কবীরা গুনাহ – ইমাম শামসুদ্দীন মুহাম্মাদ বিন উসমান আযযাহাবী (র)
অনুবাদ : হাফেয মাওলানা আকরাম ফারুক এম.এ.
.
অনুবাদকের কথা
মহান আল্লাহর প্রতি অশেষ শুকরিয়া আদায় করছি যে, তিনি আমাকে ইমাম যাহাবীর এই অমূল্য গ্রন্থ “কিতাবুল কাবায়ের”– এর অনুবাদ করার তৌফিক দান করেছেন। এই সাথে এই গ্রন্থটিকে পর্যায়ক্রমে মাসিক পৃথিবীতে প্রকাশ করা ও অবশেষে পুস্তক আকারে প্রকাশের ব্যবস্থা করার জন্য বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার কর্তৃপক্ষকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা।
কিতাবুল কাবায়ের গ্রন্থের অনুবাদ সরাসরি মূল আরবী গ্রন্থ থেকেই করা হয়েছে। বাংলা ভাষাভাষী মুসলমানদের যদি এ গ্রন্থ দ্বারা কিছুমাত্র উপকার হয়, তবে এর কল্যাণে মহান আল্লাহ অধমের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিন— দয়াময় আল্লাহর দরবারে এটাই আমার আন্তরিক দোয়া।
“কবীরা গুনাহ” আল্লামা যাহাবীর কিতাবুল কাবায়ের গ্রন্থের হুবহু অনুবাদ হলেও এতে সামান্য কিছু সম্পাদনার কাজ এই সাথেই করতে হয়েছে। যেমন, একই হাদীস ও আয়াতের বারবার পুনরাবৃত্তি অনুবাদে এড়িয়ে যাওয়া, কোন বুযুর্গ ব্যক্তির অভিজ্ঞতী ও স্বপ্ন দেখাজনিত ঘটনা কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাদ দেয়া, লেখকের সুদীর্ঘ ব্যক্তিগত উপদেশমূলক গদ্য ও পদ্য কোথাও সংক্ষিপ্ত আকারে উল্লেখ করা এবং কোথাও নিষ্প্রয়োজন মনে হওয়ায় বাদ দেয়া, পর্যাপ্ত আয়াত ও সহীহ হাদীস প্রমাণ হিসাবে উপস্থাপিত হওয়ায় দুর্বল হাদীসকে ও মনীষীদের বক্তব্যকে বাদ দেয়া এবং দু’একটি ক্ষেত্রে মূল বিবরণের সাথে সংগতি রেখে শিরোনাম পাল্টানো ইত্যাদি।
এই সামান্য সম্পাদনার কাজটুকু করা হয়েছে দুইটি উদ্দেশ্যে; প্রথমতঃ বাংলাভাষী পাঠককে নিষ্প্রয়োজন দীর্ঘ বিবরণ পাঠের ঝামেলা থেকে মুক্তি দেয়া, দ্বিতীয়তঃ পুস্তকের কলেবর যাতে আকারে বৃদ্ধি না পায় তা নিশ্চিত করা। আশা করি, পুস্তকখানি সকল মহলে সমাদৃত হবে এবং সমাজের ইসলামী ও নৈতিক মূল্যবোধ সংরক্ষণে সহায়ক হবে।
গ্রন্থকার পরিচিতি
ইমাম শামসুদ্দীন মুহাম্মাদ বিন উসমান বিন কাইমায তুর্কমেনী, ফারেকী, দামেস্কী আযযাহাবী ৬৭৩ হিঃ মুতাবিক ১২৭৪ খৃষ্টাব্দে দামেস্কে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক বাসস্থান তুর্কমেনিস্তানের ‘মিয়াফারেকীন’। তিনি সিরিয়া, মিসর ও হেজাজের বড় বড় মুসলিম মনীষীদের নিকট থেকে শিক্ষা গ্রহণ ও এ উদ্দেশ্যে বহু দেশ সফর করেন। ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানের অনেকগুলো শাখায় বিশেষত আল কুরআন ও আল হাদীস সংক্রান্ত বিদ্যায় বিশেষ পারদর্শিতা অর্জন করেন। হাদীসের হাফেয হিসাবে তিনি কিংবদন্তীর নায়কে পরিণত হলেও হাদীসের শুদ্ধাশুদ্ধির বিচার ও পরখের দক্ষতা তার পান্ডিত্য ও মনীষাকে খ্যাতির সর্বোচ্চ শিখরে আরোহণ করায়। তিনি ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় ৯০টি মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেন। এগুলো হাদীস, ইতিহাস, জীবনী প্রভৃতি বিষয়ে লিখিত। তার সর্বাপেক্ষা বড় গ্রন্থ “তারীখুল ইসলাম”(ইসলামের ইতিহাস) ছাড়াও “সিয়ানুবালা”(মুসলিম বিদ্বানদের জীবনী) এবং হাদীসের শুদ্ধাশুদ্ধি পরখ সংক্রান্ত তিনখানা গ্রন্থ “মীযানুল ইতিদাল”, “আল মুশতাবাহ ফী “আসমায়ির রিজাল” এবং “তাজরীদুল উসুল ফী আহাদীমির রাসূল” সর্বাধিক প্রসিদ্ধ। তাছাড়া ১৩০০ মনীষীর নাম ও সংক্ষিপ্ত জীবনী সম্বলিত তার এক বিশাল বিশ্বকোষও রয়েছে। এসব মনীষীর মধ্যে অনেকে তাঁর শিষ্য কিংবা উস্তাদ।
তাঁর “কিতাবুল কাৰায়ের” শীর্ষক গ্রন্থখানি ৭০টি কবীরা গুনাহর বিবরণ সম্বলিত। সাধারণ মুসলমানগণকে বিপথগামিতা থেকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে এটি লিখিত।
ইমাম যাহাবী দামেস্কে একাধিক শিক্ষা বিভাগীয় সরকারী চাকুরীতে নিয়োজিত ছিলেন এবং চাকুরীর পাশাপাশি তিনি ঐসব গ্রন্থ রচনা করেন। ৭৪১ হিজরীতে তার দৃষ্টিশক্তি লোপ পাওয়ায় লেখার কাজ বন্ধ হয়ে গেলেও ৭৪৮ হিঃ মুতাবিক ১৩৪৮ খৃষ্টাব্দে ইন্তিকাল করার সময় পর্যন্ত শিক্ষকতা অব্যাহত রাখেন। দামেস্কেই তার কবর রয়েছে।
.
কবীরা গুনাহ কী?
আল্লাহর কিতাব, রাসূলের (সা) সুন্নাহ ও অতীতের পুণ্যবান মনীষীদের বর্ণনা থেকে যেসব জিনিস আল্লাহ ও রাসূল কর্তৃক সুস্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ বলে জানা যায় সেগুলিই কবীরা (বড়) গুনাহ। কবীর ও নিষিদ্ধ বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকলে সগীরা (ছোট) গুনাহ সমূহ ক্ষমা করা হবে বলে আল্লাহ কুরআনে নিশ্চয়তা দিয়েছেন। আল্লাহ বলেনঃ
“তোমরা যদি বড় বড় নিষিদ্ধ কাজগুলো থেকে বিরত থাক তাহলে আমি তোমাদের (অন্যান্য) গুনাহ মাফ করে দেবো এবং তোমাদেরকে সম্মানজনক স্থানে প্রবেশ করাবো।” (সূরা আন্ নিসা)
আল্লাহ তায়ালা এই অকাট্য ও দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা দ্বারা কবীরা বা বড় বড় গুনাহ থেকে যারা সংযত থাকে তাদের জন্য স্পষ্টতই জান্নাতের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। সূরা আশ শূরাতে আল্লাহ বলেনঃ
“আর সেই সব ব্যক্তি, যারা বড় বড় গুনাহ ও অশ্লীল কাজ থেকে সংযত থাকে এবং রাগান্বিত হলে ক্ষমা করে।” এবং সূরা আন নাজমে আল্লাহ বলেনঃ
“আর যারা বড় বড় গুনাহ ও অশ্লীল কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকে, তাদের জন্য আল্লাহর ক্ষমা খুবই প্রশস্ত। অবশ্য ছোটখাটো গুনাহর কথা আলাদা।”
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “প্রতিদিন পাঁচবার নামায, জুময়ার নামায পরবর্তী জুময়া না আসা পর্যন্ত এবং রমযানের রোযা পরবর্তী রমযান না আসা পর্যন্ত মধ্যবর্তী শুনাহ সমূহের ক্ষমার নিশ্চয়তা দেয়। যদি ‘কবীরা গুনাহ’ সমূহ থেকে বিরত থাকা হয়।”
এই কয়টি আয়াত ও হাদীসের আলোকে আমাদের জন্য কবীরা গুনাহসমূহ কি কি তা অনুসন্ধান করা অপরিহার্য কর্তব্য হয়ে দাড়ায়। এ ব্যাপারে আমরা আলেম সমাজের মধ্যে কিছু মতভেদ দেখতে পাই। কারো কারো মতে কবীরা গুনাহ সাতটি। তারা যুক্তি প্রদর্শন করেন যে, রাসূল (সা) বলেছেনঃ “তোমরা সাতটি সর্বনাশা গুনাহ থেকে বিরত থাকো। আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা, যাদু করা, শরীয়াতের বিধিসম্মতভাবে ছাড়া কোন অবৈধ হত্যাকান্ড ঘটানো, ইয়াতীমের সম্পদ আত্মসাত করা, সুদ খাওয়া, যুদ্ধের ময়দান থেকে পালানো, এবং সরলমতি সতীসাধ্বী মুমিন মহিলাদের ওপর ব্যভিচারের অপবাদ আরোপ।” (সহীহ আল বুখারী ও সহীহ মুসলিম) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস বলেনঃ এর সংখ্যা সত্তরের কাছাকাছি।
হাদীসে কবীরা গুনাহের কোন সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায়না। তবে এতটুকু বুঝা যায় এবং অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয় যে, যে সমস্ত বড় বড় গুনাহের জন্য দুনিয়ায় শাস্তি প্রদানের আদেশ দেয়া হয়েছে, যেমন হত্যা, চুরি, ও ব্যভিচার, কিংবা আখিরাতে ভীষণ আযাবের ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে অথবা রাসূলের (সা) ভাষায় সেই অপরাধ সংঘটককে অভিসম্পাত করা হয়েছে, অথবা সেই গুনাহে লিপ্ত ব্যক্তির ঈমান নেই, বা সে মুসলিম উম্মাহর ভেতরে গণ্য নয়- এরূপ বলা হয়েছে সেগুলি কবীরা গুনাহ।
হযরত সাঈদ ইবনে জুবায়ের থেকে বর্ণিত আছে যে, এক ব্যক্তি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাসকে বলেছিলঃ কবীরা গুনাহ তো সাতটি। হযরত ইবনে আব্বাস বললেনঃ বরঞ্চ সাতশোটির কাছাকাছি। তবে ক্ষমা চাইলে ও তওবা করলে কোন কবীরা গুনাহই কবীরা থাকেনা। অর্থাৎ মাফ হয়ে যায়। আর ক্রমাগত করতে থাকলে সগীরা গুনাহও সগীরা থাকেনা, বরং কবীরা হয়ে যায়। অপর এক রেওয়ায়েত থেকে জানা যায় যে, হযরত ইবনে আব্বাস বলেছেনঃ কবীরা গুনাহ প্রায় ৭০টি। অধিকাংশ আলেম গণনা করে ৭০টিই পেয়েছেন বা তার সামান্য কিছু বেশী পেয়েছেন।
এ কথাও সত্য যে, কবীরা গুনাহর ভেতরেও তারতম্য আছে। একটি অপরটির চেয়ে গুরুতর বা হালকা আছে। যেমন শিরককেও কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত ধরা হয়েছে। অথচ এই গুনাহে লিপ্ত ব্যক্তি চির জাহান্নামী এবং তার গুনাহ অমার্জনীয়। আল্লাহ তায়ালা সূরা আন নিসায় বলেছেনঃ “আল্লাহ শিরকের গুনাহ মাফ করেন না। এর নিচে যে কোন গুনাহ যাকে ইচ্ছা মাফ করে দিতে পারেন।” অবশ্য শিরক পরিত্যাগ করলে ভিন্ন কথা।
একনজরে ৭০টি কবীরা গুনাহ-
১. শিরক
২. হত্যা বা খুন করা
৩. জাদু করা
৪. নামাযে শৈথিল্য প্রদর্শন
৫. যাকাত না দেয়া
৬. বিনা ওজরে রমযানের রোযা ভংগ করা
৭. সামর্থ থাকা সত্বেও হজ্জ না করা
৮. আত্মহত্যা করা
৯. পিতামাতার অবাধ্য হওয়া ও তাদের কষ্ট দেয়া
১০. রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয় স্বজনকে পরিত্যাগ করা
১১. ব্যভিচার
১২. সমকাম ও যৌন বিকার
১৩. সুদের আদান প্রদান
১৪. ইয়াতীমের (পিতৃহারা অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক বালিকা) সম্পত্তি আত্মসাত করা ও তার ওপর জুলুম করা
১৫. আল্লাহ ও রাসূলের ওপর মিথ্যা আরোপ করা
১৬. যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন
১৭. শাসক কর্তৃক শাসিতের ওপর যুলুম ও প্রতারণা এবং তার সমর্থন ও সহযোগিতা করা
১৮. অহংকার
১৯. মিথ্যা সাক্ষ্য দান
২০. মদ্যপান
২১. জুয়া
২২. সতী নারীর বিরুদ্ধে অপবাদ রটনা
২৩. রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাত করা
২৪. চুরি করা
২৫. ডাকাতি করা
২৬. মিথ্যা শপথ করা ও আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে শপথ করা
২৭. যুলুম বা অত্যাচার করা
২৮. জোর পূর্বক চাঁদা আদায় করা
২৯. হারাম খাওয়া ও যে কোন হারাম পন্থায় সম্পদ উপার্জন ও ভোগ দখল করা
৩০. মিথ্যা বলা
৩১. বিচার কার্যে অসততা ও দুর্নীতি
৩২. ঘুষ খাওয়া
৩৩. নারীর সাথে পুরুষের এবং পুরুষের সাথে নারীর সাদৃশ্যপূর্ণ বেশভূষা গ্রহণ
৩৪. নিজ পরিবারের মধ্যে অশ্লীলতা ও পাপাচারের প্রশ্রয় দান
৩৫. তালাকপ্রাপ্তা নারীর তাহলীল
৩৬. প্রস্রাব থেকে যথাযথভাবে পবিত্রতা অর্জন না করা
৩৭. রিয়া অর্থাৎ অন্যকে দেখানোর উদ্দেশ্যে সৎ কাজ করা
৩৮. নিছক দুনিয়ার উদ্দেশ্যে দীনী জ্ঞান বা বিদ্যা অর্জন করা, তা গেপন করা এবং ইসলামের জ্ঞান অর্জন করে সে অনুযায়ী আমল না করা
৩৯. খিয়ানত বা বিশ্বাসঘাতকতা
৪০. নিজের কৃত দানখয়রাত ও অনুগ্রহের দোহাই দেয়া, খোটা দেয়া ও প্রচার করা
৪১. অদৃষ্টকে অস্বীকার করা
৪২. মানুষের গেপনীয় দোষ জানার চেষ্টা করা
৪৩. নামীমা বা চোখলখুরি
৪৪. বিনা অপরাধে কোন মুসলমানকে অভিশাপ ও গালি দেয়া
৪৫. ওয়াদা খেলাপ করা
৪৬. ভবিষ্যদ্বক্তা ও জ্যোতিষীর কথা বিশ্বাস করা
৪৭. স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের অধিকার লংঘন
৪৮. প্রাণীর প্রতিকৃতি বা ছবি আঁকা, ছাপানো, খোদাই করা, টানানো ও সংরক্ষণ করা
৪৯. বিপদে, দুর্যোগে বা শোকাবহ ঘটনায় উচ্চস্বরে কান্নাকাটি, বুক কপাল চাপড়ানো, পোশাক ছিড়ে ফেলা, মাথা কামানো, চুল উপড়ানো এবং নিজের মৃত্যু ও ধ্বংস কামনা করা ইত্যাদি
৫০. বিদ্রোহ, ঔদ্ধত্য ও দাম্ভিকতা
৫১. দুর্বল শ্রেণী, দাসদাসী বা চাকর – চাকরাণী ও জীবজন্তুর সাথে নিষ্ঠুর আচরণ করা
৫২. প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া
৫৩ মুসলমানদেরকে উত্যক্ত করা, গালি দেয়া ও তাদের পরস্পরের মধ্যে গেলযোগ বিভেদ ও মনোমালিন্য সৃষ্টি করা
৫৪. সৎ ও খোদাভীরু বান্দাদেরকে কষ্ট দেয়
৫৫. দাম্ভিকতা ও আভিজাত্য প্রদর্শনার্থে টাখনুর নিজ পর্যন্ত পোশাক পরা
৫৬. পুরুষের স্বর্ণ ও রেশম ব্যবহার করা
৫৭. বৈধ কর্তৃপক্ষের অবাধ্য হওয়া ও বৈধ আনুগত্যের বন্ধন একতরফাভাবে ছিন্ন করা
৫৮. আল্লাহ ছাড়া আর কারো নামে জন্তু যবাই করা
৫৯. জেনেশুনে নিজের পিতা ব্যতীত অন্যের সন্তান বলে পরিচয় দেয়া
৬০. জেনেশুনে অন্যায়ের পক্ষে তর্ক, ঝগড়া ও দ্বন্দ
৬১. উদ্বৃত্ত পানি অন্যকে না দেয়া
৬২. মাপে ও ওজনে কম দেয়া
৬৩. আল্লাহর আযাব ও গযব সম্পর্কে নিশ্চিন্ত হওয়া
৬৪. আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া
৬৫. বিনা ওযরে জামায়াত ত্যাগ করা ও একাকী নামায পড়া
৬৬. ওসিয়তের মাধ্যমে কোন উত্তরাধিকারীর ক্ষতি সাধন
৬৭. ধোকাবাজি, ছলচাতরী ও ষড়যন্ত্র করা
৬৮. কৃপণতা, অপচয় ও অপব্যয় তথা অবৈধ ও বিশৃংখল ব্যয়
৬৯. মুসলমানদের গেপনীয় বিষয় শত্রুর নিকট ফাঁস করা
৭০. কোন সাহাবীকে গালি দেয়া
Leave a Reply