কত ভোরে—দু’-পহরে – সন্ধ্যায় দেখি নীল শুপুরির বন
বাতাসে কাঁপিছে ধীরে;—খাঁচার শুকের মতো গাহিতেছে গান
কোন এক রাজকন্যা—পরনে ঘাসের শাড়ি—কালো চুলে ধান
বাংলার শালিধান—আঙিনায় ইহাদের করেছে বরণ,
হৃদয়ে জলের গন্ধ কন্যার—ঘুম নাই, নাইকো মরণ
তার আর কোনোদিন—পালঙ্কে সে শোয় নাকো, হয় নাকো স্লান,
লক্ষ্ণীপেঁচা শ্যামা আর শালিখের গানে তার জাগিতেছে প্রাণ-
সারাদিন—সারারাত বুকে ক’রে আছে তারে শুপুরির বন;
সকালে কাকের ডাকে আলো আসে, চেয়ে দেখি কালো দাঁড়কাক
সবুজ জঙ্গল ছেয়ে শুপুরির—শ্রীমন্তও দেখেছে এমন :
যখন ময়ূরপঙ্খী ভোরের সিন্ধুর মেঘে হয়েছে অবাক,
সুদূর প্রবাস থেকে ফিরে এসে বাংলার শুপুরির বন
দেখিয়াছে—অকস্মাৎ গাঢ় নীল : করুণ কাকের ক্লান্ত ডাক
শুনিয়াছে—সে কত শতাব্দী আগে ডেকেছিল তাহারা যখন।