উনিশ
ইয়টের স্যালুনে বসে লিয়ার রান্না করা ফিশ চাউডার ও সবুজ সালাদ দিয়ে ডিনার শুরু করল ওরা। ফ্রিয থেকে বের করে বরফ-ঠাণ্ডা, দামি ওয়াইন সার্ভ করল ফ্র্যাঙ্ক গর্ডন।
‘লিয়ার কাছে শুনেছি, আপনি ফিল্মের মিউযিক তৈরি করেন,’ খাওয়ার ফাঁকে বলল রানা।
মাথা দোলাল গম্ভীর গর্ডন। ‘তা-ই করি। আপনি বুঝি খুব সিনেমা দেখেন?’
কাঁধ ঝাঁকাল রানা। ‘খুব না, মাঝে মাঝে দেখি।’ শেষবার কোন সিনেমা হলে ঢুকেছে মনে পড়ল ওর। সেসময়ে দুর্ধর্ষ এক পাকিস্তানি এজেন্টের মানিব্যাগ থেকে জরুরি লিস্ট গায়েব করেছিল গিল্টি মিয়া। আর ওর কাছ থেকে ওটা সংগ্রহ করতে গিয়ে ওই সিনেমা হলে ঢুকেছিল রানা। ‘আপনি কী ধরনের সিনেমায় মিউযিক দেন?’ জানতে চাইল ও।
‘দ্য ফায়ার ইন অ্যাটিক সিনেমাটা আমার সর্বশেষ কীর্তি। হয়তো জানেন না, ওটার পরিচালকও আসলে আমি।’
‘সত্যিই জানতাম না,’ বিস্ময় নিয়ে মাথা নাড়ল রানা।
‘আপনি বোধহয় অপেরা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।’ চট্ করে লিয়াকে দেখে নিল গর্ডন।
‘না, ওসব দেখার সময় পায় না রানা,’ বলল লিয়া।
‘তা হলে তাঁর উপার্জন আসে কোথা থেকে?’
‘টুকটাক গোয়েন্দাগিরি করি,’ বিনয়ের সঙ্গে বলল রানা।
অবাক চোখে ওকে দেখল গর্ডন। চোখে তাচ্ছিল্য।
‘আগে আর্মিতে ছিল রানা,’ রানার ভরাডুবি ঠেকাতে বলে বসল লিয়া। ‘ওখানেই আমার ভাই অ্যালেকের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়।’
‘ও, তা হলে আপনি সৈনিক? অফিসার র্যাঙ্কে ছিলেন?’
‘মেজর!’ এবারও উত্তর দিল লিয়া।
‘ও, ওকে পাত্তা দেবে না বলে স্থির করেছে গর্ডন। বরফের মত শীতল কণ্ঠে বলল, ‘তার মানে বহু বছর ধরেই চেন তুমি একে।’ রানার ওপর থেকে চোখ সরাচ্ছে না সে।
‘তবে কয়েক বছর যোগাযোগ ছিল না,’ বলল লিয়।। আপদটা আবারও মেয়েটার জীবনে এসেছে ভাবতে গিয়ে অখুশি হলো ফ্র্যাঙ্ক গর্ডন। আবারও মন দিল খাবারে।
খাবার ও ওয়াইন শেষ করেই উঠে দাঁড়াল রানা। ‘আপনারা গল্প করুন। আমি কেবিনে গিয়ে খানিক বিশ্রাম নেব।’
গর্ডনের জন্য ফাঁকা মাঠ ছেড়ে দিয়ে কেবিনে ফিরল রানা। ব্যাগ থেকে নিয়ে দক্ষ হাতে পরিষ্কার করল প্রতিটা পিস্তল। রেখে দিল ব্যাগে। ব্যাগ গেল বাঙ্কের ওপরের কাউন্টারে। পরের একঘণ্টা শুয়ে থাকল রানা। ইয়টের খোলে আছড়ে পড়ছে একের পর এক ঢেউ। বাড়ছে বাতাসের তোড়। আগের চেয়ে জোরে দুলছে ইয়ট আইল্যাণ্ডার।
.
মাঝরাতে শুয়ে পড়ার কথা ভাবল লিয়া। টেবিলের আরেক দিকে চেয়ারে বসে মস্ত পেটটা ভাসিয়ে টিভি দেখছে ফ্র্যাঙ্ক গর্ডন। ডিনারের পর প্রায় কোনও কথা হয়নি ওদের ভেতর।
‘বুঝতে পারছি তুমি আমার ওপর খেপে আছ, গর্ডন,’ বলল লিয়া। ‘তবে কী কারণে, তা জানি না।’
চুপ করে থাকল যুবক। কালো হয়ে আছে মুখ।
‘বলে ফেলো, তোমাকে ভাল করেই চিনি,’ বলল লিয়া। রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে টিভি বন্ধ করল গর্ডন। ঘুরে তাকাল লিয়ার দিকে। ‘এই লোক সেই একই লোক, তাই না?’
‘কার কথা বলছ?’
‘যার কথা বারবার বলতে। মাসুদ রানা। পাগলের মত ভালবাসতে যাকে। তুমি এখনও ওকে বিয়ে করতে চাও।’
‘কথাটা হয়তো ঠিক নয়, গর্ডন। ওর সঙ্গে বিয়ের কথা হওয়ার পর পেরিয়ে গেছে প্রায় ছয় বছর।
তিক্ত হাসল গর্ডন। ‘জানতাম, ভুলতে পারবে না ওকে।’
‘আমাদের ভেতর প্রেমের কোনও সম্পর্ক নেই, গর্ডন। তোমার সঙ্গে যেমন, ঠিক তেমনি স্রেফ বন্ধুত্বের সম্পর্ক।’
‘তা হলে ওর কেবিনে ঢুকে ফিসফাস করে কথা হচ্ছিল কীসের?’ বিরক্তির সঙ্গে নাক টানল গর্ডন। ‘আমি যদি জানতাম আমার ইয়টে চেপে ফ্রান্সে চলেছ পরকীয়ার টানে, এককথায় মানা করে দিতাম। তুমি আমাকে গাধা মনে করো, লিয়া? তোমরা যাতে পাপারাজ্জিদের এড়িয়ে গোপনে ফুর্তি- ফার্তি করতে পারো, সেজন্যে ব্যবহার করছ আমার ইয়ট। আমার উচিত এক্ষুণি ইয়ট ঘুরিয়ে নিয়ে ব্রিটেনে ফিরে যাওয়া।’
‘বেশ তো, তাই করো, গর্ডন,’ কঠিন সুরে বলল লিয়া। ‘তুমি দেখছি যা ছিলে তা-ই রয়ে গেছ! তোমার কাছে সাহায্য চাওয়া আমার ভুল হয়ে গেছে। চলো, ঘোরাও ইয়ট!’
গলাটা একটু নামালো গর্ডন।
‘ভাবতে খারাপ লাগছে যে মিথ্যা বলেছ তুমি আমাকে। বলেছিলে ভুলে যেতে চাও মাসুদ রানাকে। অথচ এখন? আমার নাকের সামনে দিয়ে তাকে নিয়ে অভিসারে চলেছ ফ্রান্সে। আর সেজন্যে ব্যবহার করছ আমারই ইয়ট। এটা ভাবলে রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে আমার।’
লিয়ার প্রতি অমোঘ টান অনুভব করে সে বহুদিন ধরেই, নানাভাবে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে বহুবার। হঠাৎ ইয়ট ভ্রমণের প্রস্তাব শুনে ভেবে নিয়েছিল, এতদিনে বুঝি শিকে ছিঁড়তে চলেছে ওর ভাগ্যে। কিন্তু এখন লিয়া ওর প্রাক্তন প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে ওর ইয়টে এসে ওঠায় রাগে-দুঃখে টগবগ করে ফুটছে ফ্র্যাঙ্ক গর্ডন।
‘হয়তো ভুল করে তোমাকে বিয়ে করেই ফেলতাম,’ ঠাণ্ডা গলায় বলল লিয়া, ‘যদি না সেদিন আমার বার্থডে পার্টিতে বিছানায় সেই আপস্টার্ট মেয়েটার সঙ্গে তোমাকে দেখতাম।’
কাঁধ ঝাঁকিয়ে কথাটা উড়িয়ে দিতে চাইল গর্ডন। ‘মাত্র একবার ছোট্ট একটা দোষ। মানুষ তো ভুল করেই, তাই না? আমি তো সেজন্যে ক্ষমাও চেয়েছি। তাই না? তা ছাড়া, মাসের পর মাস একা ছিলাম… তুমি বিয়ের ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছিলে না। তাই…’
‘কোনও লোক কোনও মেয়েকে ভালবাসি বলার পর একটি বার বিশ্বাসঘাতকতা করলেও, সেটাকে আমি হালকা চোখে দেখি না, বলল লিয়া।
‘কিন্তু তুমি তো তখনও রানার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলে!’
‘সেজন্যেই তোমার প্রস্তাবে রাজি হইনি। ভাবছিলাম। তবে ওই পার্টিতে গেস্টরুমে পা রেখেই বুঝলাম, আর যাকেই বিয়ে করি না কেন, তোমাকে নয়।’
‘আমি কি আরেকটা সুযোগ পেতে পারি না, লিয়া?’ কাতর সুরে বলল ফ্র্যাঙ্ক গর্ডন।
ধীরে ধীরে মাথা নাড়ল লিয়া। ‘না, আমরা বড়জোর ভাল বন্ধু। ব্যস, এর বেশি আর কিছু আমার কাছ থেকে আশা কোরো না, গর্ডন।’
‘ওই লোক তোমার কাছে ভিড়েছে টাকার লোভে,’ রেগে গিয়ে বলল ফ্র্যাঙ্ক গর্ডন। ‘তুমি সেটা বুঝেও বুঝতে চাইছ না। তার হাতে দামি ঘড়ি দেখলাম। ওটাও নিশ্চয় তুমিই কিনে দিয়েছ।’
‘বাজে কথা বাদ দাও, গর্ডন। মনে রেখো, আমরা কেউ কারও সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত নই।’
‘তা হলে তাকে নিয়ে ফ্রান্সে যাচ্ছ কেন?’
‘যাচ্ছি জরুরি কাজে। এখন এ বিষয়ে কিছু বলব না।’ সরাসরি গর্ডনের চোখে তাকাল লিয়া। ‘কখনও শুনেছ আমি একটাও মিথ্যা বলেছি?’
‘কিন্তু আমি একপলকের জন্যেও তোমাকে ভুলতে পারিনি, লিয়া,’ চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াল গর্ডন। লিয়ার সামনে থেমে ওর দু’কাঁধে দু’হাত রেখে নাক ডুবিয়ে দিল মিষ্টি সুবাস ভরা কালো চুলে। ফিসফিস করল, ‘আমি তোমাকে খুব কাছে চাই, লিয়া।’ আরও একটু এগোবার ইচ্ছে ছিল ওর, কিন্তু ঠোঁটে চুমু দেয়ার আগেই ধাক্কা দিয়ে ওকে সরিয়ে দিল লিয়া।
ঠিক সেই মুহূর্তে কেবিন থেকে বেরিয়ে ডাইনিং হলের দরজায় এসে দাঁড়িয়েছে রানা। লিয়া লোকটাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়ায় ঘরে বরফের মত ঠাণ্ডা পরিবেশ বিরাজ করল কিছুক্ষণ। রানার দিকে অপ্রস্তুত হয়ে তাকিয়ে আছে গর্ডন।
‘সরি, বিরক্ত করতে চাইনি,’ বলে কমপ্যানিয়নওয়ের দিকে চলল রানা। উঠবে ইয়টের ডেকে।
আগের চেয়ে বেড়েছে হাওয়ার তোড়। ইয়টের বো-র দিক থেকে আসছে ঝোড়ো বৃষ্টি। জ্যাকেটের যিপার গলা পর্যন্ত টেনে নিল রানা। মাথার ওপর ফটাস্-ফটাস্ আওয়াজ তুলছে ভেজা পাল। ধাস্ করে সাগরের ঢেউয়ের খোঁড়লে নেমে যাচ্ছে ইয়টের বো, তারপর আবার উঠে আসছে ওপরে। কমলা অয়েলস্কিন পরে হুইলে লড়ছে বৃদ্ধ স্কিপার রাফায়েল। পরস্পরের দিকে নড করল ওরা। ডেকে ছিটিয়ে পড়ছে সাদা ফেনা। পায়ের তলা থেকে সরে যেতে চাইছে পিচ্ছিল ডেক। আগের চেয়েও জোরে আওয়াজ তুলছে মাথার ওপরের পাল।
‘সামনের সাগরে ঝড়,’ চেঁচিয়ে রানাকে জানাল স্কিপার। আঁধার আকাশ দেখল রানা। থালার মত চাঁদটাকে ঢেকে দিয়ে দিগ্বিদিকে ছুটে চলেছে কালো মেঘের ভেলা। আবছা আলোয় দেখা যাচ্ছে বড় ঢেউগুলোর চূড়ায় সাদা ফেনা।
বহুক্ষণ চুপ করে ডেকে দাঁড়িয়ে থাকল রানা। মন চাইল না নিচের আড়ষ্ট পরিবেশে যেতে। তা ছাড়া, আজ বোধহয় ঘুম হবে না ওর। মনের আঙিনায় ঘুরছে একের পর এক চিন্তা। অ্যালেক। মোযার্টের চিঠি। ভিডিয়ো ক্লিপ। খুন হয়েছে ওর বন্ধু। অক্সফোর্ডশায়ারের বাড়িতে পড়ে আছে তিন আততায়ীর লাশ। এসবের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে পুলিশের লোক। সবই রহস্যময়।
মনের পটে উঁকি দিচ্ছে লিয়ার স্নিগ্ধ মুখ। মেয়েটাকে জোর করে চুমু দিতে গিয়ে অপমানিত হয়েছে ফ্র্যাঙ্ক গর্ডন। বিভ্রান্ত সে। জোর করে দৃশ্যটা মন থেকে মুছতে চাইল রানা। বুকে অনুভব করল ভীষণ অস্বস্তি ও একাকীত্ব। নিজেকে জিজ্ঞেস করল: ‘সত্যিই সরে গিয়ে থাকলে, অন্য কারও সঙ্গে লিয়াকে দেখে বুকের ভেতর এমন কাঁটা বিধছে কেন?
বুক চিরে দীর্ঘশ্বাস এল রানার। ভাবল: সত্যি কি এখনও লিয়াকে নিজের জীবনে চাইছি আমি?
লিয়া বোধহয় শুয়ে পড়েছে। কল্পনায় রানা দেখল, সরু বাঙ্কের বালিশে বিছিয়ে আছে লিয়ার কালো চুল।
বহুক্ষণ পর রানা বুঝল, আরও বেড়ে গেছে ডেকের ওঠা- নামা। উন্মত্ত সাগরে ঝড়ের ভিতর ঢুকেছে ইয়ট আইল্যাণ্ডার। মস্তসব ঢেউ আছড়ে পড়ছে ছোট্ট জাহাজের ওপর। তিরতির করে কাঁপতে কাঁপতে ঢেউয়ের মাথায় উঠছে ইয়ট, তারপর ধড়াস্ করে নেমে যাচ্ছে সাগরের দুই দৈত্যাকার ঢেউয়ের মাঝের গর্তে। চারপাশ থেকে আসছে জলকণা ও সাদা ফেনার ছাঁট। দু’হাতে শক্ত করে রেলিং ধরল রানা।
.
নিজের কেবিনে বাঙ্কে এপাশ-ওপাশ করছে লিয়া। অস্থির লাগছে মন। জোর করে ভুলে যেতে চাইছে রানার কথা। কিন্তু কী যেন হয়েছে আজ, উধাও হয়েছে ওর ঘুম-পরী।
আরও বহুক্ষণ পর ঘড়ি দেখল লিয়া।
বাজে প্রায় চারটে। একটু পর ভোর হবে।
একটা ব্ল্যাঙ্কেট শরীরে জড়িয়ে কেবিন থেকে বেরিয়ে কিচেনের দিকে চলল লিয়া। ভীষণ দুলছে ইয়ট। হেঁটে চলা খুব কঠিন।
কিচেনে লিয়ার নড়াচড়ার আওয়াজে মাস্টার কেবিনের দরজা খুলে ফ্যাকাসে মুখে বেরিয়ে এল ফ্র্যাঙ্ক গর্ডন। রাত জেগে লাল হয়েছে তার দুই চোখ।
কিচেন থেকে ধোঁয়া ওঠা কফির মগ হাতে বেরিয়ে লিয়া দেখল, কমপিউটারে আবহাওয়ার রিপোর্ট পড়ছে গর্ডন। স্ক্রিন থেকে অসুস্থ চোখ তুলে কাঁপা গলায় বলল, ‘একটু পর ঝড় থামবে। তোমার মেজর বন্ধু কোথায়?’
‘জানি না।’ বিরক্ত হলো লিয়া। ‘নিশ্চয়ই নিজের কেবিনে ঘুমাচ্ছে?’
‘ওর কেবিনের দরজা খোলা। ভেতরে নেই সে।’
‘তাই ভেবেছ ও আমার কেবিনে?’ বিরক্তির মাত্রা বাড়ল লিয়ার।
নাক দিয়ে ঘোঁৎ শব্দ তুলে ডেকের দিকে চলল ফ্র্যাঙ্ক গর্ডন। হ্যাচ খুলতেই ওর চোখে-মুখে আছড়ে পড়ল ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির ছাঁট। চোখ বুজে মাথা নাড়ল মিউযিক ডিরেক্টর। আবার চোখ মেলে দেখল ডেকের দূরে। ঝড়ের ভেতর নীরবে ইয়ট নিয়ে ব্যস্ত স্কিপার রাফায়েল আর মাসুদ রানা। বৃষ্টিতে চকচক করছে তাদের অয়েলস্কিন।
গর্ডন বুঝল, কখন কোটা দরকার জানে মেজর। মনে মনে তাকে গালি দিল সে। আবারও বন্ধ করল হ্যাচ। ঠিক করল ফিরবে মাস্টার্স কেবিনে। তবে কমপ্যানিয়নওয়ের সিঁড়ির অর্ধেক ধাপ নেমে অদ্ভুত এক চিন্তা এল তার মাথায়।
মেজর এখন কেবিনে নেই!
এই তো সুযোগ!
সিঁড়ি বেয়ে নেমে স্যালুনের দরজা পেরোল গর্ডন। নীরবে ঢুকল রানার কেবিনে। পেছনে নিঃশব্দে ভিড়িয়ে দিল দরজা। বল্টু আটকে চোখ বোলাল কেবিনের চারপাশে। কয়েক মুহূর্ত পর কাউন্টার থেকে বাঙ্কে নামিয়ে আনল ভারী ক্যানভাসের ব্যাগটা। তারপর খুলল ওটা।