কাঠ-মল্লিকা
তুমি নহ রক্তজবা অথবা পলাশ,
আগুন জ্বালিয়ে বন আলো করে যারা,
—যে দিব্য অনলে পুড়ে কাম অঙ্গহারা,
যে আলো ধরায় করে নকল-কৈলাস!
তুমি নহ মানবের নয়ন-বিলাস,
রতি-ভর তনু তব হিম-বিন্দু পারা,—
গন্ধ তব ভেদ করি শ্যামপত্র-কারা,
মুক্ত হ’য়ে ব্যক্ত করে মন-অভিলাষ॥
গুপ্ত হয়ে থাক তুমি বন-অন্তঃপুরে।
মায়া তব গন্ধরূপে ছড়াও সুদূরে॥
আকাশ দেখনি কভু সুনীল বিপুল,
ঘনচ্ছায় বনে আছ, নেত্ৰ নত করি।
খুঁজিনি তোমায় আমি গন্ধসূত্র ধরি,
তাই তুমি মোর চির আকাশের ফুল!