতী : ১৫১০। তার পূর্ব নাম কালীনাথ ভট্টাচার্য। চৈতন্যের গুরু।
৭১. রঘু নন্দন : ষোড়শ শতাব্দী। মহাপ্রভুর মানসপুত্র। হিন্দুর সামাজিক বিধান প্রণেতা সমাজ সংস্কারক।
৭২. কবীন্দ্র পরমেশ্বর : ষোড়শ শতাব্দী। বাংলায় প্রাচীনতম মহাভারত রচয়িতা।
৭৩. পাঠান রাজত্ব : ১৫৩৯-১৫৭৬। বাংলায় পাঠান রাজত্ব শুরু।
৭৪. মুকুন্দরাম চক্রবর্তী : ১৫৪৭ – বর্ধমানের বাসিন্দা। পিতার নাম হৃদয় মিশ্র। মিশ্র নবাবের প্রদত্ত পদবি। আর এক নাম কবিকঙ্কণ।
৭৫. মোগল আমল : ১৫৭৬-১৭৫৭। ১৫৭৬ সালে আকবরের আমলে (১৫৫৬-১৬০৫) বাংলায় মোগল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা। তখন থেকেই সমগ্র বাংলাদেশ ‘বঙ্গাল’ নাম ধারণ করে।
৭৬. তুলসী দাস : (ষোড়শ শতাব্দী)। আকবরের আমলের কবি। রামচরিত মানস লেখক তুলসী দাসী রামায়ণ বিখ্যাত।
৭৭. কালাপাহাড় : ১৫৬৩-১৫৭২। অপর নাম কালা চাঁদ রায়। ব্রাহ্মণ সন্তান। ধর্মান্তরিত হয়ে হিন্দুদের উপর অকথ্য অত্যাচার করেন। নির্যাতনের মাধ্যমে হিন্দুকে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে অভিযুক্ত।
৭৮. দৌলত কাজী : ১৫৮০ সালে জীবিত। ‘সতী ময়না’ গ্রন্থ রচয়িতা। চট্টগ্রাম নিবাসী।
৭৯. ঈশা খাঁ : – ১৫৯৯। তাঁর পিতার নাম কালিদাস গজদানী। রাজপুত হিন্দু বংশের লোক বার ভূঁইয়ার এক ভূঁইয়া।
৮০. বিজয় গুপ্ত : পঞ্চদশ-ষোড়শ। বরিশাল নিবাসী। মনসা মঙ্গল (পদ্মপুরাণ) রচয়িতা। ৮১. শিবাজী : ১৬২৭/৩০-১৬৮০। মারাঠী জাতীয়তাবাদী বীর। তাঁর পিতার নাম শাহজী ভোঁসলে। দক্ষিণ ভারতে খুবই জনপ্রিয়।
৮২. গুজরাট/দাক্ষিণাত্যের দুর্ভিক্ষ : ১৬৩০-৩২। মোগল আমলের সবচেয়ে বড় দুর্ভিক্ষ।
৮৩. জব চার্ণক : ১৬৯৩। কলকাতা শহরের প্রতিষ্ঠাতা বলে কথিত। ইংরেজ কর্মচারী।
৮৪. রামদাস : সপ্তদশ শতাব্দী। মারাঠি লেখক। জাত-পাত বিরোধী সংস্কারক। ব্রাহ্মণ্য ধর্মের কঠোর সমালোচক।
৮৫. আউল চাঁদ : ১৬৯৪-১৭৭০। পরিত্যক্ত শিশু। নদীয়া নিবাসী। তাঁর পূর্বনাম পূর্ণ চাঁদ। ‘কর্তাভজা’ সম্প্রদায়ের আদিগুরু। সমন্বয়পন্থী ধর্মগুরু। জাত-পাত বিরোধী।
৮৬. সৈয়দ আলাওল পণ্ডিত : সপ্তদশ শতাব্দী। ফরিদপুর নিবাসী। তৎকালীন শ্রেষ্ঠ কবি। ‘পদ্মাবতী’র রচয়িতা।
৮৭. কবিকঙ্কণ : সপ্তদশ শতাব্দী। ময়মনসিংহ নিবাসী। চণ্ডালের গৃহে পালিত। পিতা : গুণরাজ।
৮৮. কলকাতার ইজারা : ১৬৯৮। ইংরেজ কর্তৃক বর্তমান কলকাতা শহরের ইজারা গ্রহণ এবং শহরের গোড়া পত্তন।
৮৯. কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ : সপ্তদশ শতাব্দী। বর্তমানে কালীর যে মূর্তি (রূপ) পূজা করা হয় তার প্রবর্তক। এই রূপ তিনি স্বপ্নে পেয়েছিলেন।
৯০. কাশীরাম দাস (দেব) : সপ্তদশ শতাব্দী। মহাভারতের অনুবাদক। কায়স্থ। ‘দেব’ পদবি। বর্ধমান নিবাসী!
৯১. কেতকাদাস : সপ্তদশ শতাব্দী। বর্ধমান নিবাসী। পিতা শঙ্কর মণ্ডল। মনসা মঙ্গল রচয়িতা।
৯২. শুকুর মাহমুদ : সপ্তদশ শতাব্দী। জনপ্রিয় ‘গুপী চন্দ্রের সন্ন্যাস’ লেখক। পুস্তকটি এককালের প্রভাবশালী নাথধর্মের ওপর।
৯৩. মহারাজ রাজভল্লুব সেন : ১৬৯৮-১৭৩০। ঢাকার জমিদার। মীর কাশিম তাকে জলে ডুবিয়ে মারেন।
৯৪. কৃষ্ণচন্দ্র : ১৭১০-১৭৮২। নদীয়ার মহারাজা। শিব উপাসক।
৯৫. ভারতচন্দ্র মুখুজ্জা (রায়) : ১৭১১-১৭৬০। হাওড়া অঞ্চলের। ব্রাহ্মণ বংশে জন্ম। মঙ্গলকাব্য রচয়িতা। শৈব। প্রাক ব্রিটিশ আমলের শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি।
৯৬. রাম প্রসাদ সেন : ১৭২০-১৭৮১। চব্বিশ পরগণা নিবাসী। বিখ্যাত শক্তিসাধক। রামপ্রসাদী সঙ্গীতের জন্য বিখ্যাত।
৯৭. মুর্শিদকুলী খাঁ : ১৭২৭ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যু। ১৭১৩ সালে মুর্শিদাবাদে বাংলার রাজধানী প্রতিষ্ঠা করেন। তার নামেই মুর্শিদাবাদ জেলা।
৯৮. লোকনাথ ব্রহ্মাচারী : ১৭৩১-১৭৯০ (?)। চব্বিশ পরগণার লোক। তাঁর পিতা রামনারায়ণ ঘোষাল। বিভিন্ন গ্রন্থে তাঁর আয়ুষ্কাল বিভিন্ন। পরিচিত বারদীর ব্রহ্মচারী হিসেবে। তাঁর নামেই বর্তমানের ‘লোকনাথ’ আশ্রম। উল্লেখ্য মধ্যযুগে শিব বা বুদ্ধ ‘লোকনাথ’ নামে পূজিত হতেন।
৯৯. পলাশী যুদ্ধ : ১৭৫৭। বাংলায় ইংরেজ অধিকার প্রতিষ্ঠা।
১০০. ছিয়াত্তরের মন্বন্তর : ১৭৭০। দুর্ভিক্ষে এক-তৃতীয়াংশ বাঙালির মৃত্যু।
১০১. রামমোহন রায় : ১৭৭২-১৮৩৩। হুগলী নিবাসী। বন্দোপাধ্যায় বংশের। ১৮২৮ সালে প্রতিবাদী ‘ব্রাহ্মসমাজ’ প্রতিষ্ঠা করেন। এই মতটি হিন্দুধর্মের সংস্কারায়িত রূপ বলা যায়। পৌত্তলিকতা বিরোধী।
১০২. লালন : ১৭৭৪-১৮৯০। কুষ্টিয়াবাসী। কায়স্থের ঘরে জন্ম বলে কথিত। জোলার ঘরে আশ্রয় নিয়ে বাঁচেন। সমন্বয়বাদী। তাঁর গীতিই লালন গীতি বলে প্রসিদ্ধ।
১০৩. ছাপাখানার সূত্রপাত : ১৭৭৮।
১০৪. হাজী শরিয়তুল্লাহ্ : ১৭৮১-১৮৪০। ফরিদপুর নিবাসী। ফরাজী আন্দোলন খ্যাত। ইসলামী সমাজ গঠনে উদ্যোগী।
১০৫. তিতুমীর : ১৭৮২-১৮৩১। চব্বিশ পরগণা। তাঁর ভাল নাম মীর নিশার আলী। তাঁতী সম্প্রদায়ে জন্ম। জমিদার ও নীলকরদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ।
১০৬. মতিলাল শীল : ১৭৯২-১৮৫৪। কলকাতা নিবাসী। বিখ্যাত ব্যবসায়ী।
১০৭. চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত : ১৭৯৩। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে জমিদারী সৃষ্টি।
১০৮. রাণী রাসমনি : ১৭৯৩-১৮৬১। চব্বিশ পরগণা। পিতা হরেকৃষ্ণ দাস। কৈবর্ত্য পরিবার। রূপবতী। বিয়ে ধনী প্রীতিরাম মাড়ের পুত্র রাজচন্দ্রের সাথে। তিনি শূদ্র বলে দক্ষিণেশ্বরে মন্দির প্রতিষ্ঠায় ব্রাহ্মণরা তাকে বাধা দেয়।
১০৯. হরিচাঁদ ঠাকুর : অষ্টাদশ শতাব্দী। সমন্বয়বাদী ‘মতুয়া’ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা। দলিত মুক্তিই ছিল লক্ষ্য।
১১০. হিন্দু কলেজ : ১৮১৭। কলকাতায় হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠা।
১১১. রাণী ভবানী : ১৭১৫-১৮০২। রাজশাহী নিবাসী। পিতা আত্মরাম চৌধুরী। স্বামী নাটোরের রাজা রামকান্ত রায়। ১৭৫৩ সালে কাশীধামে ‘ভবানীশ্বর শিব’ স্থাপন করেন। ১১২. মজনু শাহ : অষ্টাদশ শতাব্দী। উত্তরবঙ্গে সন্ন্যাসী বিদ্রোহের নেতা।
১১৩. শুভঙ্কর : অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগ। বর্ধমান। প্রকৃত নাম ভৃগুরাম দাস। ‘শুভঙ্কর’ উপাধি। গণিতের জন্য প্রসিদ্ধ।
১১৪. দুদু মিঞা : ১৮১৯-১৮৬০। ফরিদপুর। ফরাজী ধর্মমত প্রচারক।
১১৫. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর : ১৮২০-১৮৯১। পিতা ঠাকুরদাস বন্দোপাধ্যায়। মেদিনীপুর। সমাজ সংস্কারক।
১১৬. মাইকেল মধুসূদন দত্ত : ১৮২৪-১৮৭৩। যশোহর নিবাসী। বিখ্যাত মেঘনাদবধ কাব্য তাঁর অন্যতম কীর্তি।
১১৭. সংস্কৃত কলেজ : ১৮২৪। কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত।
১১৮. সহমরণ নিষিদ্ধ : ১৮২৯। সতীদাহ প্রথা বিলোপ করে ইংরেজরা।
১১৯. শিশু বলী নিষিদ্ধ : ১৮৩০। সাগর মেলায় শিশু বলী দেয়ার ব্রাহ্মণ্য রীতি ইংরেজ কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়।
১২০. রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব : ১৮৩৬-১৮৮৬। হুগলী অঞ্চলের। প্রকৃত নাম গদাধর চট্টোপাধ্যায়। দক্ষিণেশ্বরে রাণী রাসমনির পুরোহিত। তাঁর মতে জীবই শিব। শক্তি উপাসনা। স্ত্রী সারদামনি। তাঁর নামেই ‘রামকৃষ্ণ মিশন’।
১২১. কেশব চন্দ্র সেন : ১৮৩৮-১৮৮৪। ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠাতা। কলকাতার লোক। ব্রাহ্মসমাজ হিন্দুধর্মের অনেক কুরীতির বিরোধী ছিল।
১২২. বঙ্কিম চট্টোপাধ্যায় : ১৮৩৮-১৮৯৪। চব্বিশ পরগণা। ‘বন্দেমাতরম’ (১৮৮২) পাঠ বিখ্যাত লেখক।
১২৩. রেলপথ : ১৮৫৪। ভারতে ইংরেজ কর্তৃক প্রথম রেলপথ প্রতিষ্ঠা।
১২৪. বিধবা বিবাহ আইন : ১৮৫৬। বিধবা বিবাহ আইনসিদ্ধ করা হয়।
১২৫. সিপাহী বিদ্রোহ : ১৮৫৭। ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে সিপাহীদের বিদ্রোহ। পলাশী যুদ্ধের ১০০ বছর পরের ঘটনা।
১২৬. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় : ১৮৫৮। কলকাতায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা।
১২৭. বিপিন পাল ১৮৫৮-১৯৩২। জন্ম শ্রীহট্টে। ‘ব্রাহ্মধর্ম’ গ্রহণ করেন। ত্যজ্য পুত্র। জাতীয়তাবাদী নেতা
১২৮. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর : ১৮৬১-১৯৪১। নোবেল বিজয়ী বাঙালি কবি
১২৯. আলাউদ্দিন খান : ১৮৬২-১৯৭২। ত্রিপুরা নিবাসী। পিতা সদু খাঁ।
১৩০. স্বামী বিবেকানন্দ : ১৮৬৩-১৯০২। পিতা বিশ্বনাথ দত্ত। শৈশবের নাম বীরেশ্বর। হিন্দুধর্ম প্রচারক। রামকৃষ্ণের শিষ্য।
১৩১. উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী : ১৮৬৩-১৯১৫। কিশোরগঞ্জের মসূয়া, ময়মনসিংহ। লেখক। সত্যজিত রায়ের ঠাকুর দাদা।
১৩২. অতুল প্রসাদ সেন : ১৮৭১-১৮৩৪। কালী সাধনার জন্য বিখ্যাত।
১৩৩. অসবর্ণ বিবাহ আইন : ১৮৭২। অসবর্ণ বিবাহ বৈধ করে আইন।
১৩৪. শ্রী অরবিন্দ : ১৮৭২-১৯৫০। অরবিন্দ ঘোষ। শক্তিসাধক।
১৩৫. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় : ১৮৭৬-১৯৩৮। ঔপন্যাসিক।
১৩৬. রমেশ শীল : ১৮৭৭-১৯৬৭। চট্টগ্রাম। বিখ্যাত লোককবি।
১৩৭. মুকুন্দ দাস : ১৮৭৮-১৯৩৪। ঢাকার লোক। পিতা গুরুদয়াল দে। পিতামহ নৌকার মাঝি ছিলেন। বরিশালে বসবাস। কবি।
১৩৮. অনুকূল চন্দ্ৰ (শ্রীশ্রী ঠাকুর) : ১৮৮৮-১৯৬৯। সৎ সঙ্গ আশ্রম প্রতিষ্ঠাতা। পিতা শিব চন্দ্ৰ চক্রবর্তী।
১৩৯. ক্ষুদিরাম বসু : ১৮৮৯-১৯০৮। মেদিনীপুর। বিপ্লবী। জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ফসল। ইংরেজ কর্তৃক ফাঁসিতে মৃত্যু।
১৪০. আনন্দময়ী মা : ১৮৯৬-১৯৮২। ত্রিপুরা। ধর্মগুরু। পিতা বিপিন বিহারী ভট্টাচাৰ্য্য। প্রকৃত নাম নির্মলাসুন্দরী। স্বামী সন্ন্যাসী হয়ে নাম নেন বাবা ভোলানাথ।
১৪১. স্বামী ভক্তিবেদান্ত প্রভুপাদ : ১৮৯৬-১৯৭৭। কলকাতা। পূর্ণনাম অভয় চরণ দে। পিতা গৌরমোহন দে। ‘কৃষ্ণ চৈতন্য’ প্রতিষ্ঠাতা।
১৪২. সুভাষ বসু : ১৮৫৭-১৯৪৫ (?)। বাঙালি জাতীয়তাবাদী নেতা।
১৪৩. বঙ্গভঙ্গ : ১৯০৫। বাংলা দেশকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়।
১৪৪. বঙ্গভঙ্গ রদ : ১৯১১। এই সালে বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয় এবং রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লীতে স্থানান্তর করা হয়।
১৪৫. রবীন্দ্র নোবেল : ১৯১৩। বাঙালি কবি প্রথম নোবেল পুরষ্কার পান।
তথ্য সূত্র : ১. সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান ২. হিস্টরি অব ইণ্ডিয়া : অনিল চন্দ্র ব্যানার্জি : এ্যা মুখার্জি এ্যাণ্ড কোং প্রা: লি: ১৯৯৫ ৩. প্রাচীন ভারত : সমাজ ও সাহিত্য: সুকুমারী ভট্টাচার্য : আনন্দ পাবলিশার্স : তৃতীয় সংস্করণ : ১৪০১ এবং ৪. বাংলা ও বাঙালীর বিবর্তন : ড. অতুল সুর।
গ্রন্থপঞ্জী
১. অমলেশ ত্রিপাঠি : স্বাধীনতার মুখ, আনন্দ পাবলিশার্স, ১৯৯৮।
২. অনিল চন্দ্র ব্যানার্জি : হিস্টরী অব ইণ্ডিয়া, এ্যা মুখার্জি এ্যাণ্ড কোং প্রাইভেট লিমিটেড, ১৯৯৫।
৩. অন্নদাশঙ্কর রায় : সংস্কৃতির বিবর্তন, বাণী শিল্প, ১৯৮৯।
৪. অন্নদাশঙ্কর রায় : স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর, মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স, ১৯৮৯।
৫. অন্নদাশঙ্কর রায় : সংহতির সংকট : বাণী শিল্প, ২য় সংস্করণ-১৯৯৯।
৬. অন্নদাশঙ্কর রায় : সাতকাহন, করুণা প্রকাশনী, ১৩৮৬।
৭. অন্নদাশঙ্কর রায় : দেখাশুনা, মিত্র ও ঘোষ, ১৩৯৫।
৮. অন্নদাশঙ্কর রায় : বইয়ের ভুবন, দেশ, ২৪.১.৯৮।
৯. অন্নদাশঙ্কর রায় : নতুন করে ভাবা, দে’জ পাবলিশিং, ১৯৯৯।
১০. অন্নদাশঙ্কর রায়: নব্বই পেরিয়ে, দে’জ পাবলিশিং, কলকাতা!
১১. অশোক মিত্র : গ্রন্থ : স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর, মিত্র ও ঘোষ।
১২. ড. অতুল সুর: বাংলা ও বাঙালীর বিবর্তন, সাহিত্যলোক, ১৯৯৪।
১৩. ড. অতুল সুর: হিন্দু সভ্যতার বনিয়াদ, বিশ্ববিদ্যা পরিচয়, জিজ্ঞাসা এজেন্সিজ লি:, ১৯৯১।
১৪. অরবিন্দ পোদ্দার : প্রচ্ছদ প্রবন্ধ, অনিবাসী ভারত পথিক নীরদচন্দ্র, দেশ, কলকাতা- ৪.৯.১৯৯৯।
১৫. ড. আকবর আলী খান : ডিসকভারি অব বাংলাদেশ, এপ্লোরেশানস ইন্টু ডিনামিকস অব এ্যা হিডেন নেশান, ইউনিভার্সিটি প্রেস লি:, ঢাকা, ১৯৯৬।
১৬. ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর : বিদ্যাসাগর রচনাবলী : সম্পাদনা সুবোধ চক্রবর্তী, কামিনী প্রকাশনালয়, অখণ্ড সংস্করণ, কলকাতা।
১৭. কৃষ্ণ কুমার দাস : প্রবন্ধ-কুমারী যখন দেবী, সংবাদ প্রতিদিন, কলকাতা, ২৬.৯.৯৮।
১৮. খগেন্দ্রনাথ ভৌমিক : পদবীর উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশের ইতিহাস, সঞ্চয়ন প্রকাশনী, ১৯৯৭।
১৯. খুশবন্ত সিং : দিল্লী, পেঙ্গুইন, ১৯৯০।
২০. গোপাল হালদার : বাংলা সাহিত্যের রূপরেখা, প্রথম খণ্ড, অরুণা প্রকাশনী, ১৪০৪।
২১. গোপেন্দ্রকৃষ্ণ বসু : বাংলার লৌকিক দেবতা, দে’জ পাবলিশিং, কলকাতা, ১৯৯৬।
২২. চিন্তাহরণ চক্রবর্তী : হিন্দুর আচার অনুষ্ঠান : সম্পাদনা : প্রদ্যুম্ন ভট্টাচার্য, প্যাপিরাস, ২০০১।
২৩. চৈতালী দত্ত : চানক্য সংগ্রহ, নবপত্র প্রকাশন, ২০০০
২৪ . জওহরাল নেহরু : ভারত সন্ধানে, আনন্দ পাবলিশার্স, ১৯৯৫।
২৫. তুষার কান্তি পাণ্ডে : ভ্রমনে ভারত ও বিশ্ব ভ্রমন, গ্রন্থনা, ৩য় প্রকাশ, ২০০১।
২৬. ড. দীনেশ চন্দ্র সেন : বৃহৎ বঙ্গ, দে’জ পাবলিশিং, ১৯৯৩।
২৭. নীহার রঞ্জন রায়: বাঙালীর ইতিহাস (আদিপর্ব), দে’জ পাবলিশিং, কলকাতা- ১৪০০।
২৮. ড. দীনেশ চন্দ্র সেন : বঙ্গ ভাষা ও সাহিত্য, প্রথম খণ্ড, পশ্চিম বঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষদ।
২৯. ড. দেবকুমার দাস : সংস্কৃত সাহিত্যের সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত, সংস্কৃত পুস্তক ভাণ্ডার, ১৪০৪।
৩০ দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় : লোকায়ত দর্শন, নিউ এজ পাবলিশার্স প্রা, লি:দ্বিতীয় খণ্ড, ১৯৯৫।
৩১ নীরদ সি চৌধুরী : হিন্দুইজম, এ রিলিজিয়ন টু লিভ বাই, অক্সফোর্ড, ইণ্ডিয়ান পেপার ব্যাকস, ১৯৯৬।
৩২. নরেন্দ্রনাথ লাহা : সুবর্ণ বণিক কথা ও কীর্তি, ঋষিকেশ সিরিজ-১৮, দ্বিতীয় খণ্ড, কলকাতা, ১৯৪১।
৩৩. প্রমথ চৌধুরী : প্রবন্ধ সংগ্রহ, বিশ্বভারতী, ১৯৯৩।
৩৪. ব্যাসদেব : ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ ও অথর্ববেদ (বাংলা অনুবাদ), হরফ প্রকাশনী, কলকাতা।
৩৬. ব্যাসদেব: মহাভারত (অনুবাদ, রাজশেখর বসু), এম.সি. সরকার অ্যাণ্ড সন্স প্রা: লি: কলকাতা-১৯৪।
৩৬. ব্যাসদেব: উপনিষদ (বাংলা অনুবাদ অখণ্ড সংস্করণ), হরফ প্রকাশনী, কলকাতা।
৩৭. বিনয় ঘোষ: বাংলার নবজাগৃতি, ওরিয়েন্ট লংম্যান লি:, ১৩৮৮ (প্রথম প্রকাশ: ১৩৫৫)।
৩৮. ভি.এস. নৈপাল : ইণ্ডিয়া : এ্যা মিলিয়ন মিউটিনিজ নাও, মিনার্ভা, ১৯৯০।
৩৯. ড: মুহম্মদ শহীদুল্লাহ : শহীদুল্লাহ রচনাবলী, সম্পাদনা : আনিসুজ্জামান, বাংলা একাডেমী : ১৯৯৫।
৪০. ড. মুরলী মনোহর যোশী : ইণ্ডিয়া টু’ডে, ১৬.৭.২০০১।
৪১. যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত : বিক্রমপুরের ইতিহাস, শৈব প্রকাশন বিভাগ, ১৯৯৮। ৪২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর : সাহিত্য, বিশ্বভারতী, ১৪০১।
৪৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর : কালান্তর, বিশ্বভারতী, ১৪০০।
৪৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর : ইতিহাস, বিশ্বভারতী, ১৩৮৬। ৪৫. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর : বুদ্ধদেব, বিশ্বভারতী, ১৪০০।
৪৬. রমেশ চন্দ্র মজুমদার: বাংলাদেশের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড), জেনারেল প্রিন্টার্স য়্যাও পাবলিশার্স প্রাঃ লি, অষ্টম সংস্করণ, কলকাতা-১৯৮৮।
৪৭. রমণীমোহন দেবনাথ : ব্যবসা-শিল্পে বাঙালি, বাংলা একাডেমী, ঢাকা, ১৯৮৫। ৪৮. রাজশেখর বসু : মহাভারত, এম.সি.সরকার অ্যাণ্ড সন্স প্রা: লি, ১৯৯৪। ৪৯. রজনীকান্ত চক্রবর্তী : গৌড়ের ইতিহাস, দে’জ পাবলিশিং, ১৯৯৯।
৫০. রঞ্জিত কুমার মজুমদার : দেবী কালিকা, রবিবারের প্রতিদিন কলকাতা, ১৮.১০.৯৮। ৫১. রমেশ বসু : গ্রন্থ, বুদ্ধ ও বৌদ্ধ, সংকলন, বারিদ বরণ ঘোষ, করুণা প্রকাশনী, ১৪০১। ৫২. রমাকান্ত চক্রবর্তী . বঙ্গে বৈষ্ণব ধর্ম, আনন্দ পাবলিশার্স, ১৯৯৬।
৫৩. রজত রায় : ‘দেশ’ সহস্রায়ন সংখ্যা, প্রবন্ধ, হিন্দু মুসলমান, ১১.১২.৯৯।
৫৪. রাখালদাস বন্দোপাধ্যায় : বাঙালির ইতিহাস, দে’জ পাবলিশিং, ১৯৮৭, প্রথম সংস্করণ, ১৩২১।
৫৫. লোকেশ্বর বসু, আমাদের পদবীর ইতিহাস, আনন্দ পাবলিশার্স, ১৯৮১।
৫৬. শশিভূষণ দাশগুপ্ত : ভারতের শক্তি সাধনা ও শাক্ত সাহিত্য, সাহিত্য সংসদ, ১৩৭২।
৫৭. শ্যামাচরণ ভট্টাচার্য : শ্রীশ্রী কালীপূজা পদ্ধতি, বেনীমাধব শীল’স লাইব্রেরী।
৫৮. শিবনারায়ণ রায় : স্বদেশ স্বকাল স্বজন, প্যাপিরাস, ১৯৯৬।
৫৯. শ্রীকুমার বন্দোপাধ্যায় : বাংলা সাহিত্যের বিকাশের ধারা, ওরিয়েন্ট বুক কোম্পানী, তৃতীয় সংস্করণ, ১৯৬৭।
৬০. শ্রীমদ ব্রহ্মানন্দ ভারতী : সিদ্ধ জীবনী, প্রকাশক, দিগিন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায় চক্রবর্তী, ৪র্থ পরিবর্ধিত সংস্করণ, কলকাতা, ১৯৮২।
৬১. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় : শরৎ সাহিত্য সমগ্র, সম্পাদক, সুকুমার সেন, আনন্দ পাবলিশার্স, ১৯৯৩। ৬২. সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় : বাংলা ভাষা প্রসঙ্গে, জিজ্ঞাসা এজেন্সীজ, ১৯৮৯।
৬৩. সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় : ভারত সংস্কৃতি, মিত্র ও ঘোষ, ১৪০০
৬৪. ড. সুকুমারী ভট্টচাৰ্য্য : দি ইণ্ডিয়ান থিয়গনি ব্রহ্মা বিষ্ণু এবং শিব, পেঙ্গুইন বুকস, ইণ্ডিয়া, ২০০০। ৬৫. ড. সুকুমারী ভট্টাচার্যি : প্রাচীন ভারত: সমাজ ও সাহিত্য, আনন্দ পাবলিশার্স, তৃতীয় সংস্করণ, ১৪০১।
৬৬. স্বামী বিবেকানন্দ : বাণী ও রচনা সংকলন, রামকৃষ্ণ মঠ, ঢাকা, ১৩৯৯।
৬৭. সুধীর চন্দ্র সরকার : পৌরাণিক অভিধান, এমসি সরকার এ্যাণ্ড সন্স প্রা: লি: ১৩৯২।
৬৮. সুখময় মুখোপাধ্যায় : বাংলার নাথ সাহিত্য, সুবর্ণ রেখা, ১৪০১।
৬৯. সুরেশ চন্দ্র বন্দোপাধ্যায় : অনুবাদ : মনুসংহিতা : আনন্দ পাবলিশার্স : ১৯৯৯। ৭০. হজারীপ্রসাদ দ্বিবেদী : আলো পর্ব : অনুবাদ : সন্ধ্যা চৌধুরী, সাহিত্য একাদেমি, ১৯৯৪।
৭১. হায়াৎ মামুদ : লালন সাঁই, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, ১৯৯১।
৭২. ড. হরপদ চট্টোপাধ্যায় : বিবেকানন্দ কথামৃত, বুলবুল প্রকাশন, ১৯৯৪।
৭৩. ক্ষিতিমোহন সেন : ভারতে হিন্দু মুসলমানের যুক্ত সাধনা, বিশ্বভারতী, ১৩৯৭।
৭৪. ক্ষেত্র গুপ্ত : বাংলা সাহিত্যের সমগ্র ইতিহাস, গ্রন্থ নিলয়, ১৯৯৮।