চৌত্রিশ
ঝড়ের বেগে মিলান শহর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে রানা ও লিয়া। একটু পর পর দেখছে রিয়ার ভিউ মিররে কেউ পিছু নিল কি না। তুষার-বৃষ্টি আছড়ে পড়ছে ফিয়াটের উইগুস্ক্রিনের ওপর। পরের পুরো দু’ঘণ্টা উত্তর-পুবে অস্ট্রিয়া সীমান্ত লক্ষ্য করে চলল রানা। পাশের সিটে বসে বারবার পুরনো চিঠি পড়ছে লিয়া। মাঝে মাঝে তলিয়ে যাচ্ছে গভীর চিন্তায়। কখনও সাঁৎ করে পিছিয়ে যাচ্ছে অটোস্ট্রাডার কোন সার্ভিস স্টেশন।
তেমনই এক মোটরওয়ে ক্যাফেটেরিয়ায় থামল ওরা। ভেতরে খদ্দের নেই বললেই চলে। তবুও ঝুঁকি না নিয়ে ঘরের পেছনে ইমার্জেন্সি একযিটের কাছের টেবিলে লিয়াকে নিয়ে বসল রানা। চোখ থাকল প্রবেশপথের ওপর।
মোযার্টের চিঠি খুঁটিয়ে দেখল দু’জন। যাতে আবারও মুড়িয়ে না যায়, তাই প্লাস্টিকের টেবিলের ওপরে লবণদানী ও গোলমরিচদানী ব্যবহার করে কাগজটা মেলে রাখল লিয়া। ‘এত কাছ থেকে এত দামি কিছু আগে কখনও দেখিনি, ‘ বলল। আলতো হাতে স্পর্শ করল হলদেটে কাগজ।
‘নকল বা আসল যা-ই হোক, আমরা হয়তো এটা থেকে পাব জরুরি কোনও সূত্র,’ বলল রানা। ব্যাগ থেকে বের করল অ্যালেকের নোটবুক। ‘দেখা যাক চিঠি কোনও কাজে লাগে কি না। তোমার জার্মান ভাষাজ্ঞান কেমন, লিয়া?’
‘গান গাইতে পারি, তবে অনুবাদ হবে আড়ষ্ট। তুমি?’
‘মুখে জার্মান বলা সহজ। লিখতে মেলা সময় লাগবে।’ হাতে লেখা চিঠিটার ওপর চোখ বোলাল রানা। জানার উপায় নেই সত্যিই এই চিঠি মোযার্ট লিখেছেন কি না। তবে কেন যেন মনে হচ্ছে এটা আসল জিনিসই। গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়তে লাগল রানা। জায়গায় জায়গায় অস্পষ্ট হয়েছে অক্ষর। প্রথম থেকে চিঠি অনুবাদ করতে লাগল রানা, ‘আমার প্রিয় বন্ধু গুস্তাভ।’
‘চালিয়ে যাও,’ উৎসাহ দিল লিয়া।
‘প্রথম অংশ তো সোজা,’ বিড়বিড় করল রানা।
পরের একঘণ্টা অনুবাদে ব্যস্ত থাকল ওরা। টেবিলে ঠাণ্ডা হলো কফির মগ। এক এক করে জার্মান থেকে ইংরেজিতে রূপান্তর করছে চিঠির শব্দগুলো। মাঝে মাঝে ক্যাফের ভেতর চোখ বুলিয়ে নিচ্ছে রানা। সন্দেহজনক কাউকে দেখল না।
‘ডাই য্যাউবেরফ্লোট কী?’ জানতে চাইল ভাষাবিদ রানা। ‘ওটা সোজা,’ বলল লিয়া, ‘দ্য ম্যাজিক ফুট। কিন্তু এই শব্দ? কিছুই তো বুঝছি না!’ চিন্তিত চেহারায় চিবুতে লাগল কলমের ডগা। ‘কোবরা সাপ দিয়ে কী করবে?
গোটা বাক্য কয়েকবার পড়ল রানা। তারপর স্থির করল, গোটা চিঠি অনুবাদ হওয়ার পর আন্দাজ করে বুঝে নেবে কী বলা হয়েছে।
আরও তিনবার কফি শেষ করার পর মোটামুটিভাবে ইংরেজিতে চিঠিটা গুছিয়ে নিল ওরা। নোটবুক পাশে রেখে একইসঙ্গে পড়ল মোযার্টের লিখিত বক্তব্য:
ষোলো নভেম্বর, সতেরো শত একানব্বুই,
ভিয়েনা।
প্রিয় বন্ধু গুস্তাভ,
বড় ব্যস্ততার ভেতর এই চিঠি লিখছি তোমাকে। অন্তর থেকে কামনা করি, সঠিক সময়ে এটা তোমার কাছে পৌছুক। সবাই খুব ভালভাবেই দ্য ম্যাজিক ফুট গ্রহণ করেছে। খুশি হতাম যদি শুধু ভাল সংবাদ জানাতে পারতাম, কিন্তু দুঃখের বিষয়, জরুরি কারণে আজ বাধ্য হচ্ছি তোমাকে বিব্রত করতে।
গত অনেকদিন ধরে ভাল নেই আমাদের বন্ধু ও ভাইয়েরা। যে-কোনও সময়ে বজ্রপাতের মত আমাদের সবার মাথার ওপর নেমে আসবে মহাবিপদ।
গতকাল বিকেলে অপেরার সামনে আমার সঙ্গে দেখা করেছে আমাদের ভাই ‘এক্স’। ভীষণ ভয়ে আছে সে। যখন জানতে চাইলাম, এত দুশ্চিন্তা কীসের, সংক্ষেপে জানাল বিপদের কথা। সম্রাটের কাছ থেকে অনুমতি পেয়েছে কর্নেল কোবরা ও তার দলবল। কাজেই এখন যে-কোনও সময়ে আসবে হামলা। অপেরায় আমার সাফল্যে ভীষণ রেগে গেছে ওরা।
‘এক্স’ বারবার সাবধান করল। বলল: সময় ফুরিয়ে আসছে, সম্ভব হলে এক্ষুণি আমাদের পালিয়ে যাওয়া উচিত। আর এই কথা শুনে আমি সত্যিই ঘাবড়ে গেছি। জানি না এ চিঠি তোমার হাতে পৌঁছুবে কি না। অচেনা কাউকে ভুলেও বিশ্বাস করবে না। গোটা অস্ট্রিয়া জুড়ে আমাদের দলের ভেতর ছড়িয়ে পড়েছে অর্ডার অভ রা-র গুপ্তচর।
খারাপ সংবাদ দিতে হচ্ছে বলে খুব খারাপ লাগছে আমার। প্রার্থনা করছি, ঠিক সময়মত এ চিঠি পৌঁছে যাক তোমার কাছে। প্রিয় বন্ধু, এই চিঠি পড়েই পুড়িয়ে ফেলো। আশা করি নিজেকে নিরাপদে রাখবে। আমার শুভকামনা রইল তোমার ও ক্যাটারিনার জন্যে। মঙ্গল হোক তোমাদের।
তোমার ভাই,
ডাব্লিউ. এ. মোযার্ট
.
‘এই চিঠি থেকে কী বুঝছ?’ জানতে চাইল লিয়া।
‘আগে কিছু খাব। পেটে ছুটে বেড়াচ্ছে একদল ছুঁচো।’
অর্ডার দিতেই ওয়েটার এনে দিল গরম ল্যাসাগনা। খেতে খেতে আলাপ শুরু করল ওরা। আগেই নিজের ব্যাগে চিঠি রেখেছে রানা। খাবারের প্লেটের পাশে এখন নোটবুক।
হতাশা চেপে বসেছে লিয়ার বুকে। মন খারাপ করে বলল, ‘প্রফেসর ডিয়ানোর কাছ থেকে জানতে পারিনি, এমন কিছুই এ চিঠিতে নেই। ‘রা’ দলের লোক বা কাউন্ট কোবরার ব্যাপারে নিজের বন্ধুকে সতর্ক করেছেন মোযার্ট এর বেশি তো আর কিছুই নেই। এখন মনে হচ্ছে অযথা সময় নষ্ট করেছি আমরা।
‘কোবরা,’ মুখ ভরা পাস্তা গিলে নিয়ে চিন্তিত কণ্ঠে বলল রানা, ‘কে এই কাউণ্ট?’
এপাশ-ওপাশ মাথা নাড়ল লিয়া। ‘তুমি কিছু জানো?’ নোটবুক দেখাল রানা। ‘কোবরার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক
ছিল অর্ডার অভ রা-এর।’
‘কী ধরনের সম্পর্ক?
‘জানা নেই,’ স্বীকার করল রানা। ‘তবে বহুবার কোবরার কথা এসেছে অ্যালেকের নোটবুকের পাতায়।
‘কোবরা হয়তো কোনও কোড বা সিম্বল?’
চুপ করে থাকল রানা।
‘তা ছাড়া আমরা জানি না, তার সঙ্গে সম্রাটের কী সম্পর্ক।’ মাথা নাড়ল লিয়া।
‘সম্রাটের সঙ্গে খাতির ছিল,’ বলল রানা, ‘চিঠি তো পড়েছ।’
‘কিন্তু খাতির কেন, সেটা না জানলে…’
‘আপাতত জানা নেই,’ নোটবুকে চোখ বোলাল রানা। ‘চিঠিতে আর কিছুই বলা হয়নি।
‘আবারও আমরা ফিরে গেছি সিঁড়ির একদম প্রথম ধাপে।’ দীর্ঘশ্বাস ফেলল লিয়া। প্লেটে কাঁটাচামচ রেখে হাতের তালুতে গাল রাখল। ‘এটাও জানি না কী হয়েছিল অ্যালেকের। হয়তো গোটা ব্যাপারটা বুনো হাঁসের পেছনে ছুটে চলার মতই। কে জানে, হয়তো এই চিঠির সঙ্গে কোনও সম্পর্কই নেই অ্যালেকের। তা ছাড়া, নকলও হতে পারে চিঠিটা।’
ধীরে ধীরে মাথা নাড়ল রানা। ‘আমিও একমত হতাম, কিন্তু একটা বিষয় মিলছে না। ভিডিয়োতে ওই লোকের যে ঘরে মৃত্যু হয়েছে, সেখানে ছিল সোনার রামছাগলের মাথা। নিশ্চয়ই তোমার মনে আছে?’
ভিডিয়োর দৃশ্যটা ভুলতে চাইছে লিয়া। ‘রামছাগলের মাথার সঙ্গে এসবের কী সম্পর্ক?’
‘মঞ্চে ছিল সোনার রামছাগলের মাথায় লম্বা শিং।’
দ্বিধা করল লিয়া। ‘শিংওয়ালা রামছাগল নিশ্চয়ই কোনও সিম্বল। তুমি শয়তান পূজার ব্যাপারে বোধহয় ইঙ্গিত করছ?’
‘না, ওটা শয়তান পূজার চেয়েও পুরনো। রা ছিল মিশরীয় সূর্য-দেবতা। প্রফেসর ডিয়ানোও এ কথা বলেছেন।’
রানার বক্তব্য বুঝতে না পেরে চুপ করে থাকল লিয়া।
‘রা-কে শুধু ওই নামেই ডাকা হতো না,’ বলল রানা। ‘সূর্যের মত গোলক, রামছাগলের মাথা বা অন্য সিম্বলের মাধ্যমেও বোঝানো হতো সূর্য-দেবতাকে। মিশরীয় শিল্পে ওই দেবতা ছিল পুরুষ। তবে মাথাটা ছিল ছাগলের।’
‘ছাগল কেন?’
‘শিং দিয়ে বোঝানো হতো সূর্য থেকেই এসেছে অকল্পনীয় ক্ষমতার রশ্মি। ওটা বহু পুরনো সিম্বল। হাজার হাজার বছর ধরে চলছে পৃথিবী জুড়ে। ইহুদিদের হিব্রু শব্দ ক্যারান মানে রশ্মি। ওটার উচ্চারণ আবার কেরেনের সঙ্গেও মেলে। অর্থ: শিং।’
তথ্যগুলো মনে গেঁথে নিয়ে মাথা দোলাল লিয়া। ‘বলতে থাকো।’
‘অ্যালেকের ভিডিয়োতে সোনার রামছাগলের মাথা দেখে সন্দেহ হয়েছিল,’ বলল রানা, ‘তবে তখন স্পষ্ট বুঝিনি। পরে মনে হলো অন্য কথা। তবে ওই বিষয়ে কিছু বললে তুমি হয়তো পাগল ঠাউরাবে আমাকে।’
‘আর কিছুই অবিশ্বাস করি না, তুমি বলো,’ বলল লিয়া।
‘আমার ধারণা, আজও আছে অর্ডার অভ রা।’
‘কী বলছ!’
‘ওই মন্দিরে কী দেখেছে অ্যালেক? প্রথমে এক লোকের জিভ কেটে নিয়ে তারপর খুন করেছে। তোমার মনে আছে গুস্তাভ লু্যের বিষয়ে কী বলেছিলেন প্রফেসর? ওই ভদ্রলোকও মারা যান ঠিক এই একইভাবে। এটা কোনও কাকতালীয় ব্যাপার নয়। খুন হন তিনি।’
‘আমি শুনছি, তুমি বলো,’ গম্ভীর মুখে বলল লিয়া।
‘তোমার মনে আছে, মারা যাওয়ার সময় কী বলছিলেন প্রফেসর ডিয়ানো?’ জিজ্ঞেস করল রানা।
‘কথাগুলো মনে আছে। তবে বুঝিনি কী বোঝাতে চাইছিলেন তিনি।’
‘রামছাগলের মাথা নিয়ে কথাটা শেষ করতে পারেননি বহু কিছুই জানতেন। তবে সেসব কী, তা আমরা জানি না। অর্ডার অভ রা-র হাতে অ্যালেক মারা গেলে সন্দেহপ্রবণ হয়ে ওঠেন প্রফেসর। ভয় পেয়েছিলেন, তাই বহু দূরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন মোযার্টের চিঠি।’
আনমনে খাবার নাড়ছে লিয়া। কিছুক্ষণ পর বলল, ‘তা হলে এই চিঠি যদি এতই বিপজ্জনক হবে, তো আমার বাবার ওপর হামলা এল না কেন? ওটা তো বহুদিন ছিল আমাদের বাড়িতে।’
‘তোমার বাবা জানতে চান চিঠিটার সত্যিই ঐতিহাসিক কোন মূল্য আছে কি না,’ বলল রানা। ‘কিন্তু রহস্যের গভীরে খুঁড়তে শুরু করে অ্যালেক। আর তখনই ওর ওপর নেমেছে মৃত্যু পরোয়ানা। অ্যালেক ছাড়া কেউ জানত না এ চিঠি দেখাবে অর্ডার অভ রা-র রহস্যময় পথ। ফলে সতর্ক হয়ে ওঠে অর্ডার অভ রা।’
‘এই চিঠি থেকে কী-ই বা জানবে কেউ?’
‘তা এখনও জানা নেই আমার,’ বলল রানা।
‘তুমি বলছ অর্ডার অভ রা-র লোক আজও আছে,’ বলল লিয়া। ‘কিন্তু তা হলে তারা কারা? তাদেরকে কোথায় পাওয়া যাবে?’
মাথা নাড়ল রানা। ‘সহজে খুঁজে পাব না। ঠাণ্ডা মাথার খুনি। সাধারণ কাল্ট নয়। অর্ডার অভ রা-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সিক্রেট পুলিশের। রাজনীতির গভীরে ছিল শেকড়। তারা শুধু অস্ট্রিয়া নয়, ছড়িয়ে ছিল গোটা ইউরোপে। খুব অস্থির এক সময় তখন। বিপ্লব মাথা চাড়া দিলেও তারা ছিল খুব ক্ষমতাশালী। ধরে নাও, ইউরোপে পরের দু’শ’ বছরে আরও শক্তিশালী হয়েছে ওই দল।
‘কিন্তু ইউরোপে বহু বছর হলো গণতন্ত্র চলছে। গোপন কোনও দল একের পর এক মানুষ খুন করবে, তা তো একদম অসম্ভব।’
‘তুমি অর্ডার অভ রা-কে খুব হালকা চোখে দেখছ,’ বলল রানা। ‘আমার ধারণা: পুরনো ওই সংগঠনের ভিত্তির ওপরে গড়ে তোলা হয়েছে নতুন এক আধুনিক সংগঠন। তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা মোটেও কমে যায়নি।
‘প্রফেসর ডিয়ানোর কথা শুনে মনে হয়েছিল, তিনি ষড়যন্ত্রমূলক থিয়োরিতে বিশ্বাস করেন। ‘
‘হতে পারে,’ বলল রানা।
‘তুমি কি সত্যিই ভাবছ, আজও অর্ডার অভ রা বলে কিছু রয়ে গেছে?’
নীরবে মাথা দোলাল রানা। ‘আমি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করি, তা থেকে এটা পরিষ্কার জানি: সাধারণ মানুষকে দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে প্রভাবশালী শক্তিশালী কিছু সংগঠন। যেমন সিআইএ, এফএসবি, এমআই সিক্স বা অন্যান্য দেশের সংগঠন। এরা সিক্রেট পুলিশের চেয়েও বিপজ্জনক। তবে তাদের ভেতর শেকড় গেঁথে ভালভাবে ছড়িয়ে আছে অর্ডার অভ রা। সাধারণ মানুষ জানতেও পারবে না, নিজেদের স্বার্থ ছাড়া এক পা-ও ফেলে না তারা।’
‘তাদের উদ্দেশ্য কী?’
‘বিশ্বের ক্ষমতা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখা। যাতে যা খুশি করতে পারে।’
‘তো আমরা এখন কী করব? চিনে ফেলেছে ওরা আমাদের, পিছু লেগেছে। তা হলে তো আর কিছুই করার নেই। বেঘোরে খুন হব?’
‘খুন হওয়ার আগেই ওদের শেষ করার চেষ্টা করব আমরা। এখন থেকে পাসপোর্ট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করব না। ভুলেও যাব না পুলিশের কাছে। মাথায় রেখো, এখন থেকে চলতে হবে খুব সাবধানে, ভেবেচিন্তে।
শুকিয়ে গেছে লিয়ার মুখ। চুপ করে থাকল। একটু পর বলল, ‘ঠিক আছে, কিন্তু তা হলে প্রথমে আমরা কী করব?’