কলকাতার প্রেম

তোমাকে তিরিশ তিরিশ লাগে, অথচ তুমি তেষট্টি
তেষট্টি হও, তিরিশ হও তাতে কার কী এলো গেলো
তুমি তুমিই; তেমনই, তোমাকে ঠিক যেমন হলে মানায়।

চোখদুটোর দিকে যখনই তাকাই, মনে হয় ওই চোখ বুঝি দুহাজার বছর ধরে চিনি
ঠোঁটের দিকে, চিবুকের দিকে, হাত বা হাতের আঙুলের দিকে
তাকাতে নিলেই দেখি চিনি
দুহাজার কেন, তারও চেয়ে আগে থেকে চিনি।
এত চিনি যে মনে হয় চাইলেই ওগুলো ছুঁতে পারি, যে কোনও সময়,
রাতে, দুপুরে, এমনকী রাতদুপুরেও।
মনে হয় যখন খুশি যা খুশি করতে পারি ওগুলোকে,
রাত জাগাতে পারি–
চিমটি কাটতে পারি, চুমু খেতে পারি, যেন ওগুলো আমার কিছু।

আমার এই মনে হওয়ার দিকে তিরিশ-তিরিশ তুমি
অনেকবার তো তাকিয়েছো, কিছু বলোনি কিন্তু।
যখন এককেবারে হাওয়া হয়ে যাবো, তখন কেবল
দুহাত ভরে লাল গোলাপ দিলে,
গোলাপের কোনও আলাদা অর্থ কী করে করি!
গোলাপ তো আজকাল যে কেউ হামেশাই যে কাউকে দিচ্ছে, কেবল দিতে হয় বলেই।
আমি কিন্তু অপেক্ষা করছিলাম, কিছু বলো কি না
কিছু বলোনি।
মনে মনেও বলো কিনা দেখছিলাম,
তাও বলোনি।

কেন?
বয়স হলে বুঝি ভালোবাসতে নেই?

2 Comments
Collapse Comments
Ananda Mohan Paul May 9, 2018 at 9:32 pm

বই হোক সবার জীবন সাথী।

প্রমিত বাংলায় এগুলোর নিচে লিখে দিলে বুঝতে পারতাম বিষয় গুলোর অর্থ কি।
ধন্যবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *