1 of 2

কত দিবা কত বিভাবরী

কত দিবা কত বিভাবরী
কত নদী নদে লক্ষ স্রোতের
মাঝখানে এক পথ ধরি,
কত ঘাটে ঘাটে লাগায়ে,
কত সারিগান জাগায়ে,
কত অঘ্রানে নব নব ধানে
কতবার কত বোঝা ভরি
কর্ণধার হে কর্ণধার,
বেচে কিনে কত স্বর্ণভার
কোন্‌ গ্রামে আজ সাধিতে কী কাজ
বাঁধিয়া ধরিলে তব তরী।

হেথা বিকিকিনি কার হাটে।
কেন এত ত্বরা লইয়া পসরা,
ছুটে চলে এরা কোন্‌ বাটে।
শুন গো থাকিয়া থাকিয়া
বোঝা লয়ে যায় হাঁকিয়া,
সে করুণ স্বরে মন কী যে করে–
কী ভেবে আমার দিন কাটে।
কর্ণধার হে কর্ণধার,
বেচে কিনে লও স্বর্ণভার–
হেথা কারা রয় লহো পরিচয়,
কারা আসে যায় এই ঘাটে।

যেথা হতে যাই, যাই কেঁদে।
এমনটি আর পাব কি আবার
সরে না যে মন সেই খেদে।
সে-সব কাঁদন ভুলালে,
কী দোলায় প্রাণ দুলালে।
হোথা যারা তীরে আনমনে ফিরে
আমি তাহাদের মরি সেধে।
কর্ণধার হে কর্ণধার,
বেচে কিনে লও স্বর্ণভার।
এই হাটে নামি দেখে লব আমি–
এক বেলা তরী রাখো বেঁধে।

গান ধর তুমি কোন্‌ সুরে।
মনে পড়ে যায় দূর হতে এনু,
যেতে হবে পুন কোন্‌ দূরে।
শুনে মনে পড়ে, দুজনে
খেলেছি সজনে বিজনে,
সে যে কত দেশ নাহি তার শেষ–
সে যে কতকাল এনু ঘুরে।
কর্ণধার হে কর্ণধার,
বেচে কিনে লও স্বর্ণভার।
বাজিয়াছে শাঁখ, পড়িয়াছে ডাক
সে কোন্‌ অচেনা রাজপুরে।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *